কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনের অপরিহার্য শর্ত কোনটি?
A
জেন্ডার সমতা
B
অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি
C
সরকার পরিবর্তন
D
সুশাসন
উত্তরের বিবরণ
কল্যাণমূলক রাষ্ট্র
-
কল্যাণমূলক রাষ্ট্র হলো সেই রাষ্ট্র, যার সমস্ত সম্পদ ও শক্তি জনকল্যাণের লক্ষ্যে পরিচালিত হয়।
-
এ রাষ্ট্র জনগণের ন্যূনতম চাহিদা পূরণ করে।
-
তবে কল্যাণমূলক রাষ্ট্র সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র নয়; কারণ এটি ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য অক্ষুণ্ণ রেখে সমাজতান্ত্রিক কার্যাবলী সম্পাদন করে।
-
মৌলিক চাহিদা পূরণের জন্য এ রাষ্ট্র—
-
অধিক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে,
-
বেকারভাতা প্রদান করে,
-
বিনা খরচে শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করে,
-
বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
-
-
কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠনের জন্য সুশাসন প্রতিষ্ঠা অপরিহার্য শর্ত।
0
Updated: 1 month ago
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নাগরিকের কর্তব্য কোনটি?
Created: 1 month ago
A
সরকার পরিচালনায় সাহায্য করা
B
নিজের অধিকার ভোগ করা
C
সৎভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করা
D
রাষ্ট্রের সেবা করা
সুশাসন
একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নাগরিকদের অধিকার ভোগ করার সঙ্গে সঙ্গে কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করা বাধ্যতামূলক। সুশাসন কেবল সরকারের উদ্যোগেই প্রতিষ্ঠিত হয় না; নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও দায়িত্ব পালন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কর্তব্যবিমুখ জাতি কখনো স্থায়ী উন্নতি অর্জন করতে পারে না এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয় না।
-
নাগরিকের কর্তব্য সুশাসন প্রতিষ্ঠায়:
-
সামাজিক দায়িত্ব পালন করা
-
রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করা
-
আইন মান্য করা
-
সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচন করা
-
নিয়মিত কর প্রদান করা
-
রাষ্ট্রের সেবা করা
-
সন্তানদের শিক্ষাদান করা
-
রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করা
-
জাতীয় সম্পদ রক্ষা করা
-
আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সাহায্য করা
-
সচেতন ও সজাগ থাকা
-
সংবিধান মেনে চলা
-
সুশাসনের প্রতি আগ্রহী হওয়া
-
উদার ও প্রগতিশীল দলের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করা
-
0
Updated: 1 month ago
নীতিবিদ্যার আলোচ্য বিষয় কী?
Created: 2 months ago
A
মানুষের আচরণের মনস্তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা প্রদান
B
মানুষের জীবনের সফলতার দিকগুলো আলোচনা
C
সমাজে বসবাসকারী মানুষের আচরণ ব্যাখ্যা
D
সমাজে বসবাসকারী মানুষের আচরণের আলোচনা ও মূল্যায়ন
নীতিবিদ্যা বা Ethics শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ Ethos থেকে, যার অর্থ “ঐচ্ছিক আচরণ” বা স্বেচ্ছায় করা আচরণ। এটি মূলত মানুষের আচরণের নৈতিক মূল্য ও আদর্শ নির্ধারণের বিজ্ঞান।
সহজভাবে বলতে গেলে, নীতিবিদ্যা হলো সেই বিজ্ঞান যা মানুষের আচরণের রীতিনীতি, ভালো-মন্দ, সঠিক-অসঠিক বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করে।
আলোচ্য বিষয়:
নীতিবিদ্যার মূল লক্ষ্য হলো মানুষের ঐচ্ছিক আচরণ নিয়ে আলোচনা করা। ঐচ্ছিক আচরণ বলতে সেইসব কাজ বোঝায়, যা মানুষ স্বপ্রণোদিতভাবে বা ইচ্ছাকৃতভাবে করে।
উদাহরণস্বরূপ:
উইলিয়াম লিলি তার বই An Introduction to Ethics-এ নীতিবিদ্যা সংজ্ঞায়িত করে বলেন:
"নীতিবিদ্যা হলো সমাজে বসবাসকারী মানুষের আচরণ সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞান, যেখানে আচরণের সঠিকতা বা অসঠিকতা, ভালো বা মন্দ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়।"
নীতিবিদ্যার মূল চারটি ধারা:
১. পরানীতিবিদ্যা (Meta-ethics): নৈতিক ধারণা ও নীতির তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ।
২. ব্যবহারিক নীতিবিদ্যা (Applied ethics): বাস্তব জীবনের নৈতিক সমস্যা সমাধান।
৩. বর্ণনামূলক নীতিবিদ্যা (Descriptive ethics): সমাজে মানুষের আচরণ পর্যবেক্ষণ ও বর্ণনা।
৪. মানমূলক নীতিবিদ্যা (Normative ethics): কোন আচরণ সঠিক বা ভুল তা নির্ধারণ।
উৎস: নীতিবিদ্যা, এসএসএইচএল, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, Encyclopaedia Britannica.
0
Updated: 2 months ago
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক কনভেনশনটি গৃহীত হয়?
Created: 1 month ago
A
৩১ জানুয়ারি ২০০৩
B
৩১ অক্টোবর ২০০৬
C
৩১ অক্টোবর ২০০৩
D
২১ ফেব্রুয়ারি ২০০৮
৩১ অক্টোবর ২০০৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক কনভেনশন গৃহীত হয়, যা UNCAC নামে পরিচিত। অন্যান্য অপশনগুলো এই প্রসঙ্গে সঠিক নয়।
-
UNCAC এর পূর্ণরূপ হলো United Nations Convention Against Corruption।
-
এটি একটি আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী বহুপাক্ষিক চুক্তি।
-
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক গৃহীত তারিখ: ৩১ অক্টোবর ২০০৩।
-
কনভেনশনটি কার্যকর হয়: ১৪ ডিসেম্বর ২০০৫।
-
স্বাক্ষরস্থল: মেরিডা, মেক্সিকো।
-
বাংলাদেশ কনভেনশনটি স্বাক্ষর করে: ২০০৭ সালে।
0
Updated: 1 month ago