পেনিসিলিয়াম আবিষ্কার করেন-
A
রবার্ট হুক
B
টমাস এডিসন
C
আলেকজান্ডার ফ্লেমিং
D
জেমস ওয়াট
উত্তরের বিবরণ
[পেনিসিলিন এক ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক যা পেনিসিলিয়াম নামক ছত্রাক থেকে তৈরি হয়। ১৯২৮ সালে আলেকজান্ডার ফ্লেমিং পেনিসিলিন আবিষ্কার করেন। ১৯৪০ সালে বিজ্ঞানী চেইন ও ফ্লোরি এবং তাঁদের সহকর্মীরা ১৯৪০ সালের শুরুতেই বিশুদ্ধ পেনিসিলিন উৎপাদনে সক্ষম হন এবং পেনিসিলিনের বানিজ্যিক উৎপাদনেও অবদান রাখেন।]
• পেনিসিলিন:
- পেনিসিলিনের আবিষ্কারক আলেকজান্ডার ফ্লেমিং।
- সময়: ১৯২৮ সাল।
- স্থান: লন্ডন, যুক্তরাজ্য।
- একটি পরীক্ষাগারে ফ্লেমিং স্ট্যাফাইলোকক্কাস ব্যাকটেরিয়ার উপর পরীক্ষা চালানোর সময় দুর্ঘটনাবশত পেনিসিলিয়াম নোটেটাম ছত্রাকের জীবাণুনাশক ক্ষমতা আবিষ্কার করেন।
- পেনিসিলিন ছিল প্রথম কার্যকর অ্যান্টিবায়োটিক, যা জীবাণুজনিত রোগের চিকিৎসায় বিপ্লব ঘটায়।
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে এটি সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
- ১৯৪৫ সালে তিনি নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
উৎস:
1. Britannica.
2. Nobel Prize Official Website.
0
Updated: 3 months ago
নিউট্রন আবিষ্কার করেন
Created: 3 months ago
A
কিউরি
B
রাদারফোর্ড
C
চ্যাডউইক
D
থমসন
নিউট্রন
-
নিউট্রন হলো একটি নিরপেক্ষ উপ-পরমাণুক কণা, যার কোনো বৈদ্যুতিক আধান নেই।
-
এই কণাটি প্রথম আবিষ্কৃত হয় ১৯৩২ সালে, বিজ্ঞানী জেমস চ্যাডউইকের গবেষণার মাধ্যমে।
-
নিউট্রনের ভর প্রোটনের ভরের কাছাকাছি, প্রায় সমান।
-
পৃথিবীর একমাত্র ব্যতিক্রম হাইড্রোজেন পরমাণু ছাড়া, প্রতিটি পরমাণুর নিউক্লিয়াসে অন্তত একটি নিউট্রন থাকে।
-
নিউট্রনকে সাধারণত প্রতীক n দিয়ে প্রকাশ করা হয়।
-
এর প্রকৃত ভর প্রায় 1.675 × 10⁻²⁴ গ্রাম।
-
নিউট্রনের আপেক্ষিক আধান শূন্য অর্থাৎ এটি কোনো আধান বহন করে না।
সূত্র: রসায়ন প্রথম পত্র, এসএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।
0
Updated: 3 months ago
এক্স রশ্মি কে, কত সালে আবিষ্কার করেন?
Created: 4 weeks ago
A
নিউটন, ১৬৮৭ সালে
B
জেমস ওয়াট, ১৮৭০ সালে
C
আইনস্টাইন, ১৯০৫ সালে
D
উইলহেম রন্টজেন, ১৮৯৫ সালে
এক্স-রে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও বৈশিষ্ট্যসমূহ:
আবিষ্কারক ও সময়কাল: জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী উইলহেম কনরাড রন্টজেন (Wilhelm Conrad Röntgen) ১৮৯৫ সালের ৮ই নভেম্বর ক্যাথোড রশ্মি নিয়ে গবেষণা করার সময় এই রশ্মিটি আকস্মিকভাবে আবিষ্কার করেন। এই আবিষ্কারের জন্য তিনি ১৯০১ সালে পদার্থবিজ্ঞানে প্রথম নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
নামকরণ: রশ্মিটির প্রকৃতি আবিষ্কারের সময় অজানা থাকায় তিনি এর নাম দেন এক্স-রে (X-ray), যেখানে 'X' দ্বারা অজ্ঞাত রাশিকে বোঝানো হয়েছে। তাঁর নামানুসারে এটিকে রন্টজেন রশ্মিও বলা হয়।
একক: এক্স-রের বিকিরণ পরিমাপের একক হলো রন্টজেন, যা আবিষ্কারকের নামানুসারে করা হয়েছে।
তরঙ্গ দৈর্ঘ্য: এক্স-রে হলো এক প্রকার তড়িৎ-চুম্বকীয় তরঙ্গ, যার তরঙ্গ দৈর্ঘ্য অত্যন্ত ক্ষুদ্র। সাধারণত এর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য 10−8 মিটার থেকে 10−13 মিটার এর কাছাকাছি বা 1 অ্যাংস্ট্রম (A˚) ক্রমের হয়ে থাকে। তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কম হওয়ায় এর ভেদন ক্ষমতা অনেক বেশি।
আয়নাইজেশন: এক্স-রের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্ম হলো এটি গ্যাসীয় মাধ্যমকে আয়নিত করতে পারে।
প্রকৃতি: এক্স-রে একটি আড় তরঙ্গ এবং এটি তড়িৎক্ষেত্র বা চৌম্বকক্ষেত্র দ্বারা বিচ্যুত হয় না।
এক্স-রের প্রধান ব্যবহারসমূহ:
রোগ নির্ণয় (ডায়াগনস্টিকস):
অস্থি ও হাড়ের সমস্যা: স্থানচ্যুত হাড়, হাড়ে ফাটল, ভেঙে যাওয়া হাড় এবং বিভিন্ন প্রকার অস্থি সংক্রান্ত রোগ সহজে শনাক্ত করা যায়।
অভ্যন্তরীণ অঙ্গ: পেটের এক্স-রে দ্বারা অন্ত্রের প্রতিবন্ধকতা (intestinal obstruction) নির্ণয় করা সম্ভব।
পাথর সনাক্তকরণ: এটি পিত্তথলি এবং কিডনিতে পাথরের উপস্থিতি নির্ণয়ে ব্যবহৃত হয়।
দন্ত চিকিৎসা: দাঁতের ক্যাভিটি (cavity), ক্ষয় ও অন্যান্য জটিলতা বের করতে দন্ত চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
চিকিৎসা (থেরাপি):
রেডিওথেরাপি: উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এক্স-রে ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করার জন্য রেডিওথেরাপি বা বিকিরণ থেরাপিতে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়।
শিল্প ও অন্যান্য ক্ষেত্রে:
ধাতব ঢালাইয়ের দোষ-ত্রুটি বা কাঠামো বিশ্লেষণের জন্য শিল্প ক্ষেত্রে এর ব্যবহার রয়েছে।
0
Updated: 4 weeks ago
কম্পিউটার কে আবিষ্কার করেন?
Created: 3 months ago
A
ইউলিয়াম অটরেড
B
ব্লেইসি প্যাসকেল
C
হাওয়ার্ড এইকিন
D
আবাকাস
কম্পিউটার আবিষ্কারে হাওয়ার্ড এইকিনের অবদান
কম্পিউটারের ইতিহাসে ড. হাওয়ার্ড এইচ আইকিন একজন গুরুত্বপূর্ণ নাম। তিনি ১৯৩৭ সালে আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিতের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত অবস্থায় চার্লস ব্যাবেজের ধারণা অনুসরণ করে একটি স্বয়ংক্রিয় গণনা যন্ত্র তৈরির পরিকল্পনা করেন। তাঁর প্রচেষ্টার ফলেই ১৯৪৪ সালে তৈরি হয় Harvard Mark-I—যা ছিল বিশ্বের প্রথম ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল কম্পিউটার।
Mark-I কম্পিউটারটি তৈরি হয়েছিল হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও IBM (International Business Machines) কোম্পানির যৌথ উদ্যোগে। এটি ছিল বিশাল আকৃতির ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করতে সক্ষম, গণনায় বিপ্লব আনা এক অসাধারণ আবিষ্কার।
তথ্যসূত্র:মৌলিক কম্পিউটার শিক্ষা, বিবিএ প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, Britannica.com
0
Updated: 3 months ago