A
বিষবৃক্ষ-চতুরঙ্গ-চরিত্রহীন
B
কৃষ্ণকান্তের উইল-যোগাযোগ-পথের দাবি
C
দুর্গেশনন্দিনী-চোখের বালি-গৃহদাহ
D
কৃষ্ণকান্তের উইল-চোখের বালি-চরিত্রহীন
উত্তরের বিবরণ
• কৃষ্ণকান্তের উইল:
- কৃষ্ণকান্তের উইল বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত একটি বাংলা উপন্যাস।
- উপন্যাসটি ১৮৭৮ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়।
- তিনটি চরিত্রে ত্রিভুজ প্রেমের কাহিনি বর্নিত হয়েছে কৃষ্ণকান্তের উইল উপন্যাসে।
উল্লেখযোগ্য চরিত্র:
- রোহিনী,
- ভ্রমর এবং
- গোবিন্দলাল।
---------------------------------
• 'চোখের বালি' উপন্যাস:
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ''চোখের বালি'' বাংলা সাহিত্যের প্রথম মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস।
- তিনি এই উপন্যাস রচনার মাধ্যমে বাংলা উপন্যাসকে নতুন খাতে প্রবাহিত করেন।
- এই উপন্যাসেই লেখক প্রথম সমসাময়িক সমাজের পাত্রপাত্রী ব্যবহার করেন।
- রবীন্দ্রনাথ এই উপন্যাসেই প্রথম কাহিনির ভার পরিহার করে ব্যক্তিত্ত্বের ফলস্বরূপ নানা সংকটকে উপন্যাসের বিষয় হিসাবে ব্যবহার করেন।
- উপন্যাসটি ১৯০৩ সালে প্রকাশিত হয়।
- বিনোদিনী ছিলেন বিধবা এবং তার আশা-আকাঙ্খা, প্রেম, দুঃখ ইত্যাদি এই উপন্যাসের কাহিনিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
- উপন্যাসে আশালতা ছিলেন মহেন্দ্র’র স্ত্রী ও পতিব্রতা। কিন্তু মহেন্দ্র তার স্ত্রীর ভালোবাসা উপেক্ষা করে এবং বিধবা বিনোদিনীর প্রতি আকর্ষণ অনুভব করে।
প্রধান চরিত্রগুলো হলো:
- বিনোদিনী,
- মহেন্দ্র,
- আশালতা,
- বিহারী,
- রাজলক্ষী প্রমুখ।
--------------------------
• 'চরিত্রহীন' উপন্যাস:
- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত 'চরিত্রহীন' উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯১৭ সালে।
- প্রথা বহির্ভূত প্রেম ও নারীপুরুষের সম্পর্ক নিয়ে এটি রচিত।
- উপন্যাসের নামকরণ তাই চরিত্রহীন।
- গল্পটিতে চারটি নারী চরিত্র রয়েছে।
তার মধ্যে দুটি প্রধান চরিত্র:
- সাবিত্রী ও
- কিরণময়ী।
উৎস: বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম; ‘কৃষ্ণকান্তের উইল’ উপন্যাস এবং 'চরিত্রহীন' উপন্যাস।

0
Updated: 2 weeks ago
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যের বড়াই কি ধরনের চরিত্র?
Created: 1 week ago
A
শ্রী রাধার ননদিনী
B
শ্রী রাধার শাশুড়ি
C
রাধাকৃষ্ণের প্রেমের দূতী
D
জনৈক গোপবালা
‘বড়ায়ি’ ছিলেন রাধাকৃষ্ণ প্রেমপর্বের একজন গুরুত্বপূর্ণ দূতী চরিত্র।
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য
বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের প্রাচীনতম কাব্য হিসেবে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন বিশেষভাবে স্বীকৃত।
১৯০৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার কাকিল্যা গ্রামে শ্রী দেবেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির গোয়ালঘরে পুথিটি আবিষ্কার করেন বিশিষ্ট পণ্ডিত বসন্তরঞ্জন রায় বিদ্বদ্বল্লভ।
পুথিটির প্রারম্ভে কোনো শিরোনাম অনুপস্থিত থাকায়, আবিষ্কারক বসন্তরঞ্জন রায়ই একে শ্রীকৃষ্ণকীর্তন নামে অভিহিত করেন। একে শ্রীকৃষ্ণসন্দর্ভ নামেও চিহ্নিত করা হয়।
১৯১৬ সালে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ-এর উদ্যোগে এই পুথিটি প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়, বসন্তরঞ্জন রায়ের সম্পাদনায়।
চলমান পাণ্ডুলিপির প্রথম দুটি ও শেষ পৃষ্ঠা অনুপস্থিত থাকায় কবির পরিচয় নির্দিষ্টভাবে পাওয়া না গেলেও, কবিতায় পাওয়া “চণ্ডীদাস” ও “বড়ু চণ্ডীদাস” নামের ভিত্তিতে এই কাব্যের রচয়িতা হিসেবে বড়ু চণ্ডীদাস-কে গ্রহণ করা হয়েছে।
এই কাব্যটি মূলত এক গীতি-আলেখ্য যেখানে শ্রীকৃষ্ণ ও রাধার প্রেমপর্বের নানা রূপ ও পরিণতি তুলে ধরা হয়েছে।
এখানে তিনটি মুখ্য চরিত্র—শ্রীকৃষ্ণ, রাধা ও বড়ায়ি—যারা কাব্যের কাহিনি গঠনে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে।
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন মোট ১৩টি খণ্ডে বিভক্ত, যেগুলো হলো:
-
জন্ম খণ্ড
-
তাম্বুল খণ্ড
-
দান খণ্ড
-
নৌকা খণ্ড
-
ভার খণ্ড
-
ছত্র খণ্ড
-
বৃন্দাবন খণ্ড
-
কালিয়দমন খণ্ড
-
যমুনা খণ্ড
-
হার খণ্ড
-
বাণ খণ্ড
-
বংশী খণ্ড
-
বিরহ খণ্ড
এই কাব্য বাংলা সাহিত্য এবং ধর্মীয় ভক্তিমূলক চর্চার এক অমূল্য নিদর্শন।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর

0
Updated: 1 week ago
'জয়গুন' কোন উপন্যাসের চরিত্র?
Created: 1 week ago
A
জননী
B
সূর্য-দীঘল বাড়ী
C
সারেং বৌ
D
হাজার বছর ধরে
• 'সূর্য দীঘল বাড়ী' উপন্যাস:
- আবু ইসহাক রচিত একটি সামাজিক উপন্যাস।
- ১৯৫৫সালে উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়।
- বাংলাদেশের গ্রাম জীবনের বিশ্বস্ত দলিল এই গ্রন্থ।
- বিশ্বযুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, দেশবিভাগ প্রভৃতি পরপর চারটি বড় ঐতিহাসিক ঘটনার পটভূমিতে তিনি রচনা করেন 'সূর্য দীঘল বাড়ী'।
- জয়গুন এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র।
• উপন্যাসের অন্যান্য চরিত্র:
- হাসু,
- মায়মুন,
- শাফি,
- ডা. রমেশ চক্রবর্তী,
-মোরল গদু ইত্যাদি।
---------------------
• আবু ইসহাক:
- আবু ইসহাক কথাসাহিত্যিক, অভিধান-প্রণেতা। জন্ম শরিয়তপুর জেলার শিরঙ্গল গ্রামে, ১৯২৬ সালের ১ নভেম্বর।
- কাজী নজরুল ইসলাম সম্পাদিত নবযুগ পত্রিকায় আবু ইসহাকের ‘অভিশাপ’ নামে একটি গল্প প্রকাশিত হয়।
- পরে কলিকাতার সওগাত, আজাদ প্রভৃতি পত্রিকায় তাঁর বিভিন্ন রচনা প্রকাশিত হয়।
- আবু ইসহাকের দ্বিতীয় উপন্যাস পদ্মার পলিদ্বীপ (১৯৮৬); এ উপন্যাসে পদ্মার বুকে জেগে-ওঠা চরের শ্রমজীবী মানুষের জীবন-সংগ্রামের কথা আছে।
- ২০০৩ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় তাঁর মৃত্যু হয়।
• আবু ইসহাক রচিত অন্যান্য উপন্যাস:
- পদ্মার পলিদ্বীপ,
- জাল।
• গল্পগ্রন্থ:
- হারেম,
- মহাপতঙ্গ।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলাপিডিয়া।

0
Updated: 1 week ago
চাঁদ সওদাগর বাংলা কোন কাব্যধারার চরিত্র?
Created: 2 weeks ago
A
চণ্ডীমঙ্গল
B
মনসামঙ্গল
C
ধর্মমঙ্গল
D
অন্নদামঙ্গল
মনসামঙ্গল হলো বাংলা মঙ্গলকাব্যগুলির মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন এক সৃষ্টি।
-
এই কাব্য ‘পদ্মাপুরাণ’ নামেও পরিচিত।
-
এটি মূলত সাপের দেবী মনসার স্তব, তার অলৌকিক ক্ষমতা, কাহিনি এবং উপাখ্যানে রচিত।
-
কাব্যের কেন্দ্রে রয়েছে চাঁদ সওদাগরের মনসা দেবীর বিরোধিতা ও পরে তার অলৌকিক শক্তির সামনে নতিস্বীকার—এই বশ্যতাই মূল আখ্যান হিসেবে উঠে আসে।
-
দেবতা ও মানুষের দ্বন্দ্বের মাধ্যমে এখানে সামাজিক শ্রেণীবৈষম্য ফুটে উঠেছে, আর চাঁদ ও মনসার সংঘাতে প্রতিফলিত হয়েছে আর্য-অনার্য সাংস্কৃতিক দ্বন্দ্ব।
-
মনসামঙ্গলের প্রাচীনতম কবি হিসেবে পরিচিত কানা হরিদত্ত।
-
এছাড়াও এই ধারায় উল্লেখযোগ্য রচয়িতাদের মধ্যে আছেন: বিজয়গুপ্ত, বিপ্রদাস, পিপলাই, দ্বিজ বংশীদাস, কেতকা দাস ও ক্ষেমানন্দ প্রমুখ।
কাব্যের উল্লেখযোগ্য চরিত্রসমূহ
-
চাঁদ সওদাগর – প্রধান পুরুষ চরিত্র ও মনসার বিরোধী
-
বেহুলা – লখিন্দরের স্ত্রী, সংগ্রামী নারী
-
লখিন্দর – চাঁদের পুত্র, মনসার অভিশাপে মৃত্যুবরণ করে
-
সনকা – চাঁদের পত্নী
-
মনসা – সাপের দেবী, অলৌকিক শক্তির অধিকারী
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা - ড. সৌমিত্র শেখর ও বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 weeks ago