সংবিধান অনুযায়ী মন্ত্রিসভার সর্বোচ্চ কত শতাংশ টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হতে পারেন?
A
৫ শতাংশ
B
১০ শতাংশ
C
৮ শতাংশ
D
২০ শতাংশ
উত্তরের বিবরণ
টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী
সংজ্ঞা
-
যারা সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার যোগ্য কিন্তু সরাসরি নির্বাচিত নন, তাদের মধ্য থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত মন্ত্রীরা টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী নামে পরিচিত।
সাংবিধানিক বিধান
-
সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী:
-
মন্ত্রিপরিষদের অন্তত ৯০% সদস্যকে জাতীয় সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে নিয়োগ দিতে হবে।
-
সর্বোচ্চ ১০% সদস্য সংসদ-সদস্য নন এমন ব্যক্তিদের মধ্য থেকে নিয়োগ দেওয়া যাবে। এদেরকেই টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী বলা হয়।
-
অতিরিক্ত তথ্য
-
প্রধানমন্ত্রী Rules of Business অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা পদেও যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ দিতে পারেন।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের সংবিধানের কত নং তফসিলে 'ক্রান্তিকালীন ও অস্থায়ী বিধানবলী'র কথা উল্লেখ করা হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
দ্বিতীয়
B
তৃতীয়
C
চতুর্থ
D
পঞ্চম
বাংলাদেশের সংবিধানে মোট ৭টি তফসিল সংযোজন করা হয়েছে, যা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিধান ও ঐতিহাসিক ঘটনার রেকর্ড হিসেবে সংরক্ষিত।
-
প্রথম তফসিল: অন্যান্য বিধান সত্ত্বেও কার্যকর আইন
-
দ্বিতীয় তফসিল: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (বর্তমানে বিলুপ্ত)
-
তৃতীয় তফসিল: শপথ ও ঘোষণা
-
চতুর্থ তফসিল: ক্রান্তিকালীন ও অস্থায়ী বিধানাবলী
-
পঞ্চম তফসিল: ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ
-
ষষ্ঠ তফসিল: ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের স্বাধীনতার ঘোষণা
-
সপ্তম তফসিল: ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকারের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
মারমাদের সবচেয়ে বড় উৎসবের নাম -
Created: 1 month ago
A
রাশ
B
বিজু
C
বাইশু
D
সাংগ্রাই
মারমা জনগোষ্ঠীর সবচেয়ে বড় উৎসব হলো সাংগ্রাই, যা মূলত তাদের বর্ষবরণ উৎসব। এটি শুধু একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয়, বরং তাদের সামাজিক ঐতিহ্য ও পারস্পরিক সম্প্রীতির গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশ।
মারমা ও সাংগ্রাই উৎসব সম্পর্কিত প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
মারমা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম আদিবাসী সম্প্রদায়।
-
তাদের বসবাসের মূল এলাকা হলো রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি — এই তিন পার্বত্য জেলা।
-
তারা মঙ্গোলয়েড বর্ণগোষ্ঠীর অন্তর্গত এবং তাদের নিজস্ব ভাষা রয়েছে, যা ভোট বর্মী শাখার বর্মী দলভুক্ত।
-
মারমা সম্প্রদায়ের মধ্যে তিন স্তরের প্রথাগত প্রশাসনিক ব্যবস্থা বিদ্যমান:
-
গ্রাম পর্যায়ের প্রধানের পদবী কারবারি,
-
মৌজা পর্যায়ের প্রধান হেডম্যান,
-
সার্কেলের প্রধান রাজা।
-
-
মারমাদের বর্ষবরণ উৎসবের নাম সাংগ্রাই, যা এসেছে ‘সাক্রাই’ শব্দ থেকে, যার অর্থ ‘সংক্রান্তি’।
-
সাধারণত বছরের শেষ দুই দিন এবং নতুন বছরের প্রথম দিন এ উৎসব পালিত হয়।
-
সাংগ্রাইয়ের মূল আকর্ষণ হলো ‘পানিখেলা’ বা জলোৎসব, যেখানে নৌকা বা বড় পাত্রে পানি রেখে অংশগ্রহণকারীরা একে অপরকে পানি ছিটিয়ে আনন্দ করে।
পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মধ্যে বর্ষবরণ উৎসবের আলাদা আলাদা নাম থাকলেও, এই তিন বড় নৃগোষ্ঠীর উৎসবকে একত্রে বৈসাবি বলা হয়।
-
ত্রিপুরাদের বর্ষবরণ উৎসব: বৈসুখ/বৈসু/বাইশু
-
মারমাদের বর্ষবরণ উৎসব: সাংগ্রাই
-
চাকমাদের বর্ষবরণ উৎসব: বিজু
এই তিনটি উৎসব একত্রে বৈসাবি নামে পরিচিত। সাধারণত বছরের শেষ দুই দিন ও নতুন বছরের প্রথম দিন বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় উৎসবটি পালিত হয়।
অন্যদিকে, মণিপুরিদের প্রধান উৎসব হলো রাস, যা শরতের পূর্ণিমায় অনুষ্ঠিত হয়।
0
Updated: 1 month ago
রবার্ট ক্লাইভ কত সালে দ্বৈতশাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন?
Created: 1 month ago
A
১৭৬২ সালে
B
১৭৬৩ সালে
C
১৭৬৫ সালে
D
১৭৬৭ সালে
দ্বৈতশাসন ব্যবস্থা ১৭৬৫ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির গভর্নর রবার্ট ক্লাইভ প্রবর্তন করেন। এই ব্যবস্থায় রাজস্ব প্রশাসন এবং দেশের রক্ষার দায়িত্ব কোম্পানির হাতে থাকলেও, প্রশাসন ও বিচার বিভাগের দায়িত্ব নবাবের ওপর অর্পিত ছিল। দায়িত্ব বিভাজনের ফলে বাংলার জনজীবনে অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। অবাধ লুণ্ঠন এবং যথেচ্ছভাবে রাজস্ব আদায়ের কারণে গ্রাম্যজীবন ধ্বংসের দিকে ধাবিত হয়, এবং নবাবের হাতে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকার কারণে প্রশাসন পরিচালনায় ব্যর্থ হন।
-
দ্বৈতশাসনে রাজস্ব প্রশাসন ও দেশ রক্ষার দায়িত্ব কোম্পানির হাতে এবং প্রশাসন ও বিচার নবাবের হাতে ছিল।
-
দায়িত্বহীনতার কারণে বাংলার জনজীবনে অরাজকতা দেখা দেয়।
-
অবাধ লুণ্ঠন ও অত্যাচারের কারণে গ্রাম্যজীবন ধ্বংস হয়।
-
নবাবের হাতে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকার ফলে প্রশাসন পরিচালনায় ব্যর্থতা।
-
সারাদেশে বিশৃঙ্খলা ও অনিয়ম শুরু হয়।
-
এই পরিস্থিতিতে ১৭৭২ সালে ওয়ারেন হেস্টিংস দ্বৈতশাসন ব্যবস্থা রহিত করেন।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago