বাংলাদেশের ১৭তম অ্যাটর্নি জেনারেল কে?
A
এ এম আমিন উদ্দিন
B
মাহবুবে আলম
C
মো. আসাদুজ্জামান
D
ব্যারিস্টার রফিক-উল হক
উত্তরের বিবরণ
- মো. আসাদুজ্জামান ১৭তম অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
দেশের ১৭তম অ্যাটর্নি জেনারেল:
- বাংলাদেশের ১৭তম অ্যাটর্নি জেনারেল হলেন মো. আসাদুজ্জামান।
- তিনি সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী, এবং রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে এই পদে নিয়োগ দিয়েছেন।
- সংবিধানের ৬৪ (১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতা বলে তাকে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি এ এম আমিন উদ্দিনের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।
উল্লেখ্য,
- অ্যাটর্নি জেনারেল হলেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধান আইন পরামর্শক ও প্রধান আইন কর্মকর্তা।
- তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে সরকারের প্রধান আইনজীবী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। সাধারণত জ্যেষ্ঠ আইনজীবীদের মধ্য থেকে সরকার তাকে নিয়োগ দেয়। এ পদাধিকারবলে তিনি বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সভাপতি হন। তাকে যুগ্ম
সূত্র- অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের ওয়েবসাইট।

0
Updated: 1 day ago
কতজন নারীকে 'জুলাই কন্যা অ্যাওয়ার্ড-২০২৫' প্রদান করা হয়?
Created: 2 weeks ago
A
২২ জন
B
৭৬ জন
C
৮৮ জন
D
১০০ জন
জুলাই কন্যা অ্যাওয়ার্ড ২০২৫
-
সম্মাননা প্রদান: জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া ১০০ জন নারী ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের হাতে "জুলাই কন্যা অ্যাওয়ার্ড ২০২৫" তুলে দেওয়া হয়।
-
তারিখ ও স্থান: ৮ আগস্ট ২০২৫, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) মিলনায়তন।
-
আয়োজক: জুলাই কন্যা ফাউন্ডেশন।
-
সভাপতি: অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি জান্নাতুন নাঈম প্রমী।
-
অনুষ্ঠানের বৈশিষ্ট্য:
-
নির্বাচিত ১০০ নারীর হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।
-
তাদের জীবন ও কর্মভিত্তিক সাফল্যের গল্প শ্রোতাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়, যাতে অন্য নারীরা অনুপ্রাণিত হতে পারেন।
-
উৎস: প্রথম আলো

0
Updated: 2 weeks ago
পালপূর্ব যুগে বাংলায় অরাজক পরিস্থিতি কী নামে পরিচিত ছিল?
Created: 1 week ago
A
কৈবর্ত বিদ্রোহ
B
মাৎস্যন্যায়
C
বর্গী হানা
D
শতবর্ষের যুদ্ধ
শশাঙ্কের মৃত্যুর পর পালপূর্ব যুগে বাংলায় অরাজক ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, যেখানে বড় মাছ ছোট মাছকে খেয়ে ফেলে এবং শক্তিশালীরা দুর্বলদের উপর অত্যাচার চালাত। এই অবস্থাকে ‘মাৎস্যন্যায়’ বলা হয়।
পাল বংশ:
-
শশাঙ্কের মৃত্যুর পর সপ্তম শতকের মাঝামাঝি থেকে অষ্টম শতক পর্যন্ত বাংলায় এক অন্ধকার যুগ বিরাজ করত, যা বাংলার ইতিহাসে ‘মাৎস্যন্যায়’ নামে পরিচিত।
-
পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন গোপাল, একজন উচ্চবর্গীয় ব্যক্তি।
-
পাল রাজারা বাংলা ও বিহার অঞ্চলে অষ্টম শতকের মাঝামাঝি থেকে প্রায় চারশ বছর শাসন করেন।
-
নৈরাজ্য ও চরম অরাজকতার হাত থেকে বাংলাকে রক্ষা করে গোপাল এই রাজবংশের ভিত্তি স্থাপন করেন।
-
‘মাৎস্যন্যায়’ শব্দটির অর্থ হলো অরাজক পরিস্থিতি।
-
পাল বংশের শাসনের মাধ্যমে বাংলায় অরাজকতা ও রাষ্ট্রহীনতার অবসান ঘটে।
-
শত বছরের হানাহানির অবসান ঘটে যখন গোপাল রাজা হন।
সূত্র:

0
Updated: 1 week ago
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বিরোধী দলের প্রধান ভূমিকা কী?
Created: 1 day ago
A
সরকারের সকল নীতির বিরোধিতা করা
B
সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করা
C
শুধু হরতাল ও বিক্ষোভ করা
D
শুধুমাত্র ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করা
গণতান্ত্রিক
রাষ্ট্রে বিরোধী দলের ভূমিকা সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করা।
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বিরোধী দলের ভূমিকা:
- দল প্রথার ভিত্তিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে যে দল
সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে সে দলই
শাসনকার্য পরিচালনা করে। নির্বাচনে পরাজিত
দল বা দলগুলি আইন
সভাতে বিরোধী দলের ভূমিকা নেয়।
একটি আদর্শ বিরোধী দল কেবল বিরোধীতার
খাতিরেই বিরোধীতা করে না। বরং
সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা, ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়া এবং জাতীয়
স্বার্থে প্রয়োজন মাফিক সরকারকে পরামর্শ দেয়ার দায়িত্ব পালন করে।
- গঠনমূলক সমালোচনা: গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বিরোধী দল সরকারের গঠনমূলক
সমালোচনা করে সরকারকে নিয়ন্ত্রণে
রাখে। সরকার বিরোধী দলের সমালোচনার চাপে
একক কোন সিদ্ধান্ত জনগণের
উপর চাপিয়ে দিতে পারে না।
বিরোধী দল সুপরিকল্পিতভাবে সরকারের
সমালোচনা করে সরকারের ত্রুটি-বিচ্যুতি জনসাধারণের সামনে তুলে ধরে।
- অধিকার বাস্তবায়ন: জনগণের অধিকার বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বিরোধী দল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
পালন করে। সরকার যাতে
জনগণের অধিকার খর্ব করে কোন
সিদ্ধান্ত নিতে না পারে
সে ব্যাপারে বিরোধী দলকে সচেষ্ট থাকতে
হয়।
- গণতন্ত্র রক্ষা: আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বিরোধী দল ছাড়া গণতন্ত্র
টিকে থাকতে পারে না। গণতন্ত্র
মানেই বিভিন্ন মতামতের সংমিশ্রণ। এক্ষেত্রে বিভিন্ন দলের সহাবস্থান অবশ্যই
থাকতে হয়। শক্তিশালী বিরোধী
দলের অভাবে সরকার স্বৈরাচারী হয়ে যেতে পারে।
জন স্টুয়ার্ট মিল তাই বলেন,
“যেখানে বিরোধী দল নেই, সেখানে
গণতন্ত্র নেই”।
- বিকল্প নীতি উত্থাপন: বিরোধী
দলের অন্যতম একটি কাজ হচ্ছে
সরকারি নীতিমালাগুলো ভালোভাবে যাচাই বাছাই করা। এক্ষেত্রে যদি
কোন নীতিমালা জন বান্ধব মনে
না হয়, সেক্ষেত্রে বিরোধী
দল দেশের স্বার্থে উন্নততর বিকল্প নীতি প্রস্তাব করতে
পারে। এর মধ্য দিয়ে
বিরোধী দল জনগণের নিকট
তাদের অবস্থানও স্পষ্ট করতে পারে।
- সমস্যা চিহ্নিত করা: রাষ্ট্রে অনেক
ধরনের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক সমস্যা বিদ্যমান থাকে। এ ধরনের সমস্যাগুলো
সমগ্র জনগোষ্ঠীর পক্ষে বিরোধীদল সরকারের কাছে উপস্থাপন করতে
পারে।

0
Updated: 1 day ago