মূল্যবোধ পরীক্ষা করে -
A
ভালো ও মন্দ
B
ন্যায় ও অন্যায়
C
নৈতিকতা ও অনৈতিকতা
D
উপরের সবগুলোই
উত্তরের বিবরণ
মূল্যবোধ
-
মূল্যবোধের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Value।
-
যেসব চিন্তা-ভাবনা, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, সংকল্প ও আদর্শ মানুষের আচার-আচরণ ও কর্মকাণ্ডকে পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত করে, তাদের সমষ্টিকেই মূল্যবোধ বলা হয়।
-
মূল্যবোধ দ্বারা ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়, নৈতিকতা-অনৈতিকতা, সততা, সৌজন্যবোধ, শিষ্টাচার, সহনশীলতা, সহমর্মিতা ইত্যাদি নির্ধারিত হয়।
-
আমাদের চিরন্তন মূল্যবোধ হলো সত্য ও ন্যায়।
-
স্বার্থপরতা, শঠতা, অসহিষ্ণুতা ইত্যাদি হলো চিরন্তন মূল্যবোধের পরিপন্থী।

0
Updated: 1 day ago
'বিপরীত বৈষম্য'-এর নীতিটি প্রয়োগ করা হয় -
Created: 2 weeks ago
A
নারীদের ক্ষেত্রে
B
সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে
C
প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে
D
পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে
বিপরীত বৈষম্য (Reverse Discrimination):
সমতার প্রসঙ্গে “বিপরীত বৈষম্য” ধারণাটি গুরুত্বপূর্ণ। সমাজের মধ্যে অনেক সময় কিছু গোষ্ঠী অন্যান্যদের তুলনায় পিছিয়ে থাকে। তাদের সমান অবস্থায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরকার বা প্রতিষ্ঠান প্রায়শই অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে।
বাইরের দৃষ্টিতে এটি হয়তো বৈষম্য বলে মনে হতে পারে, কিন্তু মূল উদ্দেশ্য হলো পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সমতার নিশ্চয়তা। এই নীতিকেই আমরা ‘বিপরীত বৈষম্য’-এর নীতি বলি।
সুতরাং, পিছিয়ে পড়া বা সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে এই নীতি প্রয়োগ করা হয়।
উৎস: নীতিবিদ্যা, এসএসএইচএল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 2 weeks ago
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভিত্তি কোনটি?
Created: 1 day ago
A
উপযোগবাদ
B
ভাববাদ
C
উদারতাবাদ
D
পূর্ণতাবাদ
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভিত্তি হলো উদারতাবাদ।
এর ফলে রাজনৈতিক সততা, শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধ, রাজনৈতিক সহনশীলতা, পরমতসহিষ্ণুতা গড়ে ওঠে।
সংখ্যাগরিষ্ঠের মতের প্রতি সংখ্যালঘিষ্ঠের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন এবং সংখ্যালঘিষ্ঠের মতের প্রতি সংখ্যাগরিষ্ঠের সহিষ্ণু আচরণ নিশ্চিত হয়।
বিরোধী মতকে প্রচার ও প্রসারের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
নির্বাচনে জয়-পরাজয়কে মেনে নেওয়ার মানসিকতা তৈরি হয়।
ফলস্বরূপ সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে উত্তেজনা প্রশমিত হয়।
উদারতাবাদ (Liberalism):
উদারতাবাদ হলো সেই মতবাদ, যা ব্যক্তির স্বাধীন চিন্তা ও মত প্রকাশের ওপর গুরুত্ব দেয়।
ব্যক্তিগত সম্পত্তির অধিকারকে ব্যক্তিত্ব বিকাশের উপায় হিসেবে বিবেচনা করে এবং রাষ্ট্রের কার্যাবলী সীমিত করতে চায়।
এটি মানুষের প্রগতি ও মুক্তির পথে থাকা বাঁধা-বিপত্তি দূর করার দাবি নিয়ে গড়ে ওঠা আন্দোলন।
উদারতাবাদ মানুষের অন্তর্নিহিত শক্তি ও সম্ভাবনার বিকাশ ঘটিয়ে তাকে তার নিজস্ব সত্ত্বায় প্রতিষ্ঠিত করার প্রয়াস।
এটি কেবল রাজনৈতিক জীবনেই সীমিত নয়; বরং অর্থনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় জীবনকেও অন্তর্ভুক্ত করে মানবতার সার্বিক কল্যাণ ও মুক্তির লক্ষ্য সাধন করে।

0
Updated: 1 day ago
জাতিসংঘের অভিমত অনুসারে সুশাসনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো -
Created: 2 weeks ago
A
দারিদ্র বিমোচন
B
মৌলিক অধিকার রক্ষা
C
মৌলিক স্বাধীনতার উন্নয়ন
D
নারীদের উন্নয়ন ও সুরক্ষা
জাতিসংঘ ও সুশাসন
জাতিসংঘ ১৯৯৭ সালে “Governance and Sustainable Development” শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এই প্রতিবেদনে প্রথমবারের মতো সুশাসনের ধারণা এবং এর গুরুত্ব জাতিসংঘের দৃষ্টিকোণ থেকে তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনের মতে, সুশাসনের মূল লক্ষ্য হলো মানুষের মৌলিক স্বাধীনতা উন্নয়ন করা।
কারণ:
-
যখন মৌলিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়, তখন মানুষ তাদের অধিকার ও স্বাতন্ত্র্য রক্ষা করতে পারে।
-
একই সময়ে, নারীর উন্নয়ন ও সুরক্ষা নিশ্চিত হয়।
-
এর ফলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ঘটে এবং দারিদ্র্য হ্রাস পায়।
জাতিসংঘ সুশাসন প্রয়োগের ক্ষেত্রে ৮টি মূল উপাদান চিহ্নিত করেছে:
-
অংশগ্রহণ
-
মতামতের প্রতি মনোযোগ
-
জবাবদিহিতা
-
স্বচ্ছতা
-
দায়বদ্ধতা
-
কার্যকরী ও দক্ষ প্রশাসন ব্যবস্থা
-
ন্যাযতা
-
আইনের শাসন
উৎস: জাতিসংঘ ওয়েবসাইট

0
Updated: 2 weeks ago