মীর মশাররফ হোসেন কোন জেলায় জন্মগ্রহণ করেন?
A
নদীয়া
B
বরিশাল
C
কুষ্টিয়া
D
পাবনা
উত্তরের বিবরণ
• মীর মশাররফ হোসেন (১৮৪৭–১৯১১)
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে তিনি ছিলেন এক অনন্য ব্যক্তিত্ব। উনিশ শতকের বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিকদের মধ্যে তিনি পথিকৃৎ হিসেবে পরিচিত। বঙ্কিমচন্দ্রের যুগে তিনি গদ্যশিল্পে অসাধারণ প্রতিভার পরিচয় দেন।
জীবনপরিচয়:
-
জন্ম: ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর, কুষ্টিয়া জেলার লাহিনীপাড়া গ্রামে
-
কর্মজীবন: ছাত্রাবস্থায় সংবাদ প্রভাকর ও কুমারখালির গ্রামবার্তা প্রকাশিকায় মফঃস্বল সংবাদদাতা
-
সাহিত্যগুরু: গ্রামবার্তা প্রকাশিকার সম্পাদক কাঙাল হরিনাথ
-
সম্পাদকতা: আজিজননেহার ও হিতকরী পত্রিকা
সাহিত্যকর্ম:
-
নাটক: বসন্তকুমারী, জমীদার দর্পণ, বেহুলা গীতাভিনয়
-
প্রহসন: টালা অভিনয়, এর উপায় কি, ফাঁস কাগজ, ভাই ভাই এইতো চাই
-
উপন্যাস: বিষাদ-সিন্ধু
-
আত্মজীবনীমূলক রচনা: উদাসীন পথিকের মনের কথা, গাজী মিয়াঁর বস্তানী, আমার জীবনী, কুলসুম জীবনী
0
Updated: 1 month ago
বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম ঔপন্যাসিক কে?
Created: 1 month ago
A
মীর মশাররফ হোসেন
B
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ
C
ইসমাইল হোসেন সিরাজী
D
সেলিনা হোসেন
বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম ঔপন্যাসিক ছিলেন মীর মশাররফ হোসেন, যিনি ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও প্রাবন্ধিক হিসেবে খ্যাত। তিনি ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলার লাহিনীপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তাকে বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম ঔপন্যাসিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গ্রামবার্তার সম্পাদক কাঙাল হরিনাথ ছিলেন তার সাহিত্যগুরু। তার রচিত প্রথম গ্রন্থ হলো রত্নাবতী। ছাত্রাবস্থায় তিনি সংবাদ প্রভাকর ও কুমারখালির গ্রামবার্তা প্রকাশিকার মফঃস্বল সংবাদদাতার দায়িত্ব পালন করেছিলেন, যা তাঁর সাহিত্যজীবনের সূচনা হিসেবে বিবেচিত হয়। এছাড়াও তিনি আজিজননেহার ও হিতকরী নামে দুটি পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। মীর মশাররফ ছিলেন বঙ্কিমযুগের একজন প্রধান গদ্যশিল্পী ও উনিশ শতকের বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিকদের পথিকৃৎ।
-
নাটক
-
বসন্তকুমারী
-
জমীদার দর্পণ
-
বেহুলা গীতাভিনয়
-
-
প্রহসন
-
টালা অভিনয়
-
এর উপায় কি
-
ফাঁস কাগজ
-
ভাই ভাই এইতো চাই
-
-
উপন্যাস
-
বিষাদ-সিন্ধু
-
-
আত্মজীবনীমূলক রচনা
-
উদাসীন পথিকের মনের কথা
-
গাজী মিয়াঁর বস্তানী
-
আমার জীবনী
-
কুলসুম জীবনী
-
অন্য উল্লেখযোগ্য মুসলিম ঔপন্যাসিক:
-
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ: আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রধান ঔপন্যাসিক, বিখ্যাত উপন্যাস লালসালু (১৯৪৮) রচয়িতা।
-
ইসমাইল হোসেন সিরাজী: মুসলিম জাগরণের সাহিত্য রচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
-
সেলিনা হোসেন: বাংলাদেশের সমসাময়িক জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক, যিনি মুক্তিযুদ্ধ, নারীজীবন ও সামাজিক বাস্তবতা বিষয়ক উপন্যাস লিখেছেন।
0
Updated: 1 month ago
'বসন্তকুমারী' মীর মশাররফ হোসেন রচিত-
Created: 1 month ago
A
উপন্যাস
B
প্রহসন
C
নাটক
D
আত্মজীবনী
‘বসন্তকুমারী’ মীর মশাররফ হোসেনের অন্যতম উল্লেখযোগ্য নাটক, যা ১৮৭৩ সালে রচিত এবং মুসলমান নাট্যকার দ্বারা রচিত প্রথম নাটক হিসেবে বিবেচিত। নাটকের কাহিনি ইন্দ্রপুরের বিপত্নীক রাজার বৃদ্ধ বয়সে যুবতী স্ত্রী গ্রহণ, রাজার যুবক পুত্রের প্রতি বিমাতার আকর্ষণ ও প্রেম নিবেদন, পুত্রের প্রত্যাখ্যান এবং বিমাতার ষড়যন্ত্রের পর রাজপরিবারের সকলের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে রচিত। নাটকটির অপর নাম হলো ‘বৃদ্ধস্য তরূণী ভার্যা’।
-
নাটকসমূহ:
-
বসন্তকুমারী
-
জমীদার দর্পণ
-
বেহুলা গীতাভিনয়
-
-
উপন্যাসসমূহ:
-
বিষাদ-সিন্ধু
-
-
গ্রন্থসমূহ:
-
উদাসীন পথিকের মনের কথা
-
গাজী মিয়াঁর বস্তানী
-
-
আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ:
-
আমার জীবনী
-
কুলসুম জীবনী
-
0
Updated: 1 month ago
মীর মশাররফ হোসেন রচিত প্রথম গ্রন্থের নাম কী?
Created: 1 month ago
A
রত্নবতী
B
বসন্তকুমারী
C
বিষাদ-সিন্ধু
D
জমীদার দর্পণ
রত্নবতী
-
গ্রন্থ: ‘রত্নবতী’ মীর মশাররফ হোসেন রচিত প্রথম গ্রন্থ।
-
প্রকাশ: ১৮৬৯ সালে প্রকাশিত।
-
ধরণ: রূপকথা জাতীয় শিক্ষামূলক দীর্ঘ গল্প।
-
বিষয়বস্তু: রাজপুত্র সুকুমার ও মন্ত্রীপুত্র সুমন্তের মধ্যে ‘ধন বড় না বিদ্যা বড়’ বিতর্ক ও তার সমাধান।
-
গুরুত্ব: মুসলিম সাহিত্যিকদের মধ্যে প্রথম ঐতিহাসিকভাবে মূল্যবান গ্রন্থ।
মীর মশাররফ হোসেন
-
জন্ম: ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর, কুষ্টিয়া জেলার লাহিনীপাড়া।
-
পেশা: ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক।
-
অ্যাক্টিভিটি: ছাত্রাবস্থায় সংবাদ প্রভাকর ও গ্রামবার্তার মফঃস্বল সংবাদদাতা; ‘আজিজননেহার’ ও ‘হিতকরী’ পত্রিকা সম্পাদনা।
-
গুরুত্ব: বঙ্কিমযুগের প্রধান গদ্যশিল্পী; উনিশ শতকের বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিকদের পথিকৃৎ।
রচিত নাটক:
-
বসন্তকুমারী
-
জমীদার দর্পণ
-
বেহুলা গীতাভিনয়
-
টালা অভিনয়
রচিত উপন্যাস:
-
বিষাদ-সিন্ধু
রচিত অন্যান্য গ্রন্থ:
-
উদাসীন পথিকের মনের কথা
-
গাজী মিয়াঁর বস্তানী
আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ:
-
আমার জীবনী
-
কুলসুম জীবনী
0
Updated: 1 month ago