'হ্ম'-এর বিশ্লিষ্ট রূপ-
A
ক + ঘ
B
ক + ষ + ণ
C
ক + ষ + ম
D
হ্ + ম
উত্তরের বিবরণ
• 'হ্ম' যুক্তবর্ণটি হ্ ও ম দুটি বর্ণের সমন্বয়ে গঠিত।
• হ্ + ম = হ্ম।
------------------
সহজে চেনা যায়, কখনো সহজে চেনা যায় না, এদিক দিয়ে যুক্তবর্ণ দুই রকম। যথা:
১. স্বচ্ছ ও
২. অস্বচ্ছ।
• স্বচ্ছ যুক্তবর্ণ: ক্ট, জ্জ, জ্ব, ঞ, ণ্ড, ণ্ট, ণ্ঠ, দ্দ, দ্ব, ণ্ঠ, ড, ন্স, প্ট, প্ত, প্প, ন্স, ল্প, ল্ট, ল্ড, ল্প, ফ, শ্চ, শ্ছ, ষ্ট, ষ্ঠ, স্ফ, স্খ, স্ট, স্ক ইত্যাদি।
• অস্বচ্ছ যুক্তবর্ণ:
ক্ত = (ক্ + ত),
ক্ম = (ক্ + ম),
ক্ষ = (ক্ + ষ),
ক্ষ্ম = (ক্ + ষ্ + ম),
ক্স = (ক্ + স),
গু = (গ্ + উ),
গ্ধ = (গ্ + ধ),
ঙ্গ = (ঙ্ + গ),
জ্ঞ = (জ + ঞ),
ঞ্চ = (ঞ্ + চ),
ঞ্জ = (ঞ্ + জ),
ষ্ণ = (ষ্ + ণ)
হু = (হ্ + উ),
হৃ = (হ + ঋ),
হ্ন = (হ্ + ন),
হ্ম = (হ্ + ম) ইত্যাদি।
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি( ২০২২ সংস্করণ)
0
Updated: 3 months ago
যুক্তবর্ণের শুদ্ধ গঠন কোনটি?
Created: 2 months ago
A
ষ্ + ণ = ষ্ণ
B
ষ্ + ঞ = ষ্ণ
C
ষ্ + ঙ = ষ্ণ
D
ষ্ + ন = ষ্ণ
• যুক্তবর্ণের শুদ্ধ গঠন:
-
ষ্ + ণ = ষ্ণ
গুরুত্বপূর্ণ কিছু যুক্তবর্ণ:
-
ঞ্ + ছ = ঞ্ছ
-
ঞ্ + চ = ঞ্চ
-
ঞ্ + জ = ঞ্জ
-
জ্ + ঞ = জ্ঞ
0
Updated: 2 months ago
'ষ্ণ' যুক্তবর্ণটি গঠিত হয়েছে নিম্নরূপে-
Created: 2 days ago
A
ষ্+ণ
B
ষ্+ঞ
C
য্+ঞ
D
ষ্+জ
‘ষ্ণ’ যুক্তবর্ণটি বাংলা ভাষার একটি গুরুত্বপূর্ণ যুক্তাক্ষর, যা মূলত দুটি ব্যঞ্জনবর্ণের সংযোগে তৈরি হয়। এই যুক্তবর্ণটি উচ্চারণে স্পষ্ট ও দৃঢ়, এবং এর গঠনে একটি ব্যঞ্জনের সঙ্গে আরেকটি ব্যঞ্জনের মিলন ঘটে। যুক্তবর্ণের মাধ্যমে শব্দের বানান ও উচ্চারণে স্বাভাবিকতা আসে। এখন দেখা যাক কীভাবে ‘ষ্ণ’ যুক্তবর্ণটি গঠিত হয়েছে এবং এর ব্যবহার কোথায় দেখা যায়।
-
‘ষ্ণ’ যুক্তবর্ণটি গঠিত হয়েছে ‘ষ্ + ণ’ এই দুইটি ব্যঞ্জনবর্ণের সংযোগে। এখানে প্রথম অক্ষর ‘ষ’ এবং দ্বিতীয় অক্ষর ‘ণ’। যখন এই দুটি ব্যঞ্জন একত্রে উচ্চারিত হয়, তখন ‘ষ্ণ’ যুক্তবর্ণের সৃষ্টি হয়।
-
‘ষ্’ ধ্বনি একটি মূর্ধন্য উচ্চারণের ধ্বনি, যা জিহ্বার আগা তালুতে স্পর্শ করে উচ্চারিত হয়। অপরদিকে, ‘ণ’ ধ্বনি-ও মূর্ধন্য ব্যঞ্জন, যা একইভাবে জিহ্বার আগা দিয়ে উচ্চারিত হয়। তাই এই দুই ধ্বনির মিলনে একটি স্বাভাবিক ধ্বনি উৎপন্ন হয়, যা হলো ‘ষ্ণ’।
-
এই যুক্তবর্ণটি মূলত সংস্কৃত এবং তৎসম শব্দে ব্যবহৃত হয়। উদাহরণস্বরূপ— “ষ্ণান”, “তাপষ্ণ”, “ষ্ণিগ্ধ” ইত্যাদি শব্দে এই যুক্তবর্ণের উপস্থিতি দেখা যায়।
-
লিপিগতভাবে, ‘ষ্ণ’ যুক্তবর্ণটি লেখার সময় ‘ষ’ অক্ষরটি মূল কাঠামো হিসেবে থাকে এবং তার নিচে বা পাশে ‘ণ’ অক্ষরের রূপ সংযুক্ত হয়। এতে দুটি ব্যঞ্জন একত্রে এক অক্ষরে পরিণত হয়।
-
উচ্চারণের দিক থেকে, ‘ষ্ণ’ ধ্বনি উচ্চারণে কিছুটা জোর প্রয়োগ করতে হয়, যাতে দুই ব্যঞ্জনের মিশ্র ধ্বনি স্পষ্টভাবে বোঝা যায়। বিশেষ করে পাঠোচ্চারণে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
শিক্ষাগতভাবে, বাংলা ব্যাকরণে এই যুক্তবর্ণটি ব্যঞ্জন সংযোগের একটি উদাহরণ হিসেবে ধরা হয়। যেখানে প্রথম ব্যঞ্জনের অন্ত্যস্বর ‘অ’ বাদ দিয়ে দ্বিতীয় ব্যঞ্জনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি নতুন অক্ষর গঠন করে।
-
অর্থগত দিক থেকেও অনেক শব্দে এই যুক্তবর্ণ অর্থ পরিবর্তন না করলেও বানানের সঠিকতা বজায় রাখে। যেমন— “ষ্ণান” শব্দটি যদি ভুলভাবে লেখা হয়, তবে এর অর্থবোধকতা ও উচ্চারণ উভয়ই বিকৃত হয়ে যাবে।
-
বাংলা লিপির বিবর্তনে, এই ধরনের যুক্তবর্ণের ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে। সংস্কৃত ভাষার প্রভাবেই ‘ষ্ণ’, ‘ষ্ঠ’, ‘ক্ষ্ণ’ প্রভৃতি যুক্তবর্ণ বাংলা লিপিতে প্রবেশ করেছে।
সবশেষে বলা যায়, ‘ষ্ণ’ যুক্তবর্ণটি গঠিত হয়েছে ‘ষ্ + ণ’ এর মিলনে, যা বাংলা ভাষার ধ্বনিগত ও লিপিগত সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে। এটি শুধু বানানের নিখুঁততা বজায় রাখে না, বরং শব্দের স্বাভাবিক উচ্চারণেও একটি সুমধুর ধ্বনি সৃষ্টি করে।
0
Updated: 2 days ago
১০) উচ্চারণস্থান অনুসারে 'র, ল, স' কোন ধরনের ধ্বনি?
Created: 2 months ago
A
দন্তমূলীয় ধ্বনি
B
জিহ্বামূলীয় ধ্বনি
C
তালব্য ধ্বনি
D
মূর্ধন্য ধ্বনি
দন্তমূলীয় ধ্বনি
-
সংজ্ঞা: উপর পাটির দাঁতের গোড়ার সঙ্গে জিভের ডগা লাগিয়ে যে ধ্বনিগুলো উচ্চারিত হয়, সেগুলোকে দন্তমূলীয় ধ্বনি বলা হয়।
-
উদাহরণ: ন, র, ল, স
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১-সংস্করণ)
0
Updated: 2 months ago