অফিস অটোমেশনে কোন সফটওয়্যারটি সাধারণত ওয়ার্ড প্রসেসিংয়ের জন্য ব্যবহার হয়?
A
Microsoft Word
B
Adobe Photoshop
C
AutoCAD
D
VLC Media Player
উত্তরের বিবরণ
অফিস অটোমেশনে সাধারণত ওয়ার্ড প্রসেসিংয়ের জন্য Microsoft Word ব্যবহার করা হয়। এটি একটি জনপ্রিয় এবং শক্তিশালী ওয়ার্ড প্রসেসর, যা মাইক্রোসফট কোম্পানি তৈরি করেছে। এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের ডকুমেন্ট যেমন চিঠি, প্রতিবেদন, জীবনবৃত্তান্ত ইত্যাদি সহজে তৈরি, সম্পাদনা এবং ছাপানো যায়। Microsoft Word-এ টেক্সট ফরম্যাটিং, বানান ও ব্যাকরণ যাচাই, ছবি সংযোজন, টেবিল তৈরি এবং বিভিন্ন টেমপ্লেট ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে। অন্যদিকে, Adobe Photoshop চিত্র সম্পাদনার জন্য, AutoCAD নকশা তৈরির জন্য এবং VLC Media Player ভিডিও/অডিও চালানোর জন্য ব্যবহৃত হয়, ওয়ার্ড প্রসেসিংয়ের জন্য নয়।
সঠিক উত্তর: ক) Microsoft Word
অফিস অটোমেশন সম্পর্কে তথ্য:
-
অফিস পরিচালনার ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির একটি প্রায়োগিক টুল হলো অফিস অটোমেশন সিস্টেম।
-
অফিস অটোমেশন হলো এমন একটি প্রযুক্তিনির্ভর কার্যক্রম, যার মাধ্যমে অফিসে ব্যবস্থাপনা, তথ্য সংরক্ষণ, ডকুমেন্ট প্রস্তুতি, যোগাযোগ ও বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বা কম্পিউটারাইজডভাবে সম্পন্ন করা যায়।
-
এর মধ্যে ওয়ার্ড প্রসেসিং, স্প্রেডশীট, প্রেজেন্টেশন, ইমেল পরিচালনা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত।
-
অফিস অটোমেশন ব্যবহারে সময় বাঁচানো, কাজের কার্যকারিতা বৃদ্ধি এবং ত্রুটি হ্রাস করা সম্ভব হয়।
0
Updated: 1 month ago
মুদ্রিত লেখা বা সংখ্যাসূচক ডেটা শনাক্ত করে কোনটি?
Created: 3 weeks ago
A
Barcode
B
OMR
C
OCR
D
QR Code
সঠিক উত্তর: OCR মুদ্রিত লেখা বা সংখ্যাসূচক ডেটা শনাক্ত করে থাকে।
OCR (Optical Character Recognition):
OCR হলো একটি উন্নত স্ক্যানিং ও তুলনা প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে মুদ্রিত লেখা বা সংখ্যাসূচক তথ্য (Printed Text or Numeric Data) শনাক্ত ও ডিজিটাল আকারে রূপান্তর করা হয়। এই প্রযুক্তির ফলে কোনো মুদ্রিত নথি পুনরায় টাইপ না করেই সেটি কম্পিউটারে পড়া ও সম্পাদনা করা যায়।
কাজের পদ্ধতি:
-
মুদ্রিত নথি প্রথমে স্ক্যানার দ্বারা স্ক্যান করা হয়।
-
এরপর OCR সফটওয়্যার প্রতিটি অক্ষরকে লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত মানক অক্ষরগুলোর সঙ্গে তুলনা করে চিনে নেয়।
-
অক্ষরের অবস্থান ও নিকটতার (proximity) ভিত্তিতে শব্দ শনাক্ত করা হয়।
-
শেষ ধাপে সফটওয়্যার মূল নথির বিন্যাস বা ফরম্যাট পুনর্গঠন করার চেষ্টা করে।
নির্ভুলতা:
-
স্ক্যানের মান যত উচ্চ ও পরিষ্কার, ফলাফল তত সঠিক হয়।
-
স্ক্যান বা মূল লেখার মান নিম্নমানের হলে অক্ষর শনাক্তকরণে ত্রুটি দেখা দিতে পারে।
ব্যবহার:
-
পোস্টাল সার্ভিসে: চিঠিপত্র স্বয়ংক্রিয়ভাবে শ্রেণিবিন্যাসে ব্যবহার করা হয়।
-
ডিজিটাল আর্কাইভে: পুরনো বই বা নথি ডিজিটাইজ করতে ব্যবহৃত হয়।
-
ব্যাংকিং সেক্টরে: চেকের লেখাসমূহ স্বয়ংক্রিয়ভাবে পড়তে ব্যবহৃত হয়।
-
ডেটা এন্ট্রি: দ্রুত ও নির্ভুলভাবে মুদ্রিত তথ্য কম্পিউটারে ইনপুট দিতে সহায়ক।
ঐতিহাসিক তথ্য:
-
১৯৬৫ সালে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের U.S. Postal Service প্রথমবারের মতো অক্ষর ও সংখ্যা শনাক্তকরণের জন্য OCR প্রযুক্তি ব্যবহার শুরু করে।
-
১৯৮০-এর দশকের শুরুতে, তারা এমন যন্ত্র তৈরি করে যা ঠিকানা স্ক্যান, পোস্টাল কোড যাচাই ও রাউটিং কোড প্রিন্ট করতে সক্ষম ছিল।
OCR প্রক্রিয়ার ধাপ:
১. মুদ্রিত লেখা বা সংখ্যা স্ক্যান করা।
২. স্ক্যানকৃত অক্ষরের সঙ্গে লাইব্রেরির অক্ষরের তুলনা।
৩. অক্ষরগুলোর নিকটতার মাধ্যমে শব্দ শনাক্তকরণ।
৪. মূল পৃষ্ঠার বিন্যাস পুনর্গঠন।
অন্য প্রযুক্তিগুলোর সঙ্গে পার্থক্য:
-
Barcode: রেখা বা প্যাটার্নের মাধ্যমে তথ্য সংরক্ষণ ও শনাক্ত করে।
-
OMR: মার্ক করা বৃত্ত বা ডট শনাক্ত করে (যেমন – পরীক্ষার উত্তরপত্রে)।
-
QR Code: স্ক্যানের মাধ্যমে তথ্য পড়া হয়, তবে এটি লেখা বা সংখ্যাসূচক অক্ষর শনাক্ত করে না।
সারসংক্ষেপ:
OCR হলো এমন একটি প্রযুক্তি যা মুদ্রিত লেখা ও সংখ্যা শনাক্ত করে ডিজিটাল আকারে রূপান্তর করে, ফলে তথ্য ইনপুটের কাজ দ্রুত, সহজ ও নির্ভুল হয়।
0
Updated: 3 weeks ago
কম্পিউটারে ফুলস্ক্রিন ভিউ চালু করার জন্য কোন কী ব্যবহৃত হয়?
Created: 1 month ago
A
F7
B
F5
C
F9
D
F11
সাধারণত F11 কী ব্যবহার করে ব্রাউজার বা অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশনে ফুলস্ক্রিন মোডে যাওয়া যায়। কীবোর্ডের ফাংশন কীগুলো বিশেষ কাজ সম্পাদনের জন্য ব্যবহৃত হয় এবং প্রায়ই নির্দিষ্ট কাজকে সহজ ও দ্রুত করার জন্য এগুলো নির্ধারিত থাকে।
ফাংশন কী (Function Keys):
-
কীবোর্ডের উপরিভাগে থাকা F1 থেকে F12 পর্যন্ত কীগুলোকে ফাংশন কী বলা হয়।
-
এগুলো সাধারণত পুনরাবৃত্তিমূলক কাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন করতে ব্যবহৃত হয়।
-
তথ্য সংযোজন, বিয়োজন, সম্পাদনা বা মেনুর বিভিন্ন কমান্ড বেছে নেওয়ার কাজেও এগুলোর ব্যবহার রয়েছে।
ফাংশন কীগুলোর সাধারণ ব্যবহার:
-
F1: হেল্প মেনু প্রদর্শন করে।
-
F2: কোনো ফাইল বা ফোল্ডারের নাম পরিবর্তনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
F3: সার্চ সুবিধা দেয় এবং পূর্বের কমান্ড পুনরাবৃত্তি করতে ব্যবহৃত হয়।
-
F4: শেষ করা কাজ পুনরায় করতে ব্যবহৃত হয়। Alt + F4 চাপলে সক্রিয় সব প্রোগ্রাম বন্ধ হয়।
-
F5: কোনো পেজ বা ডকুমেন্ট রিফ্রেশ করতে ব্যবহৃত হয়।
-
F6: ব্রাউজারে মাউস ছাড়াই সরাসরি অ্যাড্রেসবারে যেতে সাহায্য করে।
-
F7: বানান ও ব্যাকরণগত ভুল পরীক্ষা করতে ব্যবহৃত হয়।
-
F8: অপারেটিং সিস্টেমকে Safe Mode-এ চালু করতে ব্যবহৃত হয়।
-
F9: QuarkXPress সফটওয়্যারে মেজারমেন্ট টুলবার চালু করতে ব্যবহৃত হয়।
-
F10: কোনো ব্রাউজারের উইন্ডোর মেনুবার চালু করতে ব্যবহৃত হয়।
-
F11: ফুলস্ক্রিন মোডে যাওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়।
-
F12: টেক্সট ভাষা পরিবর্তন (ইংরেজি ↔ বাংলা) করতে ব্যবহৃত হয়।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
মোবাইল ফোনের কোন প্রজন্ম থেকে গ্রাহকদের জন্য প্রিপেইড পদ্ধতি চালু হয়?
Created: 1 month ago
A
দ্বিতীয় প্রজন্ম
B
তৃতীয় প্রজন্ম
C
চতুর্থ প্রজন্ম
D
কোনোটিই নয়
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
তথ্য (Information)
তথ্য প্রযুক্তি
দ্বিতীয় প্রজন্ম Second Generation (১৯৬০-১৯৬৪ খ্রি.)
দ্বিতীয় প্রজন্মের (2G) মোবাইল ফোন হলো এমন একটি প্রযুক্তি যা ডিজিটাল রেডিও সিগন্যাল ব্যবহার করে এবং প্রিপেইড পদ্ধতির সূচনা করে। এটি প্রথম প্রজন্মের অ্যানালগ প্রযুক্তির তুলনায় অনেক উন্নত সুবিধা প্রদান করে।
-
দ্বিতীয় প্রজন্মের মোবাইল ফোনের বৈশিষ্ট্য:
-
ডিজিটাল সিগন্যাল: প্রথম প্রজন্মের অ্যানালগ সিগন্যালের তুলনায় উন্নতমানের ডিজিটাল রেডিও সিগন্যাল ব্যবহৃত।
-
ডিজিটাল ডেটা ট্রান্সমিশন: সেমিকন্ডাক্টর প্রযুক্তি ও মাইক্রোওয়েভ ডিভাইসের অগ্রগতির ফলে সম্ভব হয়েছে।
-
উন্নত অডিও: ডিজিটাল মডুলেশন ব্যবহৃত।
-
সিগন্যাল এনকোডিং: FDMA, TDMA এবং CDMA পদ্ধতি ব্যবহৃত।
-
প্রিপেইড পদ্ধতি: সর্বপ্রথম এই প্রজন্মে চালু হয়।
-
আন্তর্জাতিক রোমিং: সীমিতমাত্রায় উপলব্ধ।
-
নেটওয়ার্ক প্রকার: শুরুর দিকে সার্কিট-সুইচড নেটওয়ার্ক ব্যবহৃত, পরে GPRS (2.5G) প্রযুক্তির মাধ্যমে ডেটার জন্য প্যাকেট-সুইচড নেটওয়ার্ক যুক্ত করা হয়।
-
মেসেজিং সেবা: এমএমএস এবং এসএমএস কার্যক্রম চালু হয়।
-
ডেটা ও ভয়েস: GSM পদ্ধতিতে উভয়ই প্রেরণ সম্ভব।
-
উৎস:
0
Updated: 1 month ago