বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ১নং আসন কোনটি?
A
খুলনা - ১
B
পঞ্চগড় - ১
C
বান্দরবান - ১
D
রাঙ্গামাটি - ১
উত্তরের বিবরণ
পঞ্চগড়-১ আসন হলো জাতীয় সংসদের ১নং আসন।
জাতীয় সংসদ:
- অবস্থান - শেরে বাংলা নগর, ঢাকা।
- স্থপতি - লুই আই কান (যুক্তরাষ্ট্র)।
- সংসদ উদ্বোধন হয় - ২৮ জানুয়ারি, ১৯৮২ সালে।
উল্লেখ্য,
- সংসদের মোট আসন - ৩৫০টি।
- এর মধ্যে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত আসন - ৩০০টি।
- সংরক্ষিত নারী আসন - ৫০ টি।
- ১নং আসন হলো পঞ্চগড়-১।
- ৩০০ নং আসন - বান্দরবান।
- ১ টি করে আসন রয়েছে তিনটি জেলায় (রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি)।

0
Updated: 1 day ago
পাল রাজারা প্রায় কত বছর রাজত্ব করেন?
Created: 2 days ago
A
পঞ্চাশ বছর
B
একশ বছর
C
দুইশ বছর
D
চারশ বছর
পাল রাজবংশ প্রাচীন বাংলার অন্যতম বিখ্যাত এবং দীর্ঘস্থায়ী রাজবংশ হিসেবে পরিচিত। বাংলায় প্রায় চারশ বছর রাজত্ব করা এই বংশের প্রতিষ্ঠা এবং পতনের বিবরণ নিম্নরূপ:
-
প্রাচীন বাংলার রাজবংশসমূহের মধ্যে পালবংশ বিশেষভাবে বিখ্যাত।
-
পাল রাজারা প্রায় চারশ বছর রাজত্ব করেন।
-
৭৫৬ খ্রিস্টাব্দে রাজা গোপাল বাংলায় পাল রাজবংশের প্রতিষ্ঠা করেন।
-
অরাজকতাপূর্ণ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সামন্তরা গোপালকে ক্ষমতায় বসান।
-
রাজা গোপালের প্রতিষ্ঠিত রাজবংশ ইতিহাসে পাল বংশ নামে প্রসিদ্ধ হয়।
-
-
পাল বংশের পতন:
-
রাজা রামপালের মৃত্যুর পর পাল সাম্রাজ্যের পতন শুরু হয়।
-
অল্পদিনের মধ্যেই পাল রাজবংশ বিলুপ্ত হয় এবং চারশ বছরের পাল শাসন সমাপ্ত হয়।
-
পাল বংশের পতনের পর বাংলায় সেন বংশের উত্থান ঘটে।
-
উৎস:

0
Updated: 2 days ago
মীর শওকত আলী মুক্তিযুদ্ধের কত নম্বর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন?
Created: 2 weeks ago
A
২ নং
B
৪ নং
C
৫ নং
D
৯ নং
মুক্তিযুদ্ধের সেক্টরসমূহ
১. ৫ নং সেক্টর
-
অঞ্চল: সিলেট জেলার দুর্গাপুর থেকে ডাউকি (তামাবিল) ও জেলার পূর্বসীমা পর্যন্ত
-
সদরদপ্তর: বাঁশতলা
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর মীর শওকত আলী
২. ১ নং সেক্টর
-
অঞ্চল: চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা, নোয়াখালী জেলার পূর্বাঞ্চল (বেলোনিয়া বুলগের মুহুরী নদীর তীরে)
-
সদরদপ্তর: হরিণা
-
বীরশ্রেষ্ঠ: মুন্সী আব্দুর রব
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর জিয়াউর রহমান (পরবর্তীতে মেজর রফিকুল ইসলামের স্থলাভিষিক্ত)
৩. ২ নং সেক্টর
-
অঞ্চল: ঢাকা, কুমিল্লা ও ফরিদপুর জেলা, নোয়াখালী জেলার অংশ
-
সদরদপ্তর: মেলাঘর
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর খালেদ মোশাররফ (পরবর্তীতে মেজর এটিএম হায়দার)
৪. ৩ নং সেক্টর
-
অঞ্চল: উত্তরে চূড়ামনকাঠি (শ্রীমঙ্গল) থেকে সিলেট এবং দক্ষিণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিঙ্গারবিল
-
সদরদপ্তর: হেজামারা
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর কে এম শফিউল্লাহ (পরবর্তীতে মেজর এএনএম নুরুজ্জামান)
৫. ৪ নং সেক্টর
-
অঞ্চল: উত্তরে সিলেট জেলার হবিগঞ্জ মহকুমা থেকে দক্ষিণে কানাইঘাট থানা (১০০ মাইল সীমান্ত এলাকা)
-
সদরদপ্তর: প্রথমে করিমগঞ্জ, পরে আসামের মাসিমপুর
-
বীরশ্রেষ্ঠ: হামিদুর রহমান
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর চিত্তরাজন দত্ত (পরবর্তীতে ক্যাপ্টেন এ রব)
৬. ৬ নং সেক্টর
-
অঞ্চল: সমগ্র রংপুর জেলা ও দিনাজপুর জেলার ঠাকুরগাঁও মহকুমা
-
সদরদপ্তর: বুড়ি মাড়ি (বাংলাদেশের একমাত্র অভ্যন্তরীণ সদরদপ্তর)
-
সেক্টর কমান্ডার: উইং কমান্ডার এম খেদেমুল বাশার
৭. ৭ নং সেক্টর
-
অঞ্চল: রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া ও দিনাজপুর জেলার দক্ষিণাংশ
-
বীরশ্রেষ্ঠ: মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর
-
সদরদপ্তর: তরঙ্গপুর
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর নজরুল হক (পরবর্তীতে সুবেদার মেজর এ রব ও মেজর কাজী নুরুজ্জামান)
৮. ৮ নং সেক্টর
-
অঞ্চল: কুষ্টিয়া, যশোর থেকে খুলনা, সাতক্ষীরা
-
বীরশ্রেষ্ঠ: মোস্তফা কামাল, নূর মোহাম্মদ শেখ
-
সদরদপ্তর: কল্যাণী
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর আবু ওসমান চৌধুরী (পরবর্তীতে মেজর এম এ মঞ্জুর)
৯. ৯ নং সেক্টর
-
অঞ্চল: বরিশাল ও পটুয়াখালি জেলা, খুলনা ও ফরিদপুর জেলার অংশবিশেষ
-
সদরদপ্তর: বশিরহাট
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর এম জলিল (পরবর্তীতে মেজর এম এ মঞ্জুর ও মেজর জয়নাল আবেদীন)
১০. ১০ নং সেক্টর
-
অঞ্চল: সকল নৌপথ ও সমুদ্র উপকূলীয় এলাকা
-
বীরশ্রেষ্ঠ: রুহুল আমিন
১১. ১১ নং সেক্টর
-
অঞ্চল: টাঙ্গাইল জেলা ও কিশোরগঞ্জ মহকুমা ব্যতীত সমগ্র ময়মনসিংহ জেলা
-
সদরদপ্তর: মহেন্দ্রগঞ্জ
-
সেক্টর কমান্ডার: মেজর এম আবু তাহের
উৎস: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 2 weeks ago
'শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা' হলো বাংলাদেশের সংবিধানের প্রস্তাবনার -
Created: 5 days ago
A
নীতি
B
বিধি
C
ঘোষণা
D
অঙ্গীকার
বাংলাদেশের সংবিধান রাষ্ট্র পরিচালনার সর্বোচ্চ আইন, যেখানে রাষ্ট্রের কাঠামো, মূলনীতি, নাগরিক অধিকার ও দায়িত্ব নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা-পরবর্তী রাজনৈতিক ও সামাজিক বাস্তবতার প্রতিফলন।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে মোট ১৫৩টি অনুচ্ছেদ রয়েছে।
-
সংবিধান বিভক্ত হয়েছে ১১টি ভাগ বা অধ্যায়ে।
-
এতে মোট ৭টি তফসিল রয়েছে।
-
৪টি মূলনীতি সংবিধানে স্থান পেয়েছে।
-
সংবিধান ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে গৃহীত হয় এবং ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর কার্যকর হয়।
অতিরিক্ত তথ্য:
-
বাংলাদেশের সংবিধানে রয়েছে ১টি প্রস্তাবনা।
-
প্রস্তাবনাটি আবার ৫টি ভাগে বিভক্ত:
-
১ম: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা
-
২য়: মূলনীতি গ্রহণ (অঙ্গীকার)
-
৩য়: শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা (অঙ্গীকার)
-
৪র্থ: সংবিধানের প্রাধান্য অক্ষুন্ন রাখা (ঘোষণা)
-
৫ম: গণপরিষদে সংবিধান গৃহীত হওয়ার নিশ্চয়তা
-

0
Updated: 5 days ago