'মলিন' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ কোনটি?
A
গৌরাঙ্গ
B
সুশ্রী
C
উজ্জ্বল
D
সরস
উত্তরের বিবরণ
'মলিন' শব্দের বিপরীতার্থক শব্দ হলো উজ্জ্বল। এর পাশাপাশি আরও কিছু শব্দ রয়েছে যেগুলোর বিপরীতার্থক রূপ নিচে দেওয়া হলো।
-
শ্যামল: গৌরাঙ্গ
-
সুশ্রী: কুশ্রী / বিশ্রী
-
সরস: নীরস
উৎস:

0
Updated: 1 day ago
নিচের কোনটি নিপাতনে সিদ্ধ ব্যঞ্জনসন্ধি?
Created: 1 week ago
A
ষোড়শ
B
তন্বী
C
নায়ক
D
পবিত্র
নিপাতনে সিদ্ধ ব্যঞ্জনসন্ধি:
কতগুলো সন্ধি কোন নিয়ম অনুসারে হয় না, সেগুলোকে নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধি বলে।
নিচে কয়েকটি নিপাতনে সিদ্ধ সন্ধির উদাহরণ হলো:
- আ + চর্য = আশ্চর্য,
- গো + পদ = গোষ্পদ,
- আ + পদ = আস্পদ,
- পর + পর = পরস্পর,
- ষট্ + দশ = ষোড়শ,
- এক + দশ = একাদশ,
- হরি + চন্দ্র = হরিশ্চন্দ্র,
- পতৎ + অঞ্জলি = পতঞ্জলি ইত্যাদি।
অন্যদিকে,
- তন্বী = তনু + ঈ
- নায়ক =নৈ+ অক,
- পবিত্র = পো + ইত্র।
- শব্দগুলো স্বরসন্ধির উদাহরণ।

0
Updated: 1 week ago
নিচের কোন শব্দে ণ-ত্ব বিধি অনুসারে 'ণ'-এর ব্যবহার হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
কল্যাণ
B
প্রবণ
C
নিক্কণ
D
বিপণি
ণ-ত্ব বিধান ও ‘ণ’ ব্যবহারের নিয়ম
বাংলা ভাষায় অনেক তৎসম বা সংস্কৃত মূলের শব্দে মূর্ধন্য ‘ণ’ এবং দন্ত্য ‘ন’ ব্যবহৃত হয়। তৎসম শব্দের বানানে কখন ‘ণ’ ব্যবহার হবে তা জানার নিয়মই মূলত ণ-ত্ব বিধান।
১. ‘ণ’ ব্যবহারের নিয়ম
-
ট-বর্গীয় ধ্বনির আগে তৎসম শব্দে সব সময় ‘ণ’ ব্যবহার করা হয়।
উদাহরণ: ঘণ্টা, কাণ্ড, লুণ্ঠন -
ঋ, র, ষ-এর পরে ‘ণ’ আসে।
উদাহরণ: ঋণ, তৃণ, বর্ণ, বর্ণনা, কারণ, মরণ, ব্যাকরণ, ভীষণ, ভাষণ, উষ্ণ -
ঋ, র, ষ-এর পরে যদি স্বরধ্বনি, ষ, য, ব, হ, ং বা ক-বর্গীয়/প-বর্গীয় ধ্বনি থাকে, তখন পরবর্তী ‘ন’ মূর্ধন্য ‘ণ’ হয়।
উদাহরণ: কৃপণ, হরিণ, অর্পণ, লক্ষণ, রুক্মিণী, ব্রাহ্মণ -
কিছু শব্দে স্বাভাবিকভাবেই ‘ণ’ থাকে, যা নিয়ম অনুসরণ ছাড়াও ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণ: পুণ্য, নিক্কণ, চিক্কণ, লাবণ্য, কল্যাণ, বিপণি, আপণ, গৌণ, ভাণ, শাণ, চাণক্য, মাণিক্য, গণ, বাণিজ্য, লবণ, মণ, বেণু, বীণা, কঙ্কণ, কণিকা, স্থাণু, ফণী, পিণাক
২. ণ-ত্ব বিধান প্রযোজ্য নয় এমন ক্ষেত্রে
-
সমাসযুক্ত শব্দে সাধারণত ‘ণ’ হয় না, বরং ‘ন’ ব্যবহার হয়।
উদাহরণ: ত্রিনয়ন, সর্বনাম, দুর্নীতি, দুর্নাম, দুর্নিবার, পরনিন্দা, অগ্রনায়ক -
ট-বর্গীয় বর্ণের সঙ্গে যুক্ত হলে ‘ণ’ হয় না।
উদাহরণ: অন্ত, গ্রন্থ, ক্রন্দন -
বাংলা দেশি, তদ্ভব বা বিদেশি শব্দে ‘ণ’ লেখার কোনো প্রয়োজন নেই।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)

0
Updated: 1 month ago
’আমরা দুজনে ভাসিয়া এসেছি যুগল প্রেমের স্রোতে, অনাদিকালের হৃদয় উৎস হতে।’- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোন কবিতার অংশ?
Created: 1 week ago
A
উপহার
B
অনন্ত প্রেম
C
ব্যক্ত প্রেম
D
শেষ উপহার
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘অনন্ত প্রেম’ কবিতা থেকে উদ্ধৃত— “আমরা দুজনে ভাসিয়া এসেছি যুগল প্রেমের স্রোতে, অনাদিকালের হৃদয় উৎস হতে।” এই কবিতাটি তাঁর মানসী কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত।
মানসী কাব্যগ্রন্থ সম্পর্কে তথ্য
-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মানসী কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয় ১৮৯০ সালে।
-
এটি কবির কাব্যকলার পূর্ণ প্রতিষ্ঠামূলক গ্রন্থ হিসেবে স্বীকৃত।
-
কবি বুদ্ধদেব বসু একে বলেছেন— “রবীন্দ্র-কাব্যের অণুবিশ্ব”।
-
এতে মোট ৬৬টি কবিতা সংকলিত হয়েছে।
-
কাব্যগ্রন্থ সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন: “নূতন আবেষ্টনে এই কবিতাগুলি সহসা যেন নবদেহ ধারণ করল।”
মানসী কাব্যের উল্লেখযোগ্য কবিতাসমূহ
-
উপহার
-
নিস্ফল উপহার
-
ক্ষণিক মিলন
-
নিস্ফল কামনা
-
অহল্যার প্রতি
-
নবদম্পতির প্রেমালাপ
-
মানসিক অভিসার
-
পুরুষের উক্তি
-
নারীর উক্তি
-
ব্যক্ত প্রেম
-
গুপ্ত প্রেম
-
অনন্ত প্রেম
-
শেষ উপহার ইত্যাদি
উৎস:

0
Updated: 1 week ago