পুঁথি সাহিত্যের ভাষা কীরূপ?
A
ফারসি
B
বাংলা
C
আরবি
D
মিশ্র
উত্তরের বিবরণ
সঠিক উত্তর হলো ঘ) মিশ্র। ‘পুথি সাহিত্য’ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য নিচে দেওয়া হলো।
-
পরিচয়:
• ‘পুথি’ শব্দটি পুস্তিকা থেকে উদ্ভূত; সাধারণ অর্থে যেকোনো গ্রন্থ বোঝায়, তবে পুথি সাহিত্য বিশেষ অর্থে ব্যবহৃত হয়।
• এটি আরবি, উর্দু, ফারসি ও হিন্দি ভাষার মিশ্রণে রচিত একটি বিশেষ বাংলা সাহিত্য।
• রচয়িতা ও পাঠক উভয়ই মুসলমান সম্প্রদায়।
• ব্যাপ্তিকাল: আঠারো থেকে উনিশ শতক। -
বৈশিষ্ট্য ও প্রচার:
• রেভারেন্ড জেমস লং এ ভাষাকে বলেছেন ‘মুসলমানী বাংলা’, এবং এ ভাষায় রচিত সাহিত্যকে বলেছেন ‘মুসলমানী বাংলা সাহিত্য’।
• কলকাতার বটতলার ছাপাখানা থেকে প্রচারিত হওয়ায় এগুলোকে ‘বটতলার পুথি’ নামেও পরিচিত করা হয়।
• গবেষকরা ভাষা-বৈশিষ্ট্য ও বাক্যরীতির দিক থেকে প্রথমে এগুলিকে দোভাষী পুথি এবং পরবর্তীতে মিশ্র ভাষারীতির কাব্য হিসেবে অভিহিত করেছেন। -
ড. আনিসুজ্জামান মন্তব্য:
• তাঁর গ্রন্থ ‘মুসলিম মানস ও বাংলা সাহিত্য’-এ উল্লেখ আছে:
"কলকাতার সস্তা ছাপাখানা থেকে মুদ্রিত হয়ে এইধারার কাব্য দেশময় প্রচারিত হয়েছিল; তাই একে বটতলার পুঁথি নামেও চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।"

0
Updated: 23 hours ago
উল্লিখিত কোন রচনাটি পুঁথি সাহিত্যের অন্তর্গত নয়?
Created: 2 weeks ago
A
ময়মনসিংহ গীতিকা
B
ইউসুফ জুলেখা
C
পদ্মাবতী
D
লাইলী মজনু
পুঁথি সাহিত্য
-
পুঁথি সাহিত্য হলো বাংলা সাহিত্যের এক বিশেষ ধারা, যা আরবি, ফারসি, উর্দু ও হিন্দি ভাষার মিশ্রণে রচিত। এ ধারা মূলত আঠারো থেকে উনিশ শতক পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।
-
পাঠক ও রচয়িতা: এর রচয়িতা এবং পাঠক – উভয়েই ছিলেন মুসলমান সম্প্রদায়ভুক্ত।
-
প্রধান কবি: এ ধারার আদি ও শ্রেষ্ঠ কবি হিসেবে পরিচিত ফকির গরীবুল্লাহ।
বিষয়ভিত্তিক ভাগ
১. প্রণয়োপাখ্যানমূলক কাব্য:
ইউসুফ-জোলেখা, সয়ফুলমুলুক-বদিউজ্জামান, লাইলী-মজনু, পদ্মাবতী, গুলে-বাকওয়ালী ইত্যাদি।
২. যুদ্ধকাব্য:
জঙ্গনামা, আমীর হামজা, সোনাভান, কারবালার যুদ্ধ ইত্যাদি।
৩. পীর পাঁচালি:
গাজী কালু চম্পাবতী, সত্যপীরের পুঁথি।
৪. ধর্ম ও ইতিহাসভিত্তিক কাব্য:
ইসলাম ধর্ম, নবী-আউলিয়ার জীবনী এবং বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান সম্পর্কিত কাব্য।
মৈমনসিংহ গীতিকা
-
সংজ্ঞা: মৈমনসিংহ গীতিকা হলো ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রাচীন পালাগানের সংকলন।
-
সংগ্রহ ও প্রকাশনা: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. দীনেশচন্দ্র সেন স্থানীয় সংগ্রাহকদের সহযোগিতায় বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলা থেকে এই পালাগান সংগ্রহ করেন। পরে ১৯২৩ সালে তিনি এটি “মৈমনসিংহ গীতিকা” নামে গ্রন্থাকারে প্রকাশ করেন।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস (মাহবুবুল হক) এবং বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 weeks ago