আইন ও সালিশ কেন্দ্র কী ধরনের সংস্থা?
A
সরকারি সংস্থা
B
বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান
C
দাতব্য চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান
D
মানবাধিকার সংস্থা
উত্তরের বিবরণ
আইন ও সালিশ কেন্দ্র:
- আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) বাংলাদেশের একটি মানবাধিকার এবং আইন সহায়তাকারী বেসরকারি সংস্থা।
- ১৯৮৬ সালে সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয়।
- এই সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ৯ জন।
- শুরুতে আসক ঢাকা শহরের সুবিধাবঞ্চিত ও দরিদ্র নারী, কর্মজীবী শিশু এবং শ্রমিকদের বিনামূল্যে আইনি সহায়তা প্রদান করে।
- এর মূল লক্ষ্য সমানাধিকার, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ন্যায়বিচার এবং লিঙ্গভিত্তিক সমতার ভিত্তিতে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা।

0
Updated: 1 day ago
এলাহাবাদ চুক্তি কাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল?
Created: 2 days ago
A
ওয়ারেন হেস্টিংস ও সুজাউদ্দৌলা
B
রবার্ট ক্লাইভ ও দ্বিতীয় শাহ আলম
C
ওয়ারেন হেস্টিংস ও দ্বিতীয় শাহ আলম
D
রবার্ট ক্লাইভ ও মীর কাশিম
এলাহাবাদ চুক্তি ও বাংলায় ইংরেজদের ক্ষমতা দখল ১৭৬৫ সালে স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন রবার্ট ক্লাইভ এবং মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম। এর মাধ্যমে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দিউয়ানি লাভ করে এবং সম্রাটকে কোম্পানি প্রতি বছর ২৬ লক্ষ টাকা প্রদান করার প্রতিশ্রুতি দেন। চুক্তি অনুসারে রাজস্ব আদায় ও দেশ রক্ষার দায়িত্ব কোম্পানির ওপর থাকলেও, নিয়ামত তথা বিচার ও প্রশাসন বিভাগের দায়িত্ব নবাবের ওপর ন্যস্ত হয়।
-
বক্সার যুদ্ধের পর, কোম্পানির কর্মচারীদের মধ্যে দুর্নীতি ও বিশৃঙ্খলা বেড়ে যায় এবং বাংলার রাজনৈতিক পরিবেশ খারাপ হয়। ইংরেজ সরকার এ পরিস্থিতিতে ভীত হয়।
-
ইংল্যান্ডের কর্তৃপক্ষ কোম্পানির দুর্নীতি দমন এবং স্বার্থ বৃদ্ধি করার জন্য রবার্ট ক্লাইভকে লর্ড উপাধি দিয়ে দ্বিতীয়বার বাংলায় প্রেরণ করে (১৭৬৫-১৭৬৭ খ্রি.)।
-
বাংলায় এসে ক্লাইভ মীর কাশিমের মিত্রশক্তি, অযোধ্যার নবাব সুজাউদ্দৌলা এবং দিল্লির সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের প্রতি নজর দেন।
-
বক্সার যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫০ লক্ষ টাকা এবং কারা ও এলাহাবাদ জেলা নবাবের কাছে নিয়ে মিত্রতা স্থাপন করেন।
-
এরপর ক্লাইভ দিল্লির দুর্বল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলমের সাথে সন্ধি স্থাপন করেন।
-
চুক্তির বিনিময়ে, কারা ও এলাহাবাদ জেলা এবং বাৎসরিক ২৬ লক্ষ টাকা কর প্রদান করে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার দিউয়ানি সম্রাটের নিকট থেকে কোম্পানির হাতে আসে (১২ আগস্ট ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি দিউয়ানি সনদ লাভ করে)।
-
এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাংলা ও ভারতবর্ষে ইংরেজ উপনিবেশের পথ উন্মুক্ত হয়।
উৎস:

0
Updated: 2 days ago
কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষগ্রন্থ ২০২৪ অনুযায়ী, গম উৎপাদনে শীর্ষ জেলা -
Created: 4 days ago
A
রংপুর
B
ঝিনাইদহ
C
ঠাকুরগাঁও
D
দিনাজপুর
শীর্ষ জেলা (কৃষি উৎপাদন অনুযায়ী):
-
ধান উৎপাদনে শীর্ষ: ময়মনসিংহ
-
গম উৎপাদনে শীর্ষ: ঠাকুরগাঁও
-
ভূট্টা উৎপাদনে শীর্ষ: দিনাজপুর
-
তুলা উৎপাদনে শীর্ষ: ঝিনাইদহ
-
চা উৎপাদনে শীর্ষ: মৌলভীবাজার
-
তামাক উৎপাদনে শীর্ষ: কুষ্টিয়া
-
পাট উৎপাদনে শীর্ষ: ফরিদপুর
-
আলু উৎপাদনে শীর্ষ: রংপুর
তথ্যসূত্র:

0
Updated: 4 days ago
১৯৩০ সালের চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন অভিযানের নেতৃত্ব কে দিয়েছিলেন?
Created: 2 days ago
A
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু
B
প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার
C
ভগৎ সিং
D
মাস্টারদা সূর্য সেন
১৯৩০ সালের চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন অভিযানের নেতৃত্ব দেন মাস্টারদা সূর্য সেন, যিনি চট্টগ্রামের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক উল্লেখযোগ্য বিপ্লবী নেতা ছিলেন। তাঁর জীবন ও কর্মকাণ্ডের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো নিম্নরূপ:
-
পূর্ণ নাম: সূর্যকুমার সেন।
-
জন্ম: ১৮৯৪ সালে চট্টগ্রামের রাউজান থানার নোয়াপাড়া গ্রামে।
-
বিএ পড়ার সময় তিনি তাঁর শিক্ষক সতীশ চন্দ্র চক্রবর্তী কর্তৃক বৈপ্লবিক আদর্শে দীক্ষিত হন।
-
অধ্যাপক সতীশ চন্দ্র চক্রবর্তী যুগান্তর নামে বিপ্লবী দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
-
-
১৯১৬ সালে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর কৃষ্ণনাথ কলেজে বি.এ. শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে সতীশ চন্দ্র চক্রবর্তী তাঁকে বৈপ্লবিক আদর্শে দীক্ষিত করেন।
-
১৯১৮ সালে চট্টগ্রামে ফিরে তিনি বিপ্লবী যুগান্তর দলকে পুনরুজ্জীবিত করেন।
-
শিক্ষকতা করার কারণে পরিচিত মহলে তাঁকে ‘মাস্টারদা’ আখ্যা দেওয়া হয়।
-
সূর্য সেন নোয়াপাড়া উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গকে কেন্দ্র করে বাংলায় স্বদেশী আন্দোলন শুরু হয়।
-
ক্রমে এই আন্দোলন চট্টগ্রাম এলাকায় বিপ্লবী আন্দোলনে রূপ নেয়।
-
-
চট্টগ্রামে ফিরে তিনি ব্রিটিশ বিরোধী একটি বিপ্লবী দল গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেন।
-
১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন অভিযান পরিচালনা করা হয়, যা সূর্যসেনের নেতৃত্বে বিপ্লবীদের দীর্ঘ সময়ের প্রস্তুতি ও সুষ্ঠু পরিকল্পনার ফল ছিল।
-
১৯৩৪ সালের ১২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম কারাগারে তাঁর ফাঁসি কার্যকর হয়।
উৎস:

0
Updated: 2 days ago