গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বিরোধী দলের প্রধান ভূমিকা কী?
A
সরকারের সকল নীতির বিরোধিতা করা
B
সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করা
C
শুধু হরতাল ও বিক্ষোভ করা
D
শুধুমাত্র ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করা
উত্তরের বিবরণ
গণতান্ত্রিক
রাষ্ট্রে বিরোধী দলের ভূমিকা সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করা।
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বিরোধী দলের ভূমিকা:
- দল প্রথার ভিত্তিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে যে দল
সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে সে দলই
শাসনকার্য পরিচালনা করে। নির্বাচনে পরাজিত
দল বা দলগুলি আইন
সভাতে বিরোধী দলের ভূমিকা নেয়।
একটি আদর্শ বিরোধী দল কেবল বিরোধীতার
খাতিরেই বিরোধীতা করে না। বরং
সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা, ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়া এবং জাতীয়
স্বার্থে প্রয়োজন মাফিক সরকারকে পরামর্শ দেয়ার দায়িত্ব পালন করে।
- গঠনমূলক সমালোচনা: গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বিরোধী দল সরকারের গঠনমূলক
সমালোচনা করে সরকারকে নিয়ন্ত্রণে
রাখে। সরকার বিরোধী দলের সমালোচনার চাপে
একক কোন সিদ্ধান্ত জনগণের
উপর চাপিয়ে দিতে পারে না।
বিরোধী দল সুপরিকল্পিতভাবে সরকারের
সমালোচনা করে সরকারের ত্রুটি-বিচ্যুতি জনসাধারণের সামনে তুলে ধরে।
- অধিকার বাস্তবায়ন: জনগণের অধিকার বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বিরোধী দল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
পালন করে। সরকার যাতে
জনগণের অধিকার খর্ব করে কোন
সিদ্ধান্ত নিতে না পারে
সে ব্যাপারে বিরোধী দলকে সচেষ্ট থাকতে
হয়।
- গণতন্ত্র রক্ষা: আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বিরোধী দল ছাড়া গণতন্ত্র
টিকে থাকতে পারে না। গণতন্ত্র
মানেই বিভিন্ন মতামতের সংমিশ্রণ। এক্ষেত্রে বিভিন্ন দলের সহাবস্থান অবশ্যই
থাকতে হয়। শক্তিশালী বিরোধী
দলের অভাবে সরকার স্বৈরাচারী হয়ে যেতে পারে।
জন স্টুয়ার্ট মিল তাই বলেন,
“যেখানে বিরোধী দল নেই, সেখানে
গণতন্ত্র নেই”।
- বিকল্প নীতি উত্থাপন: বিরোধী
দলের অন্যতম একটি কাজ হচ্ছে
সরকারি নীতিমালাগুলো ভালোভাবে যাচাই বাছাই করা। এক্ষেত্রে যদি
কোন নীতিমালা জন বান্ধব মনে
না হয়, সেক্ষেত্রে বিরোধী
দল দেশের স্বার্থে উন্নততর বিকল্প নীতি প্রস্তাব করতে
পারে। এর মধ্য দিয়ে
বিরোধী দল জনগণের নিকট
তাদের অবস্থানও স্পষ্ট করতে পারে।
- সমস্যা চিহ্নিত করা: রাষ্ট্রে অনেক
ধরনের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক সমস্যা বিদ্যমান থাকে। এ ধরনের সমস্যাগুলো
সমগ্র জনগোষ্ঠীর পক্ষে বিরোধীদল সরকারের কাছে উপস্থাপন করতে
পারে।

0
Updated: 1 day ago
A World of Three Zeros. বইয়ের লেখক কে?
Created: 4 days ago
A
ড. মুহাম্মদ ইউনুস
B
জামাল নজরুল ইসলাম
C
অমর্ত্য সেন
D
ফজলুর রহমান খান
ড. মুহাম্মদ ইউনুস
-
জন্ম: ১৯৪০, বাথুয়া, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ
-
পেশা: ব্যাংকার, অর্থনীতিবিদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক
-
প্রধান অবদান:
-
ক্ষুদ্রঋণ (Microcredit) এবং 'সামাজিক ব্যবসা' ধারণার প্রবর্তক
-
গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা
-
-
পুরস্কার ও সম্মাননা:
-
২০০৬ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার (মুহাম্মদ ইউনুস ও গ্রামীণ ব্যাংক)
-
বিশ্ব খাদ্য পুরস্কার
-
দক্ষিণ এশিয়ার নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রাপ্ত দ্বিতীয় ব্যক্তি
-
-
আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ:
-
দারিদ্র্যহীন বিশ্বের অভিমুখে (Banker to the Poor)
-
-
অন্যান্য রচিত বই:
-
A World of Three Zeros
-
Creating a World of Unlimited Potential
-
Without Poverty
-
Super Happiness
-

0
Updated: 4 days ago
সরকারি বিল কারা উত্থাপন করে?
Created: 5 days ago
A
সাধারণ সংসদ সদস্য
B
বিরোধী দলের নেতা
C
স্পিকার
D
মন্ত্রীরা
বিল (Bill) সংক্রান্ত তথ্য:
-
সংজ্ঞা:
-
আইনের প্রাথমিক প্রস্তাবকে বিল বলা হয়।
-
আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্যে সংসদে যে কোনো প্রস্তাব বিল আকারে উত্থাপিত হয়।
-
-
বিলের প্রকার:
-
সরকারি বিল
-
বেসরকারি বিল
-
-
সরকারি বিল:
-
সরকারি বিল মন্ত্রীদের দ্বারা উত্থাপিত হয়।
-
সরকারি বিল উত্থাপনের জন্য ৭ দিনের সময় প্রয়োজন।
-
-
বেসরকারি বিল:
-
সাধারণ সংসদ সদস্যরা উত্থাপিত বিলকে বেসরকারি বিল বলা হয়।
-
বেসরকারি বিল উত্থাপনের জন্য ১৫ দিনের নোটিশ প্রয়োজন।
-

0
Updated: 5 days ago
কোন যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে সম্রাট অশোক বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন?
Created: 1 week ago
A
পানিপথের যুদ্ধ
B
হিদাসপিসের যুদ্ধ
C
কলিঙ্গের যুদ্ধ
D
তরাইনের যুদ্ধ
কলিঙ্গ যুদ্ধের বিশাল রক্তপাত ও ধ্বংসযজ্ঞ সম্রাট অশোককে গভীরভাবে ব্যথিত করে, যার প্রভাব তাকে যুদ্ধনীতি পরিত্যাগ করতে এবং বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করতে উদ্বুদ্ধ করে।
সম্রাট অশোক:
-
তিনি চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের পৌত্র এবং বিম্বিসারের পুত্র।
-
২৭৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সিংহাসনে আরোহণ করেন।
-
সিংহাসনে আরোহণের চার বছর পর, ২৬৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তাঁর অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়।
-
পূর্বসুরীদের সাম্রাজ্য সম্প্রসারণনীতি অনুসরণ করেন।
-
পাটলীপুত্র থেকে বিশাল সাম্রাজ্য শাসন করতেন।
-
রাজত্বের ১৩তম বছরে কলিঙ্গ যুদ্ধে জয় লাভ করেন।
-
পরবর্তী সময়ে মৌর্য সম্রাটদের চিরাচরিত দ্বিগ্বিজয় নীতি পরিত্যাগ করে ঘোষণা করেন যে তাঁর পুত্র ও প্রপৌত্ররা ভবিষ্যতে যুদ্ধ করবে না।
-
বহু জনহিতকর কাজ করেন।
-
২৩২ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত রাজ্য শাসন করেন।
-
প্রায় ৪০ বছর শাসন করার পর ২৩২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।
উল্লেখযোগ্য বিষয়সমূহ:
-
কলিঙ্গ যুদ্ধের রক্তক্ষয়ী অভিজ্ঞতা অশোকের রাজনৈতিক ও নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গীতে বৃহৎ পরিবর্তন আনে।
-
তিনি একজন নীতিবান শাসকে পরিণত হন।
-
সেই সময় থেকে জীবনব্যাপী বিশ্বশান্তি ও ন্যায়নিষ্ঠ শাসন প্রতিষ্ঠায় নিজেকে নিয়োজিত করেন।
-
জীবনের অবশিষ্ট সময়ে অহিংসা ও ধ্যানে মনোনিবেশ করেন।
-
সৌহার্দ্য, মানবতা ও ভ্রাতৃত্বের মাধ্যমে অপরের প্রীতি অর্জনকেই তিনি প্রকৃত বিজয় হিসেবে গ্রহণ করেন।
-
অশোকের প্রচারিত ধর্মের মূল বিষয় ছিল গুরুজনদের প্রতি শ্রদ্ধা, জীবদয়া, সত্যবাদিতা ইত্যাদি।
সূত্র:

0
Updated: 1 week ago