”গাঁয়ে মানে না, আপনি মোড়ল।“ - বাক্যটিতে ”গাঁয়ে” শব্দটি কোন কারকে কোন বিভক্তি?
A
কর্তৃকারকে শূন্য
B
করণকারকে সপ্তমী
C
কর্তৃকারকে সপ্তমী
D
করণকারকে শূন্য
উত্তরের বিবরণ
• কর্তৃ কারক:
- ক্রিয়া যার দ্বারা সম্পাদিত হয়, তাকে কর্তাকারক বলে। বাক্যের কর্তা বা উদ্দেশ্যই কর্তা কারক।
• কর্তৃকারকে বিভিন্ন বিভক্তির ব্যবহার:
- প্রথমা শূন্য বা অ বিভক্তি : হামিদ বই পড়ে।
- দ্বিতীয়া বা কে বিভক্তি: বশিরকে যেতে হবে।
- তৃতীয়া বা দ্বারা বিভক্তি: ফেরদৌসী কর্তৃক শাহনামা রচিত হয়েছে।
- ষষ্ঠী বা র বিভক্তি: আমার যাওয়া হয়নি।
- সপ্তমী বা এ বিভক্তি: গাঁয়ে মানে না, আপনি মোড়ল।

0
Updated: 1 day ago
”বিদ্বানকে সকলেই আদর করে।” বাক্যটির কর্মবাচ্য রূপ কী হবে?
Created: 8 hours ago
A
বিদ্বান সকলের দ্বারা আদৃত হয়।
B
বিদ্বানকে সকলে আদৃত করে।
C
বিদ্বান সকলের দ্বারা আদৃত হন।
D
বিদ্বানকে সকলে সমাদৃত করে।
• কর্তৃবাচ্য থেকে কর্মবাচ্য
- কর্তৃবাচ্যের বাক্যকে কর্মবাচ্যে পরিবর্তিত করতে হলে-
- কর্তায় তৃতীয়া , কর্মে প্রথমা বা শূন্য বিভক্তি এবং ক্রিয়া কর্মের অনুসারী হয়।
যেমন:
• কর্তৃবাচ্য: বিদ্বানকে সকলেই আদর করে।
• কর্মবাচ্য: বিদ্বান সকলের দ্বারা আদৃত হন।
• কর্তৃবাচ্য: খোদাতায়ালা বিশ্বজগৎ সৃষ্টি করেছেন।
• কর্মবাচ্য: বিশ্বজগৎ খোদাতায়ালা কর্তৃক সৃষ্ট হয়েছে।
• কর্তৃবাচ্য: মুবারক পুস্তক পাঠ করছে।
• কর্মবাচ্য: মুবারক কর্তৃক পুস্তক পঠিত হচ্ছে।

0
Updated: 8 hours ago
'ঋ' এর উচ্চারণস্থান কোনটি?
Created: 1 week ago
A
ওষ্ঠ্য
B
দন্ত্য
C
মূর্ধা
D
কণ্ঠ্য
বাংলা স্বরবর্ণ ঋ [রি]
-
অবস্থান: বাংলা ভাষার সপ্তম স্বরবর্ণ।
-
উচ্চারণস্থান: মূর্ধা।
উচ্চারণের নিয়ম:
-
স্বাধীন ব্যবহারে: শব্দের শুরুতে কোনো বর্ণের সঙ্গে যুক্ত না হয়ে ব্যবহৃত হলে উচ্চারণ হয় 'রি'।
-
উদাহরণ: ঋণ, ঋষি
-
-
যদি অন্য বর্ণের সঙ্গে যুক্ত হয়: তখন ঋ-এর উচ্চারণ হয় র-ফলা।
-
উদাহরণ:
-
হৃদয় → হ্রিদয়
-
আদৃত → আদ্রিত
-
-
উচ্চারণস্থানের ভিত্তিতে ব্যঞ্জনবর্ণের বিভাজন:
বাকপ্রত্যঙ্গের সেই অংশ যেখানে বায়ু বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ব্যঞ্জনধ্বনি সৃষ্টি হয়, সেটিই উচ্চারণস্থান। এর উপর ভিত্তি করে ব্যঞ্জনধ্বনিকে ভাগ করা হয়:
-
ওষ্ঠ্য ব্যঞ্জন
-
দন্ত্য ব্যঞ্জন
-
দন্তমূলীয় ব্যঞ্জন
-
মূর্ধন্য ব্যঞ্জন
-
তালব্য ব্যঞ্জন
-
কণ্ঠ্য ব্যঞ্জন
-
কণ্ঠনালীয় ব্যঞ্জন
উৎস:
-
অভিগম্য অভিধান
-
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি, নবম-দশম শ্রেণি (২০২২ সংস্করণ)

0
Updated: 1 week ago
“ঘরজামাই” কোন ধরনের সমাস?
Created: 8 hours ago
A
রূপক কর্মধারয়
B
মধ্যপদলোপী কর্মধারয়
C
উপমিত কর্মধারয়
D
উপমান কর্মধারয়
“ঘরজামাই” হচ্ছে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস।
কিছু কর্মধারয় সমাসে সমস্যমান পদের মধ্যবর্তী এক বা একাধিক পদ লোপ পায়। এগুলো মধ্যপদলোপী কর্মধারয় নামে পরিচিত।
যেমন-
ঘি মাখানো ভাত = ঘিভাত,
হাতে পরা হয় যে ঘড়ি = হাতঘড়ি,
ঘরে আশ্রিত জামাই = ঘরজামাই,
বিজয় নির্দেশক পতাকা = বিজয়-পতাকা।
• কর্মধারয় সমাস
• যে সমাসে পরপদের অর্থ প্রাধান্য পায়, তাকে কর্মধারয় সমাস বলে।
- যেমন গোলাপ নামের ফুল = গোলাপফুল,
- যা কাঁচা তাই মিঠা = কাঁচা-মিঠা।
• কিছু কর্মধারয় সমাসে উপমেয় পদের সাথে উপমান পদের অভেদ কল্পনা করা হয়। এগুলোকে রূপক কর্মধারয় সমাস বলে। যেমন
- বিষাদ রূপ সিন্ধু = বিষাদসিন্ধু,
- মন রূপ মাঝি = মনমাঝি।
• যার সঙ্গে তুলনা করা হয়, তা উপমান। কিছু কর্মধারয় সমাসে উপমানের
উৎস: বাংলা ভাষার ব্যাকরণ- ৯ম ও ১০ম শ্রেণি (২০২৫ সংস্করণ)।

0
Updated: 8 hours ago