'প্রাতরাশ'-এর সন্ধি-
A
প্রাত + রাশ
B
প্রাতঃ + রাশ
C
প্রাতঃ + আশ
D
প্রাত + আশ
উত্তরের বিবরণ
• বিসর্গসন্ধির নিয়ম:
অন্তঃ, পুনঃ, প্রান্তঃ ইত্যাদির পর স্বরধ্বনি থাকলে সন্ধির ফলে বিসর্গ র হয়ে পরবর্তী স্বরধ্বনির সঙ্গে যুক্ত হয়।
যেমন:
- অন্তঃ + অঙ্গ = অন্তরঙ্গ,
- প্রাতঃ + আশ = প্রাতরাশ,
- অন্তঃ + আত্মা = অন্তরাত্মা,
- অন্তঃ + ইত = অন্তরিত,
- অন্তঃ + ইন্দ্রিয় = অন্তরিন্দ্রিয়,
- অন্তঃ + ঈক্ষ = অন্তরীক্ষ,
- অন্তঃ+ ঈপ = অন্তরীপ,
- পুনঃ + উত্থান = পুনরুত্থান,
- পুনঃ+ উক্তি = পুনরুক্তি,
- পুনঃ + অধিকার = পুনরধিকার।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)।
0
Updated: 3 months ago
যে ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময় জিভের ডগা উপরের দাঁতে লেগে বায়ুতে বাধা সৃষ্টি করে, তাকে কী বলে?
Created: 3 weeks ago
A
দন্তমূলীয়
B
দন্ত্য
C
মূর্ধন্য
D
কণ্ঠনালীয়
বাংলা ভাষার ব্যঞ্জনধ্বনিগুলো উচ্চারণের সময় জিভ, ঠোঁট ও কণ্ঠের বিভিন্ন অঙ্গের অবস্থান ও বায়ুপথে বাধা সৃষ্টির ভিন্নতার ভিত্তিতে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়। এই বিভাজন অনুযায়ী ব্যঞ্জনধ্বনিকে কণ্ঠ্য, তালব্য, মূর্ধন্য, দন্ত্য, দন্তমূলীয়, ওষ্ঠ্য ও কণ্ঠনালীয়—এই কয়েকটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়।
তথ্যসমূহ:
-
দন্ত্য ব্যঞ্জন:
-
উচ্চারণের সময় জিভের ডগা উপরের পাটির দাঁতে লেগে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করে।
-
উদাহরণ: ত, থ, দ, ধ।
-
-
ওষ্ঠ্য ব্যঞ্জন:
-
উচ্চারণের সময় ঠোঁট দুটি কাছাকাছি এসে বায়ুপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে।
-
এদের দ্বি-ওষ্ঠ্য ধ্বনিও বলা হয়।
-
উদাহরণ: প, ফ, ব, ভ, ম।
-
-
দন্তমূলীয় ব্যঞ্জন:
-
জিভের ডগা উপরের পাটির দাঁতের গোড়ার সঙ্গে লেগে উচ্চারিত হয়।
-
উদাহরণ: ন, র, ল, স।
-
-
কণ্ঠনালীয় ব্যঞ্জন:
-
ধ্বনি উচ্চারণের সময় বায়ু কণ্ঠনালি হয়ে সরাসরি মুখগহ্বর দিয়ে বের হয়।
-
উদাহরণ: হ।
-
-
মূর্ধন্য ব্যঞ্জন:
-
জিভের ডগা দন্তমূল ও তালুর মাঝখানের উঁচু অংশ (মূর্ধা)-এর সঙ্গে লেগে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করে।
-
উদাহরণ: ট, ঠ, ড, ঢ, ড়, ঢ়।
-
-
তালব্য ব্যঞ্জন:
-
উচ্চারণের সময় জিভের সামনের অংশ শক্ত তালুর কাছে উঠে গিয়ে বায়ুপথে বাধা সৃষ্টি করে।
-
উদাহরণ: চ, ছ, জ, ঝ, শ।
-
-
কণ্ঠ্য ব্যঞ্জন:
-
উচ্চারণের সময় জিভের পিছনের অংশ উঁচু হয়ে নরম তালুর কাছে গিয়ে বাধা সৃষ্টি করে।
-
উদাহরণ: ক, খ, গ, ঘ, ঙ।
-
অতিরিক্ত তথ্য:
এই শ্রেণিবিন্যাসকে ধ্বনিবিজ্ঞানে ‘উচ্চারণস্থানভিত্তিক ব্যঞ্জনবিভাগ’ বলা হয়। এটি বোঝায় কোন অঙ্গের মাধ্যমে এবং কোথায় বায়ুপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি হয়ে ধ্বনি উৎপন্ন হয়।
0
Updated: 3 weeks ago
'অসারের তর্জনগর্জন' অর্থে কোন প্রবাদটি ব্যবহৃত হয়?
Created: 1 month ago
A
যত গর্জে তত বর্ষে না
B
খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি
C
খালি কলসির বাজনা বেশি'
D
গাইতে গাইতে গায়েন, বাজাতে বাজাতে বায়েন
প্রবাদ-প্রবচন সাধারণত জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে গড়ে ওঠে এবং এতে শিক্ষামূলক অর্থ নিহিত থাকে। প্রতিটি প্রবাদ একটি বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। নিচে প্রদত্ত প্রবাদগুলোর অর্থ তুলে ধরা হলো।
-
'খালি কলসির বাজনা বেশি' অর্থ হলো অসারের তর্জনগর্জন।
-
'যত গর্জে তত বর্ষে না' অর্থ হলো সামর্থ্যের চেয়ে বেশি কাজ সম্পন্ন হয় না।
-
'খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি' অর্থ হলো আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশি হওয়া।
-
'গাইতে গাইতে গায়েন, বাজাতে বাজাতে বায়েন' অর্থ হলো অধ্যবসায়ের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জিত হয়।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধির দৃষ্টান্ত কোনটি?
Created: 1 month ago
A
গায়ক
B
গবাদি
C
গবেষণা
D
গোষ্পদ
নিপাতনে সিদ্ধ ব্যঞ্জনসন্ধি হলো সেইসব সন্ধি যেগুলো কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ না করেই গঠিত হয়।
কিছু উদাহরণ:
-
আ + চর্য = আশ্চর্য
-
গো + পদ = গোষ্পদ
-
আ + পদ = আস্পদ
-
পর + পর = পরস্পর
-
ষট্ + দশ = ষোড়শ
-
এক + দশ = একাদশ
-
হরি + চন্দ্র = হরিশ্চন্দ্র
-
পতৎ + অঞ্জলি = পতঞ্জলি
অন্যদিকে, কিছু ব্যঞ্জনসংযোগের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নিয়ম প্রয়োগ হয়:
-
এ, ঐ, ও, ঔ-কারের পরে এ বা ঐ স্থানে যথাক্রমে অয়, আয়, এবং ও বা ঔ স্থানে যথাক্রমে অব্, আব্ হয়ে থাকে।
উদাহরণ: -
গৈ + অক = গায়ক
-
গো + আদি = গবাদি
-
গো + এষণা = গবেষণা
-
পো + ইত্র = পবিত্র
0
Updated: 1 month ago