'জীবন বিনিময়' কবিতাটির লেখক কে?
A
গোলাম মোস্তফা
B
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
C
কাজী আবদুল ওদুদ
D
কায়কোবাদ
উত্তরের বিবরণ
• ‘জীবন বিনিময়’ কবিতা
-
রচয়িতা: গোলাম মোস্তফা
-
অন্তর্ভুক্ত কাব্যগ্রন্থ: বুলবুলিস্তান
-
কবিতার অংশবিশেষ:
বাদশা বাবর কাঁদিয়া ফিরিছে, নিদ নাহি চোখে তাঁর-পুত্র তাঁহার হুনায়ন বুঝি বাঁচে না এবার আর! চারিধারে তার ঘনায়ে আসিছে মরন-অন্ধকার। রাজ্যের যত বিজ্ঞ হেকিম কবিরাজ দরবেশ এসেছে সবাই, দিতেছে বসিয়া ব্যবস্থা সবিশেষ, সেবাযত্নের বিধিবিধানের ত্রুটি নাহি এক লেশ।
গোলাম মোস্তফা সম্পর্কে তথ্য:
-
জন্ম: ১৮৯৭, মনোহরপুর, শৈলকুপা, যশোর (বর্তমান ঝিনাইদহ)।
-
১৯৪৯ সালে পূর্ববঙ্গ সরকারের ভাষা সংস্কার কমিটির সচিব হিসেবে কর্মরত।
-
পাকিস্তানি আদর্শের সমর্থক; ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে উর্দুর প্রতি সমর্থন প্রকাশ।
-
গদ্য ও পদ্য উভয়েই দক্ষ; মূল পরিচয়: কবি।
সম্মাননা ও উপাধি:
-
‘কাব্য সুধাকর’ — যশোর সংঘ (১৯৫২)
-
‘সিতারা-ই-ইমতিয়াজ’ — পাকিস্তান সরকার (১৯৬০)
কাব্যগ্রন্থসমূহ:
-
রক্তরাগ, খোশরোজ, কাব্যকাহিনী, গীতি সঞ্চয়ন, সাহারা, হাসনাহেনা, বুলবুলিস্তান, বনি আদম ইত্যাদি
অনুবাদকাব্য:
-
মুসাদ্দাস-ই-হালী, কালামে ইকবাল, শিকওয়া ও জওয়াব-ই-শিকওয়া (১৯৬০)
গদ্যগ্রন্থসমূহ:
-
বিশ্বনবী, ইসলাম ও জেহাদ, ইসলাম ও কমিউনিজম, আমার চিন্তাধারা
0
Updated: 1 month ago
'রক্তরাগ' গোলাম মোস্তফা রচিত কোন ধরনের সাহিত্য রচনা?
Created: 1 month ago
A
গদ্যগ্রন্থ
B
উপন্যাস
C
প্রবন্ধ
D
কাব্যগ্রন্থ
‘রক্তরাগ’ কাব্যগ্রন্থ
-
এটি গোলাম মোস্তফা রচিত কাব্যগ্রন্থ।
-
গ্রন্থটি ১৯২৪ সালে প্রকাশিত হয়।
গোলাম মোস্তফা সম্পর্কে
-
তিনি কবি ও লেখক ছিলেন।
-
জন্ম: ১৮৯৭ সালে, যশোর জেলার শৈলকুপা উপজেলার মনোহরপুর গ্রামে।
-
১৯৪৯ সালে গঠিত পূর্ববঙ্গ সরকারের ভাষা সংস্কার কমিটির সচিব হিসেবে কাজ করেছেন।
-
পাকিস্তানি আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন এবং ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় উর্দুর প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করেন।
-
তিনি গদ্য ও পদ্য রচনায় সমান দক্ষ ছিলেন, তবে কবি হিসেবেই মুখ্য পরিচয়।
-
সাহিত্য-সংস্কৃতিতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ যশোর সংঘ কর্তৃক ‘কাব্য সুধাকর’ (১৯৫২) এবং পাকিস্তান সরকার কর্তৃক ‘সিতারা-ই-ইমতিয়াজ’ (১৯৬০) উপাধি লাভ করেন।
গোলাম মোস্তফার রচিত কাব্যগ্রন্থসমূহ
-
রক্তরাগ
-
খোশরোজ
-
কাব্যকাহিনী
-
গীতি সঞ্চয়ন
-
সাহারা
-
হাসনাহেনা
-
বুলবুলিস্তান
-
বনি আদম
রচিত অনুবাদকাব্য
-
মুসাদ্দাস-ই-হালী
-
কালামে ইকবাল
-
শিকওয়া ও জওয়াব-ই-শিকওয়া (১৯৬০)
রচিত গদ্যগ্রন্থসমূহ
-
বিশ্বনবী
-
ইসলাম ও জেহাদ
-
ইসলাম ও কমিউনিজম
-
আমার চিন্তাধারা
0
Updated: 1 month ago
’খোশরোজ’ কাব্যগ্রন্থের লেখক কে?
Created: 1 month ago
A
আল মাহমুদ
B
গোলাম মোস্তফা
C
কাজী নজরুল ইসলাম
D
ফররুখ আহমেদ
গোলাম মোস্তফা বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত কবি ও লেখক। তিনি ১৮৯৭ সালে যশোর (বর্তমান ঝিনাইদহ) জেলার শৈলকুপা উপজেলার মনোহরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৯ সালে গঠিত পূর্ববঙ্গ সরকারের ভাষা সংস্কার কমিটির সচিব হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। পাকিস্তানি আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন এবং ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় উর্দুর প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করেন। গদ্য ও পদ্য উভয় ক্ষেত্রে সমান দক্ষ ছিলেন, তবে কবি হিসেবেই তাঁর মুখ্য পরিচয়। সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি যশোর সংঘ কর্তৃক ‘কাব্য সুধাকর’ (১৯৫২) এবং পাকিস্তান সরকার কর্তৃক ‘সিতারা-ই-ইমতিয়াজ’ (১৯৬০) উপাধি লাভ করেন। তিনি ১৯৬৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
কাব্যগ্রন্থ:
-
রক্তরাগ
-
খোশরোজ
-
কাব্যকাহিনী
-
গীতি সঞ্চয়ন
-
সাহারা
-
হাসনাহেনা
-
বুলবুলিস্তান
-
বনি আদম
অনুবাদকাব্য:
-
মুসাদ্দাস-ই-হালী
-
কালামে ইকবাল
-
শিকওয়া ও জওয়াব-ই-শিকওয়া (১৯৬০)
গদ্যগ্রন্থ:
-
বিশ্বনবী
-
ইসলাম ও জেহাদ
-
ইসলাম ও কমিউনিজম
-
আমার চিন্তাধারা
-
গোলাম মোস্তফার কবিতা ও রচনা সামাজিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক বিষয়বস্তু সমৃদ্ধ।
-
তাঁর সাহিত্যকর্মে পাকিস্তানি আদর্শ, ইসলাম ও ধর্মীয় চেতনা প্রকাশিত হয়েছে।
-
অনুবাদকাব্যের মাধ্যমে তিনি সংস্কৃত ও উর্দু সাহিত্যকে বাংলাভাষীদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন।
0
Updated: 1 month ago
মুসলিম সাহিত্য সমাজের সদস্য ছিলেন না কে?
Created: 3 weeks ago
A
মুহম্মদ আব্দুর রশীদ
B
আবুল ফজল
C
গোলাম মোস্তফা
D
কাজী মোতাহার হোসেন
গোলাম মোস্তফা ‘মুসলিম সাহিত্য-সমাজ’-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। যদিও তিনি একই সময়ে সক্রিয় সাহিত্যচর্চা করছিলেন, তবুও এই সংগঠনের আদর্শিক ও বৌদ্ধিক কার্যক্রমে তাঁর প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততা ছিল না।
মুসলিম সাহিত্য-সমাজ ছিল একটি যুক্তিবাদী, প্রগতিশীল ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, যা মূলত মুসলিম সমাজের সাহিত্যচর্চায় নতুন দিশা আনতে গঠিত হয়েছিল। এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯২৬ সালের ১৯ জানুয়ারি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম হল ইউনিয়ন কক্ষে, অধ্যাপক ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে।
-
এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠায় মুখ্য ভূমিকা পালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজের কয়েকজন শিক্ষক ও ছাত্র।
-
সংগঠনের পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন অধ্যাপক আবুল হুসেন, ছাত্র এ.এফ.এম. আবদুল হক এবং আবদুল কাদির প্রমুখ।
-
নেপথ্যে থেকে দিকনির্দেশনা দিতেন কাজী আবদুল ওদুদ (বাংলা বিভাগের অধ্যাপক) এবং কাজী আনোয়ারুল কাদীর (যুক্তিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক)।
-
সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য ছিল মুসলিম সমাজে যুক্তিবাদ, আধুনিক চিন্তা, ও সাহিত্যবোধের প্রসার ঘটানো।
সংগঠনটির মুখপত্র ছিল ‘শিখা’, যা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৩৩৩ বঙ্গাব্দের চৈত্র মাসে।
-
‘শিখা’-র মোট পাঁচটি সংখ্যা প্রকাশিত হয়।
-
সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন যথাক্রমে:
-
প্রথম সংখ্যা: আবুল হুসেন
-
দ্বিতীয় ও তৃতীয় সংখ্যা: কাজী মোতাহার হোসেন
-
চতুর্থ সংখ্যা: মোহাম্মদ আবদুর রশিদ
-
পঞ্চম সংখ্যা: আবুল ফজল
-
-
‘শিখা’-র মুখবাণী ছিল: “জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।”
প্রধান লেখকবৃন্দ ছিলেন—
-
আবুল হুসেন
-
মোতাহের হোসেন চৌধুরী
-
কাজী আবদুল ওদুদ
-
আবদুল কাদির
-
আবুল ফজল
-
কাজী আনোয়ারুল কাদীর
এদের লেখনিতে প্রতিফলিত হয়েছে ধর্মীয় সংকীর্ণতা থেকে মুক্তি, মানবতাবাদ, যুক্তিবোধ ও প্রগতিশীল চিন্তার প্রচার।
0
Updated: 3 weeks ago