সুশাসনের ধারণাটি কেমন?
A
একমাত্রিক
B
দ্বিমাত্রিক
C
বহুমাত্রিক
D
কোনোটিই নয়
উত্তরের বিবরণ
সুশাসন (Good Governance)
-
সুশাসন শব্দের ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Good Governance।
-
এর অর্থ হচ্ছে নির্ভুল, দক্ষ ও কার্যকরী শাসন।
-
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বারবার কোনাবল প্রথম "Good Governance" শব্দটি ব্যবহার করেন।
সুশাসনের ধারণা:
-
সুশাসনের ধারণাটি বহুমাত্রিক।
-
এটি চার ধরনের ধারণা নির্মাণ করে:
১. রাজনৈতিক সুশাসন
২. সামাজিক সুশাসন
৩. অর্থনৈতিক সুশাসন
৪. সাংস্কৃতিক সুশাসন
অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য:
-
সুশাসনের ধারণাটি আপেক্ষিক।
-
সুশাসন ধারণাটির উদ্ভাবক হলো বিশ্বব্যাংক।
-
বিশ্বব্যাংক প্রথম ১৯৮৯ সালে Good Governance শব্দটি ব্যবহার করে।

0
Updated: 1 day ago
বিশ্বব্যাংকের মতে সুশাসনের উপাদান কয়টি?
Created: 1 week ago
A
৩টি
B
৫টি
C
৪টি
D
৬টি
বিশ্বব্যাংক সুশাসনের ধারণা প্রবর্তন করেছে এবং এটি আধুনিক গভর্নেন্স তত্ত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংকের এক সমীক্ষায় সর্বপ্রথম ‘সুশাসন’ (Good Governance) শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে একটি রাষ্ট্রে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হয়। ১৯৯৪ সালে বিশ্বব্যাংক প্রদত্ত সংজ্ঞা অনুযায়ী, ‘সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক সম্পদের ব্যবস্থাপনার জন্য ক্ষমতা প্রয়োগের পদ্ধতিই গভর্নেন্স’।
২০০০ সালে বিশ্বব্যাংক জানায়, সুষ্ঠু গভর্নেন্স বা সুশাসন চারটি প্রধান স্তম্ভের ওপর নির্ভরশীল।এছাড়া, বিশ্বব্যাংকের মতে, সুশাসনের মূল উপাদান ৬টি।
সুশাসনের উপাদান বিভিন্ন সংস্থা ও তত্ত্ববিদদের মতে ভিন্নভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে:
-
Asian Development Bank (এডিবি) অনুযায়ী, সুশাসনের মূল উপাদান ৪টি।
-
United Nations Development Programme (ইউএনডিপি) অনুযায়ী, সুশাসনের মূল উপাদান ৯টি।
-
জাতিসংঘ অনুযায়ী, সুশাসনের মূল উপাদান ৮টি।
-
United Nations Human Rights Commission (UNHCR) অনুযায়ী, সুশাসনের মূল উপাদান ৫টি।
-
African Development Bank (AFDB) অনুযায়ী, সুশাসনের মূল উপাদান ৫টি।
-
International Development Agency (IDА) অনুযায়ী, সুশাসনের মূল উপাদান ৪টি।
-
প্রাচীন অর্থশাস্ত্রবিদ কৌটিল্য অনুযায়ী, সুশাসনের মূল উপাদান ৪টি।

0
Updated: 1 week ago
মূল্যবোধ (Values) কী?
Created: 1 month ago
A
মানুষের আচরণ পরিচালনাকারী নীতি ও মানদণ্ড
B
শুধুমাত্র মানুষের প্রাতিষ্ঠানিক কার্যাদি নির্ধারণের দিক নির্দেশনা
C
সমাজ জীবনে মানুষের সুখী হওয়ার প্রয়োজনীয় মনোভাব
D
মানুষের সঙ্গে মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ধারণ
মূল্যবোধ (Values)
মূল্যবোধ বলতে এমন সব চিন্তাভাবনা, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, সংকল্প ও আদর্শকে বোঝায়, যা মানুষের আচরণ, সিদ্ধান্ত এবং কর্মকাণ্ডকে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করে। সহজভাবে বলতে গেলে, এটি হলো মানুষের আচার-আচরণ ও নৈতিক সিদ্ধান্তের মানদণ্ড।
মূল উৎস:
-
পারিবারিক উৎস: পরিবার হলো মূল্যবোধ শেখার প্রাথমিক ও প্রধান উৎস। শিশু প্রথমে পরিবার থেকেই নৈতিকতা ও শিষ্টাচার শিখতে শুরু করে।
-
প্রাতিষ্ঠানিক উৎস: বিদ্যালয় হলো আনুষ্ঠানিকভাবে মূল্যবোধ শেখার গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান।
মূল্যবোধের উপাদান:
-
সামাজিক রীতিনীতি ও প্রথা
-
ধর্ম
-
সমাজের আদর্শ ও নীতি
মূল্যবোধের পরিবর্তনশীলতা:
-
সমাজ পরিবর্তনের সাথে সাথে মূল্যবোধও পরিবর্তিত হয়। আধুনিক মূল্যবোধ বলতে সমাজের বর্তমান চাহিদা ও পরিবর্তনকে বোঝায়।
-
অতীতের অনেক মূল্যবোধ বর্তমানে অর্থহীন হয়ে পড়েছে। উদাহরণস্বরূপ, আগে বাল্যবিবাহ প্রচলিত ছিল, এখন এটি অগ্রহণযোগ্য।
-
কিছু নৈতিক গুণাবলীর বিপরীত যেমন সার্থকতা, শঠতা, অসহিষ্ণুতা চিরন্তনভাবে নিন্দনীয়।
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন, প্রথমপত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি

0
Updated: 1 month ago
সামাজিক মূল্যবোধের ভিত্তি কী?
Created: 1 month ago
A
আইনের শাসন
B
নৈতিকতা
C
সাম্য
D
উপরের সবগুলো
সামাজিক মূল্যবোধ ও এর ভিত্তি
সামাজিক মূল্যবোধ হলো মানুষের সেই চিন্তা-ভাবনা, লক্ষ্য ও অভ্যাস, যা তাদের সামাজিক আচরণ ও কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করে। সহজভাবে বলতে গেলে, সামাজিক মূল্যবোধ হলো মানুষকে সমাজের কল্যাণে কাজ করতে প্রেরণা দেয় এমন নীতিমালা ও আচরণবিধি।
ফ্রান্সিস ই. মেরিল অনুযায়ী,
“সামাজিক মূল্যবোধ হলো মানুষের দলগত কল্যাণের জন্য এমন আচরণ বজায় রাখা, যা তারা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে।”
উদাহরণস্বরূপ, ন্যায়পরায়ণতা, সততা, শিষ্টাচার, বড়দের সম্মান, সহনশীলতা, দানশীলতা ও আতিথেয়তা সামাজিক মূল্যবোধের অংশ।
সামাজিক মূল্যবোধের ভিত্তি বা উপাদান
সামাজিক মূল্যবোধ গঠনে যে মৌলিক ভিত্তিগুলো কাজ করে তা হলো:
-
আইনের শাসন: সমাজে আইন মেনে চলা।
-
নৈতিকতা: সঠিক ও ভুলের পার্থক্য বোঝা।
-
সাম্য: সকলের মধ্যে সমতা ও সমান অধিকার নিশ্চিত করা।
-
ন্যায়বিচার: অন্যের প্রতি ন্যায়পরায়ণ আচরণ।
-
ঔচিত্যবোধ: সামাজিক ও নৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে সঠিক আচরণ।
-
শৃঙ্খলাবোধ: নিয়ম এবং কর্তব্য মানা।
-
সহনশীলতা ও সহমর্মিতা: অন্যের অনুভূতি ও দুর্দশা বুঝতে পারা।
-
শ্রমের মর্যাদা: পরিশ্রমকে সম্মান করা।
-
নাগরিক চেতনা ও কর্তব্যবোধ: সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ।
মূল্যবোধের শ্রেণিবিভাগ
মূল্যবোধকে বিভিন্ন দিক থেকে শ্রেণীবদ্ধ করা যায়:
-
সামাজিক মূল্যবোধ
-
রাজনৈতিক মূল্যবোধ
-
গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ
-
ধর্মীয় মূল্যবোধ
-
সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ
-
নৈতিক মূল্যবোধ
-
অর্থনৈতিক মূল্যবোধ
-
আধ্যাত্মিক মূল্যবোধ
-
আধুনিক মূল্যবোধ
উৎস: পৌরনীতি ও সুশাসন ১ম পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, প্রফেসর মো. মোজাম্মেল হক।

0
Updated: 1 month ago