সংসদ-কক্ষের সামনের দিকের আসনগুলোকে কী বলা হয়?
A
মিডিয়া বেঞ্চ
B
সরকারি বেঞ্চ
C
পাবলিক বেঞ্চ
D
ট্রেজারি বেঞ্চ
উত্তরের বিবরণ
ট্রেজারি বেঞ্চ হলো সংসদের সামনের সারির আসন, যেখানে সরকারি দলের মন্ত্রী ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিগণ বসেন। এটি সংসদ কক্ষে স্পীকারের আসনের ডানদিকে অবস্থিত এবং সরকারি দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত।
-
সংসদ কক্ষের সামনের দিকের আসনগুলোকে ট্রেজারি বেঞ্চ বলা হয়।
-
সরকারি দলের মন্ত্রী ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিগণ সামনের সারিতে বসেন।
-
ট্রেজারি বেঞ্চকে ফ্রন্ট বেঞ্চ হিসেবেও উল্লেখ করা হয়।
-
এর বিপরীত দিকে, সামনের সারিতে বসেন বিরোধী দলের নেতা, উপনেতা, হুইপ ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
-
সংসদে সরকারি ও বিরোধী দলের যে সদস্যরা পেছনের সারিতে বসেন, তাদের বলা হয় ব্যাকবেঞ্চার।
-
এই সদস্যগণ সরকারি দলের মন্ত্রী বা গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত নয় এবং বিরোধী দলের নেতৃস্থানীয়ও নয়।
-
তাই সংসদের আসন ব্যবস্থায় তাঁরা পেছনের সারিতে বসেন।
-
0
Updated: 1 month ago
জুলাই ঘোষণাপত্রে কয়টি দফা রয়েছে?
Created: 2 months ago
A
২০টি
B
২২টি
C
২৪টি
D
২৮টি
জুলাই ঘোষণাপত্র
-
জুলাই ঘোষণাপত্র হলো ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানের একটি দলিল, যার মাধ্যমে ওই গণ-অভ্যুত্থানকে রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হবে।
-
৫ই আগস্ট, ২০২৫, রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ‘৩৬ জুলাই উদ্যাপন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণাপত্রটি পাঠ করেন।
-
ঘোষণাপত্রের মূল বিষয়বস্তু হলো বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে জনগণের নিরন্তর সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরা।
-
এতে মোট ২৮টি দফা রয়েছে, যা গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাগুলোকে স্পষ্টভাবে প্রকাশ করে।
‘জুলাই ঘোষণাপত্র’-এর গুরুত্বপূর্ণ ২৮টি দফার সারাংশ:
১. ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের চেতনা ও গণপ্রতিরোধের ইতিহাস।
২. জাতীয় মুক্তির মূলনীতি—সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার।
৩. ১৯৭২ সালের সংবিধানের দুর্বলতা ও রাজনৈতিক ব্যর্থতা।
৪. বাকশাল ও একদলীয় শাসনের বিরুদ্ধে ৭ নভেম্বর বিপ্লব।
৫. সামরিক স্বৈরতন্ত্রবিরোধী ৯০’র গণঅভ্যুত্থানের গুরুত্ব।
৬. ১/১১ ষড়যন্ত্র ও ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হওয়া।
৭. বিগত ১৬ বছরের স্বৈরাচারী শাসনের চিত্র ও ক্ষমতার অপব্যবহার।
৮. গণহত্যা, গুম-খুন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ এবং প্রতিষ্ঠান ধ্বংস।
৯. বাংলাদেশকে ব্যর্থ ও মাফিয়া রাষ্ট্রে রূপান্তরের অভিযোগ।
১০. দুর্নীতি, ব্যাংক লুট ও পরিবেশবিনাশের চিত্র।
১১. জনগণের ওপর দীর্ঘ দমনপীড়নের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক সংগ্রাম।
১২. বিদেশী আধিপত্যবিরোধী আন্দোলন দমন ও রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন।
১৩. তিনটি প্রহসনের নির্বাচনে ভোটাধিকার থেকে জনগণকে বঞ্চিত করা।
১৪. বৈষম্যমূলক নিয়োগ নীতি ও তরুণদের প্রতি নিপীড়নের অভিযোগ।
১৫. নিপীড়নের ফলে জনরোষ ও ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের উত্থান।
১৬. কোটা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলনের ওপর বর্বরতা।
১৭. নারী-শিশুসহ এক হাজারের বেশি মানুষ হত্যার অভিযোগ।
১৮. ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের প্রেক্ষাপট।
১৯. গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণের সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা।
২০. ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আইনি ভিত্তি।
২১. ফ্যাসিবাদমুক্ত রাষ্ট্র গঠনে সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণ।
২২. সুশাসন, আইনের শাসন ও সাংবিধানিক সংস্কারে জনগণের প্রতিশ্রুতি।
২৩. গুম-খুন, গণহত্যা ও মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচারের ঘোষণা।
২৪. আন্দোলনকারীদের সুরক্ষা ও শহীদদের জাতীয় বীর ঘোষণা।
২৫. অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ভবিষ্যতের পথ নির্ধারণ।
২৬. জলবায়ু ও পরিবেশসহ টেকসই উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি।
২৭. ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান।
২৮. ঘোষণাপত্রকে গণঅভ্যুত্থান বিজয়ের চূড়ান্ত দলিল হিসেবে ঘোষণা।
তথ্যসূত্র: জুলাই ঘোষণাপত্র
0
Updated: 2 months ago
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা প্রথমবারের মতো উত্তোলন করেন-
Created: 1 month ago
A
নূরুল আমিন
B
আ স ম আব্দুর রব
C
সিরাজ চৌধুরী
D
আ স ম সোহরাওয়ার্দী
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা স্বাধীনতা ও জাতীয় পরিচয়ের প্রতীক হিসেবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি প্রথমবার উত্তোলিত হয় স্বাধীনতার আগেই, যা পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গণমানুষের প্রত্যাখ্যানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়।
-
জাতীয় পতাকা প্রথম উত্তোলন হয় ২রা মার্চ, ১৯৭১।
-
স্থান ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের পশ্চিম দিকের গেটে।
-
উত্তোলন করেন ছাত্রনেতা আ. স. ম. আবদুর রব।
-
এই উত্তোলন বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা ঘোষণার পূর্বেই পাকিস্তান রাষ্ট্রকে প্রত্যাখ্যানের অংশ ছিল।
-
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পটুয়া কামরুল হাসানকে দায়িত্ব দেন জাতীয় পতাকার নকশা চূড়ান্ত করার জন্য।
-
পটুয়া কামরুল হাসানের হাতেই বর্তমান জাতীয় পতাকা চূড়ান্ত রূপ লাভ করেছে।
0
Updated: 1 month ago
জাতীয় স্মৃতিসৌধের স্তম্ভগুলো দ্বারা কোন সময়কালকে প্রতীকায়িত করা হয়েছে?
Created: 1 month ago
A
১৯৪৭-১৯৭১
B
১৯৫২-১৯৭১
C
১৯৫০-১৯৭১
D
১৯৬২-১৯৭১
জাতীয় স্মৃতিসৌধ
-
জাতীয় স্মৃতিসৌধ অবস্থিত ঢাকা থেকে প্রায় ২৫ কি. মি. দূরে, সাভার থানার নবীনগরে।
-
এটি নির্মাণ করা হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে চিরস্মরণীয় করে রাখার জন্য।
-
স্মৃতিসৌধের উচ্চতা ১৫০ ফুট।
-
নির্মাণ কাজ ১৯৮২ সালের আগস্ট মাসে সম্পন্ন হয়।
-
মূল কাঠামোর নকশা তৈরি করেন স্থপতি মইনুল হোসেন।
-
মূল সৌধ গঠিত কংক্রিট নির্মিত ৭ টি ত্রিভূজাকৃতির স্তম্ভ দিয়ে।
-
স্মৃতিসৌধে স্বাধীনতা আন্দোলনের পরিক্রমা হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে সাতটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা:
-
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন
-
১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন
-
১৯৫৬ সালের শাসনতন্ত্র আন্দোলন
-
১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন
-
১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন
-
১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যূত্থান
-
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ
-
0
Updated: 1 month ago