A
অ্যানোফিলিস
B
কিউলেক্স
C
এডিস
D
সকল ধরনের মশা
উত্তরের বিবরণ
ডেঙ্গু:
• এডিস মশা ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণু বহন করে।
• ডেঙ্গু জ্বরের বাহক মশার নাম Aedes aegypti.
• এছাড়াও এডিস এলবোপিকটাস মশার কামড়েও ডেঙ্গু রোগ ছড়াতে পারে।
• এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে ভাইরাস সংক্রমণের তিন থেকে পনেরো দিনের মধ্যে সচরাচর ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গগুলো দেখা দেয়।
ডেঙ্গু জ্বরের উপসর্গ:
- জ্বর, মাথাব্যথা, বমি, পেশিতে ও গাঁটে ব্যাথা এবং চর্মে ফুসকুড়ি।
- দুই থেকে সাত দিনের মাঝে সাধারণত ডেঙ্গু রোগী আরোগ্য লাভ করে।
- কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগটি মারাত্মক রক্তক্ষরী রূপ নিতে পারে যাকে ডেঙ্গু রক্তক্ষরী জ্বর বলা হয়। এর ফলে রক্তপাত হয়, রক্ত অনুচক্রিকার মাত্রা কমে যায় এবং রক্ত প্লাজমার নিঃসরণ ঘটে।
- কিছু কিছু ক্ষেত্রে ডেঙ্গু শক সিনড্রোম দেখা দেয়।
- ডেঙ্গু শক সিনড্রোমে রক্তচাপ বিপজ্জনকভাবে কমে যায়।
উৎস: জীববিজ্ঞান-২য় পত্র (প্রাণিবিজ্ঞান), একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি এবং WHO ওয়েবসাইট।

0
Updated: 2 weeks ago
স্বর্ণের খাদ বের করতে কোন অ্যাসিড ব্যবহার করা হয়?
Created: 1 week ago
A
সাইট্রিক অ্যাসিড
B
নাইট্রিক অ্যাসিড
C
হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড
D
টারটারিক অ্যাসিড
রাজঅম্ল বা অ্যাকোয়া রেজিয়া হচ্ছে একটি শক্তিশালী অ্যাসিড মিশ্রণ, যা ১ মোল নাইট্রিক অ্যাসিড (HNO₃) এবং ৩ মোল হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড (HCl) দ্বারা প্রস্তুত করা হয়। এই বিশেষ অ্যাসিড মিশ্রণ সাধারণত স্বর্ণের খাঁটি অংশ শনাক্ত করতে ও আলাদা করতে ব্যবহৃত হয়।
স্বর্ণের খাদ বের করতে প্রথমে তাকে নাইট্রিক অ্যাসিডের মাধ্যমে উত্তপ্ত করা হয়, যাতে অন্যান্য ধাতব অমিশ্রণ অপসারিত হয়। এদিকে, সালফিউরিক অ্যাসিড (H₂SO₄) সাধারণত রূপচর্চা বা কসমেটিক ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবহৃত হয়, তবে এটি স্বর্ণের বিশ্লেষণে নয়।
যেমন স্বর্ণ ও প্লাটিনাম—এই ধরনের অভিজাত ধাতুগুলো একা হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড বা নাইট্রিক অ্যাসিডে সহজে দ্রবীভূত হয় না। কিন্তু অ্যাকোয়া রেজিয়া এই ধাতুগুলোকে সহজেই দ্রবীভূত করতে সক্ষম, কারণ এই মিশ্রণের দুইটি অ্যাসিডের কার্যপদ্ধতি ভিন্ন হলেও একে অপরকে সহায়তা করে।
নাইট্রিক অ্যাসিড একটি শক্তিশালী অক্সিডাইজিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা স্বর্ণকে Au³⁺ আয়নে রূপান্তর করে। অপরদিকে, হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড থেকে প্রাপ্ত ক্লোরাইড আয়নগুলো এই স্বর্ণ আয়নের সঙ্গে কমপ্লেক্স গঠন করে এবং দ্রবণে স্থিতিশীল করে। এর ফলে দ্রবণে Au³⁺ আয়নের ঘনমাত্রা কমে যায়, যা রাসায়নিক সাম্যাবস্থাকে আরও দ্রবীভবনের দিকে ঠেলে দেয়।
সূত্র: MIT

0
Updated: 1 week ago
মূল নেই কোন উদ্ভিদে?
Created: 2 weeks ago
A
ফণিমনসা
B
বীরুৎ
C
মিউকর
D
সাইকাস
মিউকর হলো এক ধরনের ছত্রাক। এর মূল থাকে না, বরং মূলের পরিবর্তে রাইজয়েড (Rhizoids) থাকে যা মাটির সাথে আটকে রাখতে সাহায্য করে।
অপুষ্পক উদ্ভিদ বলতে আমরা এমন উদ্ভিদকে বুঝি যাদের মধ্যে ফুল ও ফল হয় না। এরা স্পোর বা রেণুর মাধ্যমে প্রজনন করে। অধিকাংশ অপুষ্পক উদ্ভিদের শরীরকে আমরা মূল, কাণ্ড ও পাতা হিসেবে ভাগ করতে পারি না। উদাহরণস্বরূপ, অ্যাগারিকাস, স্পাইরোগাইরা, মস এবং ফার্ন ইত্যাদি।
অন্যদিকে, কিছু উদ্ভিদ রয়েছে যেমন ফণিমনসা, বীরুৎ ও সাইকাস, যাদের সুশৃঙ্খলভাবে মূল ও কাণ্ড থাকে।

0
Updated: 2 weeks ago
অগ্ন্যাশয় থেকে নির্গত চিনির বিপাক নিয়ন্ত্রণকারী হরমোন কোনটি?
Created: 2 weeks ago
A
পেনিসিলিন
B
ইনসুলিন
C
ফোলিক এসিড
D
অ্যামিনো এসিড
ডায়াবেটিস (বহুমূত্র রোগ)
ডায়াবেটিস মেলিটাস একটি বিপাকজনিত রোগ, যা সাধারণত ইনসুলিন হরমোনের ঘাটতির কারণে দেখা দেয়। এই ইনসুলিন হরমোনটি প্যানক্রিয়াসের (অগ্ন্যাশয়) আইলেটস অব ল্যাঙ্গারহেন্স থেকে নিঃসৃত হয় এবং এটি রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। কখনো কখনো শরীর পর্যাপ্ত ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না বা উৎপন্ন ইনসুলিন যথাযথভাবে কাজ করে না। ফলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়, যা ডায়াবেটিসের লক্ষণ। এই রোগ নিয়ন্ত্রণে ইনসুলিন ইনজেকশন বা ওষুধ ব্যবহার করা হয়।
উৎস: বিজ্ঞান, নবম-দশম শ্রেণি

0
Updated: 2 weeks ago