'ইউসুফ-জোলেখা' প্রণয়কাব্য অনুবাদ করেছেন-
A
দৌলত উজির বাহরাম খান
B
মাগন ঠাকুর
C
আলাওল
D
শাহ্ মুহম্মদ সগীর
উত্তরের বিবরণ
ইউসুফ-জোলেখা কাব্য
• ইউসুফ-জোলেখা’ শাহ মুহম্মদ সগীর রচিত কাহিনি কাব্যগ্রন্থ যা রোম্যান্টিক প্রণয়োপাখ্যান ধারার প্রথম কাব্য।
• গৌড়ের সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের রাজত্বকালে এ কাব্যর রচনা হয়েছিল বলে প্রমাণ মিলেছে।
• বাইবেল ও কোরানে ইউসুফ-জোলেখার কাহিনি বর্ণিত আছে। ইরানের কবি ফেরদৌসিও এই নামে কাব্য রচনা করেছেন। সগীর বাইবেল পড়েন নি। তিনি কোরান ও ফেরদৌসির কাছে থেকেই কাহিনিসূত্র গ্রহণ করে ইউসুফ ও জোলেখার প্রণয়কাহিনি লেখেন।
• পরবর্তীতে মধ্যযুগের আরো অনেক কবি ইউসুফ জুলেখা নাম দিয়ে কাব্য রচনা করেছেন। যেমন- ইউসুফ জুলেখা নিয়ে কাব্য রচনা করেন আব্দুল হাকিম এবং শাহ মুহম্মদ গরীবুল্লাহ। তবে এই কাব্য শাহ মুহাম্মদ সগীরই প্রথম লেখেন।
------------------------------
• শাহ মুহম্মদ সগীর:
- মধ্যযুগের তথা বাংলা সাহিত্যের প্রথম মুসলিম কবি শাহ মুহম্মদ সগীর।
- তিনি পনের শতকের কবি ছিলেন।
- গৌড়ের সুলতান গিয়াসউদ্দিন আজম শাহের রাজত্বকালে তিনি কাব্য রচনা করেন।
- অনুবাদ সাহিত্য বা রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান ধারার প্রথম কবি - শাহ্ মুহম্মদ সগীর।
- শাহ মুহম্মদ সগীরের শ্রেষ্ঠ অনুবাদকর্ম ইউসুফ-জোলেখা। এটি একটি রোমান্টিক প্রনয়োপাখ্যান।
- ইউসুফ-জোলেখা কাব্যগ্রন্থের রচনাকাল অনুসারে এটি রোমান্টিক প্রণয়োপাখ্যান ধারার প্রথম কাব্য এবং শাহ মুহম্মদ সগীর এই ধারার প্রথম কবি।
উৎস: বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর এবং বাংলাপিডিয়িা।
0
Updated: 3 months ago
মুক্তিযুদ্ধ নির্ভর রচনা কোনটি?
Created: 2 months ago
A
এইসব দিন রাত্রি
B
নূরলদীনের সারা জীবন
C
একাত্তরের দিনগুলি
D
সৎ মানুষের খোঁজে
একাত্তরের দিনগুলি
‘একাত্তরের দিনগুলি’ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি স্মৃতিকথা গ্রন্থ, লিখেছেন বাংলাদেশী কথাসাহিত্যিক জাহানারা ইমাম। এটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৮৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে।
জাহানারা ইমাম ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তার পুত্র রুমী ও স্বামীকে হারান। সেই সময় তার জীবন ছিল উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও ভয়-উদ্বেগে ঘেরা, তবু তার মনে ছিল দেশপ্রেম ও স্বাধীনতার স্বপ্ন। সেই দুঃসহ নয় মাসের দৈনন্দিন ঘটনা এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে তার কর্মকাণ্ডের বর্ণনা তিনি লিখতেন ছোট চিরকুটে, ছিন্নপত্রে এবং সংকেতভঙ্গিতে।
গ্রন্থটি প্রকাশিত হওয়ার পর জনমনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে এবং এটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক একটি মর্মস্পর্শী ও শিহরণ জাগানো সাহিত্যকর্ম হিসেবে বিবেচিত হয়।
জাহানারা ইমাম
-
জন্ম: ১৯২৯, সুন্দরপুর, মুর্শিদাবাদ জেলা।
-
খ্যাতি: শহীদ জননী নামে পরিচিত।
-
সক্রিয় ভূমিকা: মুক্তিযুদ্ধ চেতনাকে বাস্তবায়ন এবং ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির আহবায়ক।
-
অসুস্থতা ও মৃত্যু: ১৯৮১-এর দিকে মুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত, মৃত্যুহয় ১৯৯৪ সালের ২৬ জুন, আমেরিকার মিশিগান স্টেটের ডেট্রয়েটে।
অন্য গ্রন্থসমূহ:
-
সাতটি তারার ঝিকিমিকি
-
অন্যজীবন
-
বুকের ভিতর আগুন
-
নাটকের অবসান
-
নিঃসঙ্গ পাইন
-
প্রবাসের দিনগুলি
-
ক্যানসারের সঙ্গে বসবাস
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম
-
হুমায়ূন আহমেদ: প্রথম ধারাবাহিক নাটক ‘এইসব দিনরাত্রি’, বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যে জনপ্রিয়।
-
সৈয়দ শামসুল হক: কাব্যনাট্য ‘নূরলদীনের সারা জীবন’, যা রংপুরের কৃষক বিদ্রোহের নেতা নুরুলদীনের সামন্তবিরোধী সংগ্রামের উপর ভিত্তি করে রচিত।
উৎস: বাংলাপিডিয়া, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা, ড. সৌমিত্র শেখর
0
Updated: 2 months ago
'বাঙালি ও বাঙলা সাহিত্য' গ্রন্থ কে রচনা করেছেন?
Created: 1 month ago
A
দীনেশচন্দ্র সেন
B
গোপাল হালদার
C
আহমদ শরীফ
D
সুকুমার সেন
আহমদ শরীফ (১৯২১-১৯৯৯) ছিলেন একজন শিক্ষাবিদ, চিন্তাবিদ, লেখক এবং মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের একজন প্রধান গবেষক।
তিনি বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন এবং তার লেখনীর মাধ্যমে সাহিত্যচর্চা ও চিন্তাজগতকে সমৃদ্ধ করেছেন।
তার উল্লেখযোগ্য রচনাবলি:
-
‘বাঙালি ও বাঙলা সাহিত্য’ – আহমদ শরীফের প্রধান গ্রন্থ।
-
সাহিত্য সংস্কৃতি চিন্তা (১৯৬৯)
-
স্বদেশ অন্বেষা (১৯৭০)
-
জীবনে সমাজে সাহিত্যে (১৯৭০)
-
বিচিত্র চিন্তা (১৯৮৬)
-
স্বদেশ চিন্তা (১৯৯৭)
0
Updated: 1 month ago
'কবর' নাটক কার রচনা?
Created: 3 months ago
A
শহীদুল্লাহ কায়সার
B
জহির রায়হান
C
মুনীর চৌধুরী
D
সত্যেন সেন
বাংলা নাট্যসাহিত্যের ইতিহাসে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক প্রতিকী নাটক হিসেবে স্থান করে নিয়েছে মুনীর চৌধুরীর ‘কবর’। এটি মূলত রচিত হয়েছিল ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের উত্তাল পটভূমিতে।
লেখক নিজেই তখন কারাগারে বন্দি। সেই বন্দিদশায়, ১৯৫৩ সালে কারাগারে থাকা রাজবন্দিদের সহায়তায় প্রথম অভিনীত হয় এই নাটকটি। পরবর্তীতে ১৯৬৬ সালে এটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।
কাহিনির সারসংক্ষেপ
Irwin Shaw-এর বিখ্যাত নাটক "Bury The Dead" (১৯৩৬) অবলম্বনে দেশীয় প্রেক্ষাপটে ‘কবর’ নাটকটি নির্মিত। এতে দেখা যায়, ভাষা আন্দোলনের এক মিছিলে পুলিশের গুলিতে নিহতদের মৃতদেহ শহরের বাইরে গভীর রাতে গোপনে কবরস্থ করতে আনা হয়। এ কাজে নেতৃত্ব দেয় এক পুলিশ ইন্সপেক্টর হাফিজ এবং তার সহযোগী এক নেতা, যার নাম নাটকে উল্লেখ করা হয়নি।
তবে মিছিলে নিহত এসব আন্দোলনকারীর মৃতদেহ এতটাই বিকৃত যে, ধর্মীয় প্রথা মেনে দাফন না করে তারা একত্রে মাটি চাপা দেওয়ার পরিকল্পনা করে। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রুখে দাঁড়ায় গোর খোদক এবং এক পাগল, যিনি নিজেকে মুর্দা ফকির হিসেবে পরিচয় দেন। তিনি জানান, এ লাশগুলো শহীদের—তাদের কবর দেওয়া যাবে না। নাটকের এক মোক্ষম মুহূর্তে দেখা যায়, মৃতদেহগুলো জীবন্ত হয়ে দাঁড়িয়ে জানিয়ে দেয়: “আমরা কবরে যাব না।” এই দৃশ্য দেখে ইন্সপেক্টর ও নেতা দুজনেই আতঙ্কে পালিয়ে যায়।
নাট্যকার মুনীর চৌধুরী পরিচিতি
মুনীর চৌধুরী ছিলেন একাধারে শিক্ষাবিদ, বিশিষ্ট নাট্যকার, সাহিত্য সমালোচক ও বলিষ্ঠ বক্তা। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১৯২৫ সালের ২৭ নভেম্বর, মানিকগঞ্জ শহরে। প্রগতিশীল চিন্তাধারায় বিশ্বাসী মুনীর চৌধুরী বামপন্থী রাজনীতি ও সংস্কৃতি আন্দোলনের সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন।
তাঁর মৌলিক নাটকসমূহ:
-
রক্তাক্ত প্রান্তর
-
চিঠি
-
কবর
-
দণ্ডকারণ্য
অনুবাদ নাটকসমূহ:
-
কেউ কিছু বলতে পারে না
-
রূপার কৌটা
-
মুখরা রমণী বশীকরণ
তথ্যসূত্র:
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য জিজ্ঞাসা – ড. সৌমিত্র শেখর
বাংলাপিডিয়া
0
Updated: 3 months ago