ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী কর্তৃক চর্যাপদ আবিষ্কৃত হয় কত সালে?
A
১৯১৬ সালে
B
১৯০৭ সালে
C
১৯০৯ সালে
D
১৯০১ সালে
উত্তরের বিবরণ
সঠিক উত্তর হলো খ) ১৯০৭ সালে। চর্যাপদকে বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন হিসেবে গণ্য করা হয়। এর আবিষ্কার ও পরিচয় সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিচে দেওয়া হলো।
-
আবিষ্কার:
• ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী ১৯০৭ সালে নেপালের রাজ দরবার গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন।
• ১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগ্চী চর্যাপদের তিব্বতি অনুবাদ আবিষ্কার করেন। -
চর্যাপদের পরিচয়:
• চর্যাপদ হলো বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যগ্রন্থ বা কবিতা/গানের সংকলন।
• এটি বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
• চর্যাগুলো রচনা করেছিলেন বৌদ্ধ সহজিয়াগণ।
• চর্যাপদে বৌদ্ধ ধর্মের শিক্ষা ও দার্শনিক চিন্তাধারা প্রকাশ পেয়েছে।
• চর্যাপদের ভাষায় বাংলা, অর্ধমাগধী, প্রাকৃত, সংস্কৃত ও দেশজ শব্দের সংমিশ্রণ রয়েছে। -
অনুবাদ:
• চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন কীর্তিচন্দ্র।
• এই অনুবাদের মাধ্যমে চর্যাপদ সম্পর্কে অতিরিক্ত তথ্য জানা সম্ভব হয়।

0
Updated: 23 hours ago
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ সম্পাদিত চর্যাপদ বিষয়ক গ্রন্থের নাম কী?
Created: 3 weeks ago
A
Buddhist Mystic Songs
B
চর্যাগীতিকা
C
চর্যাগীতিকোষ
D
হাজার বছরের পুরাণ বাংলা ভাষার বৌদ্ধগান ও দোহা
চর্যাপদ
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর পর্যবেক্ষণ:
-
চর্যাপদ নিয়ে তার রচিত গ্রন্থের নাম “Buddhist Mystic Songs”।
-
তার মতে, চর্যাপদ ৬৫০-১২০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে রচিত।
-
এই গ্রন্থে চর্যাপদের ২৩ জন কবির নাম পাওয়া যায়।
-
এছাড়া চর্যাপদের ধর্মতত্ত্ব এবং বৌদ্ধধর্মের প্রভাবও আলোচিত হয়েছে।
অন্য গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ ও গবেষকরা:
-
“চর্যাগীতিকা” গ্রন্থের রচয়িতা: মুহম্মদ আবদুল হাই।
-
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী রচিত গ্রন্থ: “হাজার বছরের পুরান বাঙ্গালা ভাষায় বৌদ্ধগান ও দোহা”।
চর্যাপদ
-
চর্যাপদ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম গ্রন্থ এবং বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
-
সুকুমার সেনের “বাঙ্গালা সাহিত্যের ইতিহাস” (প্রথম খন্ড) অনুযায়ী চর্যাপদের ২৪ জন পদকর্তার নাম পাওয়া যায়।
-
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর Buddhist Mystic Songs গ্রন্থে ২৩ জন কবির নাম উল্লেখ আছে।
-
চর্যাপদের প্রথম পদটির রচয়িতা হলেন লুইপা।
-
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর মতে চর্যাপদের মোট পদ সংখ্যা ৫০, তবে সুকুমার সেনের মতে ৫১টি।
-
চর্যাপদের পদগুলো বৌদ্ধ সহজিয়াগণ রচনা করেছেন।
-
বিষয়বস্তু প্রধানত বৌদ্ধধর্ম সংক্রান্ত।
-
প্রধান কবিরা: সরহপা, শবরপা, লুইপা, ডোম্বীপা, ভুসুকুপা, কাহ্নপা, কুক্কুরীপা, মীনপা, আর্যদেব, ঢেণ্ঢনপা ইত্যাদি।
-
কাহ্নপা সর্বোচ্চ ১৩টি পদ রচনা করেছেন।
-
ভুসুকুপা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ, ৮টি পদ রচনা করেছেন।
-
চর্যাপদে রচিত পদগুলো সন্ধ্যা বা সান্ধ্যাভাষায় লেখা।
-
২৩ নং পদটি খণ্ডিত আকারে পাওয়া যায়।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 3 weeks ago
কে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন?
Created: 1 week ago
A
ড.মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
B
প্রবোধচন্দ্র বাগচী
C
ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী
D
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
চর্যাপদ বাংলা ভাষার প্রথম কাব্যগ্রন্থ বা গানের সংকলন হিসেবে পরিচিত। এটি বাংলা সাহিত্যের আদি যুগের একমাত্র লিখিত নিদর্শন।
-
১৯০৭ সালে ড. হরপ্রসাদ শাস্ত্রী নেপালের রাজ দরবার গ্রন্থাগার থেকে চর্যাপদ আবিষ্কার করেন।
-
চর্যাপদের চর্যাগুলো রচনা করেন বৌদ্ধ সহজিয়াগণ।
-
চর্যাপদে বৌদ্ধধর্মের বিষয়বস্তু বর্ণিত আছে।
-
চর্যাপদ তিব্বতি ভাষায় অনুবাদ করেন কীর্তিচন্দ্র।
-
১৯৩৮ সালে প্রবোধচন্দ্র বাগচী চর্যাপদের তিব্বতী ভাষার অনুবাদ আবিষ্কার করেন।
উৎস:

0
Updated: 1 week ago
বাংলা সাহিত্যের জনক হিসেবে কার নাম চির স্মরণীয়?
Created: 1 month ago
A
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
B
রাজা রামমোহন রায়
C
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
D
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
বাংলা সাহিত্যের জনক বলতে কেউ নেই। প্রশ্নে ভুল আছে।
[প্রশ্নে ভুল থাকায় উত্তর গ্রহণ করা হয়নি।]
তবে বাংলা সাহিত্যের জনক হিসেবে মাইকেল মধুসূদন দত্তের নাম চির স্মরণীয়। ✅
তাঁকে বাংলা সাহিত্যের নবজাগরণের পথিকৃৎ ও আধুনিক কাব্যের জনক বলা হয়।
(রাজা রামমোহন রায় – সমাজ সংস্কারক, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর – শিক্ষাবিদ ও সমাজ সংস্কারক, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় – উপন্যাস সম্রাট)।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 1 month ago