E-Governance কে 'SMART Government' বলে অভিহিত করেছেন কে?
A
বারবার কোনাবল
B
আব্রাহাম লিংকন
C
কফি আনান
D
চন্দ্রবাবু নাইডু
উত্তরের বিবরণ
E-Governance (Electronic Governance)
-
E-Governance-এর পূর্ণরূপ হলো Electronic Governance।
-
সুশাসন প্রতিষ্ঠার আধুনিকতম উদ্যোগগুলির একটি হলো ই-গভর্নেন্স।
-
ই-গভর্নেন্সের মূল লক্ষ্য হলো দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা।
-
এটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে সরকারি সেবা সমাজের সকল মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রক্রিয়া।
-
ই-গভর্নেন্স ব্যবস্থায় নাগরিকরা স্বল্প ব্যয়ে, ঝামেলাবিহীনভাবে, সপ্তাহে সাত দিন, দিনে চব্বিশ ঘণ্টা সরকারি সেবা পেতে পারে।
-
এর ফলে শাসন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আসে, দুর্নীতি হ্রাস পায় এবং কার্যত সুশাসন নিশ্চিত হয়।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:
-
সুশাসন প্রতিষ্ঠা।
-
সরকারের জবাবদিহিতা বৃদ্ধি।
-
সরকারের স্বচ্ছতা বৃদ্ধি।
-
সরকারের দক্ষতা বৃদ্ধি।
চন্দ্রবাবু নাইডুর SMART Government ধারণা:
-
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু E-Governance-কে SMART Government বলে অভিহিত করেন।
-
তাঁর মতে, SMART এর পূর্ণরূপ হলো:
-
S = Simple (সহজ সরল)
-
M = Moral (নৈতিক আদর্শপূর্ণ)
-
A = Accountable (জবাবদিহিমূলক)
-
R = Responsive (সংবেদনশীল/দ্রুত সাড়া প্রদানকারী)
-
T = Transparent (স্বচ্ছ)
-
0
Updated: 1 month ago
নীতিবিদ ম্যুর নৈতিকতাকে কীভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন?
Created: 1 month ago
A
ন্যায় প্রতিষ্ঠা ও অন্যায় দমন
B
জ্ঞানের চর্চাই নৈতিকতার মূল ভিত্তি
C
শুভর প্রতি অনুরাগ ও অশুভর প্রতি বিরাগ
D
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাই নৈতিকতার সারমর্ম
নৈতিকতা হলো মানুষের আচরণ, চিন্তাভাবনা ও অন্তর্নিহিত অনুভূতির সঙ্গে সম্পর্কিত একটি মৌলিক ধারণা, যা ভালো ও মন্দের প্রতি মানুষের প্রতিক্রিয়াকে প্রকাশ করে। বিভিন্ন দার্শনিক ও অভিধান নৈতিকতার প্রকৃতি ও সংজ্ঞা বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।
-
দার্শনিক ব্যাখ্যা:
-
গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিস, প্লেটো এবং এরিস্টটল নৈতিকতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
-
সক্রেটিস বলেন, 'সৎ গুণই জ্ঞান' (Virtue is knowledge)।
-
তাঁর মতে, জ্ঞানী ও গুণী ব্যক্তি অন্যায় করতে পারেন না। ন্যায়বোধের উৎস হলো জ্ঞান, আর অন্যায়বোধের উৎস হলো অজ্ঞতা।
-
নৈতিকতা বা নীতিবোধ মানুষের হৃদয়-মন থেকে উৎসারিত, এবং এটি মানুষের ন্যায়-অন্যায়, ভালো-মন্দ, উচিত-অনুচিত বোধ বা অনুভূতির বিকাশের মাধ্যমে গড়ে ওঠে।
-
-
নীতিবিদের ব্যাখ্যা:
-
জি. ই. ম্যুর নৈতিকতাকে সংজ্ঞায়িত করেছেন: "শুভর প্রতি অনুরাগ ও অশুভর প্রতি বিরাগই হচ্ছে নৈতিকতা।"
-
তাঁর মতে, নৈতিকতা হলো মানুষের ভালো ও মন্দের প্রতি অন্তর্নিহিত অনুভূতির প্রকাশ।
-
-
অভিধান অনুযায়ী সংজ্ঞা:
-
Collins English Dictionary: নৈতিকতা মানুষের আচরণের সঙ্গে সম্পর্কিত, বিশেষ করে ভালো ও মন্দ এবং সঠিক ও ভুল আচরণের মধ্যে পার্থক্য বোঝায়।
-
Cambridge International Dictionary of English: নৈতিকতা হলো ভালো-মন্দ আচরণ, স্বচ্ছতা, সততা ইত্যাদির সঙ্গে সম্পর্কিত একটি গুণ, যা প্রত্যেক ব্যক্তি আইন বা অন্য কোনো বিষয়ের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়।
-
0
Updated: 1 month ago
ইউএনডিপি ও এডিবির মতে সুশাসনের উপাদান কতটি?
Created: 1 month ago
A
৯টি ও ৮টি
B
৯টি ও ৪টি
C
৭টি ও ৬টি
D
৮টি ও ৭টি
সুশাসনের ধারণা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করেছে। ফলে সুশাসনের উপাদানের সংখ্যা ও গুরুত্ব প্রতিষ্ঠানভেদে ভিন্ন হলেও মূল উদ্দেশ্য একই—রাষ্ট্র ও সমাজে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও ন্যায়সঙ্গত শাসন নিশ্চিত করা।
-
ইউএনডিপি (UNDP) সুশাসনের ৯টি উপাদান নির্ধারণ করেছে।
-
জাতিসংঘ (United Nations) সুশাসনের ৮টি উপাদান উল্লেখ করেছে।
-
বিশ্বব্যাংক (World Bank) সুশাসনের ৬টি উপাদান তুলে ধরেছে।
-
আইডিএ (IDA) সুশাসনের ৪টি উপাদান ব্যাখ্যা করেছে।
-
এডিবি (ADB) সুশাসনের ৪টি উপাদান নির্ধারণ করেছে।
-
ইউএনএইচসিআর (UNHCR) সুশাসনের ৫টি উপাদান উল্লেখ করেছে।
0
Updated: 1 month ago
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে কী ঘটে?
Created: 1 month ago
A
সামাজিক অবক্ষয় হয়
B
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়
C
বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায়
D
দুর্নীতি দূর হয়
অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে সামগ্রিক উন্নয়ন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। এটি শুধু রাষ্ট্রের আর্থিক প্রবৃদ্ধিকেই নয়, বরং জনগণের জীবনের মানোন্নয়নেও প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখে।
-
সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন দ্রুত এগিয়ে যায়।
-
এতে পুঁজি বিনিয়োগ ও শিল্পকারখানা স্থাপনে আগ্রহ বৃদ্ধি পায়।
-
বিনিয়োগ ও শিল্পায়নের ফলে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পায় এবং বেকারত্ব হ্রাস পায়।
-
তাই অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে স্বাভাবিকভাবেই বিনিয়োগ বৃদ্ধি পায়।
0
Updated: 1 month ago