বাউল গান কী ধরনের সাহিত্য?
A
মুখ্য সাহিত্য
B
গৌণ সাহিত্য
C
তত্ত্ব সাহিত্য
D
বজ্রযান সাহিত্য
উত্তরের বিবরণ
বাউল গানকে তত্ত্ব সাহিত্য বলা হয়। বিস্তারিত ব্যাখ্যা নিচে দেওয়া হলো।
-
বাউল গান:
• বাউলদের আধ্যাত্মিক গানকে বাউল গান বা বাউল সংগীত বলা হয়।
• বাউলরা তাদের গানেই ধর্মীয় তত্ত্ব, দর্শন, জীবনবোধ ও আদর্শ প্রকাশ করেন।
• মৌখিক ধারার গান হওয়ায় এটি মূলত লোক-সাহিত্য।
• বাউলরা তাঁদের গানকে ধর্মের অঙ্গ মনে করেন। -
বাউল সম্প্রদায়:
• বাউল একটি ধর্মীয় লোক-সম্প্রদায়।
• তাঁরা দেহতত্ত্বাশ্রিত ও অধ্যাত্মমুখী লৌকিক ধর্মমত পালন করেন, যা ‘বাউল ধর্মমত’ নামে পরিচিত।
• এই সম্প্রদায়ের কোনো লিখিত সাহিত্য বা শাস্ত্র নেই। -
গান পরিবেশনের উপলক্ষ:
• ধর্মীয় আসর
• ওরস উৎসব
• ভিক্ষোপজীবিকা
• অন্যান্য আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক ক্ষেত্র -
বাউল সাধনা ও তত্ত্ব:
• ‘দেহতত্ত্ব’-এর সাধনা দ্বারা পরমাত্মার সন্ধান।
• মানুষের দেহে পরমাত্মার অবস্থান আছে বলে বিশ্বাস।
• প্রতীক: মানুষ, মনের মানুষ, অচিন পাখি, মনুরায় ইত্যাদি।
• মূল লক্ষ্য: মানবাত্মা ও পরমাত্মার মিলন, যা অধ্যাত্মপ্রেম ও ভক্তি দ্বারা সম্ভব। -
বাউল গানের মূল তত্ত্বসমূহ:
• আত্মতত্ত্ব → মনের প্রস্তুতি
• দেহতত্ত্ব → সাধনার রীতি-পদ্ধতি
• গুরুতত্ত্ব → গুরুর চরণে শরণ
• প্রেমতত্ত্ব → ভক্তি ও ভালোবাসা
• সৃষ্টিতত্ত্ব → জীবসৃষ্টির রহস্য
• মানুষতত্ত্ব → পরমাত্মার মিলনাকাঙ্ক্ষা

0
Updated: 23 hours ago
বাংলা সাহিত্যের কোন কাব্যটি গদ্য ও পদ্যের সংমিশ্রণে রচিত?
Created: 3 days ago
A
শূণ্যপুরাণ
B
পদ্মপুরাণ
C
চৈতন্য-চরিতামৃত
D
গীতগোবিন্দম্
ধর্মীয় ও পুরাণমূলক সাহিত্য
-
শূণ্যপুরাণ
-
রচয়িতা: রামাই পণ্ডিত।
-
বিষয়: ধর্মীয় তত্ত্ব ও পূজাপদ্ধতি।
-
সময়কাল: ত্রয়োদশ থেকে অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যে রচিত।
-
রূপ: গদ্যপদ্যে মিশ্রিত চম্পুকাব্য।
-
বিন্যাস: ৫১টি অধ্যায়; প্রথম ৫টি অধ্যায় সৃষ্টিতত্ত্ব সংক্রান্ত।
-
ইতিহাস: শূণ্যপুরাণ প্রথমে নামহীন অবস্থায় পাওয়া যায়। নাগেন্দ্রনাথ বসু ১৩১৪ বঙ্গাব্দে তিনটি পুস্তকের পাঠ সংগ্রহ করে ‘বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ’ দ্বারা প্রকাশিত এবং নামকরণ করা হয়।
-
-
পদ্মপুরাণ
-
হিন্দু পুরাণশাস্ত্রের অন্তর্গত আঠারোটি মহাপুরাণের একটি।
-
মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের বিজয় গুপ্ত রচিত ‘পদ্মাপুরাণ’ মনসামঙ্গল কাব্য হিসেবে ইতিহাসে অমর।
-
-
চৈত্য-চরিতামৃত
-
রচয়িতা: লোচন দাস।
-
বিষয়: চৈতন্যদেবের দ্বিতীয় জীবনীগ্রন্থ।
-
-
গীতগোবিন্দম্
-
রচয়িতা: জয়দেব।
-
বিষয়: রাধা-কৃষ্ণের প্রেমলীলা।
-
ভাষা: সংস্কৃত।
-
গুরুত্ব: আদি বৈষ্ণব পদাবলির নিদর্শন।
-
এই গ্রন্থসমূহ বাংলা ও সংস্কৃত সাহিত্য ও ধর্মীয় চেতনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত।

0
Updated: 3 days ago
'পাগলা দাশু' সুকুমার রায় রচিত কোন ধরনের সাহিত্য রচনা?
Created: 3 days ago
A
নাটক
B
গল্প সংকলন
C
ছড়া
D
কাব্যগ্রন্থ
‘পাগলা দাশু’ গল্প সংকলন
-
রচয়িতা: সুকুমার রায়
-
প্রকাশ: ১৯৪০
-
প্রধান চরিত্র: পাগলা দাশু, একজন স্কুলপড়ুয়া যিনি তার পাগলামি ও সূক্ষ্ম হাস্যকর ব্যঙ্গাত্মক কীর্তিগুলোর জন্য পরিচিত।
-
লক্ষ্য পাঠক: শিশু ও কিশোর
-
আন্তর্জাতিক প্রকাশ: ২০১২ সালে সংকলনটি ইংরেজিতে অনূদিত হয় “পাগলা দাশু অ্যান্ড কো-এর ক্রেজি টেলস” নামে।
গল্প সংকলনের কিছু উল্লেখযোগ্য গল্প:
-
পাগলা দাশু
-
দাশুর খ্যাপামি
-
চীনে পল্কা
-
দাশুর কীর্তি
-
চালিয়াত
-
সবজান্তা
-
ভোলানাথের সর্দারি
-
আশ্চর্য কবিতা
-
নন্দলালের মন্দকপাল
-
নতুন প-িত
-
সবজাত্মা দাদা
-
যতীনের জুতো
-
ডিটেক্টিভ্
-
ব্যোমকেশের মান্জা
-
জগ্যিদাসের মামা
-
আজব সাজা
-
কালাচাঁদের ছবি
-
গোপালের পড়া
-
পেটুক
-
ভুল গল্প
সুকুমার রায়ের অন্যান্য সাহিত্যকর্ম:
-
কবিতার বই: আবোল তাবোল, খাই খাই
-
গল্প: হযবরল
-
গল্প সংকলন: পাগলা দাশু
-
নাটক: চলচ্চিত্তচঞ্চরী
এই সংকলনটি শিশু সাহিত্যে সুকুমার রায়ের ব্যঙ্গাত্মক ও সৃষ্টিশীল অবদানের একটি দৃষ্টান্ত।

0
Updated: 3 days ago