নিচের কোনটি চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত নয়?
A
সুশাসনের জন্য নাগরিক
B
আইন ও সালিশ কেন্দ্র
C
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
D
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি
উত্তরের বিবরণ
চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠী হলো এমন একটি গোষ্ঠী যার সদস্যগণ সমজাতীয় মনোভাব এবং স্বার্থের দ্বারা একে অপরের সাথে আবদ্ধ থাকে। এদের মূল লক্ষ্য হলো সরকারি নীতি ও সিদ্ধান্তকে নিজেদের অনুকূলে প্রভাবিত করা এবং এর মাধ্যমে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করা, বড় বা জাতীয় কোনো লক্ষ্য থাকে না।
-
লক্ষ্য: সরকারি নীতিকে প্রভাবিত করা।
-
সদস্য সংখ্যা: রাজনৈতিক দলের তুলনায় সাধারণত কম এবং অভিন্ন স্বার্থের ভিত্তিতে সদস্যরা ঐক্যবদ্ধ থাকে।
উদাহরণস্বরূপ চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠী:
-
আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা
-
এনজিও
-
সুশীল সমাজ
-
বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন
-
আইন ও সালিশ কেন্দ্র
-
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)
-
সুশাসনের জন্য নাগরিক
-
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট চাপ সৃষ্টিকারী গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত নয়।
0
Updated: 1 month ago
সমুদ্রগুপ্তের রাজত্বকালে সমতট কোন ধরনের রাজ্য ছিল?
Created: 1 month ago
A
করদ
B
পরাধীন
C
বিচ্ছিন্ন
D
পূর্ণাঙ্গ
সমুদ্রগুপ্তের রাজত্বকালে সমতট একটি করদ রাজ্য হিসেবে বিদ্যমান ছিল। করদ রাজ্য বলতে সাধারণত সেই সামন্ত রাজ্যকে বোঝানো হয়, যা অন্য কোনো রাজ্যের সঙ্গে যুদ্ধে পরাজিত হলে জয়ী রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। পরাজিত রাজা সামন্ত রাজা হিসেবে জয়ী রাজার অধীনে ক্ষমতায় থাকে, এবং সাধারণত এক চুক্তির মাধ্যমে তার শাসনধারা বজায় থাকে।
-
করদ রাজ্য: ইতিহাসে করদ রাজ্য বলতে সামন্ত রাজ্য বোঝানো হয়। যুদ্ধে হেরে যাওয়া রাজাকে জয়ী রাজার সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে ক্ষমতায় রাখা হত। পরাজিত রাজাকে সামন্ত রাজা বলা হত।
-
সমুদ্রগুপ্ত: গুপ্ত বংশের শ্রেষ্ঠ সম্রাট, যিনি চন্দ্রগুপ্তের মৃত্যুর পর পাটালিপুত্রের সিংহাসনে আরোহণ করেন। তাঁকে প্রাচীন ভারতের নেপোলিয়ান বলা হয়। সমুদ্রগুপ্তের রাজত্বকালে সমগ্র বাংলা জয় করা হলেও সমতট করদ রাজ্য হিসেবে রয়ে যায়। এলাহাবাদ প্রশস্তিলিপি অনুযায়ী, তিনি সমতট ব্যতীত বাংলার অন্যান্য জনপদকে সাম্রাজ্যভুক্ত করেন। তাঁর বিস্তীর্ণ সাম্রাজ্যের পূর্বতন রাজ্য ছিল নেপাল, কর্তৃপুর (পরিচয় বিতর্কিত), কামরূপ, ডবাক (আসাম বা ঢাকা), এবং সমতট। কালক্রমে সমতটও গুপ্ত সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়।
-
সমতট: দক্ষিণ-পূর্ব বাংলার প্রাচীন জনপদ। বর্তমান ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কিছু অংশ, এবং বাংলাদেশের বৃহত্তর কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চল সমতট নামে পরিচিত ছিল।
-
সমতটের অবস্থান ছিল মেঘনা পূর্ববর্তী কুমিল্লা-নোয়াখালীর সমতল অঞ্চলে, এবং ত্রিপুরাকে এর প্রধান কেন্দ্র বলা হতো।
-
৭ম শতকে রাজা রাজভট্টের অন্যতম রাজধানী ছিল বড়োকামতা।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৪(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রজাতন্ত্রের জাতীয় সঙ্গীত 'আমার সোনার বাংলা'র প্রথম কত চরণ নেওয়া হয়?
Created: 1 month ago
A
৮
B
১০
C
১২
D
১৪
বাংলাদেশের সংবিধানের প্রথম ভাগ, ৪ নং অনুচ্ছেদে দেশের জাতীয় সঙ্গীত, পতাকা ও প্রতীক সম্পর্কিত বিধানাবলী সংরক্ষিত আছে।
-
জাতীয় সঙ্গীত: প্রজাতন্ত্রের জাতীয় সঙ্গীত হলো **‘আমার সোনার বাংলা’**র প্রথম দশ চরণ।
-
জাতীয় পতাকা: সবুজ ক্ষেত্রের উপর স্থাপিত রক্তবর্ণের একটি ভরাট বৃত্ত।
-
জাতীয় প্রতীক: উভয় পার্শ্বে ধান্যশীর্ষবেষ্টিত, পানিতে ভাসমান জাতীয় পুষ্প শাপলা, যার শীর্ষদেশে পাটগাছের তিনটি পরস্পর সংযুক্ত পত্র এবং উভয় পার্শ্বে দুইটি করে তারকা।
-
উপরোক্ত সব দফা-সাপেক্ষে জাতীয় সঙ্গীত, পতাকা ও প্রতীক সম্পর্কিত অন্যান্য বিধানাবলী আইন দ্বারা নির্ধারিত হবে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য সংখ্যা কত ছিল?
Created: 1 month ago
A
৩০ জন
B
৩২ জন
C
৩৪ জন
D
৪০ জন
সংবিধান হলো বাংলাদেশের প্রধান আইন এবং রাষ্ট্রের কাঠামো নির্ধারণকারী দলিল, যা গঠন, গৃহীত ও কার্যকর হওয়ার মাধ্যমে প্রয়োগে আসে।
-
১৯৭২ সালের ১১ এপ্রিল, গণপরিষদের প্রথম অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে সংবিধানের খসড়া প্রণয়নের উদ্দেশ্যে ড. কামাল হোসেনকে আহবায়ক করে ৩৪ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।
-
১৭ এপ্রিল, খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
-
১২ অক্টোবর, খসড়া সংবিধান গণপরিষদে উত্থাপন করা হয়।
-
৪ নভেম্বর, গণপরিষদে বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয়।
-
১৫ ডিসেম্বর, গণপরিষদ সদস্যরা সংবিধানে স্বাক্ষর করেন।
-
সবশেষে ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর, বাংলাদেশের সংবিধান কার্যকর হয়।
0
Updated: 1 month ago