কোন উপাদানটি মূলত রোবটকে চলাচল করতে সাহায্য করে?
A
সেন্সর
B
প্রসেসর
C
ব্যাটারি
D
অ্যাকচুয়েটর
উত্তরের বিবরণ
রোবটকে মূলত চলাচল করতে সাহায্য করে ঘ) অ্যাকচুয়েটর। অ্যাকচুয়েটর হলো এমন একটি উপাদান, যা রোবটের নির্দেশ অনুযায়ী যান্ত্রিক শক্তি তৈরি করে চলাচল ঘটায়। এটি বৈদ্যুতিক, হাইড্রোলিক বা নিউমেটিক শক্তিকে গতিশীল শক্তিতে রূপান্তর করে রোবটের হাত, চাকা বা পা নড়াচড়া করায়। প্রসেসর কমান্ড দেয়, সেন্সর পরিবেশের তথ্য সংগ্রহ করে, ব্যাটারি শক্তি জোগায়, কিন্তু অ্যাকচুয়েটরই সেই নির্দেশনা অনুযায়ী সরাসরি রোবটের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নড়াচড়া করায়। তাই রোবটকে চলাফেরায় সক্ষম করার পেছনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে অ্যাকচুয়েটর।
রোবট সম্পর্কিত তথ্য:
-
কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত যেকোনো মেশিন যা মানুষের মতো কাজ করে, তাকে রোবট বলা হয়।
-
রোবটের নকশা, গঠন এবং কার্যপ্রণালী নিয়ে যে শাখায় আলোচনা করা হয়, তাকে রোবটিক্স বলা হয়।
-
রোবটের অন্যান্য প্রধান উপাদান হলো প্রসেসর (নির্দেশ প্রেরণ), সেন্সর (পরিবেশ তথ্য সংগ্রহ), ব্যাটারি (শক্তি সরবরাহ) এবং অ্যাকচুয়েটর (চলাচল সক্ষম করা)।
0
Updated: 1 month ago
আইফোনে চালিত অ্যাপল নির্মিত অপারেটিং সিস্টেমের নাম কী?
Created: 1 month ago
A
Windows Mobile
B
iOS
C
HarmonyOS
D
Android
আইফোনে যে অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহৃত হয় তার নাম হলো iOS। এটি অ্যাপল নিজস্বভাবে তৈরি করেছে এবং শুধুমাত্র আইফোন, আইপ্যাড ও আইপড টাচের মতো অ্যাপল ডিভাইসগুলোতেই ব্যবহৃত হয়। iOS মূলত সহজ ব্যবহারযোগ্যতা, উচ্চ নিরাপত্তা এবং দ্রুত কর্মক্ষমতার জন্য পরিচিত। ব্যবহারকারীরা এতে অ্যাপ স্টোর থেকে বিভিন্ন অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারে, যা তাদের জন্য নানা ধরণের সুবিধা ও সেবা প্রদান করে। অন্য অপারেটিং সিস্টেম যেমন Windows Mobile, HarmonyOS বা Android আইফোনে ব্যবহৃত হয় না। তাই সঠিক উত্তর হলো— iOS, অ্যাপলের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সফল মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম।
অপারেটিং সিস্টেমের সংজ্ঞা ও গুরুত্ব:
-
অপারেটিং সিস্টেম হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরি করে।
-
কম্পিউটার বুটিং থেকে বন্ধ হওয়া পর্যন্ত সব কাজ অপারেটিং সিস্টেমের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়।
বিভিন্ন ধরনের অপারেটিং সিস্টেম:
সিঙ্গেল ইউজার অপারেটিং সিস্টেম:
-
একই সময়ে শুধুমাত্র একজন ব্যবহারকারী যদি কোনো সিস্টেম ব্যবহার করে, তাকে সিঙ্গেল ইউজার অপারেটিং সিস্টেম বলা হয়।
-
একে সিঙ্গেল টাস্কিং অপারেটিং সিস্টেমও বলা হয়।
-
উদাহরণ: CP/M, Symbian OS, Palm OS, MS-DOS, PC-DOS, Windows 95/98
মাল্টি ইউজার অপারেটিং সিস্টেম:
-
একাধিক ব্যবহারকারী একই সময়ে একটি কম্পিউটার সিস্টেম ব্যবহার করতে পারলে সেই সিস্টেমকে মাল্টি ইউজার অপারেটিং সিস্টেম বলা হয়।
-
উদাহরণ: Windows NT Server, Android, Windows 2003/2008 Server, Unix, Linux
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার কী উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়?
Created: 1 month ago
A
ডেটা সংরক্ষণের জন্য
B
হার্ডওয়্যার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য
C
ব্যবহারিক কাজ সম্পাদনের জন্য
D
হার্ডওয়্যার নিয়ন্ত্রণ করে
সঠিক উত্তর হলো গ) ব্যবহারিক কাজ সম্পাদনের জন্য।
অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার (Application Software) হলো এমন সফটওয়্যার যা ব্যবহারকারীর নির্দিষ্ট কাজ বা ব্যবহারিক সমস্যা সমাধানের জন্য তৈরি করা হয়। এটি ব্যবহারকারীকে টেক্সট, সংখ্যা, ছবি বা অন্যান্য তথ্য প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করতে সহায়তা করে।
অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য
-
ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদনের জন্য তৈরি করা হয়।
-
ব্যবহারকারী যে সকল সফটওয়্যার ব্যবহার করে ব্যবহারিক সমস্যা সমাধান বা ডেটা প্রক্রিয়াকরণ করতে পারে, সেগুলোকে অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার বলা হয়।
-
এটি কম্পিউটারের ইউজার-ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস দিয়ে ব্যবহারকারীকে কার্যকর সমাধান দিতে সাহায্য করে।
-
সাধারণত ব্যবহারকারীকে টেক্সট, সংখ্যা, ছবি বা মিডিয়া নিয়ে কাজ করার সুযোগ প্রদান করে।
উদাহরণস্বরূপ অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার
-
একাউন্টিং সফটওয়্যার
-
অফিস সফটওয়্যার (যেমন MS Word, MS Excel)
-
গ্রাফিক্স সফটওয়্যার
-
মিডিয়া প্লেয়ার (ভিডিও ও অডিও)
-
ডাটাবেস সফটওয়্যার যেমন Oracle, FoxPro ইত্যাদি
0
Updated: 1 month ago
ব্লকচেইন কী?
Created: 1 month ago
A
একটি বিকেন্দ্রীভূত ও বিতরণকৃত ডিজিটাল লেজার
B
এক ধরনের ক্রিপ্টোকারেন্সি
C
একটি পিয়ার-টু-পিয়ার মেসেজিং অ্যাপ
D
একটি ক্লাউড স্টোরেজ সেবা
ব্লকচেইন (Blockchain) হলো একটি বিকেন্দ্রীভূত ও বিতরণকৃত ডিজিটাল লেজার সিস্টেম, যেখানে তথ্য বা লেনদেনসমূহ ব্লক আকারে সংরক্ষিত হয় এবং প্রতিটি ব্লক ক্রিপ্টোগ্রাফি দ্বারা সুরক্ষিত থাকে। এটি এমন একটি প্রযুক্তি, যেখানে কোনো একক কর্তৃপক্ষ বা কেন্দ্রীয় সার্ভার নেই; বরং তথ্যসমূহ একটি বিস্তৃত কম্পিউটার নেটওয়ার্কে সমানভাবে বিতরণ করা থাকে। ফলে তথ্য পরিবর্তন বা জালিয়াতি করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে, যা ব্লকচেইনকে করে তুলেছে স্বচ্ছ, নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য।
-
ব্লকচেইন মূলত একটি ডেটাবেজ প্রযুক্তি, যা একটি লেজার বা রেকর্ডের উপর ভিত্তি করে কাজ করে এবং এই লেজারটি নেটওয়ার্কের বহু কম্পিউটারে ছড়িয়ে থাকে।
-
এই রেকর্ডগুলোর প্রতিটি অংশকে ব্লক (Block) বলা হয়।
-
ব্লকচেইন প্রযুক্তি সর্বপ্রথম উদ্ভাবন করেন সাতোশি নাকামোতো (Satoshi Nakamoto) নামে পরিচিত এক গোপন পরিচয়ের প্রোগ্রামার বা প্রোগ্রামারদের একটি দল।
-
২০০৯ সালে তারা এটি বিটকয়েন (Bitcoin) নামক ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রযুক্তিগত কাঠামোর অংশ হিসেবে তৈরি করেন।
-
প্রতিটি লেনদেনের তথ্য একটি ব্লকে যুক্ত হয় এবং একাধিক ব্লক ক্রমানুসারে চেইনের মতো যুক্ত হয়ে তৈরি করে একটি ব্লকচেইন।
-
ব্লকগুলো গাণিতিক অ্যালগরিদমের মাধ্যমে পরস্পর সংযুক্ত থাকে, যার ফলে একক ব্যবহারকারীর পক্ষে তথ্য পরিবর্তন করা প্রায় অসম্ভব।
-
যদিও এটি মূলত ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনে ব্যবহৃত হয়, বর্তমানে ব্লকচেইন প্রযুক্তি ভোটিং সিস্টেম, সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট, স্বাস্থ্যসেবা, স্মার্ট কনট্র্যাক্ট যাচাইসহ আরও বহু ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে।
-
এটি তথ্যের স্বচ্ছতা, নিরাপত্তা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করার একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি হিসেবে বিবেচিত।
বিটকয়েন (Bitcoin) হলো ব্লকচেইন প্রযুক্তিভিত্তিক প্রথম ও সর্বাধিক ব্যবহৃত ক্রিপ্টোকারেন্সি।
-
এর মালিকরা বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিটকয়েনকে অন্য ক্রিপ্টোকারেন্সি বা বাস্তব মুদ্রা (যেমন মার্কিন ডলার, ইউরো ইত্যাদি)-তে রূপান্তর করতে পারেন।
-
এছাড়াও, অনেক বিক্রেতা ও প্রতিষ্ঠান বিটকয়েনের মাধ্যমে পণ্য ও সেবা কেনা-বেচা করার সুবিধা প্রদান করে।
0
Updated: 1 month ago