কোন সংশোধনীর মাধ্যমে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্মের মর্যাদা দেওয়া হয়?
A
সপ্তম
B
অষ্টম
C
নবম
D
দশম
উত্তরের বিবরণ
অষ্টম সংশোধনী আইন, ১৯৮৮ পাস হয় ৭ জুন ১৯৮৮ তারিখে এবং এর মাধ্যমে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২, ৩, ৫, ৩০ ও ১০০ সংশোধন করা হয়।
-
প্রধান সংশোধনীসমূহ:
১. ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ঘোষণা করা।
২. বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ: ঢাকার বাইরে হাইকোর্ট বিভাগের ছয়টি স্থায়ী বেঞ্চ স্থাপন করা।
৩. বিদেশী খেতাব গ্রহণে বিধিনিষেধ: সংবিধানের ৩০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে রাষ্ট্রপতির পূর্বানুমতি ব্যতীত কোনো নাগরিক কোনো বিদেশী রাষ্ট্রের প্রদত্ত খেতাব, সম্মাননা, পুরস্কার বা অভিধা গ্রহণ করতে পারবে না। -
উল্লেখযোগ্য, পরবর্তীতে সুপ্রীম কোর্ট সংবিধানের ১০০ অনুচ্ছেদের সংশোধনীকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করে, কারণ এটি সংবিধানের মৌলিক কাঠামো পরিবর্তন করেছিল।
0
Updated: 1 month ago
ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, জনসংখ্যার ঘনত্ব কত?
Created: 1 month ago
A
১১১৫ জন
B
১২২০ জন
C
১১১৯ জন
D
১১৩০ জন
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ অনুযায়ী বাংলাদেশের জনসংখ্যা, ঘনত্ব ও সাক্ষরতার হার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেছে। এই তথ্য দেশের শিক্ষাগত উন্নয়ন এবং জনসংখ্যার বন্টন বোঝার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
-
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার: ১.১২%
-
জনসংখ্যার ঘনত্ব: ১,১১৯ জন প্রতি বর্গকিমি
-
সাক্ষরতার হার (৭ বছর বা তদূর্ধ্ব): ৭৪.৮০%
-
পুরুষের সাক্ষরতার হার: ৭৬.৭১%
-
মহিলার সাক্ষরতার হার: ৭২.৯৪%
-
-
বিভাগভিত্তিক সাক্ষরতার হার:
-
সর্বোচ্চ: ঢাকা বিভাগ — ৭৮.২৪%
-
সর্বনিম্ন: ময়মনসিংহ বিভাগ — ৬৭.২৩%
-
-
জেলাভিত্তিক সাক্ষরতার হার:
-
সর্বোচ্চ: পিরোজপুর — ৮৫.৫৩%
-
সর্বনিম্ন: জামালপুর — ৬১.৭০%
-
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
নিচের কোনটি অ্যাটর্নি জেনারেলের ক্ষমতা বা কার্যাবলির মধ্যে পড়ে না?
Created: 1 month ago
A
রাষ্ট্রের পক্ষে আদালতে বক্তব্য পেশ করা
B
রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রদত্ত দায়িত্ব পালন করা
C
সরকারের আইন বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করা
D
সংসদে সরাসরি আইন প্রণয়ন করা
অ্যাটর্নি জেনারেল হলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধান আইন কর্মকর্তা, যিনি রাষ্ট্র ও সরকারের পক্ষে আইনগত বিষয় নিয়ে আদালতে বক্তব্য প্রদান করেন। তবে তিনি সরাসরি সংসদে আইন প্রণয়ন করতে পারেন না।
-
বাংলাদেশের সংবিধানের চতুর্থ ভাগ, ৫ম পরিচ্ছেদ, ৬৪ নং অনুচ্ছেদে অ্যাটর্নি জেনারেল পদের কথা উল্লেখ আছে।
-
রাষ্ট্রপতি সুপ্রীম কোর্টের বিচারক হওয়ার যোগ্য ব্যক্তিকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ দেবেন।
-
রাষ্ট্রপতির সন্তোষানুযায়ী নির্ধারিত সময়সীমা পর্যন্ত পদে বহাল থাকবেন এবং পারিশ্রমিক পাবেন।
-
অ্যাটর্নি জেনারেল রাষ্ট্রপতির কাছে লিখিত স্বাক্ষরযুক্ত পত্রের মাধ্যমে পদত্যাগ করতে পারবেন।
-
তিনি সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারকের সমান মর্যাদা ভোগ করবেন।
অ্যাটর্নি জেনারেলের ক্ষমতা ও কার্যাবলি:
-
রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রদত্ত সকল দায়িত্ব পালন করা।
-
বাংলাদেশের সকল আদালতে বক্তব্য পেশ করার অধিকার থাকা।
-
বাংলাদেশ সরকারের আইন বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন।
উল্লেখ্য, দেশের বর্তমান অ্যাটর্নি জেনারেল হলেন মো. আসাদুজ্জামান।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
বর্তমানে দেশের চাহিদার কত শতাংশ ঔষধ দেশে উৎপাদিত হয়? [সেপ্টেম্বর, ২০২৫]
Created: 1 month ago
A
৫৭ শতাংশ
B
৬৬ শতাংশ
C
৮৭ শতাংশ
D
৯৮ শতাংশ
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সেন্সাস উইং দশকভিত্তিক তিন ধরনের শুমারি পরিচালনার দায়িত্বে থাকে, যা হলো: জনশুমারি ও গৃহগণনা, কৃষি শুমারি, এবং অর্থনৈতিক শুমারি। স্বাধীনতার পর দেশের প্রথম জনশুমারি ও গৃহগণনা পরিচালিত হয় ১৯৭৪ সালে, প্রথম কৃষি শুমারি হয় ১৯৭৭ সালে, এবং প্রথম অর্থনৈতিক শুমারি অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮৬ সালে।
১৯৮৬ সালের এই প্রথম অর্থনৈতিক শুমারির শিরোনাম ছিল ‘Census on Non-Farm Economic Activities and Disabled Persons’। এটি ২৭ থেকে ২৯ ডিসেম্বর দেশজুড়ে সম্পন্ন হয়। শুমারিতে যেসব প্রতিষ্ঠান ও খানা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিল, তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তবে কৃষি খানা এতে অন্তর্ভুক্ত ছিল না।
পরবর্তী অর্থনৈতিক শুমারি গুলো হলো: দ্বিতীয় শুমারি ২০০১ (শহর) ও ২০০৩ (পল্লী), তৃতীয় শুমারি ২০১৩, এবং চতুর্থ শুমারি ২০২৪।
অর্থনৈতিক শুমারি হলো নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে একটি দেশের সকল অর্থনৈতিক ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ গণনা। এর মূল উদ্দেশ্য হলো দেশের অর্থনীতিতে সময়ের বিবর্তনে যে কাঠামোগত পরিবর্তন ঘটে তা পর্যবেক্ষণ করা এবং কৃষি বহির্ভূত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের তথ্য সংগ্রহ করা। পরিসংখ্যান আইন ২০১৩ অনুযায়ী, বিবিএস এই শুমারি সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে।
0
Updated: 1 month ago