‘ব্যাঙের সর্দি’ বাগধারার অর্থ হলো অসম্ভব ব্যাপার।
অন্যদিকে,
-
‘বিড়াল তপস্বী’ বাগধারার অর্থ ভণ্ড লোক।
-
‘বকধার্মিক’ বাগধারার অর্থ ভণ্ড লোক।
-
‘একাদশে বৃহস্পতি’ বাগধারার অর্থ সৌভাগ্যের বিষয়।
-
‘অকাল কুষ্মাণ্ড’ বাগধারার অর্থ অপদার্থ বা অকেজো।
‘ব্যাঙের সর্দি’ বাগ্ধারাটির অর্থ -
A
সৌভাগ্যের বিষয়
B
ভণ্ড লোক
C
অসম্ভব ব্যাপার
D
অপদার্থ
0
Updated: 1 month ago
'গৌরচন্দ্রিকা' বাগধারাটির অর্থ কি?
Created: 1 week ago
A
ভূমিকা
B
ব্যাখ্যা
C
উপসংহার
D
মন্তব্য
‘গৌরচন্দ্রিকা’ একটি প্রাচীন বাগধারা, যা মূলত সাহিত্য বা গ্রন্থের প্রারম্ভিক অংশ বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। সাধারণভাবে, এটি সেই অংশ যা পাঠককে মূল বিষয়বস্তুতে প্রবেশ করানোর আগে প্রাসঙ্গিক পরিচয় ও প্রেক্ষাপট প্রদান করে। অর্থাৎ, কোনো লেখা, প্রবন্ধ বা গ্রন্থের প্রাথমিক ভূমিকা হিসেবে ‘গৌরচন্দ্রিকা’ ব্যবহৃত হয়।
গৌরচন্দ্রিকার প্রকৃতি ও ব্যবহার বোঝার জন্য কিছু মূল দিক উল্লেখযোগ্য:
এটি লেখার প্রারম্ভিক অংশ, যা বিষয়বস্তুর সংক্ষিপ্ত পরিচয় প্রদান করে এবং পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করে।
সাহিত্যিক বা প্রবন্ধ লেখকের উদ্দেশ্য থাকে পাঠককে মূল বক্তব্যের সাথে পরিচিত করা, যাতে পরবর্তী বিষয়গুলো সহজে বোধগম্য হয়।
‘গৌরচন্দ্রিকা’ শুধুমাত্র পরিচয়ই দেয় না, এটি প্রবন্ধ বা গ্রন্থের প্রেক্ষাপট ও ভাবধারাও নির্দেশ করে।
এটি লেখার ধরণ ও বিষয় অনুযায়ী ভিন্ন আকার ধারণ করতে পারে; কখনও সংক্ষিপ্ত, কখনও বিস্তারিত, কিন্তু মূল উদ্দেশ্য সব সময় ভূমিকা হিসেবে কাজ করা।
সাধারণভাবে, ‘গৌরচন্দ্রিকা’ মূল বিষয়বস্তুর উপস্থাপনার আগে পাঠককে প্রস্তুত করার মাধ্যম।
সংক্ষেপে, ‘গৌরচন্দ্রিকা’ শব্দের অর্থ হলো ভূমিকা, যা কোনো লেখা বা গ্রন্থের প্রারম্ভে পাঠককে মূল বিষয়বস্তুতে প্রবেশ করানোর জন্য উপস্থাপিত হয়। এটি ব্যাখ্যা, উপসংহার বা মন্তব্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়, বরং লেখার প্রাথমিক পরিচয় ও প্রেক্ষাপট প্রদানের কাজ করে।
0
Updated: 4 days ago
‘চাঁদের হাট’ বাগধারাটির সঠিক অর্থ কোনটি?
Created: 1 month ago
A
বিরাট আয়োজন
B
সৌভাগ্য লাভ
C
সৌভাগ্যের বিষয়
D
আনন্দের প্রাচুর্য
‘চাঁদের হাট’ বাগধারাটির অর্থ- ‘আনন্দের প্রাচুর্য’, ‘এলাহি কান্ড’ বাগধারাটির অর্থ- ‘বিরাট আয়োজন’, একাদশে বৃহস্পতি বাগধারাটির অর্থ- সৌভাগ্যের বিষয়।
0
Updated: 1 month ago
'কাপুড়ে বাবু' বাগধারার অর্থ?
Created: 1 week ago
A
দলপতি
B
ভন্ড
C
অপদার্থ
D
বাহ্যিক অভ্যাস
‘কাপুড়ে বাবু’ একটি বাগধারা, যা এমন ব্যক্তিকে বোঝায় যিনি বাহ্যিকভাবে ভদ্র বা মার্জিত দেখালেও অন্তরে ভণ্ড, ভীরু বা মিথ্যাবাদী। এই শব্দগুচ্ছ মূলত সমাজে এমন লোকদের প্রতি বিদ্রুপ বা তাচ্ছিল্য প্রকাশের জন্য ব্যবহৃত হয়, যারা দেখনদারি বেশি করে কিন্তু বাস্তবে সাহস বা সততার অভাব রাখে।
এই বাগধারায় ‘কাপুড়ে’ শব্দের অর্থ কাপড় পরা বা পোশাকধারী, আর ‘বাবু’ শব্দটি ব্যবহৃত হয় সম্মানসূচক অর্থে। কিন্তু একত্রে ‘কাপুড়ে বাবু’ বলতে বোঝানো হয় এমন একজন মানুষকে, যার পরিচ্ছদ বা বাহ্যিক রূপ ভদ্রলোকের মতো হলেও আচরণে তিনি অসৎ বা দ্বিচারী।
মূল বিষয়গুলো হলো:
‘কাপুড়ে বাবু’ বাগধারাটি এমন ব্যক্তিকে নির্দেশ করে, যিনি বাহ্যিকভাবে ভদ্র ও পরিপাটি দেখালেও তাঁর চরিত্রে নেই আন্তরিকতা বা সাহসিকতা।
এ ধরনের ব্যক্তি সমাজে দেখনদারি ও ভণ্ডামির প্রতীক হিসেবে পরিচিত। তাঁরা নিজেদের ভালো মানুষ হিসেবে উপস্থাপন করেন, কিন্তু প্রকৃত কাজে বা নৈতিকতায় পিছিয়ে থাকেন।
এই বাগধারার ব্যবহার সাধারণত সমালোচনামূলক বা ব্যঙ্গার্থে করা হয়, যেমন—“ও তো শুধু কাপুড়ে বাবু, কাজে কিছু পারে না।”
সাহিত্য ও দৈনন্দিন কথোপকথনে এটি ব্যবহৃত হয় এমন মানুষদের চিত্রিত করতে, যারা অভিনয়, অহংকার ও অসততা দ্বারা আড়ালে নিজেদের ঢেকে রাখেন।
সামাজিক প্রেক্ষাপটে, ‘কাপুড়ে বাবু’রা সাধারণত ভয়ভীত, কপট ও স্বার্থান্ধ প্রকৃতির হয়ে থাকেন, যারা অন্যের সামনে নিজেকে বড়ো কিছু প্রমাণ করতে চান কিন্তু বাস্তবে দুর্বল।
সবশেষে বলা যায়, ‘কাপুড়ে বাবু’ বাগধারাটি এমন এক চরিত্রকে প্রকাশ করে যিনি বাহ্যিক ভদ্রতার মুখোশে ভণ্ডামি লুকিয়ে রাখেন। তাই এর প্রকৃত অর্থ ‘ভণ্ড’, অর্থাৎ যে ব্যক্তি কথায় ও কাজে এক নয়, কেবলমাত্র বাহ্যিক চাকচিক্যেই নিজেকে মহান দেখাতে চায়।
0
Updated: 1 week ago