'উড়নচণ্ডী' বাগ্ধারার অর্থ হলো অমিতব্যয়ী। এর পাশাপাশি আরও কিছু বাগ্ধারা আছে যেগুলোর অর্থ ভিন্ন ভিন্ন।
-
উনপাঁজুরে: দুর্বল ও ব্যক্তিত্বহীন
-
কূপমণ্ডুক: সীমাবদ্ধ জ্ঞান
-
গোঁফ খেজুরে: অত্যন্ত অলস
উৎস:
'অমিতব্যয়ী' অর্থ বুঝাতে কোন বাগ্ধারাটি ব্যবহৃত হয়?
A
উনপাঁজুরে
B
উড়নচণ্ডী
C
কূপমণ্ডুক
D
গোঁফ খেজুরে
উত্তরের বিবরণ
0
Updated: 1 month ago
মীর মশাররফ হোসেন কত খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?
Created: 4 weeks ago
A
১৮৬১ সালে
B
১৮২০ সালে
C
১৮৪৭ সালে
D
১৮৭৭ সালে
মীর মশাররফ হোসেন বাংলা সাহিত্য ইতিহাসে একজন অগ্রগণ্য ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও প্রাবন্ধিক হিসেবে পরিচিত। তিনি বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম ঔপন্যাসিক হিসেবে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। তাঁর লেখায় সমাজ, ধর্ম, মানবপ্রেম ও নৈতিকতার বিষয় গভীরভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
জীবনপরিচয়:
জন্ম: ১৮৪৭ সালের ১৩ নভেম্বর, কুষ্টিয়া জেলার লাহিনীপাড়া গ্রামে।
সাহিত্যগুরু: কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদার, ‘গ্রামবার্তা প্রকাশিকা’ পত্রিকার সম্পাদক।
প্রথম গ্রন্থ: ‘রত্নাবতী’, যা তাঁর সাহিত্যজীবনের সূচনা করে।
ছাত্রাবস্থায় তিনি সংবাদ প্রভাকর ও গ্রামবার্তা প্রকাশিকা পত্রিকায় মফঃস্বল সংবাদদাতার দায়িত্ব পালন করেন, যা তাঁর লেখালেখির প্রারম্ভিক ক্ষেত্র তৈরি করে।
তিনি পরবর্তীতে আজিজননেহার ও হিতকরী নামে দুটি পত্রিকা সম্পাদনা করেন।
মীর মশাররফ ছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ গদ্যশিল্পী এবং উনিশ শতকের বাঙালি মুসলমান সাহিত্যিকদের অগ্রদূত।
সাহিত্যকর্ম:
নাটক:
বসন্তকুমারী
জমিদার দর্পণ
বেহুলা গীতাভিনয়
প্রহসন:
টালা অভিনয়
এর উপায় কি
ফাঁস কাগজ
ভাই ভাই এইতো চাই
উপন্যাস:
বিষাদ-সিন্ধু — তাঁর শ্রেষ্ঠ ও সর্বাধিক জনপ্রিয় রচনা, যা কারবালার ঐতিহাসিক ট্র্যাজেডিকে অবলম্বন করে রচিত।
আত্মজীবনীমূলক রচনা:
উদাসীন পথিকের মনের কথা
গাজী মিয়াঁর বস্তানী
আমার জীবনী
কুলসুম জীবনী ইত্যাদি
0
Updated: 4 weeks ago
কোনটি শুদ্ধ বানান?
Created: 1 month ago
A
প্রনয়নী
B
প্রণয়নী
C
প্রণয়িনী
D
প্রণয়নি
• শুদ্ধ বানান - প্রণয়িনী।
- এটি প্রণয়ী এর স্ত্রীবাচক শব্দ।
উৎস: বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান।
0
Updated: 1 month ago
কাকে 'চলিষ্ণু অভিধান' বলা হয়?
Created: 4 weeks ago
A
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
B
চন্দ্রকুমার দে
C
দীনেশচন্দ্র সেন
D
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের এক অসাধারণ বাঙালি ব্যক্তিত্ব— একজন বহুভাষাবিদ, বিশিষ্ট শিক্ষক, দার্শনিক ও গবেষক। তিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যচর্চায় যুগান্তকারী অবদান রাখেন এবং ভাষাতত্ত্বে তাঁর অনুসন্ধানমূলক কাজ তাঁকে সর্বজনস্বীকৃত মর্যাদা এনে দেয়।
জীবনপরিচয়:
জন্ম: ১৮৮৫ সালের ১০ জুলাই, পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার পেয়ারা গ্রামে।
তিনি বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি গভীর অনুরাগী একজন গবেষক ছিলেন।
ভাষা, সাহিত্য ও দর্শনের গভীর অধ্যয়নের জন্য তিনি ‘জ্ঞানতাপস’ নামে পরিচিতি পান।
তাঁকে আরও বলা হয় ‘চলিষ্ণু অভিধান’, কারণ তিনি অসংখ্য ভাষায় পারদর্শী ছিলেন এবং তাঁর জ্ঞানের পরিধি ছিল অত্যন্ত বিস্তৃত।
ভাষা ও জাতিসত্তা বিষয়ক দৃষ্টিভঙ্গি:
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে তাঁর একটি বিখ্যাত উক্তি আজও স্মরণীয়—
“আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য, তার চেয়ে বেশি সত্য আমরা বাঙালি।”
এই বক্তব্যে তিনি ধর্মের ঊর্ধ্বে উঠে জাতিসত্তার ঐক্য ও মানবতার বার্তা প্রকাশ করেছিলেন।
গবেষণা ও সাহিত্যকর্ম:
১৯৫৯ সালে তিনি রচনা করেন অমূল্য ভাষাতাত্ত্বিক গ্রন্থ ‘বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত’, যা বাংলা ভাষার উৎপত্তি, বিকাশ ও ধ্বনিগত বিশ্লেষণে এক প্রামাণ্য দলিল।
তাঁর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য রচনাসমূহ:
ভাষা ও সাহিত্য
বাঙ্গালা ব্যাকরণ
বাংলা সাহিত্যের কথা
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস
অন্যান্য অবদান:
তিনি বাংলা একাডেমির ‘আঞ্চলিক ভাষার অভিধান’ সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেন, যা বাংলা উপভাষার সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
0
Updated: 4 weeks ago