'রামগরুড়ের ছানা' কথাটির অর্থ-
A
কাল্পনিক জন্তু
B
গোমড়ামুখো লোক
C
মুরগি
D
পুরাণোক্ত পাখি
উত্তরের বিবরণ
• ‘রামগরুড়ের ছানা’ বাগ্ধারার অর্থ - গোমড়ামুখো লোক।
এরূপ গুরুত্বপূর্ণ কিছু বাগ্ধারা হলো:
• ‘ধামাধরা’ বাগ্ধারার অর্থ - তোষামোদকারী।
• ‘যমের দোসর’ বাগ্ধারার অর্থ - নিষ্ঠুর ব্যক্তি।
• ‘ভাঁড়ে মা ভবানী’ বাগ্ধারার অর্থ - একেবারে দরিদ্র বা হত দরিদ্র অবস্থা।
• 'বুদ্ধির ঢেঁকি' বাগ্ধারার অর্থ - নির্বোধ লোক।
• ‘ফেকলু পার্টি’ বাগ্ধারার অর্থ - কদরহীন লোক।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।
0
Updated: 3 months ago
"কেঁচে গন্ডুস" বাগধারাটির সঠিক অর্থ কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
বিলম্বে আরম্ভ
B
কাটাকাটি করা
C
গন্ডগোল পাকানো
D
পুনরায় আরম্ভ
‘কেঁচে গণ্ডুস’ বাগধারার অর্থ হলো ‘পুনরায় আরম্ভ’, অর্থাৎ কোনো কাজ বন্ধ হয়ে গেলে সেটি আবার নতুন করে শুরু করা। এটি এমন অবস্থায় ব্যবহৃত হয়, যখন কেউ আগের মতোই শুরু থেকে চেষ্টা শুরু করে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাগধারা ও তাদের অর্থ:
-
একাদশে বৃহস্পতি: সৌভাগ্যের বিষয় বা শুভ সময়ের আগমন বোঝায়।
-
ইঁদুর কপালে: দুর্ভাগ্য বা অশুভ সময়ের ইঙ্গিত দেয়।
-
কেউকাটা: তুচ্ছ, নগণ্য বা গুরুত্বহীন ব্যক্তি বোঝায়।
-
গাছপাথর: হিসাব-নিকাশ বা আয়-ব্যয়ের খাতাপত্র বোঝায়।
-
অদৃষ্টের পরিহাস: নিয়তির পরিহাসে হতভাগ্য বা দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থা প্রকাশ করে।
0
Updated: 3 weeks ago
'অনশন' এর বিপরীত শব্দ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
অপনশন
B
অশন
C
নিশন
D
অধিনশন
বাংলা ভাষায় অনেক শব্দের অর্থ ও তাদের বিপরীত শব্দ জানলে শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয় এবং সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত হয়। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ তুলে ধরা হলো।
-
অনশন : অনাহার
-
অশন : ভোজন, আহার
-
অনশন শব্দের বিপরীত শব্দ হলো অশন
-
অনুমেয় ↔ অননুমেয়
-
নিয়ত ↔ বিরত
-
প্রবিষ্ট ↔ প্রস্থিত
-
দরদি ↔ নির্দয়
-
উদ্ধত ↔ বিনীত
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
'বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এলো বান'- কোন ছন্দে রচিত?
Created: 6 days ago
A
অক্ষরবৃত্ত
B
মাত্রাবৃত্ত
C
স্বরবৃত্ত
D
অমিত্রাক্ষর
"বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এলো বান"- এই পদটি স্বরবৃত্ত ছন্দে রচিত। স্বরবৃত্ত ছন্দের বৈশিষ্ট্য হলো, এর প্রতিটি পদে স্বরবর্ণের পরিমাণ (মাত্রা) সুষম থাকে, এবং প্রতিটি পদে অন্ত্যধ্বনি বা শেষ শব্দের শেষ অংশে সাধারণত স্বরবর্ণের ব্যবহার হয়। এই ছন্দের ক্ষেত্রে, প্রত্যেকটি অক্ষরের মধ্যে সহজ, মসৃণ ও ধারাবাহিক গতি থাকে।
এখানে "বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এলো বান" পদটি এর জন্যই উপযুক্ত উদাহরণ, কারণ এতে প্রতিটি শব্দের মধ্যে যে স্বরবর্ণের ব্যবহার হয়, তা ধারাবাহিক ও মসৃণ। এর ফলে, শব্দের মধ্যে সুর এবং ছন্দের একটি সুন্দর প্রবাহ তৈরি হয়, যা স্বরবৃত্ত ছন্দের মূল বৈশিষ্ট্য।
এছাড়া, বাকি ছন্দগুলো (অক্ষরবৃত্ত, মাত্রাবৃত্ত, অমিত্রাক্ষর) যেমন:
-
অক্ষরবৃত্ত: যেখানে প্রতিটি পদে নির্দিষ্ট সংখ্যা থাকে নির্ধারিত অক্ষরের।
-
মাত্রাবৃত্ত: যেখানে মাত্রার সংখ্যা অভিন্ন থাকে।
-
অমিত্রাক্ষর: যেখানে চরণে নিয়মিত চরণান্তর থাকে, কিন্তু অন্ত্যমিল নিয়মিত হয় না।
এই সব বৈশিষ্ট্যগুলি স্বরবৃত্ত ছন্দের সঙ্গে মেলে না, এবং তাই "বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এলো বান" এই পদটি স্বরবৃত্ত ছন্দে রচিত।
0
Updated: 6 days ago