Oracle সফটওয়্যার প্রধানত ব্যবহৃত হয়:
A
ডাটাবেজে ডেটা ম্যানেজ করার জন্য
B
ইন্টারনেট ব্রাউজ করার জন্য
C
সঙ্গীত প্লে করার জন্য
D
ছবি এডিট করার জন্য
উত্তরের বিবরণ
Oracle সফটওয়্যার প্রধানত ডাটাবেজে ডেটা ম্যানেজ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি একটি শক্তিশালী রিলেশনাল ডাটাবেজ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (RDBMS), যা বড় পরিমাণে তথ্য সংরক্ষণ, অনুসন্ধান এবং পরিচালনা সহজ করে তোলে। Oracle সফটওয়্যার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক, সরকারী সংস্থা ইত্যাদি ক্ষেত্রে ডেটা নিরাপদ এবং কার্যকরভাবে পরিচালনার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি ডেটার স্থায়িত্ব, নিরাপত্তা এবং দ্রুত অ্যাক্সেস নিশ্চিত করে। অন্যদিকে, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, সঙ্গীত চালানো বা ছবি এডিট করার জন্য Oracle সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয় না। তাই Oracle-এর মূল কাজ হলো ডাটাবেজ পরিচালনা।
ডাটাবেস সম্পর্কে তথ্য:
-
ডাটাবেস হলো ডাটাসমৃদ্ধ এক বা একাধিক ফাইলের সমষ্টি, যেখানে তথ্য সংগঠিত ও সংরক্ষিত থাকে।
-
ডাটাবেসের প্রধান উপাদানসমূহ হলো:
১. ডাটা (Data) – তথ্যের মৌলিক উপাদান।
২. রেকর্ড (Record) – সম্পর্কিত ফিল্ডগুলোর সমষ্টি।
৩. ফিল্ড (Field) – ডাটার একটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্র বা attribute।
৪. ডাটা টেবিল (Data Table) – রেকর্ড ও ফিল্ডগুলোকে সারণি আকারে সংরক্ষিত করার কাঠামো। -
Oracle RDBMS ব্যবহার করে এই উপাদানগুলো দ্রুত অনুসন্ধান, হালনাগাদ এবং পরিচালনা করা যায়।
0
Updated: 1 month ago
What is the full form of ATM?
Created: 1 month ago
A
Automated Teller Machine
B
Automatic Transaction Machine
C
Automated Transfer Machine
D
Automatic Teller Mechanism
ATM এর পূর্ণরূপ হলো Automated Teller Machine
Automated Teller Machine (ATM):
-
অটোমেটেড টেলার মেশিনকে সংক্ষেপে ATM বলা হয়।
-
ATM হলো একটি বৈদ্যুতিক টেলিযোগাযোগ ডিভাইস, যা ব্যাংক টেলার বা ক্লার্ক ছাড়াই ব্যাংক গ্রাহকদের নগদ টাকা উত্তোলন করতে সক্ষম।
-
যন্ত্রটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে এবং বৈদ্যুতিক চুম্বকের সাহায্যে গ্রাহক টাকা উত্তোলন করতে পারে।
-
যেখানটি ATM স্থাপন করা হয়, তাকে ATM বুথ বলা হয়।
-
টাকা উত্তোলনের জন্য গ্রাহকের ATM কার্ড প্রয়োজন।
-
ATM কার্ড ব্যবহার করে ২৪/৭ সময় নিরাপদে টাকা উত্তোলন করা যায়।
-
টাকা উত্তোলনের সময় গোপনীয় PIN কোড ব্যবহার করতে হয়।
তথ্যসূত্র:
0
Updated: 1 month ago
ব্লকচেইন কী?
Created: 1 month ago
A
একটি বিকেন্দ্রীভূত ও বিতরণকৃত ডিজিটাল লেজার
B
এক ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি
C
একটি পিয়ার-টু-পিয়ার মেসেজিং অ্যাপ
D
একটি ক্লাউড স্টোরেজ সেবা
ব্লকচেইন (Blockchain) হলো একটি বিকেন্দ্রীভূত ও বিতরণকৃত ডিজিটাল লেজার সিস্টেম, যেখানে তথ্য বা লেনদেনসমূহ ব্লক আকারে সংরক্ষিত হয় এবং প্রতিটি ব্লক ক্রিপ্টোগ্রাফি দ্বারা সুরক্ষিত থাকে। এটি এমন একটি প্রযুক্তি, যেখানে কোনো একক কর্তৃপক্ষ বা কেন্দ্রীয় সার্ভার নেই; বরং তথ্যসমূহ একটি বিস্তৃত কম্পিউটার নেটওয়ার্কে সমানভাবে বিতরণ করা থাকে। ফলে তথ্য পরিবর্তন বা জালিয়াতি করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে, যা ব্লকচেইনকে করে তুলেছে স্বচ্ছ, নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য।
-
ব্লকচেইন মূলত একটি ডেটাবেজ প্রযুক্তি, যা একটি লেজার বা রেকর্ডের উপর ভিত্তি করে কাজ করে এবং এই লেজারটি নেটওয়ার্কের বহু কম্পিউটারে ছড়িয়ে থাকে।
-
এই রেকর্ডগুলোর প্রতিটি অংশকে ব্লক (Block) বলা হয়।
-
ব্লকচেইন প্রযুক্তি সর্বপ্রথম উদ্ভাবন করেন সাতোশি নাকামোতো (Satoshi Nakamoto) নামে পরিচিত এক গোপন পরিচয়ের প্রোগ্রামার বা প্রোগ্রামারদের একটি দল।
-
২০০৯ সালে তারা এটি বিটকয়েন (Bitcoin) নামক ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রযুক্তিগত কাঠামোর অংশ হিসেবে তৈরি করেন।
-
প্রতিটি লেনদেনের তথ্য একটি ব্লকে যুক্ত হয় এবং একাধিক ব্লক ক্রমানুসারে চেইনের মতো যুক্ত হয়ে তৈরি করে একটি ব্লকচেইন।
-
ব্লকগুলো গাণিতিক অ্যালগরিদমের মাধ্যমে পরস্পর সংযুক্ত থাকে, যার ফলে একক ব্যবহারকারীর পক্ষে তথ্য পরিবর্তন করা প্রায় অসম্ভব।
-
যদিও এটি মূলত ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনে ব্যবহৃত হয়, বর্তমানে ব্লকচেইন প্রযুক্তি ভোটিং সিস্টেম, সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট, স্বাস্থ্যসেবা, স্মার্ট কনট্র্যাক্ট যাচাইসহ আরও বহু ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে।
-
এটি তথ্যের স্বচ্ছতা, নিরাপত্তা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করার একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি হিসেবে বিবেচিত।
বিটকয়েন (Bitcoin) হলো ব্লকচেইন প্রযুক্তিভিত্তিক প্রথম ও সর্বাধিক ব্যবহৃত ক্রিপ্টোকারেন্সি।
-
এর মালিকরা বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিটকয়েনকে অন্য ক্রিপ্টোকারেন্সি বা বাস্তব মুদ্রা (যেমন মার্কিন ডলার, ইউরো ইত্যাদি)-তে রূপান্তর করতে পারেন।
-
এছাড়াও, অনেক বিক্রেতা ও প্রতিষ্ঠান বিটকয়েনের মাধ্যমে পণ্য ও সেবা কেনা-বেচা করার সুবিধা প্রদান করে।
0
Updated: 1 month ago
MICR E-13B ফন্টে কোন ধরনের অক্ষর ব্যবহার করা হয়?
Created: 1 month ago
A
সব ASCII অক্ষর
B
শুধুমাত্র সংখ্যা
C
সংখ্যা 0–9 এবং কয়েকটি বিশেষ চিহ্ন
D
শুধুমাত্র বর্ণ
MICR (Magnetic Ink Character Recognition) হলো এমন একটি বিশেষ প্রযুক্তি, যা চৌম্বক কালি ব্যবহারের মাধ্যমে অক্ষর ও সংখ্যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত করতে সক্ষম। এটি মূলত ব্যাংকিং খাতে, বিশেষ করে চেক প্রসেসিং ও লেনদেন প্রক্রিয়াকরণে ব্যবহৃত হয়। MICR প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে ব্যাংক সহজে ও দ্রুত চেক শনাক্ত, শ্রেণিবদ্ধ এবং প্রক্রিয়াজাত করতে পারে, যা ব্যাংকিং ব্যবস্থার নিরাপত্তা ও দক্ষতা উভয়ই বাড়ায়।
-
MICR-এর পূর্ণরূপ হলো Magnetic Ink Character Recognition।
-
এই প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত কালি চৌম্বক পদার্থ (ফেরোসোফেরিক অক্সাইড) মিশ্রিত, যা শক্তিশালী চৌম্বকক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়া দেখাতে সক্ষম।
-
MICR কালি দিয়ে লেখা কাগজ চৌম্বকক্ষেত্রে রাখলে, কালির ধাতব উপাদানগুলো চুম্বকে পরিণত হয়, ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেশিন দ্বারা পড়া যায়।
-
ব্যাংকের চেক বই-এ MICR প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়, যা লেনদেনকে দ্রুত, নির্ভুল ও নিরাপদ করে তোলে।
-
MICR ফন্ট E-13B বিশেষভাবে চেক প্রসেসিংয়ের জন্য তৈরি।
-
এই ফন্টে সব ASCII অক্ষর বা শুধুমাত্র বর্ণ ব্যবহৃত হয় না এবং এটি শুধু সংখ্যা দিয়েও সীমাবদ্ধ নয়।
-
এতে ০ থেকে ৯ পর্যন্ত সংখ্যা এবং চারটি বিশেষ চিহ্ন ব্যবহৃত হয়:
১. Transit (⑆)
২. Amount (⑇)
৩. On-Us (⑈)
৪. Dash (⑉) -
এই সংখ্যা ও প্রতীকগুলোর সমন্বয়ে ব্যাংক চেকের অ্যাকাউন্ট নম্বর, ব্যাংক কোড, ও ট্রানজ্যাকশন সম্পর্কিত তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত করতে পারে।
-
MICR চেক ব্যাংকিং ব্যবস্থার আধুনিকীকরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যা লেনদেনের সময় বাঁচায় এবং জালিয়াতির ঝুঁকি হ্রাস করে।
অতএব, MICR ফন্ট E-13B-তে ব্যবহৃত অক্ষরসমূহ হলো সংখ্যা (০–৯) এবং চারটি নির্দিষ্ট চিহ্ন, যা ব্যাংকিং স্বয়ংক্রিয়তার জন্য অপরিহার্য।
0
Updated: 1 month ago