গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভিত্তি কোনটি?
A
উপযোগবাদ
B
ভাববাদ
C
উদারতাবাদ
D
পূর্ণতাবাদ
উত্তরের বিবরণ
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ভিত্তি হলো উদারতাবাদ।
এর ফলে রাজনৈতিক সততা, শিষ্টাচার ও সৌজন্যবোধ, রাজনৈতিক সহনশীলতা, পরমতসহিষ্ণুতা গড়ে ওঠে।
সংখ্যাগরিষ্ঠের মতের প্রতি সংখ্যালঘিষ্ঠের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন এবং সংখ্যালঘিষ্ঠের মতের প্রতি সংখ্যাগরিষ্ঠের সহিষ্ণু আচরণ নিশ্চিত হয়।
বিরোধী মতকে প্রচার ও প্রসারের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
নির্বাচনে জয়-পরাজয়কে মেনে নেওয়ার মানসিকতা তৈরি হয়।
ফলস্বরূপ সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে উত্তেজনা প্রশমিত হয়।
উদারতাবাদ (Liberalism):
উদারতাবাদ হলো সেই মতবাদ, যা ব্যক্তির স্বাধীন চিন্তা ও মত প্রকাশের ওপর গুরুত্ব দেয়।
ব্যক্তিগত সম্পত্তির অধিকারকে ব্যক্তিত্ব বিকাশের উপায় হিসেবে বিবেচনা করে এবং রাষ্ট্রের কার্যাবলী সীমিত করতে চায়।
এটি মানুষের প্রগতি ও মুক্তির পথে থাকা বাঁধা-বিপত্তি দূর করার দাবি নিয়ে গড়ে ওঠা আন্দোলন।
উদারতাবাদ মানুষের অন্তর্নিহিত শক্তি ও সম্ভাবনার বিকাশ ঘটিয়ে তাকে তার নিজস্ব সত্ত্বায় প্রতিষ্ঠিত করার প্রয়াস।
এটি কেবল রাজনৈতিক জীবনেই সীমিত নয়; বরং অর্থনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় জীবনকেও অন্তর্ভুক্ত করে মানবতার সার্বিক কল্যাণ ও মুক্তির লক্ষ্য সাধন করে।

0
Updated: 1 day ago
নৈতিক শক্তির প্রধান উপাদান কি?
Created: 3 weeks ago
A
সততা ও নিষ্ঠা
B
কর্তব্যপরায়ণতা
C
মায়া ও মমতা
D
উদারতা
নৈতিক শক্তির প্রধান উপাদান সততা ও নিষ্ঠা।
নৈতিকতা (Morality):
- Morality শব্দটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ Moralitas থেকে।
- নৈতিকতা হলো মানুষের অন্তর্নিহিত ধ্যান-ধারণার সমষ্টি যা মানুষকে সুকুমার বৃত্তি অনুশীলনে অনুপ্রাণিত করে।
- নৈতিক অনুশাসনের প্রভাবে মানুষ আইন মানে, শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ করে না এবং রাষ্ট্রের অনুশাসনকে শ্রদ্ধা করে।
- বিবেক, চিন্তা, বুদ্ধি ও ন্যায়পরায়ণতা হচ্ছে নৈতিকতার উৎস।
- নৈতিকতা বিকাশের লালন ক্ষেত্র সমাজ।
- নৈতিকতার মানকে আদর্শ করে উপযুক্ত শিক্ষা।
- নৈতিক শক্তির প্রধান উপাদান হলো সততা ও নিষ্ঠা।
- নৈতিকতা বলতে আমরা বুঝি মানুষের সদাচরণ, সচ্চরিত্র, সততা ও নিষ্ঠার বহিঃপ্রকাশ।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রফেসর মোঃ মোজাম্মেল হক।

0
Updated: 3 weeks ago
'Human Society in Ethics and Politics' গ্রন্থের লেখক কে?
Created: 1 week ago
A
প্লেটো
B
রুসাে
C
বার্ট্রান্ড রাসেল
D
জন স্টুয়ার্ট মিল
বার্ট্রান্ড রাসেল ছিলেন একজন বহুমুখী ব্রিটিশ বুদ্ধিজীবী যিনি দর্শন, যুক্তি, গণিত, ইতিহাস, সমাজচিন্তা ও সমাজকর্মে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তিনি কেবল একজন দার্শনিকই নন, বরং অহিংসাবাদী, যুদ্ধবিরোধী এবং সাম্রাজ্যবাদের তীব্র সমালোচক হিসেবেও সুপরিচিত।
১৯৫০ সালে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন, যা তার 'মানবতার আদর্শ ও চিন্তার মুক্তি' প্রসঙ্গে লেখা বহুবিধ গুরুত্বপূর্ণ রচনার স্বীকৃতি হিসেবে গণ্য হয়।
মূল তথ্যগুলো হলো:
-
রাসেল একজন দার্শনিক, যুক্তিবিদ, গণিতবিদ, ইতিহাসবেত্তা, সমাজকর্মী এবং সমাজ সমালোচক ছিলেন।
-
তিনি যুদ্ধবিরোধী ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
-
১৯৫০ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান তার চিন্তাধারা ও মানবিক আদর্শের স্বীকৃতি হিসেবে।
-
রাসেলের মতে, মানুষের মনে এমন কিছু প্রশ্ন জন্ম নেয় যেগুলোর যুক্তিসঙ্গত উত্তর ধর্মতত্ত্বে নেই এবং বিজ্ঞানও এ বিষয়ে তেমন কোনো ব্যস্ততা দেখায় না।
-
দর্শন মূলত সেই ধর্ম ও বিজ্ঞানর মধ্যবর্তী "অনধিকৃত রাজ্য" (No Man's Land)-এ অবস্থান করে।
-
এই কারণে রাসেল দর্শনকে বিজ্ঞানের সীমা ও ধর্মতত্ত্বের বাইরে চলার ক্ষেত্র হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
রাসেলের উল্লেখযোগ্য রচনা সমূহ:
-
The Elements of Ethics
-
Human Society in Ethics and Politics
-
Moral and Others
-
Power: A New Social Analysis
-
Political Ideals
-
Introduction to Mathematical Philosophy

0
Updated: 1 week ago
সুশাসনের মূল ভিত্তি কী?
Created: 1 week ago
A
মূল্যবােধ
B
আইনের শাসন
C
গণতন্ত্র
D
আমলাতন্ত্র
সুশাসন বলতে বোঝায় যথাযথ ও কার্যকর শাসন যা সমাজে সুব্যবস্থা ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করে। এটি একটি সামাজিক ধারণা এবং এর মূল ভিত্তি হলো আইনের শাসন।
আইনের শাসন ছাড়া কোনো সমাজে স্থায়ীভাবে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য বিচার বিভাগের স্বাধীনতা অপরিহার্য।
-
সুশাসন একটি সামাজিক ধারণা যা সমাজে নিয়ম ও ন্যায় নিশ্চিত করে।
-
এর মূল ভিত্তি হলো আইনের শাসন।
-
আইনের শাসন না থাকলে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়।
-
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য অত্যাবশ্যক।
আইনের শাসন বলতে বোঝায় এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে আইনের দৃষ্টিতে সকল নাগরিক সমান, অর্থাৎ আইন সকলের জন্য সমানভাবে প্রয়োগ হয়। এটি সমাজে ন্যায়, স্থিতিশীলতা ও শান্তি নিশ্চিত করে। আইনের শাসন না থাকলে সমাজে অন্যায়, বিশৃঙ্খলা, ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান ও নৈতিক হ্রাস দেখা দেয়।
নাগরিক হিসেবে আমাদের অধিকার কেবল আইনের শাসনের মাধ্যমে কার্যকর করা যায়। সভ্য সমাজের মানদণ্ড হলো আইনের শাসন।
-
আইনের শাসন নিশ্চিত করে নাগরিকদের সমতা।
-
সমাজ থেকে অন্যায়, বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য দূর হয়।
-
স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
নাগরিকদের প্রাপ্য অধিকার আইনের শাসনের মাধ্যমে বলবৎ করা যায়।
-
আইনের শাসন না থাকলে সমাজে ধনী-দরিদ্র, শক্তিশালী-দুর্বল ব্যবধান প্রকট হয়।
-
সহমর্মিতা, ন্যায়, নীতি ও আদর্শের ক্ষয় ঘটে।
-
সভ্য সমাজের মূল মানদণ্ড হলো আইনের শাসন।

0
Updated: 1 week ago