A
কাজী নজরুল ইসলাম
B
জীবনানন্দ দাশ
C
সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
D
বুদ্ধদেব বসু
উত্তরের বিবরণ
• সুধীন্দ্রনাথ দত্ত রচিত কোনো উপন্যাস গ্রন্থ নেই।
• সুধীন্দ্রনাথ দত্ত:
• সুধীন্দ্রনাথ দত্ত (১৯০১-১৯৬০) ছিলেন কবি, প্রাবন্ধিক ও পত্রিকা সম্পাদক। ১৯০১ সালের ৩০ অক্টোবর কলকাতার হাতীবাগানে তাঁর জন্ম।
• ১৯৩১ সাল থেকে দীর্ঘ বারো বছর তিনি পরিচয় পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। প্রমথ চৌধুরীর সবুজপত্রের সঙ্গেও তাঁর সম্পৃক্ততা ছিল।
• সুধীন্দ্রনাথ কর্মজীবনের পাশাপাশি সাহিত্যচর্চাও করেছেন। আধুনিক মনন ও বৈশ্বিক চেতনার কারণে তিনি বাংলা কাব্যে স্বতন্ত্র স্থান লাভ করেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি:
কাব্য:
• তন্বী,
• অর্কেস্ট্রা,
• ক্রন্দসী,
• উত্তরফাল্গুনী,
• সংবর্ত,
• দশমী।
গদ্যগ্রন্থ:
• স্বগত ,
• কুলায় ও কালপুরুষ।
• এছাড়া প্রতিধ্বনি (১৯৫৪) নামে তাঁর একটি অনুবাদগ্রন্থও আছে।
অন্যদিকে,
• বুদ্ধদেব বসু রচিত উপন্যাসসমূহ:
- তিথিডোর,
- সাড়া,
- সানন্দা,
- লালমেঘ,
- পরিক্রমা,
- কালো হাওয়া,
- নির্জন স্বাক্ষর,
- নীলাঞ্জনার খাতা ইত্যাদি।
• জীবনানন্দ দাশ রচিত উপন্যাসগুলো হলো:
- মাল্যবান;
- সতীর্থ;
- কল্যাণী।
• কাজী নজরুল ইসলাম রচিত উপন্যাস:
- বাঁধন-হারা,
- মৃত্যুক্ষুধা,
- কুহেলিকা।
উৎস: বাংলাপিডিয়া এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা সৌমিত্র শেখর।

0
Updated: 2 weeks ago
'রুপ লাগি আঁখি ঝুরে গুণে মন ভোর' কার রচনা?
Created: 1 week ago
A
চণ্ডিদাস
B
জ্ঞানদাস
C
বিদ্যাপতি
D
লোচনদাস
'রূপ লাগি আঁখি ঝুরে গুণে মন ভোর' পঙ্ক্তিটির রচয়িতা- জ্ঞানদাস।
-----------------------
• 'জ্ঞানদাস':
- জ্ঞানদাস ছিলেন চৈতন্যোত্তর বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি।
- জ্ঞানদাস বাংলা ও ব্রজবুলি ভাষায়, রাধাকৃষ্ণ বিষয়ক প্রায় ২শ(মতান্তরে চারশ) পদ লেখেন।
- তাঁর রচিত মাথুর ও মুরলীশিক্ষা বৈষ্ণবগীতিকাব্যের দুটি মূল্যবান গ্রন্থ।
• বিরহের মর্মস্পর্শী আর্তি ফুটে উঠেছে জ্ঞানদাসের কবিতায়:
রূপ লাগি আঁখি ঝুরে গুণে মন ভোর।
প্রতি অঙ্গ লাগি কান্দে প্রতি অঙ্গ মোর।।
• তাঁর আরো একটি বিখ্যাত পদ:
সুখের লাগিয়া এ ঘর বাঁধিনু আনলে পুড়িয়া গেল।
অমিয়-সাগরে সিনান করিতে সকলি গরল ভেল।।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস, মাহবুবুল আলম।

0
Updated: 1 week ago
'ঢাকা মুসলিম সাহিত্য সমাজ' এর প্রধান লেখক ছিলেন-
Created: 2 months ago
A
কাজী আবদুল ওদুদ, আবুল হুসেন প্রমুখ
B
মোহাম্মদ আকরাম খাঁ, মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ প্রমুখ
C
মোহাম্মদ বরকত উল্লাহ, আবুল কালাম শামসুদ্দীন প্রমুখ
D
কাজী ইমদাদুল হক, মোহাম্মদ ওয়াজেদ আলী প্রমুখ
মুসলিম সাহিত্য-সমাজ
মুসলিম সাহিত্য-সমাজ ছিল একটি সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, যা গঠিত হয়েছিল ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন প্রগতিশীল ও যুক্তিবাদী শিক্ষক ও ছাত্রদের উদ্যোগে।
১৯২৬ সালের ১৯ জানুয়ারি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম হল ইউনিয়নের কক্ষে বাংলা ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে সংগঠনটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
সংগঠন পরিচালনার দায়িত্ব লাভ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ও বাণিজ্য বিভাগের অধ্যাপক আবুল হুসেন, মুসলিম হলের ছাত্র এ.এফ.এম. আবদুল হক এবং ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজের ছাত্র আবদুল কাদির। এঁরাই প্রথম কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন।
নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক কাজী আবদুল ওদুদ এবং যুক্তিবিদ্যার অধ্যাপক কাজী আনোয়ারুল কাদীর।
প্রকাশনা ও সাহিত্যচর্চা
মুসলিম সাহিত্য-সমাজের বার্ষিক মুখপত্র শিখা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৩৩৩ বঙ্গাব্দের চৈত্র মাসে। মোট পাঁচটি সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিল।
-
প্রথম সংখ্যা সম্পাদনা করেন আবুল হুসেন,
-
দ্বিতীয় ও তৃতীয় সংখ্যা কাজী মোতাহার হোসেন,
-
চতুর্থ সংখ্যা মোহাম্মদ আবদুর রশিদ এবং
-
পঞ্চম সংখ্যা সম্পাদনা করেন আবুল ফজল।
শিখা পত্রিকার মুখবাণী ছিল —
"জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব।"
প্রধান লেখকবৃন্দ:
মুসলিম সাহিত্য-সমাজের উল্লেখযোগ্য লেখকরা হলেন —
-
আবুল হুসেন
-
মোতাহের হোসেন চৌধুরী
-
কাজী আবদুল ওদুদ
-
আবদুল কাদির
-
আবুল ফজল
-
আনোয়ারুল কাদির প্রমুখ।
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 months ago
কোনটি রবীন্দ্রনাথের রচনা?
Created: 3 weeks ago
A
চতুরঙ্গ
B
চতুষ্কোণ
C
চতুর্দশী
D
চতুষ্পাঠী
চতুরঙ্গ উপন্যাস পরিচিতি
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও শেষ উপন্যাস 'চতুরঙ্গ' প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯১৬ সালে। এটি সাধু ভাষায় রচিত হওয়ায় রবীন্দ্রনাথের উপন্যাসগুলোর মধ্যে এর ভাষা ও ধরণ কিছুটা ভিন্ন এবং বিশেষভাবে সমালোচকদের মধ্যে বিভ্রান্তির কারণ হয়েছিল।
'চতুরঙ্গ' উপন্যাসের অধ্যায়গুলি প্রথমে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল ১৩২১ বঙ্গাব্দের অগ্রহায়ণ থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত, মাসিক সাহিত্য পত্রিকা ‘সবুজপত্র’-এ। তবে সেই সময় পাঠকরা উপন্যাসটির চারটি অংশকে আলাদা আলাদা গল্প ভেবে থাকতেন, কারণ প্রতিটি অধ্যায় আলাদা গল্পের শিরোনামে প্রকাশ পেতো।
উপন্যাসের চারটি প্রধান অংশ ও চরিত্র
উপন্যাসের নামের মতোই এর কাঠামো চতুরঙ্গ অর্থাৎ চারটি অংশে বিভক্ত:
-
জ্যাঠামশায়
-
শচীশ
-
দামিনী
-
শ্রীবিলাস
এই চারটি অংশের প্রতিটি চরিত্রই উপন্যাসের মূল চালিকাশক্তি। 'সবুজপত্র' পত্রিকায় যখন এই অধ্যায়গুলো প্রকাশ পেত, তখন পাঠকরা ভাবতেন আলাদা আলাদা গল্প পাচ্ছেন। তবে পরে জানা যায় এগুলো মূলত একই কাহিনীর বিভিন্ন দিক।
প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্য
-
‘চতুরঙ্গ’ নামক একটি সাহিত্য পত্রিকা ছিল, যা হুমায়ুন কবির সম্পাদনা করতেন।
-
অন্যদিকে, বাংলা সাহিত্যে 'চতুষ্কোণ' নামে একটি উপন্যাস রয়েছে, যা ১৯৪৮ সালে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত।
-
এছাড়াও, বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়ের ১৯৪৭ সালের কাব্যগ্রন্থ ‘চতুর্দশী’ বাংলায় উল্লেখযোগ্য।
উৎস:
-
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর
-
'চতুরঙ্গ' — রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

0
Updated: 3 weeks ago