যে বিল মন্ত্রীদের দ্বারা উত্থাপিত হয়, তাকে কী বলা হয়?
A
সংসদীয় বিল
B
সরকারি বিল
C
নীতিগত বিল
D
সংরক্ষিত বিল
উত্তরের বিবরণ
- মন্ত্রীদের দ্বারা উত্থাপিত বিলকে সরকারি বিল বলা হয়।
বিল:
- আইনের প্রাথমিক প্রস্তাবকে সংসদীয় ভাষায় বিল বলা হয়।
- আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্যে সংসদে আনীত প্রত্যেকটি প্রস্তাব বিল আকারে উত্থাপিত হয়।
বিল দুই প্রকার।
যথা
- সরকারি বিল ও
- বেসরকারি বিল।
বেসরকারি বিল
- যে বিল সাধারণ সংসদ সদস্যদের দ্বারা উত্থাপিত হয় তাকে বেসরকারি বিল বলে।
- বেসরকারি বিল উত্থাপনের জন্য ১৫ দিনের নোটিশ প্রয়োজন হয়।
সরকারি বিল
- সরকারি বিল উত্থাপনের জন্য ৭ দিন সময়।
- যে বিল মন্ত্রীদের দ্বারা উত্থাপিত হয় তাকে সরকারি বিল বলে।

0
Updated: 1 day ago
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার কোনটি?
Created: 5 days ago
A
বাংলা একাডেমি পদক
B
জাতীয় পুরস্কার
C
একুশে পদক
D
স্বাধীনতা পদক
স্বাধীনতা পদক
-
সংজ্ঞা: স্বাধীনতা পদক হলো বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার।
-
প্রবর্তন: মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের স্মরণে ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ সরকার এই পুরস্কার প্রবর্তন করে।
-
প্রদানের ক্ষেত্র:
-
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদান
-
ভাষা আন্দোলনে অবদান
-
শিক্ষা
-
সাহিত্য
-
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
-
চিকিৎসা বিজ্ঞান
-
সাংবাদিকতা
-
জনসেবা
-
সামাজিক বিজ্ঞান
-
সঙ্গীত
-
ক্রীড়া
-
চারুকলা
-
পল্লী উন্নয়ন
-
-
পুরস্কারের উপাদান:
-
একটি স্বর্ণপদক
-
সম্মাননাপত্র
-
নগদ অর্থ
-
২০২৫ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্তরা:
-
মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতি: মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খান (মরণোত্তর)
-
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর)
-
সাহিত্য: মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (মরণোত্তর)
-
প্রতিবাদী তারুণ্য: আবরার ফাহাদ (মরণোত্তর)
-
সমাজসেবা: স্যার ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর)
-
শিক্ষা ও গবেষণা: বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর
-
সংস্কৃতি: নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর)

0
Updated: 5 days ago
মৌর্য সাম্রাজ্যের রাজধানী কোথায় ছিল?
Created: 1 week ago
A
গৌড়
B
পাটলিপুত্র
C
বিক্রমপুর
D
তাম্রলিপ্ত
চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য ও মৌর্য সাম্রাজ্য
-
মৌর্য সাম্রাজ্য ভারতের ইতিহাসে প্রথম সর্বভারতীয় সাম্রাজ্য।
-
এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য, যিনি খ্রিস্টপূর্ব ৩২২–২৯৮ অব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেন।
-
সাম্রাজ্যের কেন্দ্রীয় রাজধানী ছিল পাটলিপুত্র, যা বর্তমান ভারতের বিহারের পাটনা শহরের কাছে অবস্থিত।
-
চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের সময় থেকেই সর্বভারতীয় শাসন ব্যবস্থা ও চিন্তা-চেতনার প্রসার শুরু হয়।
-
এই সময়ে বৌদ্ধ ধর্মের প্রচার ও প্রসার বৃদ্ধি পায়।
-
তার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন কৌটিল্য, যিনি অর্থনীতি ও শাসনব্যবস্থার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
সূত্র:

0
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশে কবে প্রথম জাতীয় ঔষধ নীতি প্রণীত হয়?
Created: 2 weeks ago
A
১৯৮২ সালে
B
১৯৮৩ সালে
C
১৯৮৪ সালে
D
১৯৮৫ সালে
জাতীয় ঔষধনীতি
-
প্রাথমিক প্রণয়ন:
-
বাংলাদেশে প্রথম জাতীয় ঔষধ নীতি প্রণীত হয় ১৯৮২ সালে।
-
নীতি গ্রহণের ফলে ওষুধের নিরাপত্তা ও মান নিশ্চিত হয়, দামের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়, আমদানি নির্ভরতা কমে এবং দেশীয় ঔষধ শিল্পে স্বনির্ভরতা আসে।
-
নীতি আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয় এবং বাংলাদেশ ঔষধ সেক্টরের ভাবমূর্তি উন্নত হয়।
-
-
সর্বশেষ সংস্কার:
-
২০১৬ সালে জাতীয় ঔষধনীতি সংস্কার করা হয়।
-
সংবিধানের ১৫(ক), ১৫(ঘ) ও ১৮(১) ধারার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে সরকার জনগণকে নিশ্চয়তা দেয়।
-
এক সময় যেখানে প্রায় ৮০% ঔষধ আমদানি করা হত, বর্তমানে ৯৭% ঔষধ দেশেই উৎপাদিত হচ্ছে।
-
দেশীয় মানসম্মত ঔষধ ১১৩টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে।
-
১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু ‘ঔষধ প্রশাসন পরিদপ্তর’ গঠন করেন।
-
-
জাতীয় ঔষধনীতির লক্ষ্যসমূহ:
১. জনগণকে নিরাপদ, কার্যকর ও মানসম্পন্ন ঔষধ সহজলভ্য মূল্যে নিশ্চিত করা।
২. ঔষধের যৌক্তিক ও নিরাপদ ব্যবহার এবং সুষ্ঠু বিতরণ (Dispensing) ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
৩. দেশীয় ঔষধ প্রস্তুতকারী শিল্পকে প্রয়োজনীয় সেবা ও সুযোগ-সুবিধা প্রদান, যাতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জিত হয়।
৪. দেশের উৎপাদিত ঔষধের রপ্তানি বৃদ্ধি করা।
৫. ঔষধের কার্যকর নজরদারি (Surveillance) ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা।
উৎস: জাতীয় ঔষধনীতি-২০১৬

0
Updated: 2 weeks ago