A
ভাঁড়ুদত্ত
B
চাঁদ সওদাগর
C
ঈশ্বরী পাটনী
D
নলকুবের
উত্তরের বিবরণ
• অন্নদামঙ্গল কাব্য:
- অন্নদামঙ্গল কাব্যের রচয়িতা ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর।
- তাকে মধ্যযুগের প্রথম নাগরিক কবি বলা হয়।
- এই কাব্যের প্রধান চরিত্র: মানসিংহ, ভবানন্দ, বিদ্যাসুন্দর, মালিনী, ঈশ্বরী পাটনী ইত্যাদি।
- অন্নদামঙ্গল কাব্য তিনখণ্ডে বিভক্ত: শিবনারায়ণ, কালিকামঙ্গল ও মানসিংহ-ভবানন্দ খণ্ড।
- অন্নদামঙ্গল কাব্যের চরিত্র ঈশ্বরী পাটনীর উক্তি:
'আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে'।
• অন্নদামঙ্গল কাব্যের কিছু বিখ্যাত পঙক্তি হলো-
- 'মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন।’
- 'নগর পুড়িলে দেবালয় কি এড়ায়?'
- 'আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে।’
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 2 weeks ago
কোনটি শামসুর রাহমানের রচনা?
Created: 4 weeks ago
A
নিরন্তর ঘণ্টাধ্বনি
B
নির্জন স্বাক্ষর
C
নিরালোকে দিব্যরথ
D
নির্বাণ
বাংলা কবিতার আধুনিক ধারায় যাঁরা গভীর প্রভাব ফেলেছেন, শামসুর রাহমান তাঁদের মধ্যে অন্যতম। ১৯২৯ সালের ২৩ অক্টোবর পুরান ঢাকার ৪৬ নম্বর মাহুতটুলীতে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
তাঁর পৈত্রিক নিবাস ছিল রায়পুর থানার পাড়াতলী গ্রামে। বিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে বাংলা কাব্যসাহিত্যে তিনি হয়ে ওঠেন এক অনন্য নাম।
কবি শামসুর রাহমানের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ:
-
নিরালোকে দিব্যরথ (প্রকাশকাল: ১৯৬৮)
-
বাংলাদেশ স্বপ্ন দ্যাখে
-
প্রথম গান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে
-
রৌদ্র করোটিতে
-
বিধ্বস্ত নীলিমা
-
নিজ বাসভূমে
-
বন্দী শিবির থেকে
-
ফিরিয়ে নাও ঘাতক কাঁটা
-
আমি অনাহারী
-
প্রতিদিন ঘরহীন ঘরে
-
উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশ
-
বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়
-
হরিণের হাড়
-
তুমি নিঃশ্বাস তুমি হৃদস্পন্দন ইত্যাদি
📖 শামসুর রাহমানের উপন্যাসসমূহ:
-
অক্টোপাস
-
নিয়ত মন্তাজ
-
এলো সে অবেলায়
অন্যান্য সাহিত্যিক ও তাঁদের রচনা:
-
সেলিনা হোসেন – বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক; তাঁর রচিত ‘নিরন্তর ঘণ্টাধ্বনি’ একটি প্রভাবশালী উপন্যাস।
-
জীবনানন্দ দাশ – আধুনিক বাংলা কবিতার এক নিভৃতচারী কবি; তাঁর লেখা ‘নির্জন স্বাক্ষর’ একটি চমৎকার কবিতা যা কাব্যিক নিঃসঙ্গতার প্রতিচ্ছবি বহন করে।
তথ্যসূত্র:
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 4 weeks ago
জীবনানন্দ দাশের রচিত কাব্যগ্রন্থ-
Created: 2 months ago
A
ধূসর পাণ্ডুলিপি
B
নাম রেখেছি কোমল গান্ধার
C
একক সন্ধ্যায় বসন্ত
D
অন্ধকারে একা
ধূসর পাণ্ডুলিপি
-
‘ধূসর পাণ্ডুলিপি’ (১৯৩৬) জীবনানন্দ দাশের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ।
-
এই গ্রন্থের কবিতাগুলিতে জীবনানন্দীয় কাব্যের নিজস্ব বিষয়বস্তু, ছন্দের ভাঙন, ভাষার নির্মাণশৈলী এবং প্রতিমার স্বাতন্ত্র্যপূর্ণ রূপ স্পষ্টভাবে প্রকাশিত।
-
এই কাব্যগ্রন্থের মাধ্যমেই বাংলা আধুনিক কবিতায় জীবনানন্দ দাশ তাঁর স্বতন্ত্র অবস্থান নিশ্চিত করেন।
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই গ্রন্থ পাঠ করে একে ‘চিত্ররূপময় কবিতা’ বলে আখ্যা দেন।
● অন্যান্য কব্যগ্রন্থ:
-
‘নাম রেখেছি কোমল গান্ধার’ – রচয়িতা: বিষ্ণু দে
-
‘একক সন্ধ্যায় বসন্ত’ – রচয়িতা: সৈয়দ আলী আহসান
-
‘অন্ধকারে একা’ (১৯৬৬) – রচয়িতা: মোহাম্মদ মাহফুজ উল্লাহ
● জীবনানন্দ দাশ:
-
রূপসী বাংলার কবি, নির্জনতার কবি, তিমির হননের কবি, ধূসরতার কবি নামে পরিচিত জীবনানন্দ দাশ ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন।
-
তিনি ছিলেন একাধারে কবি ও শিক্ষাবিদ।
-
তাঁর আদি নিবাস ছিল বিক্রমপুরের গাঁওপাড়া গ্রামে।
-
পিতা সত্যানন্দ দাশ ছিলেন স্কুলশিক্ষক ও সমাজসেবক; তিনি ব্রহ্মবাদী পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন।
-
মাতা কুসুমকুমারী দাশ ছিলেন একজন খ্যাতিমান কবি।
-
জীবনানন্দ ছিলেন তিরিশের কবিতা নামে পরিচিত রবীন্দ্র-প্রতিক্রিয়াশীল কাব্যধারার অন্যতম কবি।
-
তাঁর কবিতায় পাশ্চাত্য কবিদের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়:
-
‘মৃত্যুর আগে’ কবিতার সঙ্গে আইরিশ কবি W. B. Yeats-এর ‘The Falling of the Leaves’ কবিতার মিল রয়েছে।
-
‘হায় চিল’ কবিতার সঙ্গে ইয়েটসের ‘He Reproves the Curlew’ কবিতার সাদৃশ্য রয়েছে।
-
‘বনলতা সেন’ কবিতায় এডগার এলেন পো-র ‘To Helen’ কবিতার প্রভাব রয়েছে।
-
-
তাঁর লেখা ‘রূপসী বাংলা’ কাব্যগ্রন্থ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সংগ্রামী বাঙালি জাতিকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করে।
-
‘বনলতা সেন’ কাব্যগ্রন্থটি ১৯৫৩ সালে নিখিলবঙ্গ রবীন্দ্রসাহিত্য সম্মেলনে পুরস্কৃত হয়।
-
তাঁর ‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’ গ্রন্থটি ১৯৫৪ সালে ভারতের সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার লাভ করে।
-
জীবনানন্দ দাশ ১৯৫৪ সালের ২২ অক্টোবর কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।
● জীবনানন্দ দাশের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ:
-
ঝরাপালক
-
ধূসর পাণ্ডুলিপি
-
বনলতা সেন
-
মহাপৃথিবী
-
সাতটি তারার তিমির
-
রূপসী বাংলা
-
বেলা অবেলা কালবেলা
উৎস:
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর
বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 months ago
'আমার সন্তান যেন থাকে দুধে-ভাতে' লাইনটি নিম্নোক্ত একজনের কাব্যে পাওয়া যায়-
Created: 1 month ago
A
মুকুন্দরাম চক্রবর্তী
B
ভারতচন্দ্র রায়
C
মদনমোহন তর্কালঙ্কার
D
কামিনী রায়
অন্নদামঙ্গল কাব্য ও ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে’ পঙক্তির ব্যাখ্যা
বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগে রচিত এক গুরুত্বপূর্ণ মঙ্গলকাব্য হলো অন্নদামঙ্গল, যার রচয়িতা ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর। তিনি বাংলা সাহিত্যের প্রথম নাগরিক কবি হিসেবে পরিচিত। এই কাব্যে মানবজীবনে দেবীর কৃপা, ধর্ম ও সামাজিক নীতির গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
অন্নদামঙ্গল কাব্যটি তিনটি খণ্ডে বিভক্ত:
-
শিবনারায়ণ খণ্ড
-
কালিকামঙ্গল খণ্ড
-
মানসিংহ-ভবানন্দ খণ্ড
এই কাব্যের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছেন: মানসিংহ, ভবানন্দ, বিদ্যাসুন্দর, মালিনী, ও ঈশ্বরী পাটনী।
ঈশ্বরী পাটনী ছিলেন ভবানন্দের স্ত্রী, যিনি মাতা হিসেবে সন্তানকে নিয়ে গভীর মমতাভরে একটি প্রার্থনা করেন। তাঁর মুখ দিয়ে ভারতচন্দ্র উচ্চারণ করেন এক বিখ্যাত পঙক্তি—
"আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে।"
এই সরল অথচ হৃদয়স্পর্শী বাক্যটি বাঙালি মাতৃত্বের প্রতীক হয়ে উঠেছে। এখানে একজন মা তাঁর সন্তানের জন্য প্রার্থনা করছেন যাতে সন্তান ক্ষুধার কষ্ট না পায়—দুধ আর ভাত যেন তার জীবনে অবারিত থাকে।
এই কাব্যের কয়েকটি স্মরণীয় পঙক্তি হলো:
-
“মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন।”
-
“নগর পুড়িলে দেবালয় কি এড়ায়?”
-
“আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে।”
এই পঙক্তিগুলি কেবল কাব্যিক সৌন্দর্যের নিদর্শনই নয়, বরং সমাজ, ধর্ম ও মানবিক মূল্যবোধের পরিচায়ক হিসেবেও বিবেচিত হয়।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 1 month ago