যেসব নিউক্লিয়াসের নিউট্রন সংখ্যা সমান কিন্তু ভরসংখ্যা সমান নয় তাদের বলা হয়-
A
আইসোটোপ
B
আইসোমার
C
আইসোটোন
D
আইসোবার
উত্তরের বিবরণ
• আইসোটোন:
যেসব নিউক্লিয়াসে নিউট্রনের সংখ্যা এক হলেও ভরসংখ্যা আলাদা, তাদের আইসোটোন বলা হয়।
• আইসোটোপ:
যেসব নিউক্লিয়াসের প্রোটন সংখ্যা সমান কিন্তু ভরসংখ্যা ভিন্ন, সেগুলোকে আইসোটোপ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
• আইসোবার:
যেসব নিউক্লিয়াসের ভরসংখ্যা একই হলেও প্রোটন সংখ্যা ভিন্ন হয়, তারা আইসোবার নামে পরিচিত।
• আইসোমার:
যেসব নিউক্লিয়াসে পারমাণবিক সংখ্যা ও ভরসংখ্যা উভয়ই একই থাকে, সেগুলোকে আইসোমার বলা হয়ে থাকে।
সূত্র: নবম-দশম শ্রেণির রসায়ন পাঠ্যপুস্তক।

0
Updated: 2 months ago
আকাশ মেঘলা থাকলে গরম বেশি লাগে কেন?
Created: 2 months ago
A
মেঘ উত্তম তাপ পরিবাহক
B
সূর্যালোকের অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে মেঘ তাপ উৎপন্ন করে
C
বজ্রপাতের ফলে তাপ উৎপন্ন হয় বলে
D
মেঘ পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে বিকীর্ণ তাপকে ওপরে যেতে বাধা দেয় বলে
দিনের বেলায় সূর্য থেকে যে আলোকরশ্মি বিকিরণের মাধ্যমে পৃথিবীতে আসে, তা সাধারণত স্বল্প তরঙ্গদৈর্ঘ্যের হয়। এ ধরনের রশ্মি সহজেই মেঘের স্তর ভেদ করে ভূপৃষ্ঠে পৌঁছাতে পারে।
কিন্তু, যখন এই রশ্মিগুলো ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রতিফলিত হয়ে ফিরে যেতে চায়, তখন সেগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেড়ে যায়। ফলে, এই দীর্ঘ তরঙ্গদৈর্ঘ্যের তাপরশ্মি আর সহজে মেঘ ভেদ করতে পারে না এবং মেঘের স্তরে আটকে যায়।
এই আটকে পড়া বিকিরণ আবার নিচের দিকে প্রতিফলিত হয়ে ফিরে আসে, যার ফলে ভূপৃষ্ঠ এবং নিকটবর্তী বায়ুমণ্ডল গরম থাকে। বিশেষত মেঘলা দিনে বা রাতে এই প্রক্রিয়াটি তাপ ধরে রাখে, ফলে পরিবেশে উষ্ণতা অনুভূত হয়।
এছাড়া, মেঘলা আবহাওয়ায় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়ে যায়, কারণ বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণও বেশি থাকে। এই অতিরিক্ত আর্দ্রতা ঘাম শুকাতে বাধা দেয়, ফলে শরীরে তাপমাত্রা বেশি অনুভূত হয়, যাকে আমরা সাধারণভাবে ভ্যাপসা গরম বলে থাকি।
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাঠ্যক্রম

0
Updated: 2 months ago
স্বর্ণের খাদ বের করতে কোন অ্যাসিড ব্যবহার করা হয়?
Created: 1 month ago
A
সাইট্রিক অ্যাসিড
B
নাইট্রিক অ্যাসিড
C
হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড
D
টারটারিক অ্যাসিড
রাজঅম্ল বা অ্যাকোয়া রেজিয়া হচ্ছে একটি শক্তিশালী অ্যাসিড মিশ্রণ, যা ১ মোল নাইট্রিক অ্যাসিড (HNO₃) এবং ৩ মোল হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড (HCl) দ্বারা প্রস্তুত করা হয়। এই বিশেষ অ্যাসিড মিশ্রণ সাধারণত স্বর্ণের খাঁটি অংশ শনাক্ত করতে ও আলাদা করতে ব্যবহৃত হয়।
স্বর্ণের খাদ বের করতে প্রথমে তাকে নাইট্রিক অ্যাসিডের মাধ্যমে উত্তপ্ত করা হয়, যাতে অন্যান্য ধাতব অমিশ্রণ অপসারিত হয়। এদিকে, সালফিউরিক অ্যাসিড (H₂SO₄) সাধারণত রূপচর্চা বা কসমেটিক ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবহৃত হয়, তবে এটি স্বর্ণের বিশ্লেষণে নয়।
যেমন স্বর্ণ ও প্লাটিনাম—এই ধরনের অভিজাত ধাতুগুলো একা হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড বা নাইট্রিক অ্যাসিডে সহজে দ্রবীভূত হয় না। কিন্তু অ্যাকোয়া রেজিয়া এই ধাতুগুলোকে সহজেই দ্রবীভূত করতে সক্ষম, কারণ এই মিশ্রণের দুইটি অ্যাসিডের কার্যপদ্ধতি ভিন্ন হলেও একে অপরকে সহায়তা করে।
নাইট্রিক অ্যাসিড একটি শক্তিশালী অক্সিডাইজিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা স্বর্ণকে Au³⁺ আয়নে রূপান্তর করে। অপরদিকে, হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড থেকে প্রাপ্ত ক্লোরাইড আয়নগুলো এই স্বর্ণ আয়নের সঙ্গে কমপ্লেক্স গঠন করে এবং দ্রবণে স্থিতিশীল করে। এর ফলে দ্রবণে Au³⁺ আয়নের ঘনমাত্রা কমে যায়, যা রাসায়নিক সাম্যাবস্থাকে আরও দ্রবীভবনের দিকে ঠেলে দেয়।
সূত্র: MIT

0
Updated: 1 month ago
বায়ুমণ্ডলের কোন স্তর সবচেয়ে শীতলতম তাপমাত্রা ধারণ করে?
Created: 1 week ago
A
তাপমণ্ডল
B
স্ট্র্যাটোমণ্ডল
C
মেসোমণ্ডল
D
এক্সোমণ্ডল
মেসোমণ্ডল (Mesosphere)
-
সংজ্ঞা: স্ট্রাটোবিরতির উপরে প্রায় ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত বায়ুস্তর হলো মেসোমণ্ডল।
-
এই স্তরের উপরে তাপমাত্রা হ্রাস বন্ধ হয়ে যায়; একে মেসোবিরতি (Mesopause) বলে।
মেসোমণ্ডলের বৈশিষ্ট্য
-
ট্রপোমণ্ডলের মতো এখানেও উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে তাপমাত্রা ক্রমশ হ্রাস পায় এবং সর্বনিম্ন –৮৩° সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে যায়।
-
এটি বায়ুমণ্ডলের সবচেয়ে শীতল স্তর।
-
মহাকাশ থেকে পৃথিবীর দিকে ধাবিত হওয়া অধিকাংশ উল্কা (Meteor) এই স্তরে এসে জ্বলে-পুড়ে যায়।
তাপমণ্ডল (Thermosphere)
-
সংজ্ঞা: মেসোবিরতির উপরে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত বায়ুস্তর হলো তাপমণ্ডল।
-
এ স্তরের বায়ু খুবই হালকা এবং বায়ুচাপ অতি সামান্য।
-
তাপমণ্ডলের নিচের অংশকে আয়নমণ্ডল (Ionosphere) বলা হয়।
তাপমণ্ডলের বৈশিষ্ট্য
-
এ স্তরে তাপমাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে সর্বোচ্চ ১৪৮০° সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছায়।
-
উপরের স্তরে তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে প্রায় স্থির থাকে।
-
তীব্র সৌর বিকিরণের ফলে রঞ্জন রশ্মি (X-ray) ও অতিবেগুনি রশ্মি (UV ray) এর সংঘাতে বায়ু আয়নিত হয়।
-
ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রেরিত বেতার তরঙ্গ (Radio waves) আয়নমণ্ডলের আয়নের সাথে প্রতিফলিত হয়ে পুনরায় ভূপৃষ্ঠে ফিরে আসে।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম–দশম শ্রেণি

0
Updated: 1 week ago