গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বিরোধী দলের প্রধান ভূমিকা কী?
A
সরকারের সকল নীতির বিরোধিতা করা
B
সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা করা
C
শুধু হরতাল ও বিক্ষোভ করা
D
শুধুমাত্র ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করা
উত্তরের বিবরণ
গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বিরোধী দলের ভূমিকা হলো সরকারের কার্যক্রমকে নিয়ন্ত্রিত ও জনমুখী রাখা, যাতে গণতন্ত্র কার্যকরভাবে টিকে থাকে। বিরোধী দল কেবল বিরোধীতার জন্যই বিরোধীতা করে না, বরং সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা, ভুল ধরিয়ে দেওয়া ও জাতীয় স্বার্থে পরামর্শ দেওয়ার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
গঠনমূলক সমালোচনা:
বিরোধী দল সরকারকে এককভাবে জনমতের উপর চাপিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে না দেয়। সুপরিকল্পিত সমালোচনার মাধ্যমে সরকারের ত্রুটি-বিচ্যুতি জনগণের সামনে তুলে ধরে। -
অধিকার বাস্তবায়ন:
জনগণের অধিকার রক্ষায় বিরোধী দল সচেষ্ট থাকে, যাতে সরকার কোন সিদ্ধান্তের মাধ্যমে অধিকার খর্ব করতে না পারে। -
গণতন্ত্র রক্ষা:
বিরোধী দল ছাড়া গণতন্ত্র টিকে থাকতে পারে না। এটি বিভিন্ন মতামতের সংমিশ্রণ নিশ্চিত করে। শক্তিশালী বিরোধী দলের অভাবে সরকার স্বৈরাচারী হয়ে যেতে পারে। জন স্টুয়ার্ট মিল বলেন, “যেখানে বিরোধী দল নেই, সেখানে গণতন্ত্র নেই।” -
বিকল্প নীতি উত্থাপন:
বিরোধী দল সরকারি নীতিমালাগুলো যাচাই-বাছাই করে। যদি কোনো নীতি জনবান্ধব না হয়, তারা দেশের স্বার্থে উন্নততর বিকল্প নীতি প্রস্তাব করতে পারে এবং জনগণের কাছে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে পারে। -
সমস্যা চিহ্নিত করা:
অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সমস্যা সমূহ সমগ্র জনগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে সরকারকে উপস্থাপন করে, যাতে কার্যকর সমাধান গ্রহণ সম্ভব হয়।
0
Updated: 1 month ago
লর্ড মাউন্টব্যাটেনের ভাইসরয় হিসেবে কোন সিদ্ধান্ত ছিল সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য?
Created: 1 month ago
A
ভারতীয় রেল ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা
B
উপমহাদেশের পুলিশ বাহিনী সংস্কার
C
উপমহাদেশের বিভক্তি এবং ক্ষমতা হস্তান্তর
D
ভারতীয় ডাক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা
লর্ড মাউন্টব্যাটেন ছিলেন ব্রিটিশ ভারতের শেষ ভাইসরয়। তিনি ১৯৪৭ সালের মার্চ থেকে আগস্ট পর্যন্ত এই পদে দায়িত্ব পালন করেন এবং স্বাধীন ভারতের প্রথম গভর্নর জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত হন। তাঁর গভর্নর জেনারেল হিসেবে কার্যকাল ১৯৪৭-এর আগস্ট থেকে ১৯৪৮-এর জুন পর্যন্ত চলেছিল, এই সময়ে তিনি ভারতীয় রাজন্যবর্গকে ভারতীয় ইউনিয়ন বা পাকিস্তানের সঙ্গে একীভূত হতে উদ্বুদ্ধ করেন।
-
ভাইসরয় হিসেবে সংক্ষিপ্ত কার্যকালে তিনি উপমহাদেশের বিভক্তি এবং ভারত ও পাকিস্তানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরসহ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
-
স্বাধীন ভারতের প্রথম গভর্নর জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত হন।
-
এই সময়ে ভারতীয় রাজন্যবর্গকে একীভূত বা পৃথক রাজ্য হিসেবে যুক্ত করতে উৎসাহিত করেন।
-
তিনি ১৯৭৯ সালের ২৭ আগস্ট আয়ারল্যান্ডের ডোনেগাল বে-তে তাঁর নৌযানে এক বিস্ফোরণে নিহত হন।
অন্যদিকে উপমহাদেশের বিভিন্ন আধুনিক প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব ছিলেন:
-
লর্ড ডালহৌসি: ভারতীয় রেল ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠা করেন।
-
লর্ড ক্যানিং: পুলিশ বাহিনী সংস্কারে বিশেষ অবদান রাখেন; ১৮৬১ সালে পুলিশ আইন প্রণয়ন করেন।
-
ওয়ারেন হেস্টিংস: ভারতীয় ডাক ব্যবস্থার সূচনা করেন।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
ভোমরা স্থলবন্দর কোন জেলায় অবস্থিত?
Created: 1 month ago
A
শেরপুর
B
লালমনিরহাটv
C
যশোর
D
সাতক্ষীরা
ভোমরা স্থলবন্দর সাতক্ষীরা সদর উপজেলাধীন ভোমরা সীমান্তে অবস্থিত। এর বিপরীতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের চব্বিশ পরগণা জেলার গোজাডাঙ্গা সীমান্ত অবস্থিত। এটি বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার একটি গুরুত্বপূর্ণ চেকপয়েন্ট এবং স্থলবন্দর। স্থলপথে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সহজ করার উদ্দেশ্যে ১২ জানুয়ারি ২০০২ খ্রিঃ তারিখে এটি স্থলবন্দর হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং ১৯ মে ২০১৩ খ্রিঃ তারিখে অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু হয়। রাজধানী থেকে ভোমরা স্থলবন্দর পর্যন্ত দূরত্ব প্রায় ২৮৫ কিঃমিঃ এবং কোলকাতা থেকে প্রায় ৬০ কিঃমিঃ।
-
অন্য প্রধান স্থলবন্দর ও অবস্থান:
-
হিলি স্থলবন্দর: হাকিমপুর, দিনাজপুর
-
বেনাপোল স্থলবন্দর: বেনাপোল, শার্শা, যশোর
-
বুড়িমারী স্থলবন্দর: পাটগ্রাম, লালমনিরহাট
-
আখাউড়া স্থলবন্দর: আখাউড়া, বাহ্মনবাড়িয়া
-
নাকুগাঁও স্থলবন্দর: নালিতাবাড়ী, শেরপুর
-
তামাবিল স্থলবন্দর: গোয়াইনঘাট, সিলেট
-
সোনাহাট স্থলবন্দর: ভুরুঙ্গামারী, কুড়িগ্রাম
-
দর্শনা স্থলবন্দর: দামুরহুদা, চুয়াডাঙ্গা
-
বিলোনিয়া স্থলবন্দর: বিলোনিয়া, ফেনী
-
0
Updated: 1 month ago
উত্তরা ইপিজেড কোথায় অবস্থিত?
Created: 1 month ago
A
রংপুর
B
নীলফামারী
C
ঢাকা
D
খুলনা
উত্তরা ইপিজেড বাংলাদেশের একমাত্র কৃষি ভিত্তিক ইপিজেড। এটি নীলফামারী জেলার সদর উপজেলার সংগলশী ইউনিয়নে অবস্থিত। ইপিজেডটি জুলাই ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং জুলাই ২০০১ সালে উদ্বোধন করা হয়।
-
বাংলাদেশের প্রথম ইপিজেড: চট্টগ্রাম ইপিজেড (যাত্রা শুরু ১৯৮৩ সালে)
-
দ্বিতীয় ইপিজেড: ঢাকা ইপিজেড (ঢাকার সাভারে অবস্থিত)
-
বর্তমানে বাংলাদেশে সরকারি ইপিজেডের সংখ্যা: ৮টি
-
চট্টগ্রাম ইপিজেড
-
ঢাকা ইপিজেড
-
মোংলা ইপিজেড
-
কুমিল্লা ইপিজেড
-
ঈশ্বরদী ইপিজেড
-
উত্তরা ইপিজেড
-
আদমজী ইপিজেড
-
কর্ণফুলী ইপিজেড
-
0
Updated: 1 month ago