নিচের কোনটি সংযোগ ক্রিয়ার উদাহরণ?
A
কমে আসা
B
এগিয়ে চলা
C
পেয়ে বসা
D
বৃদ্ধি পাওয়া
উত্তরের বিবরণ
• সংযোগ ক্রিয়ার উদাহরণ = বৃদ্ধি পাওয়া।
- বিশেষ্য, বিশেষণ বা ধ্বন্যাত্মক শব্দের পরে করা, কাটা, হওয়া, দেওয়া, ধরা, পাওয়া, খাওয়া, মারা প্রভৃতি ক্রিয়া যুক্ত হয়ে সংযোগ ক্রিয়া গঠিত হয়।
অন্যদিকে,
- কমে আসা, এগিয়ে চলা, পেয়ে বসা, ইত্যাদি যৌগিক ক্রিয়ার উদাহরণ।
উল্লেখ্য,
• যৌগিক ক্রিয়া:
- অসমাপিকা ক্রিয়ার সঙ্গে সমাপিকা ক্রিয়া যুক্ত হয়ে যখন একটি ক্রিয়া গঠন করে, তখন তাকে যৌগিক ক্রিয়া বলে।

0
Updated: 1 day ago
'লাপাত্তা' শব্দের 'লা' উপসর্গটি বাংলা ভাষায় এসেছে-
Created: 3 months ago
A
আরবি ভাষা থেকে
B
ফরাসি ভাষা থেকে
C
হিন্দি ভাষা থেকে
D
উর্দু ভাষা থেকে
না বা অভাবসূচক ‘লা’ আরবি উপসর্গ
বাংলা ভাষায় ‘না’ বা অভাব বোঝাতে ব্যবহৃত ‘লা’ উপসর্গটি আরবি ভাষা থেকে আগত। এটি মূলত কোনো কিছুর অনুপস্থিতি বা অভাবের অর্থ বহন করে। উদাহরণস্বরূপ:
-
লাপাত্তা (অদৃশ্য বা হারিয়ে যাওয়া)
-
লাজওয়াব (যার সমতুল্য নেই)
-
লাখেরাজ (জ্বরের এক ধরনের)
-
লাওয়ারিশ (যার কোনো দায়বদ্ধ ব্যক্তি নেই)
বাংলা ভাষায় বিদেশি উপসর্গের প্রভাব
বাংলা ভাষায় আরবি, ফারসি, ইংরেজি, হিন্দি সহ বিভিন্ন ভাষার শব্দ ও উপসর্গ দীর্ঘদিন ধরে সংযুক্ত হয়ে প্রচলিত। এর ফলে বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ হয়েছে এবং বিভিন্ন বিদেশি উপসর্গও বাংলা শব্দের অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
বিদেশি উপসর্গের শ্রেণীবিভাগ:
-
আরবি উপসর্গ:
যেমন - আম, খাস, লা, গর, বাজে, খয়ের।
এগুলো সাধারণত শব্দের অর্থ নির্ধারণে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। -
ফারসি উপসর্গ:
যেমন - কার, দর, না, নিম, ফি, বদ, বে, বর, ব, কম।
ফারসির উপসর্গগুলো বাংলায় বিভিন্ন ভাববৈচিত্র্য সৃষ্টি করে। -
উর্দু উপসর্গ:
যেমন - হর।
এটি বাংলা ভাষায় কিছু বিশেষ শব্দে ব্যবহৃত হয়। -
ইংরেজি উপসর্গ:
যেমন - হেড, সাব, ফুল, হাফ।
আধুনিক ইংরেজি শব্দের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বাংলায় ব্যবহার হচ্ছে।
উপসংহার
বাংলা ভাষা একটি বহুভাষিক মিশ্রণ যা আরবি, ফারসি, উর্দু ও ইংরেজিসহ বিভিন্ন বিদেশি ভাষার উপসর্গ ও শব্দ গ্রহণ করে নিজের ভাষাসমৃদ্ধি বৃদ্ধি করেছে। এই উপসর্গগুলো বাংলা শব্দের অর্থ ও গঠনকে বিশেষ বৈশিষ্ট্য প্রদান করে এবং ভাষাকে আরও প্রাঞ্জল ও বৈচিত্র্যময় করে তোলে।
সূত্র:
-
ভাষা-শিক্ষা, ড. হায়াৎ মামুদ
-
বাংলা ভাষার ব্যাকরণ, নবম-দশম শ্রেণি (২০১৯ সংস্করণ)

0
Updated: 3 months ago
তখনকার দিনে পায়ে হেঁটে চলতে হতো মাইলের পর মাইল। নিম্নরেখ শব্দ কোন কারকের উদাহরণ?
Created: 1 day ago
A
অপাদান কারক
B
করণ কারক
C
কর্ম কারক
D
সম্বন্ধ কারক
• সম্বন্ধ কারক:
- যে কারকে বিশেষ্য ও সর্বনামের সঙ্গে বিশেষ্য ও সর্বনামের সম্পর্ক নির্দেশিত হয়, তাকে সম্বন্ধ কারক বলে।
- এই কারকে ক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক পরোক্ষ। এই কারকে শব্দের সঙ্গে '-র', -এর',
'-য়ের', '-কার',
'-কের' ইত্যাদি বিভক্তি যুক্ত হয়।
যেমন -
- ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না।
- আমার জামার বোতামগুলো একটু অন্য রকম।
- তখনকার দিনে পায়ে হেঁটে চলতে হতো মাইলের পর মাইল।

0
Updated: 1 day ago
কোনটি ব্যতিহার বহুব্রীহির উদাহরণ?
Created: 2 weeks ago
A
দোতলা
B
অজানা
C
আশীবিষ
D
হাতাহাতি
বাখ্যা:
-
বহুব্রীহি সমাস হলো এমন সমাস যেখানে পূর্বপদ বা পরপদের অর্থ সরাসরি বোঝা যায় না; বরং তা অন্য কোনো অর্থ প্রকাশ করে।
-
উদাহরণ: বউভাত → বউ + ভাত, কিন্তু পুরো মিলনে এটি বউ ভাত পরিবেশন করে যে অনুষ্ঠান বোঝায়।
-
-
ব্যতিহার বহুব্রীহি হলো বহুব্রীহি সমাসের এক ধরন, যেখানে পারস্পরিক ক্রিয়ার মাধ্যমে কোনো অবস্থা বা ক্রিয়া বোঝানো হয়।
-
উদাহরণসমূহ:
-
হাতাহাতি → হাতে হাতে যে যুদ্ধ
-
কানাকানি → কানে কানে যে কথা
-
গলাগলি → গলায় গলায় যে মিলন
-
লাঠালাঠি → লাঠিতে লাঠিতে যে সংঘর্ষ
-
হাসাহাসি → হাসতে হাসতে যে ক্রিয়া
-
-
সুতরাং, বহুব্রীহি সমাস মূলত অর্থ বহন করে না সরাসরি, বরং সমগ্র শব্দগঠন থেকেই বিশেষ অর্থ বোঝায়, এবং ব্যতিহার বহুব্রীহি তার মধ্যে পারস্পরিক ক্রিয়ার অবস্থা বোঝায়।

0
Updated: 2 weeks ago