বাংলাদেশে প্রথম গ্যাস উত্তোলন হয়েছিল কোথায়?
A
বাখরাবাদ
B
হরিপুর
C
কৈলাসটিলা
D
তিতাস
উত্তরের বিবরণ
• বাংলাদেশের গ্যাসক্ষেত্র:
- বাংলাদেশে প্রথম গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয় ১৯৫৫ সালে সিলেট জেলার হরিপুরে।
- এই গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রথম গ্যাস উত্তোলন শুরু হয় ১৯৫৭ সালে।
- ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র জকিগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্র, সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলায়।
- সর্বশেষ গ্যাসক্ষেত্র ভোলার ইলিশা-১। [ আগস্ট, ২০২৫]
- এটি অনুসন্ধান করে, (বাপেক্স)।
- এটি দেশের ২৯তম গ্যাসক্ষেত্র।

0
Updated: 1 day ago
কোন যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে সম্রাট অশোক বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন?
Created: 1 week ago
A
পানিপথের যুদ্ধ
B
হিদাসপিসের যুদ্ধ
C
কলিঙ্গের যুদ্ধ
D
তরাইনের যুদ্ধ
কলিঙ্গ যুদ্ধের বিশাল রক্তপাত ও ধ্বংসযজ্ঞ সম্রাট অশোককে গভীরভাবে ব্যথিত করে, যার প্রভাব তাকে যুদ্ধনীতি পরিত্যাগ করতে এবং বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করতে উদ্বুদ্ধ করে।
সম্রাট অশোক:
-
তিনি চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের পৌত্র এবং বিম্বিসারের পুত্র।
-
২৭৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে সিংহাসনে আরোহণ করেন।
-
সিংহাসনে আরোহণের চার বছর পর, ২৬৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তাঁর অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়।
-
পূর্বসুরীদের সাম্রাজ্য সম্প্রসারণনীতি অনুসরণ করেন।
-
পাটলীপুত্র থেকে বিশাল সাম্রাজ্য শাসন করতেন।
-
রাজত্বের ১৩তম বছরে কলিঙ্গ যুদ্ধে জয় লাভ করেন।
-
পরবর্তী সময়ে মৌর্য সম্রাটদের চিরাচরিত দ্বিগ্বিজয় নীতি পরিত্যাগ করে ঘোষণা করেন যে তাঁর পুত্র ও প্রপৌত্ররা ভবিষ্যতে যুদ্ধ করবে না।
-
বহু জনহিতকর কাজ করেন।
-
২৩২ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত রাজ্য শাসন করেন।
-
প্রায় ৪০ বছর শাসন করার পর ২৩২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে মৃত্যুবরণ করেন।
উল্লেখযোগ্য বিষয়সমূহ:
-
কলিঙ্গ যুদ্ধের রক্তক্ষয়ী অভিজ্ঞতা অশোকের রাজনৈতিক ও নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গীতে বৃহৎ পরিবর্তন আনে।
-
তিনি একজন নীতিবান শাসকে পরিণত হন।
-
সেই সময় থেকে জীবনব্যাপী বিশ্বশান্তি ও ন্যায়নিষ্ঠ শাসন প্রতিষ্ঠায় নিজেকে নিয়োজিত করেন।
-
জীবনের অবশিষ্ট সময়ে অহিংসা ও ধ্যানে মনোনিবেশ করেন।
-
সৌহার্দ্য, মানবতা ও ভ্রাতৃত্বের মাধ্যমে অপরের প্রীতি অর্জনকেই তিনি প্রকৃত বিজয় হিসেবে গ্রহণ করেন।
-
অশোকের প্রচারিত ধর্মের মূল বিষয় ছিল গুরুজনদের প্রতি শ্রদ্ধা, জীবদয়া, সত্যবাদিতা ইত্যাদি।
সূত্র:

0
Updated: 1 week ago
বাংলাদেশের মাঠ প্রশাসনের প্রথম ধাপ হলো-
Created: 4 days ago
A
সচিবালয়
B
বিভাগীয় প্রশাসন
C
জেলা প্রশাসন
D
উপজেলা প্রশাসন
বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামো
বাংলাদেশের প্রশাসন দুটি স্তরে বিভক্ত:
১. কেন্দ্রীয় প্রশাসন (সচিবালয়)
-
দেশের সব প্রশাসনিক নীতি ও সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় পর্যায়ে গ্রহণ করা হয়।
-
কেন্দ্রীয়ভাবে গৃহীত নীতি ও সিদ্ধান্ত মাঠ প্রশাসনের মাধ্যমে পুরো দেশে বাস্তবায়িত হয়।
২. মাঠ প্রশাসন
-
কেন্দ্রীয় প্রশাসনের নীতি বাস্তবায়নের জন্য মাঠ প্রশাসনের ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়।
-
মাঠ প্রশাসনের ধাপসমূহ:
-
বিভাগীয় প্রশাসন – প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্থানীয় স্তর।
-
জেলা প্রশাসন – প্রতিটি জেলার প্রশাসন পরিচালনা করে।
-
উপজেলা প্রশাসন – জেলা প্রশাসনের অধীনে উপজেলা পর্যায়ের প্রশাসন।
-
-
উপজেলা প্রশাসন তৃণমূল পর্যায়ে নাগরিকদের নিকটবর্তী প্রশাসনিক কার্য সম্পাদন করে।
-
মাঠ প্রশাসন মূলত কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয়।

0
Updated: 4 days ago
‘ষাটগম্বুজ মসজিদ’-এর নির্মাতা কে?
Created: 1 week ago
A
সুলতান নাসিরউদ্দীন মাহমুদ শাহ
B
খান আল-আজম উলুগ খান জাহান
C
মির্জা আবু তালিব
D
মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব
ষাটগম্বুজ মসজিদ বাংলাদেশের প্রাচীন ও বৃহত্তম মসজিদগুলির মধ্যে একটি এবং সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলিম স্থাপত্যের অন্যতম চিত্তাকর্ষক নিদর্শন।
-
মসজিদের নির্মাতা ছিলেন খান আল-আজম উলুগ খান জাহান, যিনি তৎকালীন সুলতান নাসিরউদ্দীন মাহমুদ শাহ (১৪৩৫-৫৯)-এর সম্মানে বিজিত অঞ্চলকে খলিফাতাবাদ নামে নামকরণ করেন।
-
খান জাহান ১৪৫৯ সালে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত হাভেলি-খলিফাতাবাদ থেকে উক্ত অঞ্চল শাসন করেন। তাঁর শাসিত অঞ্চল বর্তমান বাগেরহাটের সাথে অভিন্ন হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।
-
সময়ের ব্যবধানে মসজিদটি ক্ষয়প্রাপ্ত হওয়ার উপক্রম হয়।
-
ব্রিটিশ সরকার এর সংস্কার ও মেরামতের উদ্যোগ গ্রহণ করে, পরবর্তী সময়ে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ ধারাবাহিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ চালিয়ে যায়।
-
বিশ শতকের আশির দশকের শুরুতে ইউনেসকো (UNESCO) এই ঐতিহাসিক স্থাপনার রক্ষণাবেক্ষণে কার্যকরী ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ করে, যা বর্তমানে শেষের পর্যায়ে রয়েছে।
উৎস:

0
Updated: 1 week ago