'শরণ-সরণ' শব্দজোড় কী অর্থ প্রকাশ করে?
A
মনে করা - আশ্রয়
B
আশ্রয় - গমন
C
আশ্রয় - শ্রবণ করা
D
মনে করা - স্বর্ণ
উত্তরের বিবরণ
'শরণ' শব্দের অর্থ হলো আশ্রয়, আর 'সরণ' শব্দের অর্থ হলো গমন। এ ধরনের শব্দজোড় একে অপরের কাছাকাছি হলেও অর্থে ভিন্ন। উল্লেখযোগ্যভাবে, স্মরণ শব্দের অর্থ হলো মনে করা। নিচে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ শব্দজোড় দেওয়া হলো।
-
শবল: চিত্রিত, নানা বর্ণযুক্ত
-
সবল: শক্তিমান
-
শোনা: শ্রবণ করা
-
সোনা: স্বর্ণ
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
শুদ্ধ বানান কোনটি?
Created: 2 months ago
A
শূণ্য
B
চূর্ণ
C
রুপক
D
গূণ্য
✦ শব্দ এবং তাদের অর্থ ও শ্রেণী
-
চূর্ণ (বিশেষণ)
-
অর্থ:
-
কণায় পরিণত পদার্থ, গুঁড়ো
-
চুন
-
সুগন্ধি গুঁড়ো
-
আবির
-
-
বিশেষণ পদ: গুঁড়ো করা হয়েছে এমন, চূর্ণীকৃত, সম্পূর্ণ ভগ্ন, গুঁড়োয় পরিণত।
-
উৎস: সংস্কৃত শব্দ
-
-
শূন্য (বিশেষণ)
-
অর্থ: পরিমাণ বা আয়তনের অভাব
-
-
রূপক (বিশেষ্য)
-
অর্থ:
-
যে অর্থালংকারে উপমান ও উপমেয়কে অভেদ কল্পনা করা হয়
-
যেসব কাব্য বা নাটকে কোনো তত্ত্বকে রূপ দেওয়া হয়
-
-
-
গুণ্য (বিশেষণ)
-
অর্থ: গুণ করতে হবে এমন
-
0
Updated: 2 months ago
কোন বানানটি সঠিক?
Created: 1 month ago
A
ত্রিনয়ণ
B
কৃপন
C
দুর্ণাম
D
ক্রন্দন
ক্রন্দন — বানানটি সঠিক।
ণ-ত্ব বিধান:
-
সমাসসাধিত শব্দে সাধারণত ণ-ত্ব বিধান প্রযোজ্য হয় না; এখানে ন ব্যবহার হয়।
উদাহরণ: ত্রিনয়ন, সর্বনাম, দুর্নীতি, দুর্নাম, অগ্রনায়ক, পরনিন্দা -
ত-বর্গীয় বর্ণের সঙ্গে যুক্ত ন কখনো ণ হয় না; ন হয়।
উদাহরণ: অন্ত, গ্রন্থ, ক্রন্দন -
ঋ, র, ষ-এর পরে ‘ণ’ হয়।
উদাহরণ: ঋণ, তৃণ, বর্ণ, বর্ণনা, কারণ, মরণ, ব্যাকরণ, ভীষণ, ভাষণ, উষ্ণ -
ঋ, র, ষ-এর পরে স্বরধ্বনি (ষ, য়, ব, হ, ং এবং ক-বর্গীয় ও প-বর্গীয়) থাকলে পরবর্তী ‘ন’ মূর্ধন্য ‘ণ’ হয়।
উদাহরণ: কৃপণ, হরিণ, অর্পণ, লক্ষণ, রুক্মিণী, ব্রাহ্মণ
0
Updated: 1 month ago
কোন অব্যয় বিশেষ্য ও সর্বনাম পদের পরে যুক্ত হয়ে বিভক্তির কাজ করে?
Created: 2 months ago
A
সংযোজক
B
সমুচ্চয়ী
C
অনুকারগ
D
অনুসর্গ
অনুসর্গ অব্যয়: যে সকল অব্যয় শব্দ বিশেষ্য ও সর্বনাম পদের বিভক্তির ন্যায় বসে কারকবাচকতা প্রকাশ করে, তাদের অনুসর্গ অব্যয় বলে। যেমন- ওকে দিয়ে এ কাজ হবে না।
সংযোজক অব্যয়: যে অব্যয় পদ বাক্যের সঙ্গে বাক্যের বা পদের সঙ্গে পদের সংযোগ সাধন করে, তাকেই সংযোজক অব্যয় বলে। যেমন - আমি খেলার মাঠে গিয়েছিলাম; কিন্তু তোমায় দেখতে পাইনি। বাবা এবং মায়ের কথা শোনা উচিত। সমুচ্চয়ী অব্যয়: একটি বাক্যের সঙ্গে অন্য একটি বাক্যের বা বাক্যস্থিত একটি পদের সাথে অন্য একটি পদের সংযোজন, বিয়োজন বা সংকোচন ঘটায়, তাকে সমুচ্চয়ী অব্যয় বা সম্বন্ধবাচক অব্যয় বলে। অনুকার অব্যয়: যে সকল অব্যয় কোনো শব্দ বা ধ্বনির অনুকরণে গঠিত হয় তাদেরকে অনুকার অব্যয় বা ধ্বন্যাত্মক অব্যয় বলে।
যেমন: শোঁ শোঁ (বাতাসের ধ্বনি), রুম্মুম্ (নূপুরের আওয়াজ), ঝম্ফম (বৃষ্টির শব্দ), বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর, বজ্রের ধ্বনি কড়কড়, ইত্যাদি।
0
Updated: 2 months ago