কোন ধরনের ভাষা কম্পিউটার সরাসরি বুঝতে পারে?
A
সি++
B
সিউডোকোড
C
মেশিন ভাষা
D
হাই-লেভেল ভাষা
উত্তরের বিবরণ
• কম্পিউটার সরাসরি যে ভাষা বুঝতে পারে তা হলো মেশিন ভাষা (গ)। এটি বাইনারি ভাষা, যা ০ এবং ১ এর মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। কম্পিউটারের প্রসেসর শুধুমাত্র এই বাইনারি সংকেত বুঝতে সক্ষম। উচ্চ স্তরের ভাষা যেমন C++ বা সিউডোকোড মানুষের বোঝার উপযোগী হলেও, কম্পিউটার সেগুলো সরাসরি বুঝতে পারে না। এসব ভাষাকে প্রথমে কম্পাইল বা ইন্টারপ্রেটরের মাধ্যমে মেশিন ভাষায় রূপান্তর করতে হয়। অন্যদিকে, মেশিন ভাষা কোনও অনুবাদ ছাড়াই সরাসরি প্রসেসরে পাঠানো যায়, ফলে এটি সবচেয়ে নিচু স্তরের ভাষা হিসেবে পরিচিত যা কম্পিউটারের জন্য স্বাভাবিক এবং সরাসরি বোধগম্য।
• মেশিন ভাষা:
- কম্পিউটারে সবচেয়ে নিচের স্তরের ভাষা হলো মেশিন ভাষা।
- কম্পিউটারের নিজস্ব ভাষাকে মেশিন ভাষা বা নিম্নস্তরের ভাষা
উৎস: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

0
Updated: 1 day ago
২০০৬ সালে কোন কোম্পানি প্রথম বাণিজ্যিকভাবে IaaS সেবা চালু করেছিল?
Created: 2 weeks ago
A
B
Cisco
C
IBM
D
Amazon
Amazon EC2 এবং IaaS (Infrastructure as a Service)
২০০৬ সালে Amazon প্রথম বাণিজ্যিকভাবে IaaS সেবা চালু করে, যার নাম ছিল Amazon Elastic Compute Cloud (EC2)। এই সেবার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ক্লাউডে ভার্চুয়াল সার্ভার চালাতে পারতেন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী কম্পিউটিং রিসোর্স ব্যবহার করতে পারতেন। এর আগে প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজস্ব ডেটা সেন্টার ও সার্ভার ইনফ্রাস্ট্রাকচার স্থাপন করতে হতো, যা ব্যয়বহুল এবং সময়সাপেক্ষ। Amazon EC2 এর মাধ্যমে কম্পিউটিং ক্ষমতা দ্রুত বাড়ানো বা কমানো সম্ভব হলো, যা ক্লাউড কম্পিউটিংয়ের যুগে এক বিপ্লবী পদক্ষেপ ছিল।
সঠিক উত্তর: ঘ) Amazon
ক্লাউড কম্পিউটিং
কম্পিউটার রিসোর্স ব্যবহার করে নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কোনো সার্ভিস বা সেবা প্রদানকে ক্লাউড কম্পিউটিং বলা হয়।
১৯৬০ সালে জন ম্যাকার্থি প্রথম ক্লাউড কম্পিউটিং ধারণা দেন।
২০০৫ থেকে Amazon EC2 ব্যবহার শুরু হয়, এবং ২০০৬ সালে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে ক্লাউড কম্পিউটিং কার্যকর হয়।
ক্লাউড কম্পিউটিং-এর বৈশিষ্ট্য (NIST অনুযায়ী)
Resource Flexibility / Scalability: ব্যবহারকারীর চাহিদা অনুযায়ী সেবা বাড়ানো বা কমানো যায়।
On Demand: ব্যবহারকারী যখন খুশি তখন সেবা গ্রহণ করতে পারে।
Pay as you go: ব্যবহার অনুযায়ী অর্থ প্রদান করতে হয়, আগে থেকে সার্ভিস রিজার্ভ করতে হয় না।
ক্লাউড কম্পিউটিং সার্ভিস মডেল
IaaS (Infrastructure as a Service):
ক্লাউড সেবাদাতা নেটওয়ার্ক, CPU, স্টোরেজ এবং অন্যান্য মৌলিক কম্পিউটিং রিসোর্স প্রদান করে।
ব্যবহারকারী প্রয়োজন অনুযায়ী OS ও সফটওয়্যার চালাতে পারে।
PaaS (Platform as a Service):
হার্ডওয়্যার, OS, ওয়েব সার্ভার, ডেটাবেস ও প্রোগ্রাম এক্সিকিউশন পরিবেশ প্রদান করে।
ডেভেলপাররা তাদের সফটওয়্যার এই প্ল্যাটফর্মে চালাতে পারে।
SaaS (Software as a Service):
ব্যবহারকারীরা ক্লাউডে তৈরি করা অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার ইন্টারনেটের মাধ্যমে চালাতে পারে।
উৎস:
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি, মাহবুবুর রহমান
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

0
Updated: 2 weeks ago
নিচের কোনটি বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির বৈশিষ্ট্য নয়?
Created: 3 days ago
A
শুধু ০ ও ১ ব্যবহার করে
B
কম্পিউটারের মূল সংখ্যা পদ্ধতি
C
মানুষের দৈনন্দিন জীবনে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত
D
ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্সে ব্যবহৃত
বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি হলো একটি ভিত্তি-২ সংখ্যা পদ্ধতি, যেখানে শুধুমাত্র দুটি ডিজিট, ০ এবং ১, ব্যবহার করা হয়। এটি বিশেষভাবে কম্পিউটার এবং ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স-এর জন্য উপযোগী।
বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির মূল তথ্য:
-
এটি ২-ভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতি, যেখানে কেবল ০ এবং ১ ব্যবহার করা হয়।
-
এই দুটি অংককে বিভিন্নভাবে সাজিয়ে যেকোনো সংখ্যা প্রকাশ করা যায়।
-
বাইনারি পদ্ধতির বেজ হলো ২।
-
উদাহরণ: (110)₂, (1101)₂ ইত্যাদি।
-
কম্পিউটার বাইনারি সংখ্যার মাধ্যমে সমস্ত ডেটা সংরক্ষণ করে।
-
কম্পিউটারের অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়াকরণও বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতিতে সম্পন্ন হয়।
উল্লেখ্য, মানুষের দৈনন্দিন জীবনে দশমিক (Decimal) সংখ্যা পদ্ধতি (০–৯) সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়।
উৎস:

0
Updated: 3 days ago
নিচের কোনটি ওয়েব ব্রাউজার নয়?
Created: 1 day ago
A
ওপেরা
B
সাফারি
C
গুগল ক্রোম
D
গুগল
ওয়েব ব্রাউজার হলো একটি সফটওয়্যার যা ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেটে ওয়েবসাইট খুলতে, ব্রাউজ করতে এবং তথ্য দেখতে সাহায্য করে। তালিকাভুক্ত অপশনগুলোর মধ্যে ওপেরা, সাফারি এবং গুগল ক্রোম সবই পরিচিত ওয়েব ব্রাউজার। অন্যদিকে “গুগল” হলো একটি সার্চ ইঞ্জিন, যা ওয়েবসাইট বা তথ্য খুঁজে বের করতে ব্যবহৃত হয়, তবে এটি নিজে কোনো ব্রাউজার নয়। তাই ওয়েব ব্রাউজার নয় এমনটি হলো— গুগল।
ওয়েব ব্রাউজারের সংজ্ঞা ও বৈশিষ্ট্য:
-
ইন্টারনেটকে তথ্যের মহাসমুদ্র বলা হয়, কারণ এটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা নেটওয়ার্কে সংযুক্ত কম্পিউটরে থাকা সমস্ত তথ্য ব্যবহারকারীদের কাছে পৌঁছে দেয়।
-
যে সফটওয়্যার ইন্টারনেটের ইনফরমেশন বা Web page/World Wide Web (WWW) প্রদর্শন করে তাকে ওয়েব ব্রাউজার বলে।
-
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ওয়েব সার্ভারে রাখা সংযোগযোগ্য ওয়েব পেইজ পরিদর্শন করা হয় Web Browsing এর মাধ্যমে।
-
Web Browsing করে বিভিন্ন তথ্য ব্যবহারকারীর কম্পিউটারে আনা যায়।
-
এই সকল ওয়েব ব্রাউজার সাধারণত বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত ওয়েব সার্ভার কম্পিউটারে থাকা ওয়েব পেইজ প্রদর্শন করে।
-
১৯৯০ সালে টিম বার্নার্স লি সর্বপ্রথম WorldWide Web নামে ওয়েব ব্রাউজার তৈরি করেন।
-
বর্তমান সময়ে জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজার: Internet Explorer (মাইক্রোসফট এজ), Mozilla Firefox, Safari, Opera, Google Chrome ইত্যাদি।
সার্চ ইঞ্জিন (Search Engine):
-
সার্চ ইঞ্জিন হলো একটি সফটওয়্যার টুল যা ওয়াল্ড ওয়াইড ওয়েব থেকে তথ্য খুঁজে বের করে।
-
উদাহরণ: Google, Yahoo, Bing, MSN ইত্যাদি।
উৎস:

0
Updated: 1 day ago