সংবিধানের কোন ভাগে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি বর্ণিত আছে?
A
প্রথম ভাগ
B
দ্বিতীয় ভাগ
C
তৃতীয় ভাগ
D
চতুর্থ ভাগ
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশের সংবিধান হলো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধান আইন ও রাষ্ট্র পরিচালনার কাঠামো নির্ধারণকারী দলিল। এটি ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে গৃহীত হয় এবং ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ সালে কার্যকর হয়। সংবিধান মোট ১১টি ভাগ এবং ১৫৩টি অনুচ্ছেদ নিয়ে গঠিত।
-
সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি বর্ণিত হয়েছে, যেখানে সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদসহ অন্যান্য মৌলিক দিক নির্দেশনা অন্তর্ভুক্ত।
সংবিধানের ভাগসমূহ:
-
প্রথম ভাগ: প্রজাতন্ত্র
-
দ্বিতীয় ভাগ: রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি
-
তৃতীয় ভাগ: মৌলিক অধিকার
-
চতুর্থ ভাগ: নির্বাহী বিভাগ
-
পঞ্চম ভাগ: আইনসভা
-
ষষ্ঠ ভাগ: বিচার বিভাগ
-
সপ্তম ভাগ: নির্বাচন
-
অষ্টম ভাগ: মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক
-
নবম ভাগ: বাংলাদেশের কর্মবিভাগ
-
দশম ভাগ: সংবিধান-সংশোধন
-
একাদশ ভাগ: বিবিধ
0
Updated: 1 month ago
ড. মিলন কোন আন্দোলনে শহিদ হয়?
Created: 1 month ago
A
ছয় দফা আন্দোলন
B
ভাষা আন্দোলন
C
শিক্ষা আন্দোলন
D
নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে নব্বইয়ের দশকের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন ছিল এক গুরুত্বপূর্ণ গণআন্দোলন, যা দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত করে। আন্দোলনে ছাত্র, জনতা, পেশাজীবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠন সক্রিয় ভূমিকা পালন করে এবং অনেক নেতাকর্মী প্রাণ হারান।
-
ডা. মিলন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময় শহিদ হন।
-
১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর, ছাত্র-জনতা, পেশাজীবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর আন্দোলনের ফলে স্বৈরাচারী শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতন ঘটে।
-
নব্বইয়ের আন্দোলনের সময়, ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর, ঢাকার জিরো পয়েন্টে পুলিশের গুলিতে নূর হোসেন মারা যান। তাঁর গায়ে লেখা ছিল—"স্বৈরাচার নিপাত যাক, গণতন্ত্র মুক্তি পাক"।
-
আন্দোলনে প্রাণ হারান নূর হোসেন, সেলিম, দেলোয়ার, তাজুল, ডা. মিলন, নূরুল হুদা, বাবুল, ফাত্তাহসহ বহু আন্দোলনকারী।
-
শেষপর্যন্ত স্বৈরাচারী শাসক এরশাদকে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে বাধ্য করা হয়।
0
Updated: 1 month ago
অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৪ অনুযায়ী, একক পণ্য হিসেবে সবচেয়ে বেশি আমদানি করা হয় কোন পণ্য?
Created: 1 month ago
A
তৈলবীজ
B
ভোজ্য তেল
C
সুতা
D
তুলা
বাংলাদেশের একক ও প্রাথমিক পণ্য আমদানি বিশ্লেষণে দেখা যায় যে তুলা সব ধরনের আমদানির মধ্যে শীর্ষে অবস্থান করছে, তবে শিল্পজাত পণ্যের ক্ষেত্রে পেট্রোলিয়ামজাত সামগ্রী প্রধান।
একক পণ্য আমদানি:
-
সবচেয়ে বেশি আমদানি করা হয় তুলা
-
শিল্পজাত পণ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আমদানি হয় পেট্রোলিয়ামজাত পণ্যসামগ্রী
-
শিল্পজাত পণ্যের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আমদানি হয় সার
-
শিল্পজাত পণ্যের মধ্যে তৃতীয় সর্বোচ্চ আমদানি হয় সুতা
প্রাথমিক পণ্য আমদানি:
-
সবচেয়ে বেশি আমদানি হয় তুলা
-
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আমদানি হয় গম
-
তৃতীয় সর্বোচ্চ আমদানি হয় তৈলবীজ
0
Updated: 1 month ago
'ভিজিএফ' কোন মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি ত্রাণ কর্মসূচি?
Created: 1 month ago
A
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়
B
খাদ্য মন্ত্রণালয়
C
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়
D
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়
ভিজিএফ (VGF) হলো দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি ত্রাণ ও মানবিক সহায়তা কর্মসূচি, যা দরিদ্র ও দুর্বল জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়।
VGF এর পূর্ণরূপ: Vulnerable Group Feeding
কর্মসূচির বাস্তবায়ন:
-
দুর্যোগকালীন, দুর্যোগ পরবর্তী ও কৃষি ক্ষেত্রে কর্মহীন সময়ের মানবিক সহায়তা প্রদান।
-
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মাধ্যমে দেশব্যাপী খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম বাস্তবায়ন।
উদ্দেশ্য:
-
দরিদ্র ও দুঃস্থ জনগণের দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমন এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
-
শিশু ও পীড়িত জনগণের রোগ প্রতিরোধে সহায়তা।
-
মন্দার সময়ে কর্মহীন জনগণের মধ্যে খাদ্য সরবরাহ করা।
-
উপকারভোগীদের সাময়িক সহায়তার মাধ্যমে দারিদ্র্য হ্রাস এবং বিশেষ করে অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখা।
উপকারভোগী:
-
ভূমিহীন ব্যক্তি, যাদের বসতভিটা ব্যতীত অন্য কোনো জমি নেই।
-
দরিদ্র ও অতি দরিদ্র পরিবার, যারা দৈনন্দিন দুই বেলা খাবার নিশ্চিত করতে অক্ষম।
-
প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার, যারা তীব্র খাদ্য ও অর্থ সংকটে রয়েছে।
-
বেকারত্বের কারণে খাদ্যসংকটের শিকার পরিবার।
-
বিশেষ পেশায় নিয়োজিত অতি দরিদ্র ব্যক্তি/পরিবার, যাদের জনস্বার্থে পেশা থেকে অব্যাহতি দেওয়া প্রয়োজন।
-
প্রাথমিক বিদ্যালয়গামী শিশুরা, যারা অপুষ্টিতে ভুগছে।
0
Updated: 1 month ago