অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৪ অনুযায়ী, বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল খাত-
A
শিল্প খাত
B
কৃষি খাত
C
সেবা খাত
D
যোগাযোগ খাত
উত্তরের বিবরণ
অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২৪ অনুযায়ী, বাংলাদেশের জিডিপি উৎপাদন ভিত্তিতে প্রধানত তিনটি বৃহৎ খাত রয়েছে, যদিও সার্বিকভাবে মোট ১৯টি খাত বিবেচনা করা হয়। বাংলাদেশে দ্রুত বর্ধনশীল খাত হলো শিল্পখাত।
-
জিডিপিতে সর্ববৃহৎ খাত: সেবা খাত
-
ছোট খাত: কৃষি খাত
-
কর্মসংস্থান দিক থেকে বৃহৎ খাত: কৃষি খাত
0
Updated: 1 month ago
বাংলাদেশের সংবিধান রচনাকালীন এর ভাষাগত ত্রুটি দূর করার জন্য গঠিত কমিটির অন্তর্ভুক্ত ছিলেন কে?
Created: 1 month ago
A
এম মনসুর আলী
B
আনিসুজ্জামান
C
ড. মুহম্মদ আবদুল হাই
D
উপরের সকলেই
খসড়া সংবিধান প্রস্তুতকরণ (Draft Constitution Preparation)
-
প্রক্রিয়া: খসড়া সংবিধান তৈরি একটি জটিল ও বহুস্তরীয় প্রক্রিয়া ছিল। বিভিন্ন সুপারিশ ও ব্যাপক আলোচনার পর ১৯৭২ সালের ১০ জুন সংবিধান প্রণয়ন কমিটি প্রাথমিক খসড়া অনুমোদন করে।
-
প্রস্তুতির আগে: কমিটির সভাপতি ও আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য ভারত ও ইংল্যান্ড সফর করেন।
-
ভাষাগত ও শৈল্পিক যাচাই: সংবিধানের ভাষাগত গঠন, ব্যাকরণগত শুদ্ধতা ও শৈল্পিক সৌন্দর্য নিশ্চিত করতে তিন সদস্যের বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়।
-
আহ্বায়ক: অধ্যাপক আনিসুজ্জামান (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান)
-
অন্য সদস্যরা:
-
ড. মযহারুল ইসলাম (বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক)
-
সৈয়দ আলী আহসান (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য)
-
-
0
Updated: 1 month ago
সমুদ্রগুপ্তের রাজত্বকালে সমতট কোন ধরনের রাজ্য ছিল?
Created: 1 month ago
A
করদ
B
পরাধীন
C
বিচ্ছিন্ন
D
পূর্ণাঙ্গ
সমুদ্রগুপ্তের রাজত্বকালে সমতট একটি করদ রাজ্য হিসেবে বিদ্যমান ছিল। করদ রাজ্য বলতে সাধারণত সেই সামন্ত রাজ্যকে বোঝানো হয়, যা অন্য কোনো রাজ্যের সঙ্গে যুদ্ধে পরাজিত হলে জয়ী রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। পরাজিত রাজা সামন্ত রাজা হিসেবে জয়ী রাজার অধীনে ক্ষমতায় থাকে, এবং সাধারণত এক চুক্তির মাধ্যমে তার শাসনধারা বজায় থাকে।
-
করদ রাজ্য: ইতিহাসে করদ রাজ্য বলতে সামন্ত রাজ্য বোঝানো হয়। যুদ্ধে হেরে যাওয়া রাজাকে জয়ী রাজার সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে ক্ষমতায় রাখা হত। পরাজিত রাজাকে সামন্ত রাজা বলা হত।
-
সমুদ্রগুপ্ত: গুপ্ত বংশের শ্রেষ্ঠ সম্রাট, যিনি চন্দ্রগুপ্তের মৃত্যুর পর পাটালিপুত্রের সিংহাসনে আরোহণ করেন। তাঁকে প্রাচীন ভারতের নেপোলিয়ান বলা হয়। সমুদ্রগুপ্তের রাজত্বকালে সমগ্র বাংলা জয় করা হলেও সমতট করদ রাজ্য হিসেবে রয়ে যায়। এলাহাবাদ প্রশস্তিলিপি অনুযায়ী, তিনি সমতট ব্যতীত বাংলার অন্যান্য জনপদকে সাম্রাজ্যভুক্ত করেন। তাঁর বিস্তীর্ণ সাম্রাজ্যের পূর্বতন রাজ্য ছিল নেপাল, কর্তৃপুর (পরিচয় বিতর্কিত), কামরূপ, ডবাক (আসাম বা ঢাকা), এবং সমতট। কালক্রমে সমতটও গুপ্ত সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়।
-
সমতট: দক্ষিণ-পূর্ব বাংলার প্রাচীন জনপদ। বর্তমান ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কিছু অংশ, এবং বাংলাদেশের বৃহত্তর কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চল সমতট নামে পরিচিত ছিল।
-
সমতটের অবস্থান ছিল মেঘনা পূর্ববর্তী কুমিল্লা-নোয়াখালীর সমতল অঞ্চলে, এবং ত্রিপুরাকে এর প্রধান কেন্দ্র বলা হতো।
-
৭ম শতকে রাজা রাজভট্টের অন্যতম রাজধানী ছিল বড়োকামতা।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
মুক্তিযুদ্ধের সময়ে 'হেমায়েত বাহিনী' কোন অঞ্চলে যুদ্ধ করে?
Created: 2 months ago
A
টাঙ্গাইল
B
মাগুরা
C
পাবনা
D
বরিশাল
আঞ্চলিক বাহিনী (মুক্তিযুদ্ধের সময়)
সেক্টর এলাকার বাইরে আঞ্চলিক পর্যায়ে গঠিত গুরুত্বপূর্ণ মুক্তিবাহিনী ও গেরিলা দলসমূহ:
| বাহিনীর নাম | স্থান/অঞ্চল |
|---|---|
| কাদেরিয়া বাহিনী | টাঙ্গাইল |
| আফসার ব্যাটালিয়ন | ভালুকা, ময়মনসিংহ |
| বাতেন বাহিনী | টাঙ্গাইল |
| হেমায়েত বাহিনী | গোপালগঞ্জ, বরিশাল |
| হালিম বাহিনী | মানিকগঞ্জ |
| আকবর বাহিনী | মাগুরা |
| লতিফ মীর্জা বাহিনী | সিরাজগঞ্জ, পাবনা |
| জিয়া বাহিনী | সুন্দরবন |
| ঢাকার গেরিলা দল (‘ক্র্যাক প্লাটুন’) | ঢাকা শহর |
-
ঢাকার গেরিলা দল প্রধানত শহরের বড় বড় স্থাপনা, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ব্যাংক ও টেলিভিশন ভবনে বোমা বিস্ফোরণ ঘটাত।
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, অষ্টম শ্রেণি
0
Updated: 2 months ago