"কাআ তরুবর পাঞ্চ বি ডাল।" - চর্যাপদের এই পঙ্ক্তিটিতে “পাঞ্চ বি ডাল” দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
A
পঞ্চতত্ত্ব
B
পঞ্চ প্রাণ
C
পঞ্চশর
D
পঞ্চ ইন্দ্রিয়
উত্তরের বিবরণ
চর্যাপদের প্রথম পদ —
''কাআ তরুবর পাঞ্চ বি ডালচঞ্চল চীএ পইঠা কাল।'' রচয়িতা লুইপা। আধুনিক বাংলায় এর রূপান্তর:
''কায়া তরুর মত, পাঁচটি তার ডালচঞ্চল চিত্তে কাল প্রবেশ করেছে।।''
-
অন্তর্নিহিত ভাব:
• মানুষকে একটি গাছের সাথে তুলনা করা হয়েছে, যার পাঁচটি শাখা হল পঞ্চ ইন্দ্রিয় (চোখ, কান, নাক, জিহ্বা, ত্বক)।
• এই পাঁচ ইন্দ্রিয় দ্বারা মানুষ দৈনন্দিন বস্তুজগতের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখে।
• চর্যাপদের গূঢ় ভাষায়:-
“তরু” = দেহ
-
“ডাল/শাখা” = ইন্দ্রিয়
-
“পাঞ্চ বি ডাল” = দেহের পাঁচটি ইন্দ্রিয়
-
-
লুইপা সম্পর্কিত তথ্য:
• প্রবীণ বৌদ্ধ সিদ্ধাচার্য ও চর্যাপদের কবি।
• মুহম্মদ শহীদুল্লাহ-এর অনুমান: ৭৩০–৮১০ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে জীবিত ছিলেন।
• চর্যাপদে দুটি পদ লিখেছেন (১ ও ২৯ নং পদ)।
0
Updated: 1 month ago
বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন চর্যাপদ আবিষ্কৃত হয় কত সালে?
Created: 3 months ago
A
২০০৭
B
১৯০৭
C
১৯০৯
D
১৯১৬
চর্যাপদ
-
চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন যুগের একমাত্র সাহিত্যিক নিদর্শন। এটি আরও কিছু নামে পরিচিত, যেমন: চর্যাচর্যবিনিশ্চয়, চর্যাগীতি বা চর্যাগীতিকোষ।
-
বিখ্যাত পণ্ডিত ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজদরবারের গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন।
-
১৯১৬ সালে এটি কলকাতার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে আধুনিক বর্ণমালায় প্রকাশিত হয়।
চর্যাপদের সংখ্যা ও অবস্থা
-
মোট পদ: চর্যাপদে মোট ৫০টি পদ রয়েছে। তবে ভাষাতত্ত্ববিদ সুকুমার সেন মনে করেন, এই সংখ্যা ৫১টি।
-
উদ্ধারকৃত পদ: এখন পর্যন্ত মোট ৪৬টি পূর্ণ পদ ও একটি খণ্ডিত পদ, অর্থাৎ মোট সাড়ে ৪৬টি পদ পাওয়া গেছে।
-
অপূর্ণ/অনুপস্থিত পদ:
-
২৩ নম্বর পদ (রচয়িতা: ভুসুকুপা) আংশিক পাওয়া গেছে – এর ৬টি চরণ আছে, বাকি ৪টি পাওয়া যায়নি।
-
২৪ নম্বর পদ (কাহ্নপা), ২৫ নম্বর পদ (তন্ত্রীপা) এবং ৪৮ নম্বর পদ (কুক্কুরীপা) একেবারেই পাওয়া যায়নি।
-
অনুবাদ ও ব্যাখ্যা
-
তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ: চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র।
-
আবিষ্কার: ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী তিব্বতি অনুবাদের পাণ্ডুলিপি আবিষ্কার করেন।
-
সংস্কৃত ভাষায় ব্যাখ্যা: মুনিদত্ত চর্যাপদের ব্যাখ্যা করেছেন সংস্কৃতে, তবে তিনি ১১ নম্বর পদের ব্যাখ্যা করেননি।
তথ্যসূত্র:বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর
0
Updated: 3 months ago
চর্যাপদের টীকাকার মুনিদত্ত কোন পদের ব্যাখ্যা করেননি?
Created: 1 month ago
A
৩৩নং পদের
B
১১নং পদের
C
২২নং পদের
D
২৩নং পদের
চর্যাপদ
-
পরিচিতি: বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনযুগের একমাত্র নিদর্শন, যা চর্যাচর্যবিনিশ্চয়, চর্যাগীতিকোষ, চর্যাগীতি বা চর্যাপদ নামে পরিচিত।
-
আবিষ্কার ও প্রকাশ:
-
১৯০৭ সালে ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজ দরবার গ্রন্থাগার থেকে এটি আবিষ্কার করেন।
-
১৯১৬ সালে কলকাতার বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ থেকে চর্যাপদ আধুনিক লিপিতে প্রকাশিত হয়।
-
-
পদসংখ্যা:
-
মোট চর্যাপদ: ৫০টি (কিছু মত অনুযায়ী সুকুমার সেন ৫১টি মনে করেন)
-
উদ্ধারকৃত পদ: ৪৬.৫টি
-
বিলুপ্ত/অনুদ্ধারকৃত পদ: ৩.৫টি
-
উদাহরণ:
-
২৩নং পদ (ভুসুকুপা) খণ্ডিত অবস্থায় পাওয়া গেছে (৬টি পদ আছে, ৪টি হারিয়ে গেছে)
-
২৪নং পদ (কাহ্নপা), ২৫নং পদ (তন্ত্রীপা), ৪৮নং পদ (কুক্কুরীপা) অনুদ্ধারকৃত
-
-
-
-
অনুবাদ ও ব্যাখ্যা:
-
তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেছেন কীর্তিচন্দ্র।
-
১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যাপদের তিব্বতি অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
-
সংস্কৃত ভাষায় ব্যাখ্যা করেছেন মুনিদত্ত; তবে তিনি ১১নং পদের ব্যাখ্যা করেননি।
-
0
Updated: 1 month ago
চর্যাপদ কত সালে আবিষ্কৃত হয়?
Created: 2 months ago
A
১৯০৭ সালে
B
১৯০৯ সালে
C
১৯১৩ সালে
D
১৯১৬ সালে
চর্যাপদ
-
আবিষ্কার: ১৯০৭ সালে ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজ দরবার গ্রন্থাগার থেকে আবিষ্কার করেন।
-
সংজ্ঞা: বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যগ্রন্থ / কবিতা সংকলন / গানের সংকলন।
-
সাহিত্যিক গুরুত্ব: বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
-
রচয়িতা: চর্যাগুলো রচনা করেছেন বৌদ্ধ সহজিয়াগণ।
-
বিষয়বস্তু: চর্যাপদে বৌদ্ধধর্মের কথা উল্লেখিত।
-
অনুবাদ: চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র।
- ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যাপদের তিব্বতী অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 2 months ago