যেসব নিউক্লিয়াসের নিউট্রন সংখ্যা সমান কিন্তু ভরসংখ্যা সমান নয় তাদের বলা হয়-
A
আইসোটোপ
B
আইসোমার
C
আইসোটোন
D
আইসোবার
উত্তরের বিবরণ
• আইসোটোন:
যেসব নিউক্লিয়াসে নিউট্রনের সংখ্যা এক হলেও ভরসংখ্যা আলাদা, তাদের আইসোটোন বলা হয়।
• আইসোটোপ:
যেসব নিউক্লিয়াসের প্রোটন সংখ্যা সমান কিন্তু ভরসংখ্যা ভিন্ন, সেগুলোকে আইসোটোপ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
• আইসোবার:
যেসব নিউক্লিয়াসের ভরসংখ্যা একই হলেও প্রোটন সংখ্যা ভিন্ন হয়, তারা আইসোবার নামে পরিচিত।
• আইসোমার:
যেসব নিউক্লিয়াসে পারমাণবিক সংখ্যা ও ভরসংখ্যা উভয়ই একই থাকে, সেগুলোকে আইসোমার বলা হয়ে থাকে।
সূত্র: নবম-দশম শ্রেণির রসায়ন পাঠ্যপুস্তক।
0
Updated: 3 months ago
আকাশ মেঘলা থাকলে গরম বেশি লাগে কেন?
Created: 3 months ago
A
মেঘ উত্তম তাপ পরিবাহক
B
সূর্যালোকের অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাবে মেঘ তাপ উৎপন্ন করে
C
বজ্রপাতের ফলে তাপ উৎপন্ন হয় বলে
D
মেঘ পৃথিবী পৃষ্ঠ থেকে বিকীর্ণ তাপকে ওপরে যেতে বাধা দেয় বলে
দিনের বেলায় সূর্য থেকে যে আলোকরশ্মি বিকিরণের মাধ্যমে পৃথিবীতে আসে, তা সাধারণত স্বল্প তরঙ্গদৈর্ঘ্যের হয়। এ ধরনের রশ্মি সহজেই মেঘের স্তর ভেদ করে ভূপৃষ্ঠে পৌঁছাতে পারে।
কিন্তু, যখন এই রশ্মিগুলো ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রতিফলিত হয়ে ফিরে যেতে চায়, তখন সেগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেড়ে যায়। ফলে, এই দীর্ঘ তরঙ্গদৈর্ঘ্যের তাপরশ্মি আর সহজে মেঘ ভেদ করতে পারে না এবং মেঘের স্তরে আটকে যায়।
এই আটকে পড়া বিকিরণ আবার নিচের দিকে প্রতিফলিত হয়ে ফিরে আসে, যার ফলে ভূপৃষ্ঠ এবং নিকটবর্তী বায়ুমণ্ডল গরম থাকে। বিশেষত মেঘলা দিনে বা রাতে এই প্রক্রিয়াটি তাপ ধরে রাখে, ফলে পরিবেশে উষ্ণতা অনুভূত হয়।
এছাড়া, মেঘলা আবহাওয়ায় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়ে যায়, কারণ বায়ুতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণও বেশি থাকে। এই অতিরিক্ত আর্দ্রতা ঘাম শুকাতে বাধা দেয়, ফলে শরীরে তাপমাত্রা বেশি অনুভূত হয়, যাকে আমরা সাধারণভাবে ভ্যাপসা গরম বলে থাকি।
তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাঠ্যক্রম
0
Updated: 3 months ago
HCl (aq) + NaOH (aq) → NaCl (aq) + H2O (l) কোন ধরণের বিক্রিয়া?
Created: 1 month ago
A
বিয়োজন বিক্রিয়া
B
দহন বিক্রিয়া
C
পানি যোজন বিক্রিয়া
D
প্রশমন বিক্রিয়া
রাসায়নিক বিক্রিয়ার প্রকারভেদ
1️⃣ প্রশমন বিক্রিয়া (Neutralization Reaction)
-
সংজ্ঞা: এসিড এবং ক্ষার দ্রবণ মিশলে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে, যার ফলে লবণ ও পানি উৎপন্ন হয়।
-
প্রক্রিয়া:
-
এসিড জলীয় দ্রবণে হাইড্রোজেন আয়ন (H⁺) প্রদান করে।
-
ক্ষার জলীয় দ্রবণে হাইড্রোক্সিল আয়ন (OH⁻) প্রদান করে।
-
H⁺ এবং OH⁻ যুক্ত হয়ে পানি (H₂O) তৈরি করে।
-
-
উদাহরণ:
2️⃣ পানি যোজন বিক্রিয়া (Hydration Reaction)
-
সংজ্ঞা: আয়নিক যৌগের কেলাস গঠনের সময় এক বা একাধিক পানির অণু সংযুক্ত হওয়া।
-
পানি কেলাস: কেলাসে যুক্ত থাকা পানি।
3️⃣ বিয়োজন বিক্রিয়া (Decomposition Reaction)
-
সংজ্ঞা: সংযোজন বিক্রিয়ার বিপরীত।
-
প্রক্রিয়া: যৌগের অণু ভেঙ্গে এক বা একাধিক মৌল বা যৌগে পরিণত হয়।
-
উদাহরণ:
4️⃣ দহন বিক্রিয়া (Combustion Reaction)
-
সংজ্ঞা: কোনো মৌল বা যৌগকে বায়ুর অক্সিজেনের সঙ্গে জ্বালিয়ে, তা অক্সাইডে রূপান্তরিত করা।
-
উদাহরণ:
উৎস: রসায়ন প্রথম পত্র, এইচএসসি প্রোগ্রাম, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়
0
Updated: 1 month ago
আমাদের দেশে বনায়নের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ-
Created: 3 months ago
A
গাছপালা পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে
B
গাছপালা O₂ ত্যাগ করে পরিবেশকে নির্মল রাখে ও জীব জগতকে বাঁচায়
C
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কোনো অবদান নেই
D
ঝড় ও বন্যার আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়
পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে প্রতিটি দেশের মোট আয়তনের অন্তত ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা প্রয়োজন। অথচ বাংলাদেশে বর্তমানে বনভূমির পরিমাণ মোট আয়তনের প্রায় ১৭ শতাংশ।
আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে বনায়নের গুরুত্ব অনেক। কারণ—
-
গাছপালা পরিবেশে অক্সিজেন সরবরাহ করে, যা বাতাসকে বিশুদ্ধ রাখতে সহায়তা করে এবং জীবজগতের জীবনধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
গাছপালা বহু ক্ষুদ্র প্রাণী ও পাখির নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করে এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় সহায়ক হয়।
-
গাছপালা প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মানুষসহ অন্যান্য জীবকে সুরক্ষা প্রদান করে।
উৎস: ভূগোল ও পরিবেশ, নবম-দশম শ্রেণি
0
Updated: 3 months ago