কোন ধরনের ভাষা কম্পিউটার সরাসরি বুঝতে পারে?
A
সি++
B
সিউডোকোড
C
মেশিন ভাষা
D
হাই-লেভেল ভাষা
উত্তরের বিবরণ
কম্পিউটার যে ভাষা সরাসরি বুঝতে পারে তা হলো মেশিন ভাষা (গ)। এটি একটি বাইনারি ভাষা, যা ০ এবং ১-এর মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। কম্পিউটারের প্রসেসর শুধুমাত্র এই বাইনারি সংকেতগুলো বুঝতে সক্ষম। উচ্চ স্তরের ভাষা যেমন C++ বা সিউডোকোড মানুষের বোঝার উপযোগী হলেও, কম্পিউটার সেগুলো সরাসরি বুঝতে পারে না। এসব ভাষাকে প্রথমে কম্পাইল বা ইন্টারপ্রেটর এর মাধ্যমে মেশিন ভাষায় রূপান্তর করতে হয়। অন্যদিকে, মেশিন ভাষা কোনও অনুবাদ ছাড়াই সরাসরি প্রসেসরে পাঠানো যায়, ফলে এটি সবচেয়ে নিচু স্তরের ভাষা হিসেবে পরিচিত যা কম্পিউটারের জন্য স্বাভাবিক এবং সরাসরি বোধগম্য।
মেশিন ভাষা সম্পর্কে তথ্য:
-
এটি কম্পিউটারের সবচেয়ে নিচু স্তরের ভাষা।
-
কম্পিউটারের নিজস্ব ভাষাকে মেশিন ভাষা বা নিম্নস্তরের ভাষা বলা হয়।
-
মেশিন ভাষা বাইনারি কোডে (০ এবং ১) রূপান্তরিত হয়, যা সরাসরি প্রসেসরের দ্বারা কার্যকর করা যায়।
-
উচ্চ স্তরের ভাষার প্রোগ্রামকে কার্যকর করার জন্য প্রথমে এটি মেশিন ভাষায় রূপান্তর করতে হয়।
0
Updated: 1 month ago
যদি একটি CPU-র ক্লক স্পিড ৩ GHz হয়, এটি প্রতি সেকেন্ডে কতটি সাইকেল সম্পন্ন করে?
Created: 1 month ago
A
৩০০ বিলিয়ন
B
৩ লাখ
C
৩ বিলিয়ন
D
৩ মিলিয়ন
একটি CPU-র ক্লক স্পিড বলতে বোঝায়, প্রতি সেকেন্ডে প্রসেসর কতবার সিগন্যাল বা সাইকেল সম্পন্ন করে। উদাহরণস্বরূপ, যদি একটি CPU-র ক্লক স্পিড ৩ GHz হয়, তবে এখানে "GHz" মানে গিগাহার্টজ"। ১ হার্টজ মানে প্রতি সেকেন্ডে ১ সাইকেল। ১ GHz সমান ১ বিলিয়ন (১০⁹) সাইকেল প্রতি সেকেন্ডে। সুতরাং, ৩ GHz মানে ৩ × ১০⁹ সাইকেল, অর্থাৎ ৩ বিলিয়ন সাইকেল প্রতি সেকেন্ডে। এটি CPU-র গতির মান নির্দেশ করে।
CPU-এর গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য:
-
প্রসেসরের স্পিড (Clock Speed - GHz): যত বেশি GHz, তত দ্রুত কম্পিউটার ডেটা প্রসেস করতে পারে।
-
কোর সংখ্যা (Cores): একাধিক কোর থাকলে প্রসেসিং ক্ষমতা বাড়ে, যেমন Dual-core, Quad-core, Octa-core।
-
ক্যাশ মেমোরি (Cache Memory): দ্রুত ডেটা অ্যাক্সেস করতে সাহায্য করে।
সিপিইউ সম্পর্কে তথ্য:
-
কম্পিউটারের কেন্দ্রীয় অংশ হলো সিপিইউ বা সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট।
-
অতীতের দিনে সিপিইউ বোঝাত কম্পিউটারের মধ্যবর্তী কেন্দ্রীয় অংশকে।
-
বর্তমানে সিপিইউ বলতে মূলত মাইক্রোপ্রসেসর বোঝানো হয়।
-
সিপিইউকে কম্পিউটারের ব্রেইন বা মস্তিষ্ক বলা হয়।
0
Updated: 1 month ago
কোনটি এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার নয়?
Created: 1 month ago
A
AVG
B
Avast
C
Norton
D
Trojan Horse
Trojan Horse হলো একটি ধরনের কম্পিউটার ভাইরাস, যা সিস্টেমে প্রবেশ করে ক্ষতি করতে পারে।
• কম্পিউটার ভাইরাস:
-
কম্পিউটার ভাইরাসের ধারণা ও নামকরণ করেছেন প্রখ্যাত গবেষক ফ্রেড কোহেন।
-
সাধারণত, ভাইরাস একটি কম্পিউটারে প্রবেশ করার পর সিস্টেম সংক্রমিত করে এবং এক পর্যায়ে কম্পিউটারকে অচল বা ক্ষতিগ্রস্ত করে দিতে পারে।
• উল্লেখযোগ্য কম্পিউটার ভাইরাসের উদাহরণ:
-
ভিবিএস/হেল্পার
-
ওয়ার্ম
-
ভিবিএস/আকুই
-
ট্রোজান হর্স
-
এক্স ৯৭এম/হপার
-
বুট সেক্টর ভাইরাস
-
জেরুজালেম
-
স্টোন
-
ঢাকা ভাইরাস
-
ভিয়েনা
-
সিআইএইচ
• এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার উদাহরণ:
-
AVG
-
Avast
-
Norton
0
Updated: 1 month ago
ফ্লিপ-ফ্লপ কত বিট তথ্য সঞ্চয় করতে পারে?
Created: 1 month ago
A
16 বিট
B
4 বিট
C
8 বিট
D
1 বিট
ফ্লিপ-ফ্লপ হলো ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্সে একটি মৌলিক স্টোরেজ ডিভাইস, যা একক বিট তথ্য সংরক্ষণ করতে সক্ষম। এটি মূলত দুটি স্থিতির মধ্যে থাকে: ‘0’ বা ‘1’। প্রতিটি ফ্লিপ-ফ্লপ কেবল একটি বিট তথ্য ধারণ করতে পারে, অর্থাৎ এক সময়ে মাত্র একটি বাইনারি মান ধরে রাখে। একাধিক বিট সংরক্ষণ করতে হলে একাধিক ফ্লিপ-ফ্লপ সিরিজে ব্যবহার করতে হয়। তাই, ফ্লিপ-ফ্লপের ক্ষমতা হলো ১ বিট। এটি ডিজিটাল মেমোরি এবং রেজিস্টারের ভিত্তি তৈরি করে।
ফ্লিপ-ফ্লপ সম্পর্কে তথ্য:
-
ফ্লিপ-ফ্লপ হলো লজিক গেইট দিয়ে তৈরি এক ধরনের ডিজিটাল সার্কিট, যা এক বিট তথ্য ধারণ করতে পারে।
-
প্রতিটি ফ্লিপ-ফ্লপে এক বা একাধিক ইনপুটের জন্য দুটি আউটপুট পাওয়া যায়।
-
ফ্লিপ-ফ্লপ মূলত সিঙ্গেল বিট নিয়ে কাজ করে এবং মাল্টিপল বিট ধারণ করতে পারে না।
-
এটি এক বিটের ০ বা ১ হতে পারে।
-
এজন্য ফ্লিপ-ফ্লপকে বাইস্টেবল মাল্টিভাইব্রেটর বলা হয়।
ফ্লিপ-ফ্লপের ব্যবহার:
-
বিভিন্ন রেজিস্টার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
-
সিকোয়েন্সিয়াল সার্কিটে মেমরি উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
-
ডিজিটাল ঘড়ি, ডিজিটাল ক্যামেরা, মোবাইল ফোন ইত্যাদিতে ব্যবহার করা হয়।
0
Updated: 1 month ago