গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় 'বিকল্প সরকার' বলতে কোনটি কে বোঝানো হয়?
A
সামরিক সরকার
B
বিরোধী দল
C
সাময়িক তত্ত্বাবধায়ক সরকার
D
ক্যাবিনেট
উত্তরের বিবরণ
বিকল্প সরকার হলো গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় বিরোধী দলকে বোঝানো, যা সরকারের কার্যক্রমে নজরদারি এবং সমালোচনা করে। এটি সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহার বা স্বৈরাচার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
-
প্রতিনিধিত্বশীল গণতন্ত্রে বিকল্প সরকার বলতে বিরোধী দলকে বোঝানো হয়।
-
উন্নত রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে বিরোধী দল সরকারি দলের ন্যায় ছায়া মন্ত্রিসভা গঠন করে।
-
সরকারের স্বৈরাচারি বা দুর্নীতিপরায়ণ হতে প্রতিরোধ করার জন্য, বিরোধী দল ছায়া সরকার বা বিকল্প সরকারের ভূমিকা পালন করে এবং সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করে।
-
বর্তমান সময়ে গণতন্ত্রকে প্রায়শই দলীয় শাসন বলা হয়।
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা প্রথমবারের মতো উত্তোলন করেন-
Created: 1 month ago
A
নূরুল আমিন
B
আ স ম আব্দুর রব
C
সিরাজ চৌধুরী
D
আ স ম সোহরাওয়ার্দী
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা স্বাধীনতা ও জাতীয় পরিচয়ের প্রতীক হিসেবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি প্রথমবার উত্তোলিত হয় স্বাধীনতার আগেই, যা পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গণমানুষের প্রত্যাখ্যানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
জাতীয় পতাকা প্রথম উত্তোলন হয় ২রা মার্চ, ১৯৭১।
-
স্থান ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের পশ্চিম দিকের গেটে।
-
উত্তোলন করেন ছাত্রনেতা আ. স. ম. আবদুর রব।
-
এই উত্তোলন বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা ঘোষণার পূর্বেই পাকিস্তান রাষ্ট্রকে প্রত্যাখ্যানের অংশ ছিল।
-
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পটুয়া কামরুল হাসানকে দায়িত্ব দেন জাতীয় পতাকার নকশা চূড়ান্ত করার জন্য।
-
পটুয়া কামরুল হাসানের হাতেই বর্তমান জাতীয় পতাকা চূড়ান্ত রূপ লাভ করেছে।
0
Updated: 1 month ago
বর্তমানে দেশের চাহিদার কত শতাংশ ঔষধ দেশে উৎপাদিত হয়? [সেপ্টেম্বর, ২০২৫]
Created: 1 month ago
A
৫৭ শতাংশ
B
৬৬ শতাংশ
C
৮৭ শতাংশ
D
৯৮ শতাংশ
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সেন্সাস উইং দশকভিত্তিক তিন ধরনের শুমারি পরিচালনার দায়িত্বে থাকে, যা হলো: জনশুমারি ও গৃহগণনা, কৃষি শুমারি, এবং অর্থনৈতিক শুমারি। স্বাধীনতার পর দেশের প্রথম জনশুমারি ও গৃহগণনা পরিচালিত হয় ১৯৭৪ সালে, প্রথম কৃষি শুমারি হয় ১৯৭৭ সালে, এবং প্রথম অর্থনৈতিক শুমারি অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮৬ সালে।
১৯৮৬ সালের এই প্রথম অর্থনৈতিক শুমারির শিরোনাম ছিল ‘Census on Non-Farm Economic Activities and Disabled Persons’। এটি ২৭ থেকে ২৯ ডিসেম্বর দেশজুড়ে সম্পন্ন হয়। শুমারিতে যেসব প্রতিষ্ঠান ও খানা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিল, তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তবে কৃষি খানা এতে অন্তর্ভুক্ত ছিল না।
পরবর্তী অর্থনৈতিক শুমারি গুলো হলো: দ্বিতীয় শুমারি ২০০১ (শহর) ও ২০০৩ (পল্লী), তৃতীয় শুমারি ২০১৩, এবং চতুর্থ শুমারি ২০২৪।
অর্থনৈতিক শুমারি হলো নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে একটি দেশের সকল অর্থনৈতিক ইউনিটের পূর্ণাঙ্গ গণনা। এর মূল উদ্দেশ্য হলো দেশের অর্থনীতিতে সময়ের বিবর্তনে যে কাঠামোগত পরিবর্তন ঘটে তা পর্যবেক্ষণ করা এবং কৃষি বহির্ভূত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের তথ্য সংগ্রহ করা। পরিসংখ্যান আইন ২০১৩ অনুযায়ী, বিবিএস এই শুমারি সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে।
0
Updated: 1 month ago
সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির অভিশংসন সম্ভব?
Created: 1 month ago
A
৫১নং অনুচ্ছেদ
B
৫৩নং অনুচ্ছেদ
C
৫২নং অনুচ্ছেদ
D
৫৪নং অনুচ্ছেদ
বাংলাদেশের সংবিধানে রাষ্ট্রপতির অভিশংসন সম্পর্কিত বিধান অনুচ্ছেদ ৫২(১)-এ উল্লেখ করা হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি যদি সংবিধান লঙ্ঘন করেন বা গুরুতর অসদাচরণে লিপ্ত হন, তবে সংসদ তাকে অভিশংসন করতে পারে। এ জন্য নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়।
প্রধান বিষয়গুলো হলো:
-
অভিশংসনের অভিযোগ আনার জন্য সংসদের মোট সদস্যসংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের স্বাক্ষরসহ প্রস্তাবের নোটিশ স্পিকারের নিকট জমা দিতে হবে।
-
নোটিশ জমা দেওয়ার ১৪ দিনের আগে বা ৩০ দিনের পরে প্রস্তাবটি আলোচনার জন্য উত্থাপন করা যাবে না।
-
যদি সংসদ অধিবেশনরত না থাকে, তবে স্পিকার অবিলম্বে সংসদ আহ্বান করবেন।
রাষ্ট্রপতি সম্পর্কিত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অনুচ্ছেদগুলো হলো:
-
অনুচ্ছেদ ৫১: রাষ্ট্রপতির দায়মুক্তি
-
অনুচ্ছেদ ৫৩: অসামর্থ্যের কারণে রাষ্ট্রপতির অপসারণ
-
অনুচ্ছেদ ৫৪: রাষ্ট্রপতির অনুপস্থিতি বা সাময়িক অক্ষমতার ক্ষেত্রে স্পিকারের দায়িত্বগ্রহণ
0
Updated: 1 month ago