”তুমি হাঁটবে।” - বাক্যটির ভাববাচ্য রূপ কী হবে?
A
তোমাকে হাঁটতে হবে।
B
তুমি হাঁটো।
C
তুমি হাঁটতে থাক।
D
তোমাকে হাঁটবে।
উত্তরের বিবরণ
• কর্তায় প্রথমা বিভক্তি প্রযুক্ত হয় এবং ক্রিয়া কর্তার অনুসারী হয়।
যেমন-
- কর্তৃবাচ্য: তুমি হাঁটবে।
- ভাববাচ্য: তোমাকে হাঁটতে হবে।
- ভাববাচ্য: এবার একটি গান করা হোক।
- কর্তৃবাচ্য: এবার (তুমি) একটি গান কর।
- ভাববাচ্য: তার যেন আসা হয়।
- কর্তৃবাচ্য: সে যেন আসে।
উল্লেখ্য,
• কর্তৃবাচ্য: যে বাক্যের ক্রিয়া কর্তাকে অনুসরণ করে, তাকে কর্তাবাচ্য বলে।
• ভাববাচ্য: যে বাক্যের ক্রিয়া-বিশেষ্য বাক্যের ক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে, তাকে ভাববাচ্য বলে।

0
Updated: 1 day ago
কোনটি দন্ত্য ব্যঞ্জন?
Created: 1 week ago
A
ত
B
ন
C
ল
D
র
দন্ত্য ব্যঞ্জনধ্বনি হলো সেইসব ধ্বনি, যেগুলো উচ্চারণ করতে জিভের ডগা উপরের দাঁতের সঙ্গে মিলিত হয়ে বায়ুপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে। এ কারণে এগুলোকে দন্ত্য ব্যঞ্জন বলা হয়।
-
দন্ত্য ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময় জিভের ডগা দাঁতের সঙ্গে ঠেকে যায়।
-
উদাহরণ: ত, থ, দ, ধ – যেমন তাল, থালা, দাদা, ধান।
অন্যদিকে, জিভ দাঁতের গোড়া বা মূলে ঠেকালে যে ব্যঞ্জনধ্বনি সৃষ্টি হয়, তাকে বলা হয় দন্তমূলীয় ব্যঞ্জন।
-
উদাহরণ: ন, র, ল, স – যেমন নানা, রাত, লাল, সালাম।

0
Updated: 1 week ago
'লাটাই' কোন ভাষার শব্দ?
Created: 1 week ago
A
সংস্কৃত
B
দেশি
C
হিন্দি
D
তুর্কি
• দেশি শব্দ:
বাংলা অঞ্চলের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ভাষা থেকে কিছু শব্দ বাংলা ভাষায় স্থান পেয়েছে, এগুলোকে দেশি শব্দ বলা হয়।
উদাহরণ: কুড়ি, পেট, চুলা, কুলা, ডাব, টোপর, ঢেঁকি ইত্যাদি।
বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান অনুসারে,
• লাটাই (বিশেষ্য পদ),
- এটি দেশি ভাষার শব্দ।
অর্থ: তাঁত বোনার বা ঘুড়ির সুতা জড়ানোর কাটিম, নাটাই।
উৎস: বাংলা একাডেমি, আধুনিক বাংলা অভিধান এবং বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিত, নবম-দশম শ্রেণি (২০২১ সংস্করণ)।

0
Updated: 1 week ago
'তোয়ালে এবং পাউরুটি' শব্দ দুটি বাংলা ভাষা গ্রহণ করেছে
Created: 2 weeks ago
A
তৎসম ভাষা হতে
B
আরবি ভাষা হতে
C
পর্তুগিজ ভাষা হতে
D
ওলন্দাজ ভাষা হতে
🔎 বাখ্যা:
-
বাংলা ভাষায় বিদেশি ভাষা থেকে বহু শব্দ এসেছে। তার মধ্যে পর্তুগিজ ভাষা থেকেও বেশ কিছু শব্দ বাংলা শব্দভাণ্ডারে স্থায়ীভাবে জায়গা করে নিয়েছে।
-
যেমন: তোয়ালে ও পাউরুটি সরাসরি পর্তুগিজ ভাষা থেকে এসেছে।
-
শুধু তাই নয়, আরও অনেক দৈনন্দিন ব্যবহৃত শব্দ যেমন—কামরা, গির্জা, গুদাম, আনারস, চাবি, জানালা, পাদ্রি, পেয়ারা, বালতি, বোতল, বোতাম—এসবও পর্তুগিজ ভাষা থেকে আগত।
-
এভাবে দেখা যায়, বিদেশি সংস্পর্শ ও বাণিজ্যের কারণে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধ হয়েছে এবং নতুন নতুন শব্দে ভাণ্ডার প্রসারিত হয়েছে।
সুতরাং “তোয়ালে, পাউরুটি” সহ উপরের শব্দগুলো পর্তুগিজ উৎসজাত শব্দ।

0
Updated: 2 weeks ago