গ্রিন হাউজ প্রতিক্রিয়া এই দেশের জন্য ভয়াবহ আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে-
A
সমুদ্রতলের উচ্চতা বেড়ে যেতে পারে
B
বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যেতে পারে
C
নদ-নদীর পানি কমে যেতে পারে
D
ওজোন স্তরের ক্ষতি নাও হতে পারে
উত্তরের বিবরণ
[গ্রিনহাউজ প্রতিক্রিয়ার ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। এতে করে মেরু অঞ্চলসহ পৃথিবীর অন্যান্য স্থানে সঞ্চিত থাকা বরফ গলতে শুরু করবে। যার কারণে সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাবে। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর স্থলভাগের অনেক নিম্নভূমি সমুদ্রের পানিতে নিমজ্জিত হবে।]
গ্রিনহাউজ প্রতিক্রিয়া ও তার প্রভাব
পৃথিবীর তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ছে, যার প্রধান কারণ গ্রিনহাউজ প্রতিক্রিয়া। এই প্রতিক্রিয়ার ফলে মেরু অঞ্চলসহ পৃথিবীর অন্যান্য ঠান্ডা অঞ্চলে জমে থাকা বরফ গলতে শুরু করে। এর ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যায় এবং বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অনেক নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ে।
গ্রিনহাউজ প্রভাব কী?
গ্রিনহাউজ একটি স্বচ্ছ কাঁচের তৈরি ঘর, যেখানে কৃত্রিমভাবে একটি নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ সৃষ্টি করে গাছপালা উৎপাদন করা হয়। সূর্যের আলো এই ঘরের ভিতরে প্রবেশ করলে ঘরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়, কিন্তু সেই তাপ সহজে বাইরে বের হতে পারে না। ফলে ঘরের ভেতর উষ্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
পৃথিবীকেও একধরনের প্রাকৃতিক গ্রিনহাউজ বলা যায়। সূর্য থেকে আগত তাপ পৃথিবীর পৃষ্ঠে পড়ে এবং কিছু অংশ ফিরে যেতে চাইলেও, গ্রিনহাউজ গ্যাসগুলোর কারণে তা পুরোপুরি বের হতে পারে না। এর ফলে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বেড়ে যাচ্ছে। এই তাপমাত্রা বাড়ার প্রক্রিয়াকেই গ্রিনহাউজ প্রতিক্রিয়া বলা হয়।
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও গ্রিনহাউজ গ্যাস
পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির ঘটনাকে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বলা হয়, যা মূলত গ্রিনহাউজ প্রভাবের একটি ফলাফল। বিভিন্ন গ্রিনহাউজ গ্যাস যেমন—কার্বন ডাই-অক্সাইড (CO₂), মিথেন (CH₄), নাইট্রাস অক্সাইড (N₂O), ক্লোরোফ্লোরো কার্বন (CFC), ওজোন (O₃) ও জলীয়বাষ্প এই উষ্ণায়নের জন্য দায়ী।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণি, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 2 months ago
গ্রিন হাউজ ইফেক্টের পরিণতিতে বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুতর ক্ষতি কী হবে?
Created: 1 month ago
A
বৃষ্টিপাত কমে যাবে
B
নিম্নভূমি নিমজ্জিত হবে
C
উত্তাপ অনেক বেড়ে যাবে
D
সাইক্লোনের প্রবণতা বাড়বে
গ্রিন হাউস ইফেক্টের কারণে বাংলাদেশের ক্ষতি
-
গ্রিন হাউস ইফেক্টের কারণে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশের উপকূল এলাকা পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।
-
২০০৭ সালে আইসিসি জানিয়েছিল, যদি ২০৫০ সালের মধ্যে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ৪৫ সেন্টিমিটার বাড়ে, তাহলে বাংলাদেশের উপকূলীয় ১০-১৫ শতাংশ ভূমি পানির নিচে চলে যেতে পারে।
-
এতে প্রায় ৩.৫ কোটি মানুষ বাসস্থান ও ফসলি জমি হারিয়ে জলবায়ু উদ্বাস্তুতে পরিণত হবে।
গ্রিন হাউস ইফেক্ট
-
ওজোন স্তরের ক্ষতির কারণে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ে, যার ফলে কৃষি ও পরিবেশের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে – একে গ্রিন হাউস ইফেক্ট বলা হয়।
-
এই প্রভাবের কারণে পৃথিবীর বাতাস ক্রমেই গরম হয়ে উঠছে।
-
ফলে মেরু অঞ্চলের বরফ গলছে এবং নিচু এলাকার অনেক স্থান ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
-
এই প্রভাবের জন্য কিছু নির্দিষ্ট গ্যাস দায়ী, যাদেরকে গ্রিন হাউস গ্যাস বলা হয়।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ গ্রিন হাউস গ্যাস
-
জলীয় বাষ্প
-
কার্বন ডাই-অক্সাইড
-
মিথেন
-
নাইট্রাস অক্সাইড
-
ওজোন
-
ক্লোরোফ্লোরো কার্বন (CFC)
-
এছাড়াও, কার্বন ডাই সালফাইড ও কার্বনিল সালফাইড পরোক্ষভাবে গ্রিন হাউস ইফেক্টে ভূমিকা রাখে।
তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া

0
Updated: 1 month ago
গ্রিন হাউজ গ্যাসের উদাহরণ কোনটি?
Created: 1 week ago
A
আর্গন
B
হাইড্রোজেন
C
মিথেন
D
সালফার ডাই-অক্সাইড
গ্রিন হাউজ প্রভাব:
- ওজোন স্তরে ক্ষত সৃষ্টি হলে পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি পেয়ে কৃষি ও পরিবেশের ওপর যে বিরুপ প্রভাব ফেলে একেই গ্রিন হাউজ প্রভাব (Green House Effect) বলা হয়।
- গ্রিন হাউস ইফেক্টের ফলে বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত হচ্চে।
- ফলে মেরু অঞ্চলের বরফ ক্রমে গলে যাচ্ছে।
- এর ফলে বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর নিম্নভূমি ক্রমশ নিমজ্জিত হবে।
- গ্রীন হাউজ ইফেক্টের জন্য দায়ী গ্যাসগুলোকে বলা হয় গ্রীন হাউজ গ্যাস।
- কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গ্রীন হাউজ গ্যাস হচ্ছে:
• জলীয় বাষ্প,
• কার্বন ডাই-অক্সাইড,
• নাইট্রাস অক্সাইড,
• মিথেন,
• ওজোন,
• ক্লোরোফ্লোরো কার্বন ইত্যাদি।
- কার্বন ডাই সালফাইড এবং কার্বনিল সাইফাইড পরোক্ষ গ্রিন হাউজ গ্যাস।
অন্যদিকে,
- আর্গন, হাইড্রোজেন ও সালফার ডাই-অক্সাইড গ্রীন হাউজ গ্যাস নয়।

0
Updated: 1 week ago
গ্রিনহাউস প্রতিক্রিয়ার ফলে বায়ুমণ্ডলে কোন গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে?
Created: 3 weeks ago
A
ওজোন
B
কার্বন ডাই-অক্সাইড
C
অক্সিজেন
D
কার্বন মনো-অক্সাইড
পরিবেশ দূষণ (Environmental Pollution)
-
পরিবেশ দূষণ হলো সেই অবস্থা যখন প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট পদার্থ পরিবেশকে বিষময় করে, ফলে জীবজগতের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।
-
মাটি, পানি, বায়ু প্রভৃতি প্রাকৃতিক উপাদানের ভৌত, রাসায়নিক ও জৈব পরিবর্তন পরিবেশ দূষণের প্রধান কারণ।
-
দূষিত পদার্থের বৃদ্ধির ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয় এবং স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হয়।
-
মানব কর্মকাণ্ডের কারণে ধরিত্রী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। যেমন:
-
জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও নগরায়ন
-
অপরিকল্পিত শিল্পায়ন
-
বনজ সম্পদ ধ্বংস
-
বর্জ্য ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা দুর্বল
-
নদী-নালা, খাল-বিল ভরাট
-
ইটভাটা, ভূমিক্ষয়
-
যানবাহন ও রাসায়নিক সার, কীটনাশক অতিরিক্ত ব্যবহার
-
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব (Effects of Climate Change)
-
অপরিকল্পিত নগরায়ন ও শিল্পায়ন জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম কারণ।
-
গ্রিনহাউস প্রভাবের কারণে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, তাপমাত্রা বাড়ে, হিমালয়ের বরফ গলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পায়।
-
ফলে উপকূলবর্তী দেশসমূহ (বাংলাদেশ, ভারত, মালদ্বীপ, শ্রীলংকা ইত্যাদি) ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
-
ভবিষ্যৎ প্রভাব:
-
সমুদ্রপৃষ্ঠের উঁচু হওয়ার ফলে ভূমি বিলীন হওয়া
-
জীবন ও সম্পদের ক্ষতি
-
খরা, নদীর প্রবাহ হ্রাস, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস
-
পানযোগ্য পানির অভাব
-
মৎস্য সম্পদ ক্ষয়
-
ফসল উৎপাদন হ্রাস
-
অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে মারাত্মক ক্ষতি
-
উৎস: গার্হস্থ্য বিজ্ঞান প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 3 weeks ago