'হরদম' এর বিপরীত শব্দ কোনটি?
A
নির্মীলিত
B
কদাচিৎ
C
শুষ্ক
D
দুর্লভ
উত্তরের বিবরণ
'হরদম' এর বিপরীত শব্দ হলো 'কদাচিৎ'।
-
'হরদম' শব্দের অর্থ সর্বদা বা অনবরত।
-
'কদাচিৎ' শব্দের অর্থ কখনো কখনো।
অন্যদিকে,
-
'নির্মীলিত' এর বিপরীত শব্দ — 'উন্মীলিত'
-
'সিক্ত' এর বিপরীত শব্দ — 'শুষ্ক'
-
'সুলভ' এর বিপরীত শব্দ — 'দুর্লভ'
আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিপরীত শব্দ:
-
'সন্ধি' এর বিপরীত শব্দ — বিবাদ/বিগ্রহ
-
'হৃদ্যতা' এর বিপরীত শব্দ — কপটতা
-
'হাজির' এর বিপরীত শব্দ — গরহাজির
-
'সরস' এর বিপরীত শব্দ — নীরস
-
'মুক্ত' এর বিপরীত শব্দ — আবদ্ধ
-
'মুখ্য' এর বিপরীত শব্দ — গৌণ
0
Updated: 1 month ago
অর্বাচীন শব্দের বিপরীত শব্দ কোনটি?
Created: 2 months ago
A
প্রাচীন
B
নবীন
C
নির্বাচিত
D
অনির্বাচিত
'অর্বাচীন' শব্দের বিপরীত শব্দ - প্রাচীন
অর্বাচীন /বিশেষণ পদ/ অপক্কবুদ্ধি, নবীন, মূর্খ। /অর্বাচ্ + ঈন/।
বিপরীতার্থক শব্দ/ বিপরীত শব্দ
একটি শব্দের বিপরীত অর্থবাচক শব্দকে বিপরীতার্থক শব্দ বা বিপরীত শব্দ বলে ।
সাধারণত শব্দের শুরুতে অ, অন, অনা, অপ, অব, দূর, ন, না, নি, নির প্রভৃতি উপসর্গগুলো যুক্ত করলে শব্দের অর্থ না - বাচক বা নিষেধবোধক অর্থে রূপান্তরিত হয় । তাই শব্দের বিপরীত শব্দ তৈরিতেও এই উপসর্গগুলো ব্যবহৃত হতে দেখা যায় ।
যেমন - আগত – শব্দটির শুরুতে অন - উপসর্গটি যুক্ত হয়ে বিপরীত শব্দ হল - অনাগত ।
আবার যে সব শব্দের শুরুতে হ্যাঁ - বোধক উপসর্গ থাকে, তাদের শুরুর সেই উপসর্গের বদলে না - বোধক উপসর্গও ব্যবহৃত হতে দেখা যায় ।
যেমন - অনুরাগ - শব্দটি রাগ - শব্দমূলের পূর্বে অনু - উপসর্গ যুক্ত হয়ে গঠিত হয়েছে, যেখানে অনু - উপসর্গটি ইতিবাচক অর্থ প্রকাশ করেছে । এখন অনু - র পরিবর্তে বি - উপসর্গ ব্যবহার করলে, বিরাগ - শব্দে বি - উপসর্গটি নেতিবাচক অর্থ প্রকাশ করে, এবং শব্দটির অর্থ সম্পূর্ণ উল্টে যায় । অর্থাৎ, ইতিবাচক অনু - উপসর্গের বদলে নেতিবাচক বি - উপসর্গের ব্যবহারে বিপরীত শব্দ গঠিত হল ।
তবে সাধারণত, শব্দের বিপরীত শব্দগুলো অর্থের দিক থেকে বিপরীত অর্থবোধক হয়; না - বোধক বা নেতিবাচক হয় না । তাই, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এরকম কোন নিয়ম খাটে না । বরং অর্থের দিক থেকে যথাযথ বিপরীত শব্দটিই গৃহীত হয় ।
যেমন - আজ – কাল, অতীত - ভবিষ্যত, অধম - উত্তম, ইত্যাদি ।
0
Updated: 2 months ago
‘নৈসর্গিক’ শব্দের বিপরীত শব্দ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
নকল
B
ঐহিক
C
কৃত্রিম
D
তামাসিক
নৈসর্গিক → "প্রকৃতিগত, স্বাভাবিক, প্রাকৃতিক"।
-
বিপরীত শব্দ হবে "অপ্রকৃতিগত, অস্বাভাবিক, কৃত্রিম"।
বিকল্পগুলো:
ক) নকল → প্রতিলিপি, জালিয়াতি; পুরোপুরি বিপরীত নয়।
খ) ঐহিক → পার্থিব বা জাগতিক; নৈসর্গিকের বিপরীতে সরাসরি দাঁড়ায় না।
গ) কৃত্রিম ✅ → অপ্রাকৃতিক, মানুষের তৈরি; এটি সরাসরি বিপরীত শব্দ।
ঘ) তামাসিক → আলস্য, অন্ধকার বা গুণবাচক ধারণা; বিপরীত নয়।
সঠিক উত্তর: গ) কৃত্রিম
0
Updated: 1 month ago
'অর্বাচীন' শব্দের বিপরীত অর্থবোধক শব্দ কোনটি?
Created: 1 week ago
A
বিপিন
B
শৌখিন
C
নবীন
D
প্রাচীন
‘অর্বাচীন’ শব্দের অর্থ হলো নবীন বা সাম্প্রতিক, নতুনত্বপূর্ণ, যা কোনো জিনিস বা ঘটনা নতুন বা আধুনিক হওয়ার নির্দেশ দেয়। বাংলা ভাষায় বিপরীতার্থক শব্দ হলো সেই শব্দ যা মূল শব্দের বিপরীত অর্থ প্রকাশ করে। এই প্রেক্ষাপটে ‘অর্বাচীন’ শব্দের বিপরীত হলো প্রাচীন, যা পুরনো, অতীতকালীন বা ঐতিহ্যবাহী বোঝায়।
এর মূল দিকগুলো হলো:
-
অর্থগত বৈপরীত্য: ‘অর্বাচীন’ নতুনত্ব এবং আধুনিকতার সঙ্গে সম্পর্কিত, যেখানে ‘প্রাচীন’ নির্দেশ করে পুরনো, সময়সাপেক্ষ এবং ঐতিহ্যবাহী জিনিস।
-
ভাষাগত ব্যবহার: সাহিত্য, ইতিহাস, সংস্কৃতি বা দৈনন্দিন কথ্যভাষায় ‘অর্বাচীন’ এবং ‘প্রাচীন’ শব্দের ব্যবহার প্রায়শই বিপরীত অর্থ প্রকাশের জন্য দেখা যায়। উদাহরণস্বরূপ, “অর্বাচীন কাব্যধারা” বনাম “প্রাচীন কাব্যধারা”।
-
সাহিত্যিক প্রভাব: বিপরীতার্থক শব্দের ব্যবহার পাঠকে বিস্তারিত এবং অর্থবহ করে তোলে। এটি পাঠক বা শ্রোতাকে নতুন ও পুরাতন ধারার তুলনা করার সুযোগ দেয়।
-
প্রচলিত ব্যবহার: ইতিহাস ও সংস্কৃতি নিয়ে আলোচনা, সাহিত্যিক রচনা বা দৈনন্দিন কথোপকথনে ‘অর্বাচীন’ এবং ‘প্রাচীন’ শব্দটি সহজেই ব্যবহৃত হয়, যা সময় ও নতুনত্ব বোঝাতে সাহায্য করে।
সারসংক্ষেপে, ‘অর্বাচীন’ শব্দের বিপরীত অর্থবোধক শব্দ হলো প্রাচীন, যা পুরনো বা ঐতিহ্যবাহী অর্থ বহন করে। এই ধরনের শব্দ ব্যবহার পাঠকে বিস্তারিত, স্পষ্ট এবং তুলনামূলক অর্থবহ করে তোলে, বিশেষ করে সাহিত্য, ইতিহাস ও দৈনন্দিন কথ্যভাষায়।
0
Updated: 1 week ago