প্রধানত ডিবাগিং-এর উদ্দেশ্য কী?
A
কোড কম্পাইল করা
B
ডকুমেন্টেশন লেখা
C
কোডে ত্রুটি খুঁজে বের করে তা সংশোধন করা
D
পারফরম্যান্স উন্নত করা
উত্তরের বিবরণ
ডিবাগিং-এর প্রধান উদ্দেশ্য হলো কোডে থাকা ত্রুটি বা বাগ খুঁজে বের করা এবং তা সংশোধন করা (গ)। প্রোগ্রাম লেখার সময় অনিচ্ছাকৃত ভুল ঘটতে পারে, যা কোডকে সঠিকভাবে কার্যকর হতে বাধা দেয়। ডিবাগিং প্রক্রিয়া শুধু সিনট্যাক্স জনিত ভুল নয়, বরং লজিক্যাল বা রানটাইম ত্রুটি শনাক্ত করতেও সাহায্য করে। এর মাধ্যমে প্রোগ্রামার বুঝতে পারে কোন অংশে সমস্যা হচ্ছে এবং কোন পরিবর্তন করলে কোডটি সঠিকভাবে কাজ করবে।
প্রোগ্রাম ডিবাগিং সম্পর্কে তথ্য:
-
প্রোগ্রাম তৈরির সময় বিভিন্ন কারণে ত্রুটি (Bug) দেখা দিতে পারে, যা প্রোগ্রামের সঠিক কার্যকারিতাকে বাধাগ্রস্ত করে।
-
ডিবাগিং প্রক্রিয়ায় প্রোগ্রামার কোডের ত্রুটিপূর্ণ অংশ সনাক্ত এবং সংশোধন করে।
-
এটি সফটওয়্যার উন্নয়নের একটি অপরিহার্য ধাপ, যা প্রোগ্রামের স্থায়িত্ব এবং নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করে।
-
ডিবাগিং শুধুমাত্র কোড পরীক্ষা নয়, বরং প্রোগ্রামিং দক্ষতা বৃদ্ধিরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
0
Updated: 1 month ago
প্রোগ্রাম ডিজাইনের প্রধান টুলস কোনগুলি?
Created: 1 month ago
A
কম্পাইলার, ইন্টারপ্রেটার, ডিবাগার
B
মেশিন কোড, অ্যাসেম্বলি, জাভা
C
হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, নেটওয়ার্ক
D
অ্যালগরিদম, ফ্লোচার্ট, সুডো কোড
প্রোগ্রাম ডিজাইনের প্রধান টুলস:
অ্যালগরিদম, ফ্লোচার্ট, সুডো কোড
১. অ্যালগরিদম (Algorithm)
-
কোনো সমস্যা সমাধানের ধাপে ধাপে যুক্তিসম্মত নির্দেশাবলী লিখে তৈরি প্রক্রিয়া।
-
প্রোগ্রাম রচনা ও কার্যকর করার জন্য ধাপসমূহের পর্যায়ক্রমিক লিপিবদ্ধকরণ।
-
কম্পিউটারের সাহায্যে সমস্যার সমাধান করার ক্ষেত্রে অ্যালগরিদমের গুরুত্ব অপরিসীম।
২. ফ্লোচার্ট (Flowchart)
-
প্রোগ্রাম বা তথ্য প্রক্রিয়াকরণের ধাপসমূহ চিত্রের মাধ্যমে প্রদর্শন করার পদ্ধতি।
-
সাংকেতিক চিহ্ন ও বর্ণনা ব্যবহার করে ধাপগুলোকে পর্যায়ক্রমিকভাবে দেখানো হয়।
-
এটি মূলত অ্যালগরিদমের চিত্ররূপ, যা সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়া সহজে বোঝায়।
৩. সুডো কোড (Pseudo Code)
-
প্রোগ্রামিংয়ের মতো লেখা শব্দভিত্তিক নির্দেশাবলী, যা বাস্তব প্রোগ্রাম নয় কিন্তু ধারাবাহিকভাবে সমস্যার সমাধান দেখায়।
-
প্রায়শই অ্যালগরিদমের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
সাধারণত ইংরেজিতে লেখা হয় এবং বাস্তব কোডের মতোই ধাপগুলো উপস্থাপন করে।
0
Updated: 1 month ago
বুলিয়ান অ্যালজেবরার যোগ অপারেশন করতে কোন লজিক গেইট প্রয়োজন?
Created: 1 month ago
A
AND gate
B
OR gate
C
NOT gate
D
NOR gate
বুলিয়ান অ্যালজেব্রায় যোগ (Addition) অপারেশন সম্পাদনের জন্য মূলত OR গেইট ব্যবহার করা হয়। কারণ বুলিয়ান যোগের সংজ্ঞা অনুযায়ী, দুটি ইনপুটের যেকোনো একটি বা উভয়ই “১” হলে আউটপুট “১” হবে। OR গেইটের কার্যপ্রণালী ঠিক এই নিয়ম অনুসরণ করে, যেখানে আউটপুট তখনই “১” হয় যদি অন্তত একটি ইনপুট “১” থাকে। অন্যদিকে AND গেইট, NOT গেইট বা NOR গেইট ভিন্ন লজিক অনুসরণ করে। যেমন AND গেইট শুধুমাত্র দুটি ইনপুটই “১” হলে আউটপুট “১” দেয়। তাই বুলিয়ান যোগের ক্ষেত্রে OR গেইট সবচেয়ে উপযুক্ত এবং সরাসরি প্রয়োগযোগ্য।
লজিক গেইট সম্পর্কিত তথ্য:
-
লজিক গেইট হলো একটি ইলেকট্রনিক সার্কিট যা এক বা একাধিক ইনপুট গ্রহণ করে নির্দিষ্ট লজিক অনুযায়ী একটি আউটপুট প্রদান করে।
-
লজিক গেইটে ব্যবহৃত ইনপুটগুলো সাধারণত 1 এবং 0।
-
মৌলিক লজিক গেইট তিনটি: OR গেইট, AND গেইট, NOT গেইট।
প্রকারভেদ ও ব্যবহার:
-
OR গেইট: বুলিয়ান অ্যালজেব্রায় যোগের (Addition) কাজ সম্পাদন করে।
-
AND গেইট: বুলিয়ান অ্যালজেব্রায় গুণের (Multiplication) কাজ সম্পাদন করে।
-
NOT গেইট: বুলিয়ান অ্যালজেব্রায় পূরক (Complement) কাজ সম্পাদন করে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
ক্রায়োসার্জারিতে অস্বাভাবিক বা ক্যান্সারগ্রস্ত কোষ ধ্বংস করতে সাধারণত কত ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার নিচের তাপমাত্রায় শরীরের টিস্যু ঠান্ডা করা হয়?
Created: 3 weeks ago
A
০° সেলসিয়াস
B
-২০° সেলসিয়াস
C
-৬০° সেলসিয়াস
D
-১০° সেলসিয়াস
সঠিক উত্তর: গ) -৬০° সেলসিয়াস
ক্রায়োসার্জারি:
ক্রায়োসার্জারি হলো একটি আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি, যেখানে শরীরের নির্দিষ্ট অংশে অত্যধিক নিম্ন তাপমাত্রা প্রয়োগ করে অসুস্থ বা ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু (tissue) ধ্বংস করা হয়। এই পদ্ধতিতে স্থানীয়ভাবে ফ্রিজিং বা জমাট বাঁধানোর প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হয়, যাতে আক্রান্ত কোষগুলো নষ্ট হয়ে যায়।
প্রক্রিয়া:
-
চিকিৎসার সময় টিস্যুকে দ্রুত -৬০° সেলসিয়াস বা তার নিচে ঠান্ডা করা হয়।
-
এই অতিশীত অবস্থায় টিস্যুর ভেতরে বরফের ক্রিস্টাল তৈরি হয়, যা কোষের ঝিল্লি ও গঠন ধ্বংস করে কোষকে মেরে ফেলে।
-
ঠান্ডা করার ফলে শরীরের ইমিউন সিস্টেম সক্রিয় হয়, এবং কোষের অভ্যন্তরের প্রোটিন নিঃসরণ অ্যান্টিবডি আকর্ষণ করে, যার ফলে অসুস্থ কোষ ধ্বংস হয়।
ইতিহাস:
-
টিস্যু ফ্রিজিংয়ের ধারণা প্রথম আসে ১৮৫০-এর দশকে, তবে প্রথম কার্যকর ক্রায়োসার্জিকাল যন্ত্র উদ্ভাবন করেন ইরভিং কুপার (Irving Cooper), ১৯৬১ সালে।
-
তিনি তরল নাইট্রোজেন (Liquid Nitrogen) ব্যবহার করে মস্তিষ্কের টিউমার ধ্বংস করতে সক্ষম হন।
ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থ:
ক্রায়োসার্জারিতে শীতলীকরণ মাধ্যম হিসেবে নিম্নলিখিত পদার্থ ব্যবহার করা হয়—
-
তরল নাইট্রোজেন (Liquid Nitrogen)
-
তরল কার্বন ডাই-অক্সাইড (Liquid CO₂)
-
নাইট্রাস অক্সাইড (Nitrous Oxide)
-
আর্গন (Argon)
-
ইথাইল ক্লোরাইড (Ethyl Chloride)
-
ফ্লোরিনেটেড হাইড্রোকার্বন (Fluorinated Hydrocarbon)
ব্যবহারের ক্ষেত্রসমূহ:
ক্রায়োসার্জারি বর্তমানে চিকিৎসাবিজ্ঞানের বহু শাখায় সফলভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে—
-
ত্বকের লেশান (Lesion) অপসারণ
-
গাইনোকলজিক ও ইউরোলজিক টিউমার চিকিৎসা
-
চোখের লেন্স এক্সট্র্যাকশন (Lens Extraction)
-
হেমোরয়েড (Hemorrhoids) অপসারণ
-
হৃদযন্ত্রের conduction disorder চিকিৎসা
-
ত্বকের ছোট ক্যান্সারাস লেশান ধ্বংস
-
ছত্রাক, প্রি-ক্যান্সারাস ও ছোট ক্যান্সারাস ত্বক লেশান চিকিৎসা
-
ক্যাটারাক্ট অপসারণ
-
সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমের লেশান অপসারণ
0
Updated: 3 weeks ago