গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভিত্তি কোনটি?
A
উপযোগবাদ
B
ভাববাদ
C
উদারতাবাদ
D
পূর্ণতাবাদ
উত্তরের বিবরণ
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভিত্তি হলো উদারতাবাদ।
এর ফলে রাজনৈতিক সততা, শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধ, রাজনৈতিক সহনশীলতা, পরমতসহিষ্ণুতা গড়ে ওঠে।
সংখ্যাগরিষ্ঠের মতের প্রতি সংখ্যালঘিষ্ঠের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন এবং সংখ্যালঘিষ্ঠের মতের প্রতি সংখ্যাগরিষ্ঠের সহিষ্ণু আচরণ নিশ্চিত হয়।
বিরোধী মতকে প্রচার ও প্রসারের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
নির্বাচনে জয়-পরাজয়কে মেনে নেওয়ার মানসিকতা তৈরি হয়।
ফলস্বরূপ সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে উত্তেজনা প্রশমিত হয়।
উদারতাবাদ (Liberalism):
উদারতাবাদ হলো সেই মতবাদ, যা ব্যক্তির স্বাধীন চিন্তা ও মত প্রকাশের ওপর গুরুত্ব দেয়।
ব্যক্তিগত সম্পত্তির অধিকারকে ব্যক্তিত্ব বিকাশের উপায় হিসেবে বিবেচনা করে এবং রাষ্ট্রের কার্যাবলী সীমিত করতে চায়।
এটি মানুষের প্রগতি ও মুক্তির পথে থাকা বাঁধা-বিপত্তি দূর করার দাবি নিয়ে গড়ে ওঠা আন্দোলন।
উদারতাবাদ মানুষের অন্তর্নিহিত শক্তি ও সম্ভাবনার বিকাশ ঘটিয়ে তাকে তার নিজস্ব সত্ত্বায় প্রতিষ্ঠিত করার প্রয়াস।
এটি কেবল রাজনৈতিক জীবনেই সীমিত নয়; বরং অর্থনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় জীবনকেও অন্তর্ভুক্ত করে মানবতার সার্বিক কল্যাণ ও মুক্তির লক্ষ্য সাধন করে।
0
Updated: 1 month ago
সুশাসনের পূর্বশর্ত কী?
Created: 1 month ago
A
নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা
B
মত প্রকাশের স্বাধীনতা
C
নিরপেক্ষ আইন ব্যবস্থা
D
প্রশাসনের নিরপেক্ষতা
সুশাসনের পূর্বশর্ত
যেকোনো দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম পূর্বশর্ত হলো সুশাসন। সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য কিছু পূর্বশর্ত প্রয়োজন।
সুশাসনের পূর্বশর্তগুলো হলো:
-
আইনের শাসন
-
স্বচ্ছতা
-
জবাবদিহিতা
-
গ্রহণযোগ্যতা
-
দুর্নীতিমুক্ত ও জনবান্ধব প্রশাসন
-
অংশগ্রহণমূলক সরকার ব্যবস্থা
-
মত প্রকাশের স্বাধীনতা / স্বাধীন প্রচারমাধ্যম
-
দায়বদ্ধতা
-
ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ
-
রাজনৈতিক স্বাধীনতার সুরক্ষা
-
অংশগ্রহণের সুযোগ উন্মুক্ততা
-
বাকস্বাধীনতা বা মত প্রকাশের স্বাধীনতা
-
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা
-
বৈধতা
0
Updated: 1 month ago
‘কর্তব্যের জন্য কর্তব্য’-ধারণাটির প্রবর্তক কে?
Created: 1 month ago
A
ইমানুয়েল কান্ট
B
হার্বার্ট স্পেন্সার
C
বার্ট্রান্ড রাসেল
D
অ্যারিস্টটল
ইমানুয়েল কান্টকে আধুনিক নীতিশাস্ত্রে 'কর্তব্যমুখী নৈতিকতার' প্রবর্তক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। তিনি একজন প্রখ্যাত জার্মান নীতিবিজ্ঞানী, যিনি নৈতিকতার মূলনীতিকে কর্মের ফলাফলের চেয়ে কর্মের ধরণ ও উদ্দেশ্যের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তাঁর নীতিবিদ্যার মূল কনসেপ্ট তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দিক নির্দেশ করে: সৎ ইচ্ছা, কর্তব্যের জন্য কর্তব্য এবং শর্তহীন আদেশ। বিশেষভাবে, কান্টের কর্তব্যের নৈতিকতার দর্শন বলে যে কোনো কর্মের মূল্য তার ফলাফলের উপর নয়, বরং সেই কর্মের নৈতিক উদ্দেশ্য এবং স্বভাবের উপর নির্ভর করে। তিনি সততার জন্য সদিচ্ছা এবং কর্তব্যের জন্য কর্তব্যের ধারণার প্রবর্তক।
-
কর্তব্যমুখী নৈতিকতা বা কর্তব্যের নৈতিকতা যে কোনো কর্মের ফলাফলের বদলে কর্মের প্রকৃতির ওপর গুরুত্ব দেয়।
-
সৎ ইচ্ছা হলো নৈতিক ক্রিয়ার মূল ভিত্তি।
-
কর্তব্যের জন্য কর্তব্য বোঝায়, যে কাজ আমরা করি তা শুধুমাত্র নৈতিক দায়বদ্ধতার কারণে করা উচিত।
-
শর্তহীন আদেশ বা কাতেগরিক্যাল ইম্পেরেটিভ নৈতিকতার একটি মূলনীতি, যা নির্দেশ করে যে নৈতিক আইন সবক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
নিশ্চিতভাবে তাঁর নীতিশাস্ত্রের উপর উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হলো:
-
Groundwork for the Metaphysics of Morals
-
Critique of Pure Reason
-
Critique of Practical Reason
-
Critique of Judgement
0
Updated: 1 month ago
সুশাসনের মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয় কোনটিকে?
Created: 1 month ago
A
স্বচ্ছতা
B
আইনের শাসন
C
মানবাধিকার রক্ষা
D
জনকল্যাণ
আইনের শাসন এবং সুশাসন
-
সুশাসনের মূল ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হয় আইনের শাসন।
-
এটি একটি রাষ্ট্র বা সমাজে সুবিচার, ন্যায়বিচার ও সুশৃঙ্খল প্রশাসন নিশ্চিত করে।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ:
-
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত থাকলে সবাই সমানভাবে আইনের আওতায় থাকবে; কেউ আইনের ঊর্ধ্বে থাকবে না।
-
এর ফলে দুর্নীতি হ্রাস পায় এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়।
-
আইনের শাসন ব্যতীত জনগণের মতপ্রকাশ, ভোটাধিকার ও মৌলিক অধিকার সংরক্ষিত থাকতে পারে না।
দ্রষ্টব্য:
-
জনকল্যাণ সুশাসনের একটি লক্ষ্য হতে পারে, তবে এটি একমাত্র ভিত্তি নয়।
0
Updated: 1 month ago