দেশের প্রথম রাবার বাগান করা হয় কোথায়?
A
ঝালকাঠি
B
কক্সবাজার
C
রংপুর
D
বরিশাল
উত্তরের বিবরণ
বাংলাদেশে রাবার চাষের ইতিহাস শুরু হয় বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে, ব্রিটিশদের উদ্যোগে।
-
১৯৫৯ সালে, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO) বাংলাদেশে রাবার চাষের সম্ভাব্যতা যাচাই করে।
-
১৯৬১ সালে, সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় চট্টগ্রাম ও সিলেটের পার্বত্য অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে রাবার চাষ শুরু হয়।
-
১৯৬০ সালে, বনবিভাগ ২৮৭ হেক্টর জমিতে রাবার চাষের একটি পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করে।
-
উক্ত প্রকল্পের আওতায় কক্সবাজারের রামুতে ৩০ একর এবং চট্টগ্রামের রাউজানে ১০ একর, মোট ৪০ একর বাগান স্থাপন করা হয়, যা বাংলাদেশে রাবার চাষের যাত্রা শুরু করে।
-
বর্তমানে, বিএফআইডিসির মালিকানাধীন রাবার বাগান রয়েছে ১৮টি।
0
Updated: 1 month ago
কোন শতকে সেন বংশের অবসান ঘটে?
Created: 1 month ago
A
১২ শতকে
B
১৩ শতকে
C
১৪ শতকে
D
১৫ শতকে
বাংলার ইতিহাসে সেন রাজাদের উত্থান একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ১০৭০ থেকে ১২৩০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত প্রায় ১৫০ বছর সেনরা বাংলায় শাসন করেন। পালবংশের পতনের পর বাংলায় সেন রাজবংশ প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তারা ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বেশির ভাগ এলাকা নিজেদের দখলে আনে। এই সময়ে হেমন্ত সেন, বিজয় সেন, বল্লাল সেন, লক্ষ্মণ সেন, বিশ্বরূপ সেন ও কেশব সেন রাজ্য পরিচালনা করেন।
-
বাংলায় সেন বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন সামন্ত সেন, যদিও তিনি কোনো রাজ্য প্রতিষ্ঠা না করায় প্রথম রাজার মর্যাদা দেওয়া হয় তার পুত্র হেমন্ত সেনকে।
-
সেন বংশের শেষ রাজা ছিলেন লক্ষ্মণ সেন।
-
১২০৪ খ্রিস্টাব্দে বখতিয়ার খলজী নদীয়া আক্রমণ করলে লক্ষ্মণ সেন প্রতিরোধ না করে মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুরে পালিয়ে যান। এই অঞ্চলে তিনি আরও ২-৩ বছর রাজত্ব করেন।
-
সেনদের মূল রাজধানী ছিল নবদ্বীপ, তবে ১২০২ সালে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজীর আক্রমণের সময় তাদের অস্থায়ী রাজধানী নদীয়া ছিল।
-
নদীয়ায় আক্রমণের পর লক্ষ্মণ সেন পূর্ববঙ্গে পালিয়ে যান।
-
লক্ষ্মণ সেনের মৃত্যুর পর সেন বংশ দুর্বল হয়ে পড়ে, এবং সামন্ত বিদ্রোহের ফলে বাংলায় সেনদের পতন ঘটে।
উৎস:
0
Updated: 1 month ago
গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কোনটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে?
Created: 1 month ago
A
সেনাবাহিনী
B
রাজনৈতিক দল
C
বিচার বিভাগ
D
স্থানীয় সরকার
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা একটি বহুদলীয় গণতন্ত্র, যেখানে রাজনৈতিক দলগুলো রাষ্ট্র পরিচালনা ও নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বিদ্যমান।
-
বিভিন্ন সময়ে একাধিক রাজনৈতিক দল জাতীয় সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে।
-
স্বাধীনতার সূচনালগ্নেই দেশে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়।
-
১৯৭৫-১৯৯১ সালে দেশে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা ছিল।
-
বাংলাদেশের আইনসভা জাতীয় সংসদ নামে পরিচিত এবং এটি এককক্ষ বিশিষ্ট।
0
Updated: 1 month ago
রাষ্ট্রীয় কাজে সকলের অংশগ্রহণের সমান অধিকারকে কী বলা হয়?
Created: 2 months ago
A
নাগরিক সাম্য
B
সামাজিক সাম্য
C
আইনগত সাম্য
D
রাজনৈতিক সাম্য
-
রাজনৈতিক সাম্য বলতে বোঝায়, জাতি, ধর্ম বা বর্ণ নির্বিশেষে সকল নাগরিকের ভোট প্রদানের, নির্বাচনে অংশগ্রহণের এবং সরকারি চাকরি গ্রহণের সমান অধিকার। এটি আধুনিক গণতন্ত্রের একটি মূল ভিত্তি।
রাজনৈতিক সাম্য (Political Equality):
-
রাষ্ট্রীয় কাজে অংশগ্রহণ এবং রাজনৈতিক অধিকার ভোগের ক্ষেত্রে সমান সুযোগ থাকা হলো রাজনৈতিক সাম্য।
-
জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ বা ধন-দারিদ্র্য নির্বিশেষে প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক এবং সুস্থ মস্তিষ্কের নাগরিক যখন নির্বাচনে প্রার্থী বা ভোটদাতা হিসেবে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়, তখনই কোনো দেশে রাজনৈতিক সাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়।
সূত্র: পৌরনীতি ও সুশাসন, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি, মো: মোজাম্মেল হক।
0
Updated: 2 months ago