দেশের দ্বিতীয় জিআই পণ্য কোনটি?
A
জামদানি
B
খিরসাপাত আম
C
ইলিশ
D
শীতল পাটি
উত্তরের বিবরণ
• জিআই পণ্য:
- ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (Geographical Indication)।
- সংক্ষেপে GI) বলতে বোঝায় এমন একটি পণ্য, যা বিশেষ কোনো ভৌগোলিক এলাকা বা অঞ্চলের কারণে তার গুণগত মান, খ্যাতি বা অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত ও স্বীকৃত।
- দেশের প্রথম ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (জিআই) জামদানি।
- সময়: ১৭ নভেম্বর ২০১৬ সালে স্বীকৃতি লাভ করে।
- জামদানি শাড়ি প্রথম জিআই পন্য।
- ইলিশ ২য় জিআই পন্য।
- খিরসাপাত আম তৃতীয় জিআই পন্য।
- হাঁড়িভাঙ্গা আম চতুর্থ জি আই পন্য।

0
Updated: 1 day ago
‘সংশপ্তক’ ভাস্কর্যটির ভাস্কর -
Created: 5 days ago
A
শামীম শিকদার
B
আবদুর রাজ্জাক
C
মৃণাল হক
D
হামিদুজ্জামান খান
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত ‘সংশপ্তক’ ভাস্কর্যের নির্মাতা ছিলেন ভাস্কর হামিদুজ্জামান খান, যিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক বেশিরভাগ ভাস্কর্যের স্রষ্টা।
প্রধান তথ্যসমূহ:
-
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে ভাস্কর আবদুর রাজ্জাকের সঙ্গে জয়দেবপুর চৌরাস্তায় ‘জাগ্রত চৌরঙ্গী’ ভাস্কর্য নির্মাণে কাজ করেন; এটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রথম ভাস্কর্য।
-
অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ভাস্কর্য: ‘জাগ্রত বাংলা’ (আশুগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া), ‘বিজয় কেতন’ (ঢাকা সেনানিবাস), ‘স্বাধীনতা চিরন্তন’ (উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়), ‘মৃত্যুঞ্জয়ী’ (আগারগাঁও, সরকারি কর্মকমিশন প্রাঙ্গণ), ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম’ (মাদারীপুর)।
-
জন্ম: ১৬ মার্চ, ১৯৪৬, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি উপজেলার সহশ্রাম গ্রাম।
-
২০০৬ সালে শিল্পকলায় অবদানের জন্য একুশে পদক পান।
-
মৃত্যু: ২০ জুলাই, ২০২৫, ৭৯ বছর বয়সে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে।

0
Updated: 5 days ago
বাংলাদেশের অভিবাসী নারী শ্রমিকদের সর্বাধিক গন্তব্যস্থল কোন দেশ? [আগস্ট, ২০২৫]
Created: 2 weeks ago
A
কুয়েত
B
সৌদি আরব
C
কাতার
D
সংযুক্ত আরব আমিরাত
বাংলাদেশের অভিবাসী নারী শ্রমিকদের সর্বাধিক গন্তব্যস্থল
-
বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের অভিবাসী নারী শ্রমিকদের সবচেয়ে বড় গন্তব্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো।
-
এর মধ্যে সর্বাধিক গন্তব্য সৌদি আরব → মোট নারী অভিবাসীর ৭২%।
অন্যান্য প্রধান গন্তব্যস্থল:
-
জর্ডান → ১৮%
-
কাতার → ৮%
-
কুয়েত ও সংযুক্ত আরব আমিরাত → ১% করে
📌 উৎস: বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (BMET)।

0
Updated: 2 weeks ago
মারমাদের সবচেয়ে বড় উৎসবের নাম -
Created: 5 days ago
A
রাশ
B
বিজু
C
বাইশু
D
সাংগ্রাই
মারমা জনগোষ্ঠীর সবচেয়ে বড় উৎসব হলো সাংগ্রাই, যা মূলত তাদের বর্ষবরণ উৎসব। এটি শুধু একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয়, বরং তাদের সামাজিক ঐতিহ্য ও পারস্পরিক সম্প্রীতির গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশ।
মারমা ও সাংগ্রাই উৎসব সম্পর্কিত প্রধান তথ্যগুলো হলো:
-
মারমা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম আদিবাসী সম্প্রদায়।
-
তাদের বসবাসের মূল এলাকা হলো রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি — এই তিন পার্বত্য জেলা।
-
তারা মঙ্গোলয়েড বর্ণগোষ্ঠীর অন্তর্গত এবং তাদের নিজস্ব ভাষা রয়েছে, যা ভোট বর্মী শাখার বর্মী দলভুক্ত।
-
মারমা সম্প্রদায়ের মধ্যে তিন স্তরের প্রথাগত প্রশাসনিক ব্যবস্থা বিদ্যমান:
-
গ্রাম পর্যায়ের প্রধানের পদবী কারবারি,
-
মৌজা পর্যায়ের প্রধান হেডম্যান,
-
সার্কেলের প্রধান রাজা।
-
-
মারমাদের বর্ষবরণ উৎসবের নাম সাংগ্রাই, যা এসেছে ‘সাক্রাই’ শব্দ থেকে, যার অর্থ ‘সংক্রান্তি’।
-
সাধারণত বছরের শেষ দুই দিন এবং নতুন বছরের প্রথম দিন এ উৎসব পালিত হয়।
-
সাংগ্রাইয়ের মূল আকর্ষণ হলো ‘পানিখেলা’ বা জলোৎসব, যেখানে নৌকা বা বড় পাত্রে পানি রেখে অংশগ্রহণকারীরা একে অপরকে পানি ছিটিয়ে আনন্দ করে।
পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মধ্যে বর্ষবরণ উৎসবের আলাদা আলাদা নাম থাকলেও, এই তিন বড় নৃগোষ্ঠীর উৎসবকে একত্রে বৈসাবি বলা হয়।
-
ত্রিপুরাদের বর্ষবরণ উৎসব: বৈসুখ/বৈসু/বাইশু
-
মারমাদের বর্ষবরণ উৎসব: সাংগ্রাই
-
চাকমাদের বর্ষবরণ উৎসব: বিজু
এই তিনটি উৎসব একত্রে বৈসাবি নামে পরিচিত। সাধারণত বছরের শেষ দুই দিন ও নতুন বছরের প্রথম দিন বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় উৎসবটি পালিত হয়।
অন্যদিকে, মণিপুরিদের প্রধান উৎসব হলো রাস, যা শরতের পূর্ণিমায় অনুষ্ঠিত হয়।

0
Updated: 5 days ago