কাজী নজরুল ইসলাম জন্মগ্রহণ করেন কবে?
A
২৪ মে, ১৮৯৯
B
২৩ মে, ১৯০৯
C
২৪ মে, ১৮৯৭
D
২২ মে, ১৮৯৯
উত্তরের বিবরণ
কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় কবি।
-
জন্ম: ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ (২৪ মে ১৮৯৯), চুরুলিয়া গ্রাম, বর্ধমান জেলা, পশ্চিমবঙ্গ।
-
কাজী নজরুল ইসলাম মোট ১৩ বার ঢাকায় আসেন, প্রথমবার আসেন ১৯২৬ সালে।
-
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ৫ বার উপস্থিত ছিলেন।
-
দেশ স্বাধীন হওয়ার পর, ১৯৭২ সালের ২৪ মে ভারত থেকে সপরিবারে ঢাকায় আনা হয়।
-
১৯৭৪ সালের ৯ মে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ সমাবর্তনের মাধ্যমে তাকে ডি. লিট উপাধি প্রদান করা হয়।
-
১৯৭৬ সালের জানুয়ারি মাসে তাকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব এবং ফেব্রুয়ারি মাসে একুশে পদক প্রদান করা হয়।
-
মৃত্যু: ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট (বাংলা ১২ ভাদ্র ১৩৮৩ বঙ্গাব্দ), ঢাকার পিজি হাসপাতালে।
-
সমাহিত: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশে।
0
Updated: 1 month ago
'সঞ্চিতা' কাব্য সংকলনটির রচয়িতা কে?
Created: 5 days ago
A
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
B
কাজী নজরুল ইসলাম
C
জীবনানন্দ দাশ
D
সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত
কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রখ্যাত কবি ও বিদ্রোহী শিল্পী হিসেবে পরিচিত। তিনি কেবল কবিতার মাধ্যমে সামাজিক ও রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি করেননি, বরং মানুষের মানসিক ও আধ্যাত্মিক মুক্তি, প্রেম ও সৌন্দর্যের অনুভূতিও প্রকাশ করেছেন। তাঁর “সঞ্চিতা” কাব্য সংকলনটি এই দিকগুলোকে সুন্দরভাবে একত্রিত করেছে। এটি নজরুলের সাহিত্যে প্রথম মৌলিক কাব্য সংকলন হিসেবে বিবেচিত, যা তার রচনাশৈলীর বৈচিত্র্য এবং শক্তিশালী ভাবনাকে প্রদর্শন করে।
-
“সঞ্চিতা” সংকলনে নজরুলের প্রথম প্রামাণ্য কাব্যসৃষ্টি সংরক্ষিত, যেখানে তিনি প্রেম, প্রকৃতি, সমাজ ও আধ্যাত্মিকতা সংক্রান্ত বিভিন্ন কাব্য রচনা করেছেন।
-
সংকলনটি প্রকাশিত হওয়ার সময় বাংলা সাহিত্যে নবমুক্তির এক নতুন ধারা সৃষ্টি করে। কবিতাগুলোতে বিদ্রোহী মনোভাব, মানবতা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের বার্তা স্পষ্ট।
-
কাজী নজরুল ইসলামের ভাষা ও চিত্রণধারা প্রাঞ্জল এবং আবেগপূর্ণ; তিনি সংকীর্ণ সামাজিক ও আধ্যাত্মিক বন্ধন থেকে মুক্তি এবং মানব জীবনের বিভিন্ন দিককে উজ্জীবিত করেছেন।
-
অন্যান্য প্রার্থী যেমন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জীবনানন্দ দাশ বা সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত বাংলা সাহিত্যে নিজস্ব গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন, কিন্তু “সঞ্চিতা” সংকলনের রচয়িতা কেবল কাজী নজরুল ইসলাম।
-
সাহিত্য সমালোচকরা “সঞ্চিতা” সংকলনকে নজরুলের প্রাথমিক মৌলিক কাব্যধারার প্রতীক হিসেবে মূল্যায়ন করেছেন, যা পরবর্তী সময়ে তার বিদ্রোহী ও প্রগতিশীল কবিতার ভিত্তি স্থাপন করেছে।
সারসংক্ষেপে, কাজী নজরুল ইসলামকে “সঞ্চিতা” কাব্য সংকলনের রচয়িতা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, যা বাংলা কবিতার ইতিহাসে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে এবং তার সাহিত্যকর্মের বৈচিত্র্যময় প্রতিভাকে ফুটিয়ে তোলে।
0
Updated: 5 days ago
২০২২ সালে নজরুলের কততম ‘জন্মদিন’ পালন হলো?
Created: 10 hours ago
A
১২৬
B
১২৩
C
১২৪
D
১২৫
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিন প্রতি বছর তাঁর জন্মতারিখ ২৪ মে উপলক্ষে পালিত হয়। ২০২২ সালে তাঁর ১২৩তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপিত হয়।
জন্ম: ২৪ মে ১৮৯৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
মৃত্যু: ২৯ আগস্ট ১৯৭৬ সালে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
নজরুলের অবদান: তিনি ছিলেন বিদ্রোহী কবি, সংগীতজ্ঞ, নাট্যকার ও প্রবন্ধকার।
বাংলা সাহিত্যে গুরুত্ব: তাঁর রচনায় বিদ্রোহ, প্রেম, মানবতা ও সাম্যের আদর্শ ফুটে উঠেছে।
স্মরণ: বাংলাদেশে তাঁর জন্মদিন জাতীয়ভাবে পালন করা হয় এবং দিনটি “নজরুল জন্মজয়ন্তী” নামে পরিচিত।
0
Updated: 10 hours ago
নিচের কোনটি কবি নজরুল ইসলাম সম্পাদিত পত্রিকা?
Created: 2 days ago
A
ধূমকেতু
B
সমকাল
C
মোসলেম ভারত
D
সবুজ পত্র
কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন বাংলার জাতীয় কবি, যিনি শুধু সাহিত্যেই নয়, সমাজ ও রাজনীতির জগতে সমানভাবে প্রভাব বিস্তার করেছিলেন। তাঁর সম্পাদিত ‘ধূমকেতু’ পত্রিকাটি ছিল তাঁর বিপ্লবী চিন্তা ও স্বাধীনতার আহ্বানের প্রতিচ্ছবি। এই পত্রিকার মাধ্যমে নজরুল ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে সাহসী ভূমিকা রাখেন এবং বাংলা সাংবাদিকতার ইতিহাসে এক অনন্য অধ্যায় রচনা করেন।
• ‘ধূমকেতু’ পত্রিকা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২২ সালের আগস্ট মাসে। এটি ছিল একটি সাপ্তাহিক সাহিত্য ও রাজনৈতিক পত্রিকা, যার মাধ্যমে কবি জনগণের অধিকার ও মুক্তির বার্তা পৌঁছে দেন।
• পত্রিকাটির নামকরণ ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ধূমকেতু অর্থাৎ ‘Comet’—যা অন্ধকার আকাশে জ্বলে ওঠে বিদ্রোহের প্রতীক হয়ে। নজরুল এই নামের মাধ্যমে ঘোষণা করেছিলেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামের বার্তা।
• পত্রিকার মূল উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশ শাসনের অন্যায়, শোষণ ও সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করা। এখানে প্রকাশিত তাঁর লেখা যেমন ‘আনন্দময়ীর আগমনে’, ‘বিদ্রোহী’, ‘ধূমকেতুর কথা’ প্রভৃতি রচনা তৎকালীন সমাজে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
• এই পত্রিকার প্রকাশনা তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার সহ্য করতে পারেনি। নজরুলের লেখা বিপ্লবী ও স্বাধীনতাকামী ভাবধারায় ভরপুর ছিল বলে সরকার ‘ধূমকেতু’ বন্ধ করে দেন এবং নজরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়।
• ১৯২৫ সালে প্রকাশিত ‘লাঙ্গল’ পত্রিকাতেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এটি ছিল কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষের অধিকারের পত্রিকা, যার প্রধান পরিচালক ছিলেন নজরুল ইসলাম।
• এছাড়া তিনি কমরেড মুজাফ্ফর আহমদের সঙ্গে যৌথভাবে ‘দৈনিক নবযুগ’ পত্রিকাও সম্পাদনা করেছিলেন। এই পত্রিকার মাধ্যমে সমাজতান্ত্রিক ও মানবতাবাদী চেতনা ছড়িয়ে দেওয়া হয়।
• নজরুলের সম্পাদিত প্রতিটি পত্রিকা তাঁর বিদ্রোহী মনোভাব, সমাজ পরিবর্তনের আহ্বান এবং মানবতার প্রতি গভীর ভালোবাসার প্রতিফলন। তাঁর লেখা ও সম্পাদনা শুধুমাত্র সাহিত্যিক কর্মকাণ্ড নয়, বরং তা ছিল একটি আন্দোলন—অন্যায়ের বিরুদ্ধে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানোর এক জাগরণ।
সুতরাং, প্রদত্ত বিকল্পগুলির মধ্যে সঠিক উত্তর ক) ধূমকেতু, কারণ এই পত্রিকাটিই ছিল কাজী নজরুল ইসলামের সম্পাদনায় প্রকাশিত এবং এটি তাঁর সাহিত্য, রাজনীতি ও সমাজচেতনার এক মহিমান্বিত প্রতীক।
0
Updated: 2 days ago