'জঙ্গম' এর বিপরীতার্থক শব্দ কোনটি?
A
দুর্গম
B
মসৃণ
C
স্থাবর
D
সুগম
উত্তরের বিবরণ
'জঙ্গম' শব্দের অর্থ হলো গতিশীল, চলমান, সচল, এবং এর বিপরীতার্থক শব্দ হলো স্থাবর, যার অর্থ স্থানান্তরিত করা যায় না এমন, নিশ্চল, স্থির। এর পাশাপাশি আরও কিছু বিপরীতার্থক শব্দ রয়েছে।
-
সুগম: দুর্গম
-
মসৃণ: বন্ধুর
উৎস:

0
Updated: 21 hours ago
'রুখের তেন্তুলি কুমীরে খাই’--এর অর্থ কী?
Created: 1 week ago
A
তেজি কুমিরকে রুখে দিই
B
বৃক্ষের শাখায় পাকা তেঁতুল
C
গাছের তেঁতুল কুমিরে খায়
D
ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হয়
চর্যাগীতির মধ্যে কিছু গান কাব্যিক এবং তান্ত্রিক দিক নির্দেশ করে। কুক্কুরীপার রচিত চর্যাগীতি এই ধারার উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। তাঁর রচনাগুলোতে সমাজ, দৈনন্দিন জীবন এবং আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা একসাথে ফুটে ওঠে।
কুক্কুরীপা সম্পর্কিত তথ্য:
-
কুক্কুরীপা চর্যাগীতির তিনটি গান রচয়িতা (২, ২০, ৪৮ নম্বর)।
-
৪৮ সংখ্যক গানের একটি পুথি বর্তমানে লুপ্ত।
-
তিনি উচ্চবংশীয় ছিলেন বলে ধারণা করা হয়; তাঁর চর্যার ভাষা এ কথা নির্দেশ করে।
-
কুক্কুরীপা তান্ত্রিক নাম বা ছদ্মনাম ব্যবহার করেছেন; নামের সঙ্গে 'পা' যুক্ত থাকায় কেউ কেউ এটিকে গুরুপ্রতি শ্রদ্ধাসূচক ছদ্মনাম মনে করেন।
-
তারানাথের মতে, তাঁর সঙ্গে সবসময় একটি কুক্কুরী থাকত, এ থেকেই নামকরণ হয়েছে কুক্কুরীপা।
-
ধারণা করা হয়, তিনি বাংলার উত্তরখণ্ডের অধিবাসী ছিলেন। হিন্দিভাষীরা তাঁকে কপিলাবস্তু বা বুদ্ধের জন্মস্থান নেপালের লোক বলেছেন।
-
সংস্কৃত রচনা ‘মহামায়াসাধন’-এর রচয়িতা হিসেবে কুক্কুরীপার নাম পাওয়া গেছে, যা থেকে বোঝা যায় তিনি মহামায়ার উপাসক ছিলেন।
-
ড. শহীদুল্লাহর মতে, কুক্কুরীপা ৭৪০–৮২০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে জীবিত ছিলেন। ধারণা করা হয়, ৮০৯ খ্রিষ্টাব্দে রাজা ধর্মপালের শাসনামলে তিনি পৃষ্ঠপোষকতা পেয়েছিলেন।
-
তাঁর রচিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে:
-
যোগভাবনাপ্রদেশ
-
স্রবপরিচ্ছদ
-
কুক্কুরীপার চর্যারপদসমূহ (মূল চর্যা ও আধুনিক গদ্যে অনুবাদ):
১. দুলি দুহি পীঢ়া' ধরণ ন জাই। রুখের তেন্তলি কুম্ভীরে খাই'।
-
মাদি কচ্ছপ দোহন করে দুগ্ধ-পাত্রে, দুধ ধরানো গেল না। গাছের তেঁতুল কুমিরে খায়।
২. আঙ্গন ঘরপণ সুন ভো বিআতী। কানেট চোরে নিল অধরাতী। -
ওগো প্রসূতি, ঘরের কাছে আঙিনা। অর্ধরাতে চোর কানপাশা নিয়ে গেল।
৩. সসুরা নিদ গেল বহুড়ী জাগই'। কানেট চোরে নিল কা গই মাগই। -
শ্বশুর নিদ্রা গেল, বধূ রইল জেগে। কানপাশা চোরে নিলে কার কাছে মাগা যায়?
৪. দিবসহি' বহুড়ী কাউহি' ডর' ভাই'। রাতি ভইলে কামরু জাই। -
দিনে বধূ কাকের ভয়ে ভীত হয়। রাত হলে কামরাজ্যে বা কামরূপে যায়।
৫. অইসনী” চর্যা কুকুরীপাত্র গাইল"। কোড়ি মাঝে একু হিঅহি" সমাইল। -
এমন চর্যা কুক্কুরীপা গাইলেন। কোটির মধ্যে একের চিত্তে তা প্রবেশ করল।

0
Updated: 1 week ago
বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগের নিদর্শন কোনটি?
Created: 1 month ago
A
নিরঞ্জনের রুষ্মা
B
দোহাকোষ
C
গুপিচন্দ্রের সন্ন্যাস
D
ময়নামতির গান
চর্যাপদ
-
সংজ্ঞা: চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের প্রথম কাব্যগ্রন্থ/গানের সংকলন। এটি আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
-
আবিষ্কার ও প্রকাশ: ১৯০৭ সালে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদের পুথি আবিষ্কার করেন। ১৯১৬ সালে কলকাতার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ আধুনিক লিপিতে এটি প্রকাশ করে।
-
সম্পাদনা: হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর সম্পাদনায় ‘হাজার বছরের পুরাণ বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা’ নামে পুথিটি প্রকাশিত হয়।
-
রচয়িতা ও বিষয়বস্তু: চর্যাপদের গানগুলো বৌদ্ধ সহজিয়াগণ রচনা করেছেন। এতে বৌদ্ধধর্মের চিন্তা-ভাবনা প্রতিফলিত হয়েছে।
-
কবির সংখ্যা ও পদসংখ্যা:
-
সুকুমার সেনের মতে ২৪ জন কবির নাম পাওয়া যায় এবং পদসংখ্যা ৫১টি; তবে তিনি ‘চর্যাগীতি পদাবলী’ গ্রন্থে ৫০টি পদ উল্লেখ করেছেন।
-
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ‘Buddhist Mystic Songs’-এ ২৩ জন কবির নাম এবং ৫০টি পদ উল্লেখ করেছেন।
-
-
অনুবাদ: চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র। ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী এই অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
অন্যান্য সাহিত্য নিদর্শন:
-
‘নিরঞ্জনের রুষ্মা’ – অন্ধকার যুগের সাহিত্য নিদর্শন।
-
শুকুর মহম্মদের গোপীচন্দ্রের সন্ন্যাস ও ভবানী দাসের ময়নামতির গান – নাথ সাহিত্য তথা মধ্যযুগের সাহিত্য নিদর্শন।
উৎস:
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর
-
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম
-
বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
সমার্থক অর্থ প্রকাশ করে কোন শব্দজোড়টি?
Created: 1 week ago
A
ভাষ - ভাষা
B
ভাস - ভাসা
C
ভজন - ভোজন
D
মতি - মোতি
বাংলা ভাষায় অনেক শব্দজোড় আছে যেগুলো সমার্থক অর্থ প্রকাশ করে বা উচ্চারণে কাছাকাছি হলেও ভিন্ন অর্থ বহন করে। সঠিক ব্যবহার না করলে বাক্যের অর্থ পরিবর্তিত হতে পারে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ শব্দজোড় দেওয়া হলো—
-
সমার্থক শব্দজোড়: ভাষ–ভাষা
অর্থ: কথা।
অন্যদিকে—
-
ভজন অর্থ প্রার্থনা।
-
ভোজন অর্থ আহার।
-
ভাষ অর্থ কথা।
-
ভাস অর্থ দীপ্তি।
-
ভাষা অর্থ কথা।
-
ভাসা অর্থ ভেসে থাকা।
-
মতি অর্থ বুদ্ধি।
-
মোতি অর্থ মুক্তা।
উৎস:

0
Updated: 1 week ago